আজ লাল পানির তৃষ্ণা মিটছে না।
কি অদ্ভুত স্বাদ
একটু খেলে আর একটু খেতে ইচ্ছা করে।
ধীরে ধীরে মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।
আহা কি শান্তি।
মনে হচ্ছে কি যেন অমৃত
খাচ্ছি।
পুরনো স্মৃতি গুলো মাথা চাড়া
দিয়ে উঠছে।
প্রতিনিয়ত বুকের বাম পাশে
পুরনো ব্যাথাটা মাথা চাড়া দেয়।
কি অদ্ভুত শক্তি ব্যাথার
শত চেষ্টা করেও যেন আটকানো যায় না।
ধুধু প্রান্তরের মত যেন অসীম শুন্যতা
বিরাজ করে
বুকের বাম পাশে হৃদয় নামক স্থানে।
কি অদ্ভুদ যন্ত্রনা ধীরে ধীরে সম্পুর্ন মস্তিষ্কে বিরাজ
করে।
এই যন্ত্রনা যে হারানো সুর,
হারানো স্মৃতি,
হারানো এক চিলতে হাসি।
সবই যেন মায়ার খেলা।
আমি অন্তিম আর যার স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি
সে হলো আমার মায়াবিনী।
দেখাটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছিল।
রেল যাত্রা পথে দিনাজপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার
পথে।
কি অদ্ভুত টান ছিল মনে হচ্ছে আত্মার
না হয় এতো লোক থাকতে আমার সিট টা কেনই বা ওর
পাশে পড়বে।
যাই হোক টিকিট কেটে নিজের সিটের কাছে যেতেই দেখলাম
আমার সিটে এক মেয়ে বসে।
-এই যে মিস সিট টা আমার
-(চারপাশে দেখার পর) কই এখানে তো কারে নাম লেখা নেই।
-এই যে টিকিট এখন সিট টা ছাড়ুন।
-আসলে আমিতো জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারি না বমি আসে পরে গায়ে বমি করে দিলে কিছু মনে করবেন না ঠিক আছে বসুন।
-না না ঠিক আছে তাহলে আপনি বসুন।
মুসকি হাসি দিয়ে আমায় স্বাগতম জানালো বসার জন্য।
কি অপরুপ সেই হাসি।
ঠোঁটের নিচে কালো তিল।
আহ কি মায়া জড়ানো সেই
হাসি,
শেষ হয়ে গেলাম মনে হচ্ছে
এই মায়াবিনীর মায়ার
কাছে।
-এই যে হ্যালো ওই
-ওহ হুম বলেন
-কি দেখা হচ্ছে এমন ভাবে
-আপনাকে
😍
-কি
😲
😲
😡
-হুম। না না এমনি বাহিরের সৌন্দর্য দেখছিলাম।
-এখনো তো ট্রেন ছাড়েনি আর আপনি তার মধ্যে বাহিরের সৌন্দর্য দেখতে শুরু করে দিলেন।
আজব লোক আপনি।
আর কথা না বাড়িয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান
শুনতে লাগলাম।
কিছুক্ষনের ভিতরেই ট্রেন
ছেড়ে দিল।
আর মিষ্টি একটা ঘ্রান
পেলাম।
আবার যেন আমি হারিয়ে
গেলাম।
আহ কি অপরুপ।
গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি
নিজেও জানিনা।
হঠাৎ কারো চুল মুখের উপর এসে পড়ল
আর সেই সাথে চিরচেনা
মিষ্টি ঘ্রান।
চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি যে তার কাঁধে আমার
মাথা।
কি লজ্জা
কি লজ্জা
লজ্জার কারনে মুখ তুলে তাকানোর সাহস টুকু পাচ্ছি না।
কি মায়া ভরা দু চোখ।
শ্যামলা বরন গায়ের রং
ইচ্ছে হচ্ছে এক্ষুণে ৪টি
লাইন কবিতা লিখে ফেলি।
কারো মধুর কন্ঠসরে বর্তমানে ফিরে
আসতে হলো।
-এই যে মিষ্টার
-,,,,,,,,,,,,,,
-এই যে মিস্টার ঘুম কি এখনো ভাঙ্গে নি?
-হুম অনেক আগেই।
-তো এভাবে চেয়ে চেয়ে কি দেখছেন
-ওহ না কিছুনা।
আচ্ছা আপনার নাম.?
-আমি বৃষ্টি আহমেদ। অনার্স শেষ বর্ষ।
আপনি?
-আমি অন্তিম আহসান।
পড়ালেখা শেষ
বাবার ব্যবসায় যোগ দিলাম।
-তো কোথায় যাবেন?
-আমি ব্যবসার কাজে ঢাকা যাচ্ছি
আপনি...?
-সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ তো তাই
ফুপি বাসা ঘুরতে যাচ্ছি।
-ওহ গুড।
-হুম
এভাবেই বৃষ্টির সাথে একটু একটু কথা
এবং সব শেষে নাম্বার আদান-প্রদান করে চলে
আশা।
কমলাপুর ষ্টেশনে নামার পর আমি
দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেই মায়াবীনি বৃষ্টির চলে যাওয়া
দেখছিলাম।
একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার পর
পিছন ফিরে সেই মুচকি
হাসি যেন আমায় আবার তার প্রেমে পড়তে
বাধ্য করছে।
কি মায়া গো
কি মায়া।
অবশেষে যে কাজে এসেছিলাম সেটাতে মনযোগী হলাম।
কোথায় আর মনযোগী হতে পারলাম সামনে
পিছনে
চারপাশে যে সেই মিষ্টি ঘ্রান
আর আমার মায়াবীনি ঘুরছে।
তাকে আমার চাই।
আমার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে না হয় আমি তো আর আমিতে
থাকবো না হয়ে যাব নিস্তব্ধ এক মুরুভূমি।
যেখানে থাকবেনা এতটুকু জল।
সব শুন্য হয়ে যাবে গো।
নাহ তাকে আমার চাই।
নিজের কাছে নাম্বার থাকাতেও কল দেওয়ার সাহস পাচ্ছিনা।
কি থেকে কি বলে সেই ভয়ে।
অবশেষে সব জল্পনা কল্পনা থেকে বের হয়ে
তিনদিনের দিন কল দিলাম।
ওপাশ থেকে মিষ্টি একটা কন্ঠসরের ধ্বনি ভেসে আসল।
-আসসালামু আলাইকুম।
কে বলছেন।
-ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
দুপাশেই কেমন যেন নিরব হয়ে গেল
শুধু নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া।
অবশেষে সে বলল
-কেমন আছ অন্তিম
আমি আবার হারিয়ে গেলাম ট্রেনে তো আপনি করে বলছিল
এখন তুমি।
আবার মনে হচ্ছে কত দিন থেকেই চিনা জানা।
কি অদ্ভুদ ব্যাপার
-কি হলো অন্তিম চুপ করেই রইলে যে।
-আলহামদুলিল্লাহ তুমি??
-হুম আছি।
এই আছি বলার ভিতরে যে না পাওয়ার
এক প্রকট বিষাদের চাওয়া
কি এমন হতে পারে সেই পাওয়া টা
বুকের বাম পাশে কেমন যানি যন্ত্রনা হতে
শুরু করল।
কিছু হারিয়ে ফেলার যন্ত্রনা।
-চুপ করেই রইলে যে অন্তিম।
-হুম বলো
-কি করো
-এইতো কিছুনা তুমি
-বসে আছি।
হঠাৎ এতোদিন পর?
-মাত্র তিনদিন তাতেই এতোদিন হয়ে গেল।
কি আজব মেয়েরে বাবা ভাল করে কথাই বললাম না তাতেই মনে হচ্ছে কতদিনের চেনা আপনজন হারিয়ে গিয়েছিলাম।
মেয়ে মানুষ কে বুঝা মুশকিল।
-হুম ফোন দাও নি কেন?
-এমনি তুমি কি থেকে কি মনে কর তাই দেইনি।
-ওহ আচ্ছা,তুমি কি কিছু বুঝতে পারছো অন্তিম?
-হুম কিছুটা
-হুম আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাচ্ছি কবে বাসা আসবে?
-হুম কাল কাজ শেষ হলেই যাব।
-আচ্ছা পরশু দেখা হচ্ছে তাহলে।
-হুম
এভাবেই বৃষ্টির সাথে ধীরে ধীরে কথা বাড়তে লাগল।
আর আমিও জড়িয়ে গেলাম তার মায়ায়।
অনেক অপেক্ষার পর তোমার সাথে দেখা হল।
আবার দেখতে পেলাম সেই মায়া জড়ানো মুখটি।
মিষ্টি হাসি।
কি মায়া পড়ে গেলাম আর হাজার চেষ্টা করে হয়তো
বের হতে পারব না।
বের হতেও চাইনা গো তোমার এই মায়া থেকে।
তোমার কথায় ফিরে আসলাম
-কেমন আছ অন্তিম
-ভাল তুমি
-হুম ভাল।
অন্তিম তোমায় কিছু বলতে চাই।
-হুম বলো
-আমি তোমায় ভালবাসি। সারা জিবন পাশে চাই।
নিশিতে নিভৃতে পাশে চাই তোমায় অন্তিম।
-হুম।
-হুম কি গো।
বলনা ভালবাসো আমায় আমি যে তোমাতে হারাতে চাই গো অন্তিম।
-হুম আমিও বৃষ্টি।
ভালবাসি তোমায়,
নিজের থেকেও বেশি গো
তোমার মায়া ভরা দু চোখে যে আমার সর্বনাশ দেখতে চাই,
হারিয়ে যেতে চাই গো
তোমার মিষ্টি উষ্ণতায়।
মিষ্টি হাসিতে।
-হুম।
ছেড়ে যেওনা অন্তিম।
আমি পারবনা তোমায় ছাড়া বাঁচতে।
-হুম আমিও বৃষ্টি।
তোমায় ছেড়ে বাঁচতে হয়তো ঠিকই পারব কিন্তু আমি যে আমাতে রইব না গো বৃষ্টি।
-হুম ভালবাসি।
-ভালবাসি
চলো বাসায় পৌঁছিয়ে দিয়ে আসি।
সন্ধ্যা হয়ে আসছে।
এভাবেই এক সঙ্গে পথ চলা শুরু হয়েছিল বৃষ্টির সাথে।
হঠাৎ মাঝ পথে এসে থেমে যাবে ভাবতে পারিনি।
সব ভেঙ্গে গেল সাজানো স্বপ্ন গুলো কেমন যেন ধুয়াশা ময় হয়ে গেল।
শুন্য হয়ে গেল বুকের বাম পাশটা।
অসীম শুন্যতা বুকের ভিতর।
নাহ আবার লাল পানির নেশা টা বড্ড বেশি চাপল
মাথায়।
শুন্য সব শুন্য
পানিটা শেষ হয়ে গেলে বোতল টাও শুন্যতা অনুভব করবে।
হয়তো এর জিবন নেই দেখে অনুভব করার শক্তি নেই।
নাহ মাথাটা ধরছে সামনে সব কিছুই যেন অন্ধকার ময়।
সব শুন্য গো।
অন্তিম শুন্য
.
তুমি প্রেম দাও নাই- জানি আমি- তবু রক্তাক্ত কোনো রেখা
সোনার ভাঁড়ারে আমি রাখি নাই শীত মধু মোমের সঞ্চয়ে
কুয়াশা হতাশা নিয়ে সরে আমি আসি নাই পৃথিবীর থেকে;
তোমারে দেখেছি আমি পৃথিবীতে- নতুন নক্ষত্র আমি ঢের
আকাশে দেখেছি তাই- তোমারে দেখেছে- ভালোবেসেছে অনেকে-
তাহাদের সাথে আমি- আমিও বিস্ময় এক পেয়েছি যে টের-
গভীর বিস্ময় শুধু তার ম্লান হাত- চুল চোখ দেখে।
কুয়াশা হতাশা নিয়ে সরে আমি আসি নাই পৃথিবীর থেকে।
কি অদ্ভুত স্বাদ
একটু খেলে আর একটু খেতে ইচ্ছা করে।
ধীরে ধীরে মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।
আহা কি শান্তি।
মনে হচ্ছে কি যেন অমৃত
খাচ্ছি।
পুরনো স্মৃতি গুলো মাথা চাড়া
দিয়ে উঠছে।
প্রতিনিয়ত বুকের বাম পাশে
পুরনো ব্যাথাটা মাথা চাড়া দেয়।
কি অদ্ভুত শক্তি ব্যাথার
শত চেষ্টা করেও যেন আটকানো যায় না।
ধুধু প্রান্তরের মত যেন অসীম শুন্যতা
বিরাজ করে
বুকের বাম পাশে হৃদয় নামক স্থানে।
কি অদ্ভুদ যন্ত্রনা ধীরে ধীরে সম্পুর্ন মস্তিষ্কে বিরাজ
করে।
এই যন্ত্রনা যে হারানো সুর,
হারানো স্মৃতি,
হারানো এক চিলতে হাসি।
সবই যেন মায়ার খেলা।
আমি অন্তিম আর যার স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি
সে হলো আমার মায়াবিনী।
দেখাটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছিল।
রেল যাত্রা পথে দিনাজপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার
পথে।
কি অদ্ভুত টান ছিল মনে হচ্ছে আত্মার
না হয় এতো লোক থাকতে আমার সিট টা কেনই বা ওর
পাশে পড়বে।
যাই হোক টিকিট কেটে নিজের সিটের কাছে যেতেই দেখলাম
আমার সিটে এক মেয়ে বসে।
-এই যে মিস সিট টা আমার
-(চারপাশে দেখার পর) কই এখানে তো কারে নাম লেখা নেই।
-এই যে টিকিট এখন সিট টা ছাড়ুন।
-আসলে আমিতো জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারি না বমি আসে পরে গায়ে বমি করে দিলে কিছু মনে করবেন না ঠিক আছে বসুন।
-না না ঠিক আছে তাহলে আপনি বসুন।
মুসকি হাসি দিয়ে আমায় স্বাগতম জানালো বসার জন্য।
কি অপরুপ সেই হাসি।
ঠোঁটের নিচে কালো তিল।
আহ কি মায়া জড়ানো সেই
হাসি,
শেষ হয়ে গেলাম মনে হচ্ছে
এই মায়াবিনীর মায়ার
কাছে।
-এই যে হ্যালো ওই
-ওহ হুম বলেন
-কি দেখা হচ্ছে এমন ভাবে
-আপনাকে

-কি



-হুম। না না এমনি বাহিরের সৌন্দর্য দেখছিলাম।
-এখনো তো ট্রেন ছাড়েনি আর আপনি তার মধ্যে বাহিরের সৌন্দর্য দেখতে শুরু করে দিলেন।
আজব লোক আপনি।
আর কথা না বাড়িয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান
শুনতে লাগলাম।
কিছুক্ষনের ভিতরেই ট্রেন
ছেড়ে দিল।
আর মিষ্টি একটা ঘ্রান
পেলাম।
আবার যেন আমি হারিয়ে
গেলাম।
আহ কি অপরুপ।
গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি
নিজেও জানিনা।
হঠাৎ কারো চুল মুখের উপর এসে পড়ল
আর সেই সাথে চিরচেনা
মিষ্টি ঘ্রান।
চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি যে তার কাঁধে আমার
মাথা।
কি লজ্জা
কি লজ্জা
লজ্জার কারনে মুখ তুলে তাকানোর সাহস টুকু পাচ্ছি না।
কি মায়া ভরা দু চোখ।
শ্যামলা বরন গায়ের রং
ইচ্ছে হচ্ছে এক্ষুণে ৪টি
লাইন কবিতা লিখে ফেলি।
কারো মধুর কন্ঠসরে বর্তমানে ফিরে
আসতে হলো।
-এই যে মিষ্টার
-,,,,,,,,,,,,,,
-এই যে মিস্টার ঘুম কি এখনো ভাঙ্গে নি?
-হুম অনেক আগেই।
-তো এভাবে চেয়ে চেয়ে কি দেখছেন
-ওহ না কিছুনা।
আচ্ছা আপনার নাম.?
-আমি বৃষ্টি আহমেদ। অনার্স শেষ বর্ষ।
আপনি?
-আমি অন্তিম আহসান।
পড়ালেখা শেষ
বাবার ব্যবসায় যোগ দিলাম।
-তো কোথায় যাবেন?
-আমি ব্যবসার কাজে ঢাকা যাচ্ছি
আপনি...?
-সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ তো তাই
ফুপি বাসা ঘুরতে যাচ্ছি।
-ওহ গুড।
-হুম
এভাবেই বৃষ্টির সাথে একটু একটু কথা
এবং সব শেষে নাম্বার আদান-প্রদান করে চলে
আশা।
কমলাপুর ষ্টেশনে নামার পর আমি
দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেই মায়াবীনি বৃষ্টির চলে যাওয়া
দেখছিলাম।
একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার পর
পিছন ফিরে সেই মুচকি
হাসি যেন আমায় আবার তার প্রেমে পড়তে
বাধ্য করছে।
কি মায়া গো
কি মায়া।
অবশেষে যে কাজে এসেছিলাম সেটাতে মনযোগী হলাম।
কোথায় আর মনযোগী হতে পারলাম সামনে
পিছনে
চারপাশে যে সেই মিষ্টি ঘ্রান
আর আমার মায়াবীনি ঘুরছে।
তাকে আমার চাই।
আমার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে না হয় আমি তো আর আমিতে
থাকবো না হয়ে যাব নিস্তব্ধ এক মুরুভূমি।
যেখানে থাকবেনা এতটুকু জল।
সব শুন্য হয়ে যাবে গো।
নাহ তাকে আমার চাই।
নিজের কাছে নাম্বার থাকাতেও কল দেওয়ার সাহস পাচ্ছিনা।
কি থেকে কি বলে সেই ভয়ে।
অবশেষে সব জল্পনা কল্পনা থেকে বের হয়ে
তিনদিনের দিন কল দিলাম।
ওপাশ থেকে মিষ্টি একটা কন্ঠসরের ধ্বনি ভেসে আসল।
-আসসালামু আলাইকুম।
কে বলছেন।
-ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
দুপাশেই কেমন যেন নিরব হয়ে গেল
শুধু নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া।
অবশেষে সে বলল
-কেমন আছ অন্তিম
আমি আবার হারিয়ে গেলাম ট্রেনে তো আপনি করে বলছিল
এখন তুমি।
আবার মনে হচ্ছে কত দিন থেকেই চিনা জানা।
কি অদ্ভুদ ব্যাপার
-কি হলো অন্তিম চুপ করেই রইলে যে।
-আলহামদুলিল্লাহ তুমি??
-হুম আছি।
এই আছি বলার ভিতরে যে না পাওয়ার
এক প্রকট বিষাদের চাওয়া
কি এমন হতে পারে সেই পাওয়া টা
বুকের বাম পাশে কেমন যানি যন্ত্রনা হতে
শুরু করল।
কিছু হারিয়ে ফেলার যন্ত্রনা।
-চুপ করেই রইলে যে অন্তিম।
-হুম বলো
-কি করো
-এইতো কিছুনা তুমি
-বসে আছি।
হঠাৎ এতোদিন পর?
-মাত্র তিনদিন তাতেই এতোদিন হয়ে গেল।
কি আজব মেয়েরে বাবা ভাল করে কথাই বললাম না তাতেই মনে হচ্ছে কতদিনের চেনা আপনজন হারিয়ে গিয়েছিলাম।
মেয়ে মানুষ কে বুঝা মুশকিল।
-হুম ফোন দাও নি কেন?
-এমনি তুমি কি থেকে কি মনে কর তাই দেইনি।
-ওহ আচ্ছা,তুমি কি কিছু বুঝতে পারছো অন্তিম?
-হুম কিছুটা
-হুম আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাচ্ছি কবে বাসা আসবে?
-হুম কাল কাজ শেষ হলেই যাব।
-আচ্ছা পরশু দেখা হচ্ছে তাহলে।
-হুম
এভাবেই বৃষ্টির সাথে ধীরে ধীরে কথা বাড়তে লাগল।
আর আমিও জড়িয়ে গেলাম তার মায়ায়।
অনেক অপেক্ষার পর তোমার সাথে দেখা হল।
আবার দেখতে পেলাম সেই মায়া জড়ানো মুখটি।
মিষ্টি হাসি।
কি মায়া পড়ে গেলাম আর হাজার চেষ্টা করে হয়তো
বের হতে পারব না।
বের হতেও চাইনা গো তোমার এই মায়া থেকে।
তোমার কথায় ফিরে আসলাম
-কেমন আছ অন্তিম
-ভাল তুমি
-হুম ভাল।
অন্তিম তোমায় কিছু বলতে চাই।
-হুম বলো
-আমি তোমায় ভালবাসি। সারা জিবন পাশে চাই।
নিশিতে নিভৃতে পাশে চাই তোমায় অন্তিম।
-হুম।
-হুম কি গো।
বলনা ভালবাসো আমায় আমি যে তোমাতে হারাতে চাই গো অন্তিম।
-হুম আমিও বৃষ্টি।
ভালবাসি তোমায়,
নিজের থেকেও বেশি গো
তোমার মায়া ভরা দু চোখে যে আমার সর্বনাশ দেখতে চাই,
হারিয়ে যেতে চাই গো
তোমার মিষ্টি উষ্ণতায়।
মিষ্টি হাসিতে।
-হুম।
ছেড়ে যেওনা অন্তিম।
আমি পারবনা তোমায় ছাড়া বাঁচতে।
-হুম আমিও বৃষ্টি।
তোমায় ছেড়ে বাঁচতে হয়তো ঠিকই পারব কিন্তু আমি যে আমাতে রইব না গো বৃষ্টি।
-হুম ভালবাসি।
-ভালবাসি
চলো বাসায় পৌঁছিয়ে দিয়ে আসি।
সন্ধ্যা হয়ে আসছে।
এভাবেই এক সঙ্গে পথ চলা শুরু হয়েছিল বৃষ্টির সাথে।
হঠাৎ মাঝ পথে এসে থেমে যাবে ভাবতে পারিনি।
সব ভেঙ্গে গেল সাজানো স্বপ্ন গুলো কেমন যেন ধুয়াশা ময় হয়ে গেল।
শুন্য হয়ে গেল বুকের বাম পাশটা।
অসীম শুন্যতা বুকের ভিতর।
নাহ আবার লাল পানির নেশা টা বড্ড বেশি চাপল
মাথায়।
শুন্য সব শুন্য
পানিটা শেষ হয়ে গেলে বোতল টাও শুন্যতা অনুভব করবে।
হয়তো এর জিবন নেই দেখে অনুভব করার শক্তি নেই।
নাহ মাথাটা ধরছে সামনে সব কিছুই যেন অন্ধকার ময়।
সব শুন্য গো।
অন্তিম শুন্য
.
তুমি প্রেম দাও নাই- জানি আমি- তবু রক্তাক্ত কোনো রেখা
সোনার ভাঁড়ারে আমি রাখি নাই শীত মধু মোমের সঞ্চয়ে
কুয়াশা হতাশা নিয়ে সরে আমি আসি নাই পৃথিবীর থেকে;
তোমারে দেখেছি আমি পৃথিবীতে- নতুন নক্ষত্র আমি ঢের
আকাশে দেখেছি তাই- তোমারে দেখেছে- ভালোবেসেছে অনেকে-
তাহাদের সাথে আমি- আমিও বিস্ময় এক পেয়েছি যে টের-
গভীর বিস্ময় শুধু তার ম্লান হাত- চুল চোখ দেখে।
কুয়াশা হতাশা নিয়ে সরে আমি আসি নাই পৃথিবীর থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন