বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

একটা কিউট ভালোবাসা

আজ সকাল থেকেই অঝরে বৃষ্টি ঝরছে। তাই নাদিরা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাইরে আর সেই সাথে ভাবছে সীমান্তের কথা।
সীমান্ত আর নাদিরা একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু মনে মনে নাদিরা সীমান্ত কে ভালোবাসে কিন্তু বলতে পারে না ওকে।
নাদিরার এই ভালোবাসা টা অনেক আগে থেকেই ছিলো কিন্তু কালকের ঘটনার পর থেকে সীমান্ত কে হারানোর ভয় তার মনের মধ্যে বাসা বেঁধেছে।
কালকের ঘটনাটা মনে পরছে নাদিরার। সীমান্তের সাথে কথা বলছে এক মেয়ে যাকে কখনও দেখিনি নাদিরা। কি যেন বলছিল ওরা।
নাদিরা:সীমান্ত কে রে ঐ মেয়ে টা।
সীমান্ত :তোকে বলব না।
নাদিয়া চমকে উঠে। কি গার্লফ্রেন্ড বুঝি?
সীমান্ত :ধর তাই।
নাদিরা:ও আচ্ছা। আমি তাহলে যায়।
সীমান্ত :নাদিরার হাত ধরে চল ঐ দিকে গিয়ে বসি।
নাদিরা:আমি যাব না।
সীমান্ত :আরে চল তো। নাদিরার হাতটাকে ধরে টেনে নিয়ে যায় সীমান্ত।
নাদিরা:আব্বু ফোন দিছিলো তারাতারি বাসায় যেতে হবে।
সীমান্ত :তোর ফোন টা না আজ দুইদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে।
নাদিরা:ও না বলছি বাবা বাসা থেকে বের হবার সময় বলে দিছে তারাতারি ফিরতে।
সীমান্ত :তোর কি কিছু হয়েছে।?
নাদিরা:কৈ না তো।।।। তুই থাক আমি গেলাম।
নাদিরা যেতেই ফিরে আসে সেই মেয়েটি যার সাথে কথা বলতে সীমান্ত কে দেখেছিল নাদিরা। আসলে মেয়ে টি ছিল সীমান্তের চাচাতো বোন ফীহি।
ফীহি :কি ভাইয়া কে মেয়ে টা?
সীমান্ত :আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
ফীহি :শুধু কি ফ্রেন্ড।
সীমান্ত :কেন।?
ফীহি :মেয়ে টি তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
সীমান্ত :তুই কি করে বুঝলি?
ফীহি :তুমি যখন বলছিলা যে ধর ও আমার গার্লফ্রেন্ড তখন থেকেই ওর চোখে অশ্রু খেলা করছিল। ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
সীমান্ত :আমি জানি যে ও আমাকে ভালোবাসে। আমি ও ওকে ভালোবাসি।
ফীহি :তাহলে বলোনি কেন।
সীমান্ত :যদি ওকে হারিয়ে ফেলি ঐ ভয়ে।
ফীহি :তাহলে এখন বলো।
সীমান্ত :চল শপিং এ যাব।
ফীহি :কেন?
সীমান্ত :গেলেই টের পাবি।
সীমান্ত :দোকানদারকে সীমান্ত মামা ঐ নীল শাড়ি টা দেখি।
ফীহি :অনেক সুন্দর এটা ওকে অনেক মানাবে ভাইয়া।
সীমান্ত :মামা প্যাক করেন এটা।
সীমান্ত :এখন ওকে ফোন দেই কি বলিস?
ফীহি :হুম ।
সীমান্ত :ওর ফোন তো নষ্ট।
ফীহি :ওর বাসায় ফোন দাও।
সীমান্ত :হুম।।। হ্যালো আন্টি নাদিরা আছে ও কে বলেন সীমান্ত ফোন করছে। ও তো নেই বাবা। ওর জানি কি হয়েছে বাসায় এসে ব্যাগ গুছিয়ে বলল ও নাকি গ্রামের বাড়িতে যাবে।
সীমান্ত :কি কখন বের হয়েছে?
এইতো মিনিট দশেক হবে।
সীমান্ত :চল ফীহি।
ফীহি :কোথায় যাবে ভাইয়া?
সীমান্ত :বাসস্ট্যান্ড এ।
সীমান্ত আর ফীহি চলে বাসস্ট্যান্ড এর দিকে। বাসস্ট্যান্ড এ গিয়ে দ্যাখে টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাড়িয়ে আছে নাদিরা। ওর পিছে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে সীমান্ত।
নাদিরা :ভাইয়া একটা টিকিট দেন।
সীমান্ত :পিছন থেকে বলে কিরে আমাকে নিয়ে যাবি না?
নাদিরা :চমকে উঠে।। কি রে তুই এখানে?
সীমান্ত :আমায় ছেড়ে চলে যাচ্ছিস? নিয়ে যাবি না আমায়?
নাদিরা :তোর তো এখন কাছে থাকার মতো মানুষ আছে।
সীমান্ত :ও এই কথা। ফীহি এখানে আয়।।
ফীহি :হুম বলো ভাইয়া।।
নাদিরা:চোখ বড় করে.. ভাইয়া মানে?
ফীহি :ও আমার কিউট ভাইয়া।।
সীমান্ত :কি রে ভালোবাসিস বলতে পারিস নাই?
নাদিরা :অনেক ভালোবাসি তোকে কিন্তু তোকে হারানোর ভয়ে বলতে পারি নাই।
সীমান্ত :আর তাইতো এখন নিজে ই হারিয়ে যাচ্ছিস।
নাদিরা :কি করবো তোকে তো বলতে পারি নি।
সীমান্ত :এখন বল।
নাদিরা :তুই বলতে পারিস না।। নাকি ভালোবাসিস না আমায়।?
সীমান্ত :চোখটা বন্ধ কর।
নাদিরা :কেন?
সীমান্ত :যা বলছি তাই কর।
নাদিরা :হুম
সীমান্ত :চোখ খোল।
এটা তোর জন্য। তুই তো চলে যেতে চাস।
নাদিরা :বেধে রাখতে পারবি না। চোখে ওর অশ্রু।
সীমান্ত :রাখব তো বল ভালবাসিস আমায়।
নাদিরা :অশ্রু সিক্ত চোখে সীমান্ত কে জরিয়ে ধরে নাদিরা বলে ভালোবাসি তোকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
সীমান্ত :চলে যাবি না তো এমন করে। সীমান্ত এর চোখে জল।
নাদিরা :যাবো না পাগল কখনো ই তোকে ছেড়ে যাব না।
সীমান্ত :আমি যদি হারিয়ে যায়।
নাদিরা :চুপ... তোকে হারাতে দেব না কখনো।
আমি যে তোকে অনেক বেশি ভালোবাসি রে সীমান্ত।
.... ভালো থাকুক সবার ভালোবাসা.....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন