মাথার উপর ছোট খাঁছাফ্যান টা এক
নিমেষে ঘুরে চলছে।আমি
হাজারো চেষ্টা করে কয়টা পাকা
আছে গনতে পারছি না।আসলে গনার
চেষ্টা ও করছি না।একমনে তাকিয়ে
আছি। কিছুক্ষণ আগে আমার এসএসসি
পরিক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে
দেখলাম ৪.৮৪পয়েন্ট পাইছি।
সম্ভমবতো ভালো পাশ করেছি।
কিন্তু আমার রেজাল্ট দেখে মন
ভালো করতে পারে নি।নিঃসন্ধেহে
একলা মনে নিজের ঘরে এসে
ফ্যানের পাকা গনতে লাগলাম।ঘরের
কোনো থেকে টিকটিকি টিক টিক
করতে লাগলো। টিকটিকি আমাকে
জানান দিচ্ছে আমার মনের কথা ভাবনার
কথা !ঠিক চার বছর আগের কথা, বারবার
মনে পড়তে লাগলে।ঠিক একদিন
এমনি এক সন্ধার দিকে ঘটে
গেলো আরেক টা ভয়ংকর ঘটনা।
যে ঘটনা শেষ করে দিলো বাবা
মায়ের আদরের একমাত্র কন্যাকে।
একজন ভাইয়ের কাছ থেকে
বোনের ভালোবাসাকে এক
নিমেষে শেষ করে দিলো।চার
বছর আগে গুধুলিল লগ্নে পশ্চিমে
সৃর্য ডুবাডুবি অবস্তায় ক্লান্ত দেহে
খেলাধুলা করে ঠিক এমন একটি সন্ধার
দিকে বাড়িতে এসে দেখি পাশের
ঘরে আপু কান্না করছে। আব্বু
আম্মু আপু কে বকাবকি করছে।
তখন অনেক ছোট ছিলাম তবু মনে
পড়লো আজকে আপুর এসএসসি
রেজাল্ট দিয়েছি।সম্ভবত আপু
ফেল করেছে।তাই ঘরের এমন
বেহাল দশা।পাশের ঘরে কান্না
আওয়াজ আর ডয়িংরুমে আব্বু আম্মুর
বকাবকির আওয়াজ শুনতে ফেলাম।পা
টিপে টিপে আপুর ঘরে উকি দিলাম।
দেখলাম আপু কান্না করা চোখের
দিকে তাকালাম কেঁদে একাকার হয়ে
চোখ দুটো ফুলে লাল হয়ে
গিয়েছে।আপুর কোলে উঠে
চুপটি করে বসে থাকলাম।আপু আমার
মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ঘুম পাড়িয়ে
দিলো।পরের দিন পাখির
চেঁচামেচিতে ভোঁরের কুয়াশা
কেটে একটি নতুন সৃর্য উঠি উঠি
করে। একটু একটু উকি দিতে দিতে
একটি নতুন সকাল উদয় হলো।কিন্তু
বিশ্বাস করেন সেই সকাল আমার
মোটেই সুবিধার মনে হয় নি।সেই
সকালে প্রচণ্ড চিৎকার আর কান্না
মধ্য দিয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে
গেলো। চোখের সামনে যা
দেখলাম সেটার জন্য মোটেই
প্রস্তুত চিলাম না।আমার মনে হয়না
আমার এই ছোট বয়সে এই রকম
ভয়ংকর দৃশ্য ভয়ংকর ঘটনা দেখেছি
বলে মনে হয় না।যে সিলিংফ্যানটা
নিচে প্রতিদিন শুয়ে শুয়ে আপুকে
বলতাম আপু আমাদের ফ্যানের
আওয়াজটা অন্যরকম কেনো?আপু
বলতো কি রকম! আমি বলতাম আপু
একদম উড়োজাজের মতো
আওয়াজ! আপু হেসে হেস
বলতো এখানে মনে করবি এটাই
উড়োজাহাজ আমাদের ঘরে
উড়োজাহাজ চলছে বুঝলি।যেখানে
আমি আর আপু প্রতিদিন ফ্যানের
নিচে বসে কতোসতো গল্প
বলতাম। আর দুইজন মিলে পাকা গনার
চেষ্টা করতাম। এক দুই তিন করে
অথচ সেই ফ্যান টা আজ অন্য রকম
ভাবে একটা গল্প তৈরি করে দিলো।
আপুর কি সুন্দর চেহারাটা কি ভয়ংকর
হয়ে আছে। জিব্বাটা অধেক্ষ বের
হয়ে আছে।নিশ্বপাপ চেহারাটা
ঘুমিয়ে আছে। যে ঘুম আর
কোনোদিন ভাঙ্গঁবে না।পাশে
আব্বু আম্মুর কান্নার আজাহারি আর
বারবার বলতেছে তোকে একটু
বকেছি বলেই তুই অভিমান করে
আমাদের ছেড়ে এরকম
স্বার্থপরের মতো চলে গেলি।
.
তারপর থেকে আব্বু সিলিংফ্যানটা
খুলে এই খাঁছাফ্যান লাগিয়েছে।আর
আমি প্রতিদিন রাত্রে শুয়ে শুয়ে
আপুর কথা মনে করে কান্না করি।
আর পাকা গনার চেষ্টা করি।কিছুক্ষণ
পর আম্মু মিষ্টি নিয়ে এলো আমার
ঘরে। আমি আম্মুর চোখ দুটো
ফুঁলে আছে। যেদিন থেকে আপু
আমাদের ছেড়ে চলে গেলো,
সেদিন থেকে আব্বু আম্মুর মুখে
হাসি দেখিনি। প্রতিদিন আম্মু কান্না
করে তাদের একমাত্র মেয়ের
জন্য।বিশেষ করে প্রতি বৎসর
এসএসসি পরিক্ষার রেজাল্টের দিন।
সেদিন আপু ছবি বুকে নিয়ে সারাদিন
কাঁদে সারাদিন কিছু মুখে ও দেয় না।
আজকে সকাল থেকে ও আপুর
ছবিটা বুকে জড়িয়ে কান্না করছে।
.
আম্মু একটা মিষ্টি নিয়ে আমার মুখে
ভরে দিলো। আমি ও একটা মিষ্টি
নিয়ে আম্মুকে খাইয়ে দিলাম।আম্মু
ও কান্না করছে আমি ও কান্না করছি।
.
আপু বিশ্বাস কর তুই যে দিন থেকে
চলে গেলি সেদিন থেকে আমি ও
একা হয়ে গেলাম।আমাদের
উড়োজাহাজের মতো ফ্যানটা ও
আর নেই। তুই যেদিন ঐঠার সাথে
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলি, সেদিন
থেকে ফ্যানটা খুলে ষ্টোর
রুমে রেখে দিয়েছে। এখন
দৃষ্টুমি করলে আগের মতো বকা
দেয় না। বরং কাছে নিয়ে জড়িয়ে
ধরে আব্বু আম্মু কান্না করে।আপু
তুই বিশ্বাস কর ঐদিন তুকে একটু ও
মন থেকে বকাবকি করে নাই।তুই
সেই বকাবকিকে সত্যি মনে করে
আমাদের উপর অভিমান করে চলে
গেলি।সত্যি আপু আমি তোকে
এখনো খুব ভালোবাসি।সর্বক্ষণ
দোয়া করি তোর আত্না যেনো
শান্তি পাক।
নিমেষে ঘুরে চলছে।আমি
হাজারো চেষ্টা করে কয়টা পাকা
আছে গনতে পারছি না।আসলে গনার
চেষ্টা ও করছি না।একমনে তাকিয়ে
আছি। কিছুক্ষণ আগে আমার এসএসসি
পরিক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে
দেখলাম ৪.৮৪পয়েন্ট পাইছি।
সম্ভমবতো ভালো পাশ করেছি।
কিন্তু আমার রেজাল্ট দেখে মন
ভালো করতে পারে নি।নিঃসন্ধেহে
একলা মনে নিজের ঘরে এসে
ফ্যানের পাকা গনতে লাগলাম।ঘরের
কোনো থেকে টিকটিকি টিক টিক
করতে লাগলো। টিকটিকি আমাকে
জানান দিচ্ছে আমার মনের কথা ভাবনার
কথা !ঠিক চার বছর আগের কথা, বারবার
মনে পড়তে লাগলে।ঠিক একদিন
এমনি এক সন্ধার দিকে ঘটে
গেলো আরেক টা ভয়ংকর ঘটনা।
যে ঘটনা শেষ করে দিলো বাবা
মায়ের আদরের একমাত্র কন্যাকে।
একজন ভাইয়ের কাছ থেকে
বোনের ভালোবাসাকে এক
নিমেষে শেষ করে দিলো।চার
বছর আগে গুধুলিল লগ্নে পশ্চিমে
সৃর্য ডুবাডুবি অবস্তায় ক্লান্ত দেহে
খেলাধুলা করে ঠিক এমন একটি সন্ধার
দিকে বাড়িতে এসে দেখি পাশের
ঘরে আপু কান্না করছে। আব্বু
আম্মু আপু কে বকাবকি করছে।
তখন অনেক ছোট ছিলাম তবু মনে
পড়লো আজকে আপুর এসএসসি
রেজাল্ট দিয়েছি।সম্ভবত আপু
ফেল করেছে।তাই ঘরের এমন
বেহাল দশা।পাশের ঘরে কান্না
আওয়াজ আর ডয়িংরুমে আব্বু আম্মুর
বকাবকির আওয়াজ শুনতে ফেলাম।পা
টিপে টিপে আপুর ঘরে উকি দিলাম।
দেখলাম আপু কান্না করা চোখের
দিকে তাকালাম কেঁদে একাকার হয়ে
চোখ দুটো ফুলে লাল হয়ে
গিয়েছে।আপুর কোলে উঠে
চুপটি করে বসে থাকলাম।আপু আমার
মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ঘুম পাড়িয়ে
দিলো।পরের দিন পাখির
চেঁচামেচিতে ভোঁরের কুয়াশা
কেটে একটি নতুন সৃর্য উঠি উঠি
করে। একটু একটু উকি দিতে দিতে
একটি নতুন সকাল উদয় হলো।কিন্তু
বিশ্বাস করেন সেই সকাল আমার
মোটেই সুবিধার মনে হয় নি।সেই
সকালে প্রচণ্ড চিৎকার আর কান্না
মধ্য দিয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে
গেলো। চোখের সামনে যা
দেখলাম সেটার জন্য মোটেই
প্রস্তুত চিলাম না।আমার মনে হয়না
আমার এই ছোট বয়সে এই রকম
ভয়ংকর দৃশ্য ভয়ংকর ঘটনা দেখেছি
বলে মনে হয় না।যে সিলিংফ্যানটা
নিচে প্রতিদিন শুয়ে শুয়ে আপুকে
বলতাম আপু আমাদের ফ্যানের
আওয়াজটা অন্যরকম কেনো?আপু
বলতো কি রকম! আমি বলতাম আপু
একদম উড়োজাজের মতো
আওয়াজ! আপু হেসে হেস
বলতো এখানে মনে করবি এটাই
উড়োজাহাজ আমাদের ঘরে
উড়োজাহাজ চলছে বুঝলি।যেখানে
আমি আর আপু প্রতিদিন ফ্যানের
নিচে বসে কতোসতো গল্প
বলতাম। আর দুইজন মিলে পাকা গনার
চেষ্টা করতাম। এক দুই তিন করে
অথচ সেই ফ্যান টা আজ অন্য রকম
ভাবে একটা গল্প তৈরি করে দিলো।
আপুর কি সুন্দর চেহারাটা কি ভয়ংকর
হয়ে আছে। জিব্বাটা অধেক্ষ বের
হয়ে আছে।নিশ্বপাপ চেহারাটা
ঘুমিয়ে আছে। যে ঘুম আর
কোনোদিন ভাঙ্গঁবে না।পাশে
আব্বু আম্মুর কান্নার আজাহারি আর
বারবার বলতেছে তোকে একটু
বকেছি বলেই তুই অভিমান করে
আমাদের ছেড়ে এরকম
স্বার্থপরের মতো চলে গেলি।
.
তারপর থেকে আব্বু সিলিংফ্যানটা
খুলে এই খাঁছাফ্যান লাগিয়েছে।আর
আমি প্রতিদিন রাত্রে শুয়ে শুয়ে
আপুর কথা মনে করে কান্না করি।
আর পাকা গনার চেষ্টা করি।কিছুক্ষণ
পর আম্মু মিষ্টি নিয়ে এলো আমার
ঘরে। আমি আম্মুর চোখ দুটো
ফুঁলে আছে। যেদিন থেকে আপু
আমাদের ছেড়ে চলে গেলো,
সেদিন থেকে আব্বু আম্মুর মুখে
হাসি দেখিনি। প্রতিদিন আম্মু কান্না
করে তাদের একমাত্র মেয়ের
জন্য।বিশেষ করে প্রতি বৎসর
এসএসসি পরিক্ষার রেজাল্টের দিন।
সেদিন আপু ছবি বুকে নিয়ে সারাদিন
কাঁদে সারাদিন কিছু মুখে ও দেয় না।
আজকে সকাল থেকে ও আপুর
ছবিটা বুকে জড়িয়ে কান্না করছে।
.
আম্মু একটা মিষ্টি নিয়ে আমার মুখে
ভরে দিলো। আমি ও একটা মিষ্টি
নিয়ে আম্মুকে খাইয়ে দিলাম।আম্মু
ও কান্না করছে আমি ও কান্না করছি।
.
আপু বিশ্বাস কর তুই যে দিন থেকে
চলে গেলি সেদিন থেকে আমি ও
একা হয়ে গেলাম।আমাদের
উড়োজাহাজের মতো ফ্যানটা ও
আর নেই। তুই যেদিন ঐঠার সাথে
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলি, সেদিন
থেকে ফ্যানটা খুলে ষ্টোর
রুমে রেখে দিয়েছে। এখন
দৃষ্টুমি করলে আগের মতো বকা
দেয় না। বরং কাছে নিয়ে জড়িয়ে
ধরে আব্বু আম্মু কান্না করে।আপু
তুই বিশ্বাস কর ঐদিন তুকে একটু ও
মন থেকে বকাবকি করে নাই।তুই
সেই বকাবকিকে সত্যি মনে করে
আমাদের উপর অভিমান করে চলে
গেলি।সত্যি আপু আমি তোকে
এখনো খুব ভালোবাসি।সর্বক্ষণ
দোয়া করি তোর আত্না যেনো
শান্তি পাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন