অামার একটা সমস্যা অাছে, সেটা হলো মাঝ রাতে অামার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কোনো কারণ ছাড়াই ঘুমটা ঠিক মাঝ রাতেই ভেঙ্গে যায়।
কোন এক দুঃস্বপ্ন দেখার কারণে হয়তো এমনটি হয়, কিন্তু ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই সেই দুঃস্বপ্নটির কথা ভুলে যাই, কি অদ্ভুত তাইনা?
.
কোন এক দুঃস্বপ্ন দেখার কারনে অাজও হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো, রুমটা একদম অন্ধকার কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
বালিশের বা পাশে থাকা মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি রাত ঠিক দুটো বাজে।
বিছানা থেকে উঠে রুমে অালো জ্বালিয়ে সিগারেট এর প্যাকেট খুঁজার চেষ্টা করলাম, এই মাঝ রাতে অামার একমাত্র সঙ্গি "নিকোটিন"
কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিনা কোথায় রাখলাম সিগারেট এর প্যাকেট টি।
.
সিগারেট এর নেষা খুব কঠিন ভাবে অামাকে অাক্রমণ করা শুরু করে, সিগারেট এখন লাগবেই অামার।
হোটেলের একটু সামনে একটি টং দোকান অাছে, রুম এর জানালা দিয়ে লক্ষ্য করলাম দোকানটির সামনে মিটিমিটি অালো জ্বলছে, তার মানে দোকানটি এখনো খোলা। তাই রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লাম সিগারেট নেয়ার জন্য।
.
হাটছি, অাজকের রাতটা খুব অন্ধকার। অাকাশে চাঁদও দেখা যাচ্ছে না, হয়তো মেঘের মাঝে নিজেকে অাড়াল করে রেখেছে
তবে রাস্তার দুইপাশে থাকা ল্যাম্পপোস্ট এর অালোয় অানমনে হেটেই চলছি।
.
কিছুদূর যাওয়ার পর অামি হঠাৎ থমকে গেলাম।
রাস্তার বা পাশের ল্যাম্পপোস্ট এর নিছে একটি বেলকোনিতে এক মধ্য বয়সি পুরুষ বসে অাছে।
পুরুষটির গায়ে একটি রক্তে মাখা টি শার্ট,
পড়নে ছেড়া একটি লুঙ্গি।
মাথার চুলো গুলো যথেষ্ট বড়, লোকটিকে দেখতে স্বাভাবিক হলেও এত রাতে তাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়া মোটেও ঠিক হবে না।
.
হাটতে হাটতে লোকটির সামনে চলে গেলাম।
লোকটি অামাকে দেখে অদ্ভুত দৃষ্টিতে অামার দিকে তাকিয়ে রইলো কিন্তু কিছু বলছে না, তাই অামিই জিজ্ঞাস করলাম
কোনো কারণ ছাড়াই ঘুমটা ঠিক মাঝ রাতেই ভেঙ্গে যায়।
কোন এক দুঃস্বপ্ন দেখার কারণে হয়তো এমনটি হয়, কিন্তু ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই সেই দুঃস্বপ্নটির কথা ভুলে যাই, কি অদ্ভুত তাইনা?
.
কোন এক দুঃস্বপ্ন দেখার কারনে অাজও হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো, রুমটা একদম অন্ধকার কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
বালিশের বা পাশে থাকা মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি রাত ঠিক দুটো বাজে।
বিছানা থেকে উঠে রুমে অালো জ্বালিয়ে সিগারেট এর প্যাকেট খুঁজার চেষ্টা করলাম, এই মাঝ রাতে অামার একমাত্র সঙ্গি "নিকোটিন"
কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিনা কোথায় রাখলাম সিগারেট এর প্যাকেট টি।
.
সিগারেট এর নেষা খুব কঠিন ভাবে অামাকে অাক্রমণ করা শুরু করে, সিগারেট এখন লাগবেই অামার।
হোটেলের একটু সামনে একটি টং দোকান অাছে, রুম এর জানালা দিয়ে লক্ষ্য করলাম দোকানটির সামনে মিটিমিটি অালো জ্বলছে, তার মানে দোকানটি এখনো খোলা। তাই রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লাম সিগারেট নেয়ার জন্য।
.
হাটছি, অাজকের রাতটা খুব অন্ধকার। অাকাশে চাঁদও দেখা যাচ্ছে না, হয়তো মেঘের মাঝে নিজেকে অাড়াল করে রেখেছে
তবে রাস্তার দুইপাশে থাকা ল্যাম্পপোস্ট এর অালোয় অানমনে হেটেই চলছি।
.
কিছুদূর যাওয়ার পর অামি হঠাৎ থমকে গেলাম।
রাস্তার বা পাশের ল্যাম্পপোস্ট এর নিছে একটি বেলকোনিতে এক মধ্য বয়সি পুরুষ বসে অাছে।
পুরুষটির গায়ে একটি রক্তে মাখা টি শার্ট,
পড়নে ছেড়া একটি লুঙ্গি।
মাথার চুলো গুলো যথেষ্ট বড়, লোকটিকে দেখতে স্বাভাবিক হলেও এত রাতে তাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়া মোটেও ঠিক হবে না।
.
হাটতে হাটতে লোকটির সামনে চলে গেলাম।
লোকটি অামাকে দেখে অদ্ভুত দৃষ্টিতে অামার দিকে তাকিয়ে রইলো কিন্তু কিছু বলছে না, তাই অামিই জিজ্ঞাস করলাম
-অাপনি কে জনাব? (অামি)
.
অামার এই প্রশ্ন শুনে লোকটি অবাক হয়ে তার ডানে বায়ে তাকানো শুরু করলো, তারপর হঠাৎ উত্তর দিলো
.
অামার এই প্রশ্ন শুনে লোকটি অবাক হয়ে তার ডানে বায়ে তাকানো শুরু করলো, তারপর হঠাৎ উত্তর দিলো
-অাপনি অামাকে বলছেন? (লোকটি)
-এখানে অামরা দুজন ছাড়া অন্য কেউ অাছে? (অামি)
-জ্বি, তা অবশ্য নেই
-তাহলে বলুন অাপনি কে অার এত রাতে এখানে কি করছেন?
-অামি এক ধর্ষিতা মেয়ের বাবা
-অাপনি ধর্ষিতা মেয়ের বাবা মানে? অার অাপনার পুরো সরিরে রক্ত কেন? (অবাক হয়ে প্রশ্নটি করলাম)
-অামার একটি মেয়ে ছিলো নাম 'অহনা' এইতো বয়স ছিলো মাত্র ৮ বছরের মত, মা মরা মেয়েটি অামার খুব চনচল ছিলো।
সবে মাত্র ক্লাস ফোর এ পড়তো,
অামি অামার মেয়েকে নিজের রিক্সায় করে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যেতাম! অাবার স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে অাসতাম, কিন্তু গতকাল একটু ব্যস্ত থাকার কারনে স্কুল ছুটির পর মেয়েটাকে অানতে যেতে পারিনি (থমকে গেলেন তিনি)
.
মুহুর্তেই অামার নিকোটিনের নেষা টা কেটে গেলো, এখন এমন মনে হচ্ছে অামি কোনদিন সিগারেট ই খাইনি।
কিন্তু লোকটির গায়ে থাকা টি শার্টে মাখা রক্তের রহস্য যানতে হবে।
সবে মাত্র ক্লাস ফোর এ পড়তো,
অামি অামার মেয়েকে নিজের রিক্সায় করে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যেতাম! অাবার স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে অাসতাম, কিন্তু গতকাল একটু ব্যস্ত থাকার কারনে স্কুল ছুটির পর মেয়েটাকে অানতে যেতে পারিনি (থমকে গেলেন তিনি)
.
মুহুর্তেই অামার নিকোটিনের নেষা টা কেটে গেলো, এখন এমন মনে হচ্ছে অামি কোনদিন সিগারেট ই খাইনি।
কিন্তু লোকটির গায়ে থাকা টি শার্টে মাখা রক্তের রহস্য যানতে হবে।
-তার সাথে অাপনার টি শার্টের রক্তের কি সম্পর্ক? (অামি)
-বলছি ভাই বলছি, সেদিন অনেক দূরের একটি ভাড়া ছিলো তাই একটু ব্যস্ত ছিলাম। ব্যস্ত থাকায় সেদিন সময় মত মেয়ের জন্য যেতে পারিনি, কিন্তু বিকাল তিন টার পর যখন স্কুলের সামনে গেলাম তখন শুনলাম সব বাচ্চারা বাড়ি ফিরে গিয়েছে, কিন্তু অামার মেয়েটি তো একা বাড়ি ফিরতে পারে না
তাই পুরো স্কুল খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম কিন্তু পেলাম না।
মেয়েকে না পেয়ে দৌড়ে বাসায় চলে গেলাম, বাসায় ও অামার অহনা নেই।
বেলা শেষে যখন মেয়েটির মৃত দেহ স্কুলের পিছনে দেখতে পেলাম তখন পুরো অাকাশটা অামার উপর ভেঙ্গে পড়লো। মনের অাকাশে শুরু হলো ঝড়-বৃষ্টি।
অঝড়ে কাঁদা শুরু করলাম।
.
লোকটির এমন কথা শুনে অামি নিঃস্তব্ধ হয়ে গেলাম, কিছুই বলতে পারছি না অামি।
তবুও একটি বিশাল দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললাম "কি হয়েছিলো অাপনার অহনার সাথে?"
.
চিৎকার করে তিনি বলতে লাগলেন
তাই পুরো স্কুল খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম কিন্তু পেলাম না।
মেয়েকে না পেয়ে দৌড়ে বাসায় চলে গেলাম, বাসায় ও অামার অহনা নেই।
বেলা শেষে যখন মেয়েটির মৃত দেহ স্কুলের পিছনে দেখতে পেলাম তখন পুরো অাকাশটা অামার উপর ভেঙ্গে পড়লো। মনের অাকাশে শুরু হলো ঝড়-বৃষ্টি।
অঝড়ে কাঁদা শুরু করলাম।
.
লোকটির এমন কথা শুনে অামি নিঃস্তব্ধ হয়ে গেলাম, কিছুই বলতে পারছি না অামি।
তবুও একটি বিশাল দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললাম "কি হয়েছিলো অাপনার অহনার সাথে?"
.
চিৎকার করে তিনি বলতে লাগলেন
-এই সমাজের মানুষ রুপি পশুরা অামার মেয়েটাকেও ছাড়েনি, ধর্ষণ করেছে অামার মেয়েকে, পশু গুলে ছিড়ে খেয়েছে অামার বাচ্চা মেয়েটাকে।
সাথে ছুরির অাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে অামার মেয়ের বুক টা। এই দৃশ্য দেখার অাগে যদি অাল্লাহ্ অামাকে মৃত্যু দিতেন তাহলে কোনো দুঃখ থাকতো না
.
ছিঃ, মানুষ কিভাবে এত ছোট হতে পারে? সামান্য একটা বাচ্চা মেয়েকেও ধর্ষন। এটাই স্বাধীন বাংলাদেশ? যে দেশে একটি ৮বছরের মেয়ের নিরাপত্তা নেই সে দেশে অামাদের মা-বোনের নিরাপত্তা দিবে কিভাবে!
অামার খুব জানতে ইচ্ছে করে এটাই কি স্বাধীন বাংলাদেশ?
.
-অাপনি বিচার এর জন্য কোথাও যাননি?
সাথে ছুরির অাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে অামার মেয়ের বুক টা। এই দৃশ্য দেখার অাগে যদি অাল্লাহ্ অামাকে মৃত্যু দিতেন তাহলে কোনো দুঃখ থাকতো না
.
ছিঃ, মানুষ কিভাবে এত ছোট হতে পারে? সামান্য একটা বাচ্চা মেয়েকেও ধর্ষন। এটাই স্বাধীন বাংলাদেশ? যে দেশে একটি ৮বছরের মেয়ের নিরাপত্তা নেই সে দেশে অামাদের মা-বোনের নিরাপত্তা দিবে কিভাবে!
অামার খুব জানতে ইচ্ছে করে এটাই কি স্বাধীন বাংলাদেশ?
.
-অাপনি বিচার এর জন্য কোথাও যাননি?
লোকটি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো,
-বিচার?? এই অন্ধ সমাজে সঠিক বিচার হতে দেখেছেন কখনো? অর্থ অার স্বার্থ ছাড়া কিছু দেখে এই সমাজ?
হ্যা, অনেক ছুটেছিলাম। মেয়ের মৃত দেহ বুকে জড়িয়ে নিয়ে অনেক বড় বড় স্থানে গিয়েছিলাম।
এমনকি থানায় ও গিয়েছিলাম! কিন্তু তারা পাগল বলে অামাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
বলেছে প্রমান নিয়ে অাসতে, অারে রক্তে মাখা অামার মেয়ের মৃত দেহটার চেয়ে বড় প্রমাণ অার হতে পারে?
.
অামার দীর্ঘশ্বাস নেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই, মোবাইলে টাইম দেখলাম রাত দুইটা বেজে ৪৮ মিনিট।
হ্যা, অনেক ছুটেছিলাম। মেয়ের মৃত দেহ বুকে জড়িয়ে নিয়ে অনেক বড় বড় স্থানে গিয়েছিলাম।
এমনকি থানায় ও গিয়েছিলাম! কিন্তু তারা পাগল বলে অামাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
বলেছে প্রমান নিয়ে অাসতে, অারে রক্তে মাখা অামার মেয়ের মৃত দেহটার চেয়ে বড় প্রমাণ অার হতে পারে?
.
অামার দীর্ঘশ্বাস নেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই, মোবাইলে টাইম দেখলাম রাত দুইটা বেজে ৪৮ মিনিট।
-সত্যি সমাজটা একদমই অন্ধ, কিন্তু অাপনি এখানে এত রাতে বসে অাছেন কেন?
-কি করবো? অামি তো মৃত। সমাজে অামার মেয়ের বিচার না পেয়ে চলন্ত ট্রেনের নিছে ঝাপ দিয়েছি।
অার এত রাতে এখানে বসে থাকার কারন অামার মেয়ের অাত্যাটা খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না।
মেয়েটা মনে হয় অামার সাথে অভিমান করেছে। অাচ্ছা ভালো থাকবেন অামি অামার মেয়ে খুঁজতে গেলাম।
.
মুহুর্তেই লোকটি বাতাসের সাথে হারিয়ে গেলো।
তার মানে অামি এতক্ষণ এক মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলছিলাম!
হঠাৎ পাশের ল্যাম্পপোস্টের অালো নিভে গেলো কিছুটা ভয় কাজ করলেও অামি অামার হোটেলে ফিরে অাসি।
কি অদ্ভুত এ সমাজের মানুষ গুলো, সত্যি দিন দিন মানুষ গুলো অাজ পশুর মত হয়ে যাচ্ছে।
যে দেশে সামান্য একটি বাচ্চা মেয়ের নিরাপত্তা নেই সে দেশে অামাদের মা-বোনের নিরাপত্তা কিভাবে অাশা করা যায়?
অার এত রাতে এখানে বসে থাকার কারন অামার মেয়ের অাত্যাটা খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না।
মেয়েটা মনে হয় অামার সাথে অভিমান করেছে। অাচ্ছা ভালো থাকবেন অামি অামার মেয়ে খুঁজতে গেলাম।
.
মুহুর্তেই লোকটি বাতাসের সাথে হারিয়ে গেলো।
তার মানে অামি এতক্ষণ এক মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলছিলাম!
হঠাৎ পাশের ল্যাম্পপোস্টের অালো নিভে গেলো কিছুটা ভয় কাজ করলেও অামি অামার হোটেলে ফিরে অাসি।
কি অদ্ভুত এ সমাজের মানুষ গুলো, সত্যি দিন দিন মানুষ গুলো অাজ পশুর মত হয়ে যাচ্ছে।
যে দেশে সামান্য একটি বাচ্চা মেয়ের নিরাপত্তা নেই সে দেশে অামাদের মা-বোনের নিরাপত্তা কিভাবে অাশা করা যায়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন