প্রিয়তমা,
কেমন থাকছো আজকাল। অনেকদিন তোমার সাথে যোগাযোগ হয়না। মাঝে মাঝে তোমাকে দেখি দূর থেকে। তোমার সাথের ছেলেটিকেও দেখি।কথা বলতে খুব ইচ্ছে হয়।কিন্তু সাহস হয় না। আমি এখনো সাহসী হয়ে উঠতে পারি নি।
.
জানো, আমার খুব হিংসে হয় যখন দেখি আমার সামনেই তুমি সেই ছেলেটির হাত ধরে আছো।কিংবা রিক্সায় ঘুরছো। আমার সমস্ত আবেগ মুহুর্তেই যন্ত্রে পরিনত হয়।মনে হয় খুন করে ফেলি তোমার সাথের ছেলেটিকে।একদিন যে হাত আমার হাতে থাকতো,আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে কথা হতো চোখে চোখে।আজ সেই হাতে অন্য কেউ হাত রাখছে। সেই চোখে চোখ রাখছে অন্য কেউ। আমার খুব হিংসে হয়।খুব কষ্ট হয়।
.
আচ্ছা, তোমার মনে পড়ে? কত রাত আমরা নির্ঘুম কাটিয়েছি।ফোনালাপে ঝগড়া হয়েছে কত শত।হয়েছে দুষ্টুমি,হয়েছে ভালবাসা।একদিন তুমি জ্বরে পড়লে।বললে ,ভীষণ খারাপ লাগছে। আজ কথা বলবে না।ঘুমুবে।আমাকেও ঘুমাতে বললে। সরল বিশ্বাসে আমি ঘুমুতে গেলাম। পরদিন ভোরবেলা তোমাকে ফোন দিলাম।দেখি সুইচ অফ।এদিকে টেনশনে আমি মরে যাচ্ছিলাম।তারপর তোমার রুমমেট কে ফোন দিলাম।তোমার অসুখের কথা জিজ্ঞেস করলাম।কিন্তু তোমার রুমমেট যা বললো তাতে আমি নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।তোমার না কি জ্বর আসে নি।তুমি সারারাত আমার সঙ্গে কথা বলে ফোনের চার্জ শেষ করেছো।এখন ঘুমচ্ছো।
তোমার রুমমেটের কথা শুনে আমি কিছুক্ষণ আমি স্তব্ধ হয়ে ছিলাম।মনে হলো পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে।কাল রাতে তো তোমার সাথে আমার কথা হয় নি।তাহলে সারারাত তুমি কার সাথে কথা বলেছিলে?
.
আমি আসলে বোকা ছিলাম।তোমাকে বিশ্বাস করাটাই আমার বোকামী ছিলো। কিন্তু ভালবাসলে তো ভালবাসার
মানুষটার উপর বিশ্বাস রাখতে হয়।তা না হলে সম্পর্ক টিকবে কি করে।এজন্য তোমাকে আমি বিশ্বাস করতাম।তোমার সব কথা অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম।কিন্তু সেই তুমিই আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে।ধূলোয়
মিশিয়ে দিলে আমার সমস্ত আবেগ।লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দিলে আমার ভালবাসা।আচ্ছা, তোমাকে ভালবেসে কি ভুল করেছি?না কি আমার ভালবাসায় কোন কমতি ছিলো?খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার অপরাধ কি ছিলো?যার জন্য তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে।
.
চাকুরী না পাওয়াটাই কি আমার অপরাধ ছিলো। হয়ত তাই।কিন্তু কি করব বলো!আমি তো কম চেষ্টা করিনি।চাকুরীর পরীক্ষা দিচ্ছি। রিটেনে পাস করছি।কিন্তু ভাইবা'তে গিয়ে আউট হচ্ছি। টাকা নেই তো চাকুরী নেই। এস আই এর পরীক্ষাটা দিলাম। পাস করলাম।কিন্তু ঘুষ চাইলো বিশ লাখ টাকা।ব্যাংকে পরীক্ষা দিলাম।সেখানে ঘুষ চাইলো দশ লাখ।আমি এতো টাকা কই পাবো?
দীর্ঘ আঠারো বছর পড়াশুনা করে এখন চাকুরী নিতে গিয়ে এতো টাকা ঘুষ কিভাবে দেবো আমি? মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি।আমার পড়াশুনার খরচ দিতেই বাবা হিমশিম খান।সেখানে চাকুরীর জন্য এতগুলো টাকা তিনি কোথায় পাবেন? তোমাকে বললাম,দুটো বছর সময় আমাকে দাও।এর মধ্যে আমি চাকুরী জুটিয়ে ফেলব।কিন্তু তুমি সেসময় টুকু আমাকে দিলে না।আমাকে ছেড়ে দিয়ে ব্যাংকার এক ছেলের প্রেমে পড়লে।তোমার বান্ধবীর কাছে শুনলাম গত বছর তোমাদের বিয়ে হয়ে গেছে।যে তুমি আমাকে এত ভালবাসতে সেই তুমি কি করে পারলে অন্য একটি ছেলের প্রেমে পড়তে।কি করে পারলে তাকে বিয়ে করতে।
আচ্ছা তুমি কি আমাকে ভালবাসতে নাকি আমার সাথে তুমি শুধু টাইম পাস করে ছিলে?
এখন যার সাথে আছো তাকে কি আদৌ ভালবাসো? না কি সে প্রতিষ্টিত শুধু সেজন্যই তাকে বিয়ে করলে?
আচ্ছা অর্থ সম্পদের কাছে কি ভালবাসা নিতান্তই মূল্যহীন?
.
তুমি চলে যাওয়ার পর আমার মনে ভীষণ জিদ চেপে বসলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম চাকুরী আমাকে পেতেই হবে।এবং ঘুষ ছাড়াই চাকরী করব আমি।সেদিনই মেস থেকে বাড়ি চলে যাই। বাবা মা কে বুঝিয়ে বললাম।দীর্ঘ আঠারোটি বছর আমাকে পড়িয়েছেন।আর দুটো বছর আমাকে পড়ান।দু'বছর পরে আমি চাকুরী পাব ইনশা আল্লাহ।আমার বাবা অল্প শিক্ষিত মানুষ। তিনি পড়ালেখা সম্পর্কে এতকিছু জানেন না।তিনি বললেন,সংসার সামলাতেই তো হিমশিম খাচ্ছি। এখন আবার পড়বি।এতো টাকা আসবে কোথা থেকে।
বাবার কথা শুনে মন খারাপ করে আবার মেসে চলে আসলাম।পরদিন সকালে মা ফোন দিলেন।বললেন টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।টাকার চিন্তা করতে নিষেধ করলেন।মন দিয়ে পড়তে বললেন।
আমি পড়লাম।শুধুমাত্র চাকুরীর জন্যই প্রচুর পড়াশুনা করলাম।দেড় বছরের মাথায় আমার চাকুরী হলো।আমি এখন সোনালী ব্যাংকে আছি।আজ আমার চাকুরী আছে।টাকা পয়সাও হয়েছে।শুধু তুমি পাশে নেই।
.
গত পরশু রাতে মা ফোন দিয়েছিলেন।বললেন বাবা আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছেন।আমার মতামত জানতে চাইছেন।আমার পছন্দের কেউ আছে কি না জিজ্ঞেস করলেন। মাকে আমি বলতে পারিনি,মা তোমার ছেলে একটা ছলনাময়ী মেয়েকে ভালবাসতো ।যে কিনা শুধু বেকারত্বের কারণে তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
.
সেদিন লালবাগে তোমাকে দেখলাম। তোমার বরের সঙ্গে রিক্সায় ঘুরছো।লাল শাড়িতে তোমাকে নতুন বউয়ের মতো লাগছিলো।ছোট ছোট কথাবার্তায় তুমি হেসে হেসে উঠছিলে।তোমার মুখে আগের মতোই সেই মায়াবী হাসি।আমার সাথে রিক্সায় বসে তুমি যেমন করে হাসতে ঠিক তেমন।ইচ্ছে হলো দৌড়ে গিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াই।চিৎকার করে বলি,
শোভা,আজ আমার চাকুরী আছে। আমার অনেক টাকা আছে। আমি এখন প্রতিষ্ঠিত।আমি তোমাকে ফিরে পেতে চাই।তুমি কি আমার কাছে ফিরে আসবে?
কিন্তু আমার সব চিৎকার ,বুক চাপা কান্না সব বুকের ভেতরেই ডুকরে মরেছে।তোমার সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমার হয় নি। আমি এখনো সাহসী হয়ে উঠিনি।
.
মাঝে মাঝে আমার কথা কি তোমার মনে পড়ে শোভা?তবে তোমার কথা আমার খুব মনে পড়ে।তোমার লেখা চিঠি গুলো আমি যত্ন করে রেখেছি আলমিরায়।হঠাৎ কোন মধ্যরাতে চিঠিগুলো বের করে পড়ি।যার চিঠি এত মায়া মমতা দিয়ে ভরা,সেই মানুষটা কি করে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে!সে কি করে আমাকে ছেড়ে থাকতে পারে!
প্রকৃতি হয়তো তোমাকে নিষ্ঠুর বানিয়েছে।অথবা আমি মিছেমিছি প্রকৃতিকে দোষ দিচ্ছি।তোমার কথা ভাবতে গেলে আমার কষ্ট হয়। কান্না আসে। আমি আর কাঁদতে চাই না শোভা।কাঁদতে কাঁদতে আমি খুব ক্লান্ত।
তুমি ভালো থেকো।
ইতি
অরুপ সেন।
কেমন থাকছো আজকাল। অনেকদিন তোমার সাথে যোগাযোগ হয়না। মাঝে মাঝে তোমাকে দেখি দূর থেকে। তোমার সাথের ছেলেটিকেও দেখি।কথা বলতে খুব ইচ্ছে হয়।কিন্তু সাহস হয় না। আমি এখনো সাহসী হয়ে উঠতে পারি নি।
.
জানো, আমার খুব হিংসে হয় যখন দেখি আমার সামনেই তুমি সেই ছেলেটির হাত ধরে আছো।কিংবা রিক্সায় ঘুরছো। আমার সমস্ত আবেগ মুহুর্তেই যন্ত্রে পরিনত হয়।মনে হয় খুন করে ফেলি তোমার সাথের ছেলেটিকে।একদিন যে হাত আমার হাতে থাকতো,আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে কথা হতো চোখে চোখে।আজ সেই হাতে অন্য কেউ হাত রাখছে। সেই চোখে চোখ রাখছে অন্য কেউ। আমার খুব হিংসে হয়।খুব কষ্ট হয়।
.
আচ্ছা, তোমার মনে পড়ে? কত রাত আমরা নির্ঘুম কাটিয়েছি।ফোনালাপে ঝগড়া হয়েছে কত শত।হয়েছে দুষ্টুমি,হয়েছে ভালবাসা।একদিন তুমি জ্বরে পড়লে।বললে ,ভীষণ খারাপ লাগছে। আজ কথা বলবে না।ঘুমুবে।আমাকেও ঘুমাতে বললে। সরল বিশ্বাসে আমি ঘুমুতে গেলাম। পরদিন ভোরবেলা তোমাকে ফোন দিলাম।দেখি সুইচ অফ।এদিকে টেনশনে আমি মরে যাচ্ছিলাম।তারপর তোমার রুমমেট কে ফোন দিলাম।তোমার অসুখের কথা জিজ্ঞেস করলাম।কিন্তু তোমার রুমমেট যা বললো তাতে আমি নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।তোমার না কি জ্বর আসে নি।তুমি সারারাত আমার সঙ্গে কথা বলে ফোনের চার্জ শেষ করেছো।এখন ঘুমচ্ছো।
তোমার রুমমেটের কথা শুনে আমি কিছুক্ষণ আমি স্তব্ধ হয়ে ছিলাম।মনে হলো পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে।কাল রাতে তো তোমার সাথে আমার কথা হয় নি।তাহলে সারারাত তুমি কার সাথে কথা বলেছিলে?
.
আমি আসলে বোকা ছিলাম।তোমাকে বিশ্বাস করাটাই আমার বোকামী ছিলো। কিন্তু ভালবাসলে তো ভালবাসার
মানুষটার উপর বিশ্বাস রাখতে হয়।তা না হলে সম্পর্ক টিকবে কি করে।এজন্য তোমাকে আমি বিশ্বাস করতাম।তোমার সব কথা অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম।কিন্তু সেই তুমিই আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে।ধূলোয়
মিশিয়ে দিলে আমার সমস্ত আবেগ।লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দিলে আমার ভালবাসা।আচ্ছা, তোমাকে ভালবেসে কি ভুল করেছি?না কি আমার ভালবাসায় কোন কমতি ছিলো?খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার অপরাধ কি ছিলো?যার জন্য তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে।
.
চাকুরী না পাওয়াটাই কি আমার অপরাধ ছিলো। হয়ত তাই।কিন্তু কি করব বলো!আমি তো কম চেষ্টা করিনি।চাকুরীর পরীক্ষা দিচ্ছি। রিটেনে পাস করছি।কিন্তু ভাইবা'তে গিয়ে আউট হচ্ছি। টাকা নেই তো চাকুরী নেই। এস আই এর পরীক্ষাটা দিলাম। পাস করলাম।কিন্তু ঘুষ চাইলো বিশ লাখ টাকা।ব্যাংকে পরীক্ষা দিলাম।সেখানে ঘুষ চাইলো দশ লাখ।আমি এতো টাকা কই পাবো?
দীর্ঘ আঠারো বছর পড়াশুনা করে এখন চাকুরী নিতে গিয়ে এতো টাকা ঘুষ কিভাবে দেবো আমি? মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি।আমার পড়াশুনার খরচ দিতেই বাবা হিমশিম খান।সেখানে চাকুরীর জন্য এতগুলো টাকা তিনি কোথায় পাবেন? তোমাকে বললাম,দুটো বছর সময় আমাকে দাও।এর মধ্যে আমি চাকুরী জুটিয়ে ফেলব।কিন্তু তুমি সেসময় টুকু আমাকে দিলে না।আমাকে ছেড়ে দিয়ে ব্যাংকার এক ছেলের প্রেমে পড়লে।তোমার বান্ধবীর কাছে শুনলাম গত বছর তোমাদের বিয়ে হয়ে গেছে।যে তুমি আমাকে এত ভালবাসতে সেই তুমি কি করে পারলে অন্য একটি ছেলের প্রেমে পড়তে।কি করে পারলে তাকে বিয়ে করতে।
আচ্ছা তুমি কি আমাকে ভালবাসতে নাকি আমার সাথে তুমি শুধু টাইম পাস করে ছিলে?
এখন যার সাথে আছো তাকে কি আদৌ ভালবাসো? না কি সে প্রতিষ্টিত শুধু সেজন্যই তাকে বিয়ে করলে?
আচ্ছা অর্থ সম্পদের কাছে কি ভালবাসা নিতান্তই মূল্যহীন?
.
তুমি চলে যাওয়ার পর আমার মনে ভীষণ জিদ চেপে বসলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম চাকুরী আমাকে পেতেই হবে।এবং ঘুষ ছাড়াই চাকরী করব আমি।সেদিনই মেস থেকে বাড়ি চলে যাই। বাবা মা কে বুঝিয়ে বললাম।দীর্ঘ আঠারোটি বছর আমাকে পড়িয়েছেন।আর দুটো বছর আমাকে পড়ান।দু'বছর পরে আমি চাকুরী পাব ইনশা আল্লাহ।আমার বাবা অল্প শিক্ষিত মানুষ। তিনি পড়ালেখা সম্পর্কে এতকিছু জানেন না।তিনি বললেন,সংসার সামলাতেই তো হিমশিম খাচ্ছি। এখন আবার পড়বি।এতো টাকা আসবে কোথা থেকে।
বাবার কথা শুনে মন খারাপ করে আবার মেসে চলে আসলাম।পরদিন সকালে মা ফোন দিলেন।বললেন টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।টাকার চিন্তা করতে নিষেধ করলেন।মন দিয়ে পড়তে বললেন।
আমি পড়লাম।শুধুমাত্র চাকুরীর জন্যই প্রচুর পড়াশুনা করলাম।দেড় বছরের মাথায় আমার চাকুরী হলো।আমি এখন সোনালী ব্যাংকে আছি।আজ আমার চাকুরী আছে।টাকা পয়সাও হয়েছে।শুধু তুমি পাশে নেই।
.
গত পরশু রাতে মা ফোন দিয়েছিলেন।বললেন বাবা আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছেন।আমার মতামত জানতে চাইছেন।আমার পছন্দের কেউ আছে কি না জিজ্ঞেস করলেন। মাকে আমি বলতে পারিনি,মা তোমার ছেলে একটা ছলনাময়ী মেয়েকে ভালবাসতো ।যে কিনা শুধু বেকারত্বের কারণে তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
.
সেদিন লালবাগে তোমাকে দেখলাম। তোমার বরের সঙ্গে রিক্সায় ঘুরছো।লাল শাড়িতে তোমাকে নতুন বউয়ের মতো লাগছিলো।ছোট ছোট কথাবার্তায় তুমি হেসে হেসে উঠছিলে।তোমার মুখে আগের মতোই সেই মায়াবী হাসি।আমার সাথে রিক্সায় বসে তুমি যেমন করে হাসতে ঠিক তেমন।ইচ্ছে হলো দৌড়ে গিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াই।চিৎকার করে বলি,
শোভা,আজ আমার চাকুরী আছে। আমার অনেক টাকা আছে। আমি এখন প্রতিষ্ঠিত।আমি তোমাকে ফিরে পেতে চাই।তুমি কি আমার কাছে ফিরে আসবে?
কিন্তু আমার সব চিৎকার ,বুক চাপা কান্না সব বুকের ভেতরেই ডুকরে মরেছে।তোমার সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমার হয় নি। আমি এখনো সাহসী হয়ে উঠিনি।
.
মাঝে মাঝে আমার কথা কি তোমার মনে পড়ে শোভা?তবে তোমার কথা আমার খুব মনে পড়ে।তোমার লেখা চিঠি গুলো আমি যত্ন করে রেখেছি আলমিরায়।হঠাৎ কোন মধ্যরাতে চিঠিগুলো বের করে পড়ি।যার চিঠি এত মায়া মমতা দিয়ে ভরা,সেই মানুষটা কি করে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে!সে কি করে আমাকে ছেড়ে থাকতে পারে!
প্রকৃতি হয়তো তোমাকে নিষ্ঠুর বানিয়েছে।অথবা আমি মিছেমিছি প্রকৃতিকে দোষ দিচ্ছি।তোমার কথা ভাবতে গেলে আমার কষ্ট হয়। কান্না আসে। আমি আর কাঁদতে চাই না শোভা।কাঁদতে কাঁদতে আমি খুব ক্লান্ত।
তুমি ভালো থেকো।
ইতি
অরুপ সেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন