--শোনো আজ কিন্তু ঘুরতে যাব আমরা(তানহা)
--মানে!
--আজ ছুটির দিন। আজ আমরা ঘুরতে যাব
--আমি যাব না
--যাবা না?
--নাহ
--আজ খাওয়া বন্ধ তোমার
বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম এ কেমন মেয়েরা বাবা। ঘুরতে যাবো না তাই বলে খাওয়া বন্ধ।
--হোটেলে খাব, লাগবে না তোমার হাতের রান্না করা খাবার।
--তুমি হোটেলে খাবা?
--হ্যা তাই তো
.
কান্না শুরু করলো তানহা।ওর এই এক সমস্যা কিছু বললেই চোখের পানি টলটল করবে।
প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিন ও দেখেছিলাম কান্না করতেছে।মা বকা দিসিলো তাই এ হাল।
আমি থাকতাম তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে। পড়াশোনা করতাম তখন। পড়াশোনার জন্যই তাদের বাসায় থাকা। প্রতিদিন বিকেলবেলা দেখতাম তাকে সে ছাদে বসে থাকতো একা একা। আমিও ছাদে যেথাম এক কোণায় দাঁড়িয়ে আড়চোখে থাকে দেখতাম। এভাবে বেশিদিন দেখতে পারি নাই। একদিন ধরা পড়ে গিয়েছিলাম। সেদিন ও কেঁদে দিয়েছিলো। সে এসে জিগ্যেস করেছিলো,
--আপনি আমায় ওভাবে দেখেন কেন?
--ভালো লাগে তাই
সরাসরি জবাব দিয়ে দিয়েছিলাম।আর ওমনি কান্না শুরু। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। ভেবেছিলাম বাড়িটা বুঝি ছাড়তেই হবে। কিন্তু তা হয় নি।কোনো নোটিশ পাই নি।
.
এরপর ব্যাস্ততার কারণে তেমন একটা ছাদে যাওয়া হতো না।
বহুদিন পর একদিন ছাদে যায়। তানহা কে দেখলাম এগিয়ে আসলো
আমার কাছে,
--কি ব্যাপার পাই না যে
আমি তো এ প্রশ্নে পুরো অবাক
--ব্যাস্ত থাকি তো
--না না নাকি ভয় পেয়েছিলেন সেদিন কান্না করেছি বলে। তাই বাড়ি ছাড়ার ভয়ে আসেন না
--নাহ তা হবে কেন
--আচ্ছা যান পারমিশন দিলাম। প্রতিদিন ই আমায় দেখতে পারবেন সরাসরি ই
...মনে মনে বলেছিলাম এমন সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায়। মেঘ না চাইতে বৃষ্টিপাত।
.
সেদিনের পর থেকে সময় পেলেই থাকে দেখতে যেথাম বিকেলে।
প্রতিদিন ই টুকটাক কথা হতো।একসময় তো হয়ে গেলাম তার বন্ধু।
এরপর কয়েক মাস পর হয় প্রেমিক।
যেদিন ওরে প্রপোজ করি সেদিন ও চোখে পানি দেখি তার।
.
সেদিন তার বাড়িতে কেউ ছিলো না। তাই সাহসটা পেয়েছিলাম। ও বলেছিলো রাতে যেন ছাদে যায়।
তো ছাদে যায় রাতে। পকেটে অবশ্য একটা চিরকুট নিয়ে। মনের সব কথা লিপিবদ্ধ করা ইহাতে।
তাকে গিয়েই দেখলাম দাঁড়িয়ে গান শুনছে।
--কি গান শুনো
--হীন
--এটা আবার কি গান
--চিনবা না। জুনাইদ ইভান ভাইয়ের
--ওহহ।
পকেট থেকে চিরকুট টা বাহির করে তার হাতে দিলাম। দিয়েই এক দৌড়।
সোজা রুমে চলে এলাম। ভয়ে বুকের ভেতরে তুফান বইছে। পনেরো মি. পর উনি আমার রুমে এসে হাজির।
উড়না দিয়ে চোখের পানি মুছতেছে।আমি তো আরো ভয় পাচ্ছিলাম।
--এই গাধা এটা কি?
--ভুল হয়ে গেছে। চিরকুট টা ছিড়ে ফেলো
--কিহহ
--হ্যা তাই
--তুমি আমায় ভালোবাসো না
--ভাসি
--তবেঁ
--সরি
--ওই ভিতু আমিও ভালোবাসি তোমায়
.
সেদিন থেকে দিনগুলো আরো রঙ্গিন হয়।জামেলা হয় বিয়েটায়। বিয়ে করাটা তাকে ছিলো এভারেস্ট জয় করার মত। তবেঁ জয় আমি ঠিকি করি।
.
কিন্তু এ মুহুর্তে কিভাবে তার মুখে হাসি ফুটাবো। কান্না তো করেই যাচ্ছে।
--সরি তানহা। আমি তো কথায় কথায় বলেছি হোটেলে খাব
--আমার রান্না বুঝি তোমার ভালো লাগে না
--ওই কি বলছো।তোমার রান্নার তুলনা হয় না
--নাহ আমি বুঝেছি সব
..পড়লাম তো মস্তবড় বিপদে।
--বিশ্বাস করো আমি কথায় কথায় বলেছি হোটেলে খাব
--হয়সে থাক। আর কিছু বলতে হবে না
-আমি আজ তোমার সব কথা শুনবো
--ওহহ তার মানে আগে যা শুনতা সব মনের বিরুদ্ধে থেকে
..লাগলো তো আরো প্যাচাল
--একি বলছো তুমি
--যা বলার তাই
--দ্যাৎ মনটায় দিলা খারাপ করে
.
মনটা কেন জানি খারাপ হয়ে গেলো। তাই তার কাছ থেকে সরে এসে ছাদে গিয়ে দাঁড়ালাম। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি। ভাবছি নাহ ও রাগের বশেই এসব বলেছে। থাক মন খারাপ করে লাভ নেই।তার কাছে যাব প্রস্তুতি নিলাম। পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি সে দাঁড়িয়ে।
চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ছে।
--দুঃখিত তানহা
আমিই বললাম
--সে এসে জড়িয়ে ধরলো
--ভুল আমার। আমি তোমায় কষ্ট দিয়েছি
--আরে পাগলি নাহ তুমি কেন কষ্ট দিবা। আমিই তো দিয়েছি।
--আমি সত্যিই তোমায় ভালোবাসি
--সেটা আমি জানি।তোমার মত মেয়ে ই হয় না
--আমায় সারাজীবন পাশে রাখবা তো
--এভাবেই রাখবো পাশে। যতটা চাও কাছে।ভালোবাসি খুব বেশি তোমায় আমি।
.
.
<সম্পর্কের মাঝে রাগ অভিমান থাকতে হয়। তা না হলে রোমান্সময় হয় না >
--মানে!
--আজ ছুটির দিন। আজ আমরা ঘুরতে যাব
--আমি যাব না
--যাবা না?
--নাহ
--আজ খাওয়া বন্ধ তোমার
বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম এ কেমন মেয়েরা বাবা। ঘুরতে যাবো না তাই বলে খাওয়া বন্ধ।
--হোটেলে খাব, লাগবে না তোমার হাতের রান্না করা খাবার।
--তুমি হোটেলে খাবা?
--হ্যা তাই তো
.
কান্না শুরু করলো তানহা।ওর এই এক সমস্যা কিছু বললেই চোখের পানি টলটল করবে।
প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিন ও দেখেছিলাম কান্না করতেছে।মা বকা দিসিলো তাই এ হাল।
আমি থাকতাম তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে। পড়াশোনা করতাম তখন। পড়াশোনার জন্যই তাদের বাসায় থাকা। প্রতিদিন বিকেলবেলা দেখতাম তাকে সে ছাদে বসে থাকতো একা একা। আমিও ছাদে যেথাম এক কোণায় দাঁড়িয়ে আড়চোখে থাকে দেখতাম। এভাবে বেশিদিন দেখতে পারি নাই। একদিন ধরা পড়ে গিয়েছিলাম। সেদিন ও কেঁদে দিয়েছিলো। সে এসে জিগ্যেস করেছিলো,
--আপনি আমায় ওভাবে দেখেন কেন?
--ভালো লাগে তাই
সরাসরি জবাব দিয়ে দিয়েছিলাম।আর ওমনি কান্না শুরু। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। ভেবেছিলাম বাড়িটা বুঝি ছাড়তেই হবে। কিন্তু তা হয় নি।কোনো নোটিশ পাই নি।
.
এরপর ব্যাস্ততার কারণে তেমন একটা ছাদে যাওয়া হতো না।
বহুদিন পর একদিন ছাদে যায়। তানহা কে দেখলাম এগিয়ে আসলো
আমার কাছে,
--কি ব্যাপার পাই না যে
আমি তো এ প্রশ্নে পুরো অবাক
--ব্যাস্ত থাকি তো
--না না নাকি ভয় পেয়েছিলেন সেদিন কান্না করেছি বলে। তাই বাড়ি ছাড়ার ভয়ে আসেন না
--নাহ তা হবে কেন
--আচ্ছা যান পারমিশন দিলাম। প্রতিদিন ই আমায় দেখতে পারবেন সরাসরি ই
...মনে মনে বলেছিলাম এমন সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায়। মেঘ না চাইতে বৃষ্টিপাত।
.
সেদিনের পর থেকে সময় পেলেই থাকে দেখতে যেথাম বিকেলে।
প্রতিদিন ই টুকটাক কথা হতো।একসময় তো হয়ে গেলাম তার বন্ধু।
এরপর কয়েক মাস পর হয় প্রেমিক।
যেদিন ওরে প্রপোজ করি সেদিন ও চোখে পানি দেখি তার।
.
সেদিন তার বাড়িতে কেউ ছিলো না। তাই সাহসটা পেয়েছিলাম। ও বলেছিলো রাতে যেন ছাদে যায়।
তো ছাদে যায় রাতে। পকেটে অবশ্য একটা চিরকুট নিয়ে। মনের সব কথা লিপিবদ্ধ করা ইহাতে।
তাকে গিয়েই দেখলাম দাঁড়িয়ে গান শুনছে।
--কি গান শুনো
--হীন
--এটা আবার কি গান
--চিনবা না। জুনাইদ ইভান ভাইয়ের
--ওহহ।
পকেট থেকে চিরকুট টা বাহির করে তার হাতে দিলাম। দিয়েই এক দৌড়।
সোজা রুমে চলে এলাম। ভয়ে বুকের ভেতরে তুফান বইছে। পনেরো মি. পর উনি আমার রুমে এসে হাজির।
উড়না দিয়ে চোখের পানি মুছতেছে।আমি তো আরো ভয় পাচ্ছিলাম।
--এই গাধা এটা কি?
--ভুল হয়ে গেছে। চিরকুট টা ছিড়ে ফেলো
--কিহহ
--হ্যা তাই
--তুমি আমায় ভালোবাসো না
--ভাসি
--তবেঁ
--সরি
--ওই ভিতু আমিও ভালোবাসি তোমায়
.
সেদিন থেকে দিনগুলো আরো রঙ্গিন হয়।জামেলা হয় বিয়েটায়। বিয়ে করাটা তাকে ছিলো এভারেস্ট জয় করার মত। তবেঁ জয় আমি ঠিকি করি।
.
কিন্তু এ মুহুর্তে কিভাবে তার মুখে হাসি ফুটাবো। কান্না তো করেই যাচ্ছে।
--সরি তানহা। আমি তো কথায় কথায় বলেছি হোটেলে খাব
--আমার রান্না বুঝি তোমার ভালো লাগে না
--ওই কি বলছো।তোমার রান্নার তুলনা হয় না
--নাহ আমি বুঝেছি সব
..পড়লাম তো মস্তবড় বিপদে।
--বিশ্বাস করো আমি কথায় কথায় বলেছি হোটেলে খাব
--হয়সে থাক। আর কিছু বলতে হবে না
-আমি আজ তোমার সব কথা শুনবো
--ওহহ তার মানে আগে যা শুনতা সব মনের বিরুদ্ধে থেকে
..লাগলো তো আরো প্যাচাল
--একি বলছো তুমি
--যা বলার তাই
--দ্যাৎ মনটায় দিলা খারাপ করে
.
মনটা কেন জানি খারাপ হয়ে গেলো। তাই তার কাছ থেকে সরে এসে ছাদে গিয়ে দাঁড়ালাম। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি। ভাবছি নাহ ও রাগের বশেই এসব বলেছে। থাক মন খারাপ করে লাভ নেই।তার কাছে যাব প্রস্তুতি নিলাম। পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি সে দাঁড়িয়ে।
চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ছে।
--দুঃখিত তানহা
আমিই বললাম
--সে এসে জড়িয়ে ধরলো
--ভুল আমার। আমি তোমায় কষ্ট দিয়েছি
--আরে পাগলি নাহ তুমি কেন কষ্ট দিবা। আমিই তো দিয়েছি।
--আমি সত্যিই তোমায় ভালোবাসি
--সেটা আমি জানি।তোমার মত মেয়ে ই হয় না
--আমায় সারাজীবন পাশে রাখবা তো
--এভাবেই রাখবো পাশে। যতটা চাও কাছে।ভালোবাসি খুব বেশি তোমায় আমি।
.
.
<সম্পর্কের মাঝে রাগ অভিমান থাকতে হয়। তা না হলে রোমান্সময় হয় না >
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন