- দেখ অশ্রু, ওই ছেলেটা আমাদের ফলো করছে
(রিপা)
-- কোন ছেলে (আমি)
-- আরে দেখ ..ওই ছেলেটা, আমি অনেকক্ষণ
ধরে দেখছি ছেলেটা আমাদের পিছু নিচ্ছে
-- ধুর..আমাদের আবার কে ফলো করতে যাবে ..
-- তুই পিছন ফিরে একবার দেখ..বুঝতে পারবি
-- একি!!!! এই ছেলেটা
-- কোন ছেলে..তুই আগে থেকে চিনতিস নাকি
-- আরে ..তোকে বলছিলাম না ..রিকশা করে
আসার সময় একটা ছেলে বাইক নিয়ে রিকশায়
ধাক্কা দেয় আর আমি বকাবকি করি
-- হুম..কিন্তু ছেলেটা আমাদের কেন ফলো
করছে
-- সেটাই তো বুঝতেছি না..।।
-- তোকে আবার কিছু বলবে না তো..
-- ধ্যাত ..আমাকে কি বলবে রে। । দোষটা তো
ছেলেটার ছিলো..বাদ দে তো ..চল ফুসকা খায়
.
আমি অশ্রু আর রিপা আমার বান্ধবী..আমরা একি
ডিপার্টমেন্টে পড়ি..
তারপর আমরা আর ছেলেটার দিকে খেয়াল
করিনা ..সেদিন আমরা ক্ল্যাস না করে বাসায়
চলে আসি
.
পরদিন
.
--রিপা ফোন করে জানায় ও আজ কলেজে
আসতে পারবে না তাই আমি একাই আসছি
রিকশা থেকে নেমে দেখি ওই ছেলেটা কলেজ
গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।। আমি তাকাতে
ছেলেটা মাথা নিচু করে নিলো..
বেশি কিছু না ভেবে আমি ওখান থেকে চলে
যায়..এমনো তো হতে পারে ছেলেটা এই
ভার্সিটিতেই পড়ে ..
চারিদিকে এত মানুষ তবুও আজ একা
লাগছে..ভার্সিটিতে আমার একটাই সঙ্গী
রিপা"" কুত্তী টাকে খুব মিস করছি
..
-- দেখ রিপা আজকেও ছেলেটা একি জায়গায়
দাড়িয়ে আছে (আমি)
-- সেই ছেলেটা..(রিপা)
-- হুম ..কালকেও এভাবেই দাড়িয়ে ছিলো ..কিছু
বলবো নাকি ছেলেটাকে
-- না থাক।। শুধু শুধু ঝামেলা করে লাভ নেই চল
ক্লাসে যায়..
.
ছেলেটা সারাদিন আমাদের ফলো করে আমরা
সব বুঝতে পারি তবুও কিছু বলিনা
এভাবে কয়েক দিন চলে গেলো ...অনেক হয়ছে
এবার ছেলেটার একটা ব্যবস্থা করতে
হবে (আমি)
--তুই আবার কি করবি? ? (রিপা)
-- তুই শুধু আমার সঙ্গে আই
.
-- এই ছেলে..এএইই..আপনার সমস্যা টা
কোথায়?? (আমি)
-- কিসের সমস্যা (ছেলেটি মাথা নিচু করে)
-- তাহলে আমাদের পিছু নেন কেন..কিছু বলবেন
-- না তো..আর কই আমি আপনাদের পিছু নিয়
(ছেলেটি)
-- আমরা কি কানা..থুক্কু কানি বলে মনে হচ্ছে
..সারাদিন আমাদের পিছুপিছু যান ..যেখানে
যাবো সেখানে গিয়ে পিছন ফিরে দেখবো
আপনি..আমি তাকালে হই মাথা নিচু করেন নাহই
অন্য দিকে ঘুরে যান
-- না ..আসলে
-- কি!!! এই ছেলে মাথা নিচু করে আছেন কেন
-- এমনি..শুনেন আমার একটা নাম আছে শ্রাবণ
..এই ছেলে বলবেন না
-- সে যায় হোক..আপনাকে যেন আর আমাদের
ফলো করতে না দেখি..ঠিকাচ্ছে
-- অকে
.
প্রথমে ছেলেটার উপর খুব রাগ হচ্ছিলো ..পরে
ছেলেটার সাথে কথা বলে সত্যি অবাক
হলাম..আজিব ছেলে মনে হয় মেয়েদের সাথে
কথা বলতো লজ্জা পায়..
.
-- মনে হচ্ছে ছেলেটা আর আমাদের পিছু নিবে
না..তুই যেভাবে বললি ( রিপা)
-- হুম
.
পরেরদিন
সারাদিন ভালো ভাবেই গেলো, ছেলেটার
দেখা নেয়
-- দেখছিস তো রিপা, ছেলেটা আজ আর
আমাদের ফলো করে নি। । অাজ তুই আমাকে
খাওয়াবি ( আমি)
-- তাই না।।। ওই দেখ কি (রিপা)
-- আবারও ..ভাবছিলাম ভদ্র ছেলে এখন দেখছি
ছ্যাঁচড়া পোলা..ইচ্ছে হচ্ছে গিয়া থাপ্পড়াই
আসি
-- এসব ছেলেদের বলে কোন লাভ নেই..ছেলেটা
ওর মত থাক..আমাদের তো বিরক্ত করছে না
.
এভাবে আরো কিছুদিন চলে গেলো..ছেলেটা
আগের মতই আমাদের ফলো করতো আমরা আর
এসব নিয়ে ভাবতাম না..ছেলেটাকে ভাবনার
বাইরে রেখে দিলাম
.
-- আমার কি মনে হচ্ছে জানিস অশ্রু.. ছেলেটা
তোকে পছন্দ করে (রিপা)
-- ফালতু কথা বলিস না..মাইর খাবি (আমি)
-- সত্যি কথা..তুই ভেবে দেখ ছেলেটা কেন
প্রতিদিন এভাবে আমাদের ফোলো করবে ..এতে
তো ছেলেটার কোন লাভ হচ্ছে না..তাছাড়া তুই
যেদিন আসিছ না সেদিন কিন্তু ছেলেটা
আমাকে ফলো করে না ...তাহলে
-- চুপ করবি তুই..মুখে যা আসছে তাই বলছিস
..এসব কথা আমাকে বলবি না
-- অকে..অকে ..
বাসায় গিয়ে রিপার কথাগুলো
ভাবলাম..ছেলেটা তো এমনি ভালো...দেখতেও
খারাপ না সত্যি যদি ছেলেটা আমাকে
ভালোবাসে তাহলে বলছে নাকেন...মনের
কথাটা বলে দিলেই তো হয়..বলবেই বা কি করে
সেদিন যে ঝাড়ি দিছি হয়তো ভয়ে বলছে না
.
-- আজ ছেলেটাকে দেখে সত্যি মায়া হচ্ছে এত
রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থাকার কি আছে (আমি)
আমি ছেলেটার দিকে এগিয়ে গিলাম, আমাকে
দেখে ছেলেটি হাঁটা শুরু করলো
..এই দাঁড়ান তো
-- জ্বী আমাকে বলছেন (শ্রাবণ)
-- হুম আপনাকেই বলছি ..
-- বলেন??
-- বাসায় ছাতা নেই
-- হ্যাঁ,আছে কেন?
-- কাল থেকে ছাতা নিয়ে আসবেন
-- অকে
-- শুনেন..আপনি কি আমাকে কিছু বলতে চান..
-- না তো..কি বলবো
-- আপনার মাথা..আজিব ছেলে
.
তিনদিন পর
-- একটু শুনবেন (শ্রাবণ)
-- বলেন (আমি)
-- রেগে আছেন মনে হয়
-- না বলেন
-- কিছুনা..থাক..আজ আপনার মুড অফ
-- আজ না বললে আর কোনদিন যদি আমার
আশেপাশে আপনাকে দেখি তাহলে খোবর আছে
-- হুম,, চোখটা একটু বন্ধ করা যাবে
-- কেন!!!
-- ভয় লাগছে করেন না
-- অকে
চোখ খুলে দেখি আমার হাতে একটা চিরকুট
..ছেলেটা নেই
কোথায় গেলো..ছেলেটাকে এত খুঁজে দেখা
পেলাম..একটু হাসলাম তারপর বাসায় গেলাম
বাসায় গিয়ে চিরকুট খুললাম..
কোথাও কিছু লেখা নেয় ..এক কোনায় ছোট্র
করে লেখা
" ভালোবাসি "
এইটা কি লাভ লেটার না অন্য কিছু
.
পরেরদিন ছেলেটি একি জায়গায় মাথা নিচু
করে দাঁড়িয়ে আছে
-- আমার দিকে তাকান, কলমের কালি ছিলো
না (আমি)
-- ছিলো তো কেন (শ্রবণ)
-- তাহলে এত ছোট করে লেখা কেন..অারো
কিছু তো লিখতে পারতেন ..
-- এই চিরকুট টাই দিতে পারছিলাম অনেকদিন
ধরে পকেটে লিখে রেখেছিলাম
-- আমাকে ভয় পাওয়ার কি আছে..বুঝলাম না
-- আপনে যা রাগি..ভয় পাবো না যদি আমাকে
থাপ্পড় দেন
-- হুম..আপনাকে থাপ্পড় দেওয়াই উচিত...কথাটা
তো সামনা সামনি বলতে পারতেন
-- সামনে বলার সাহস হয়নি তাই চিরকুটে ..
-- আচ্ছা আমার প্রতি আপনার ভালোবাসাও কি
এতো অল্প
-- কতটা ভালোবাসি তা লিখে প্রকাশ করতে
পারবো না....তাই বেশি কিছু লিখলাম না
-- এত ভালোবাসা কিন্তু আমি তো আপনার
সাথে প্রেম করতে পারবো না
-- কেন
-- আমি এরকম ভীতু ছেলের সাথে প্রেম করতে
পারবো না
-- কে বলছে আমি ভীতু ..
-- তাহলে সবার সামনে প্রপোজ করতে পারবেন
-- হুম ..এখনি করছি..একটু দাঁড়ান
-- কেন??
শ্রাবণ দৌড়ে গিয়ে একটা গোলাপ নিয়ে আসলো
তারপর হাঁটু গেরে সবার সামনে
-- will you marry me?? (শ্রাবণ)
-- অবাক হয়ে আমি শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে
রইলাম
-- হ্যা করে তাকিয়ে থাকবেন নাকি গোলাপ টা
নিবেন হাঁটু ব্যাথা হয়ে গেলো
-- yeah..হাদারাম
-- আমি হাদারাম..
-- তাই তো..এখনো তুমি করে বলতে পারলে
না..আমার চোখের দিকে ভালো করে তাকাতে
পারছো না ..কিসের এত লজ্জা তোমার
-- তোমার ওই মায়াবী চোখের দিকে তাকালে
আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়..
-- তাই..আর এই যে, এখন যেভাবে দাড়িয়ে
থাকো এরপর থেকেও এভাবেই দাড়িয়ে
থাকবে..কিন্ত রোদের মধ্যে না একটা ছাতাও
আনবে
-- অকে...
-- হুম
(রিপা)
-- কোন ছেলে (আমি)
-- আরে দেখ ..ওই ছেলেটা, আমি অনেকক্ষণ
ধরে দেখছি ছেলেটা আমাদের পিছু নিচ্ছে
-- ধুর..আমাদের আবার কে ফলো করতে যাবে ..
-- তুই পিছন ফিরে একবার দেখ..বুঝতে পারবি
-- একি!!!! এই ছেলেটা
-- কোন ছেলে..তুই আগে থেকে চিনতিস নাকি
-- আরে ..তোকে বলছিলাম না ..রিকশা করে
আসার সময় একটা ছেলে বাইক নিয়ে রিকশায়
ধাক্কা দেয় আর আমি বকাবকি করি
-- হুম..কিন্তু ছেলেটা আমাদের কেন ফলো
করছে
-- সেটাই তো বুঝতেছি না..।।
-- তোকে আবার কিছু বলবে না তো..
-- ধ্যাত ..আমাকে কি বলবে রে। । দোষটা তো
ছেলেটার ছিলো..বাদ দে তো ..চল ফুসকা খায়
.
আমি অশ্রু আর রিপা আমার বান্ধবী..আমরা একি
ডিপার্টমেন্টে পড়ি..
তারপর আমরা আর ছেলেটার দিকে খেয়াল
করিনা ..সেদিন আমরা ক্ল্যাস না করে বাসায়
চলে আসি
.
পরদিন
.
--রিপা ফোন করে জানায় ও আজ কলেজে
আসতে পারবে না তাই আমি একাই আসছি
রিকশা থেকে নেমে দেখি ওই ছেলেটা কলেজ
গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।। আমি তাকাতে
ছেলেটা মাথা নিচু করে নিলো..
বেশি কিছু না ভেবে আমি ওখান থেকে চলে
যায়..এমনো তো হতে পারে ছেলেটা এই
ভার্সিটিতেই পড়ে ..
চারিদিকে এত মানুষ তবুও আজ একা
লাগছে..ভার্সিটিতে আমার একটাই সঙ্গী
রিপা"" কুত্তী টাকে খুব মিস করছি
..
-- দেখ রিপা আজকেও ছেলেটা একি জায়গায়
দাড়িয়ে আছে (আমি)
-- সেই ছেলেটা..(রিপা)
-- হুম ..কালকেও এভাবেই দাড়িয়ে ছিলো ..কিছু
বলবো নাকি ছেলেটাকে
-- না থাক।। শুধু শুধু ঝামেলা করে লাভ নেই চল
ক্লাসে যায়..
.
ছেলেটা সারাদিন আমাদের ফলো করে আমরা
সব বুঝতে পারি তবুও কিছু বলিনা
এভাবে কয়েক দিন চলে গেলো ...অনেক হয়ছে
এবার ছেলেটার একটা ব্যবস্থা করতে
হবে (আমি)
--তুই আবার কি করবি? ? (রিপা)
-- তুই শুধু আমার সঙ্গে আই
.
-- এই ছেলে..এএইই..আপনার সমস্যা টা
কোথায়?? (আমি)
-- কিসের সমস্যা (ছেলেটি মাথা নিচু করে)
-- তাহলে আমাদের পিছু নেন কেন..কিছু বলবেন
-- না তো..আর কই আমি আপনাদের পিছু নিয়
(ছেলেটি)
-- আমরা কি কানা..থুক্কু কানি বলে মনে হচ্ছে
..সারাদিন আমাদের পিছুপিছু যান ..যেখানে
যাবো সেখানে গিয়ে পিছন ফিরে দেখবো
আপনি..আমি তাকালে হই মাথা নিচু করেন নাহই
অন্য দিকে ঘুরে যান
-- না ..আসলে
-- কি!!! এই ছেলে মাথা নিচু করে আছেন কেন
-- এমনি..শুনেন আমার একটা নাম আছে শ্রাবণ
..এই ছেলে বলবেন না
-- সে যায় হোক..আপনাকে যেন আর আমাদের
ফলো করতে না দেখি..ঠিকাচ্ছে
-- অকে
.
প্রথমে ছেলেটার উপর খুব রাগ হচ্ছিলো ..পরে
ছেলেটার সাথে কথা বলে সত্যি অবাক
হলাম..আজিব ছেলে মনে হয় মেয়েদের সাথে
কথা বলতো লজ্জা পায়..
.
-- মনে হচ্ছে ছেলেটা আর আমাদের পিছু নিবে
না..তুই যেভাবে বললি ( রিপা)
-- হুম
.
পরেরদিন
সারাদিন ভালো ভাবেই গেলো, ছেলেটার
দেখা নেয়
-- দেখছিস তো রিপা, ছেলেটা আজ আর
আমাদের ফলো করে নি। । অাজ তুই আমাকে
খাওয়াবি ( আমি)
-- তাই না।।। ওই দেখ কি (রিপা)
-- আবারও ..ভাবছিলাম ভদ্র ছেলে এখন দেখছি
ছ্যাঁচড়া পোলা..ইচ্ছে হচ্ছে গিয়া থাপ্পড়াই
আসি
-- এসব ছেলেদের বলে কোন লাভ নেই..ছেলেটা
ওর মত থাক..আমাদের তো বিরক্ত করছে না
.
এভাবে আরো কিছুদিন চলে গেলো..ছেলেটা
আগের মতই আমাদের ফলো করতো আমরা আর
এসব নিয়ে ভাবতাম না..ছেলেটাকে ভাবনার
বাইরে রেখে দিলাম
.
-- আমার কি মনে হচ্ছে জানিস অশ্রু.. ছেলেটা
তোকে পছন্দ করে (রিপা)
-- ফালতু কথা বলিস না..মাইর খাবি (আমি)
-- সত্যি কথা..তুই ভেবে দেখ ছেলেটা কেন
প্রতিদিন এভাবে আমাদের ফোলো করবে ..এতে
তো ছেলেটার কোন লাভ হচ্ছে না..তাছাড়া তুই
যেদিন আসিছ না সেদিন কিন্তু ছেলেটা
আমাকে ফলো করে না ...তাহলে
-- চুপ করবি তুই..মুখে যা আসছে তাই বলছিস
..এসব কথা আমাকে বলবি না
-- অকে..অকে ..
বাসায় গিয়ে রিপার কথাগুলো
ভাবলাম..ছেলেটা তো এমনি ভালো...দেখতেও
খারাপ না সত্যি যদি ছেলেটা আমাকে
ভালোবাসে তাহলে বলছে নাকেন...মনের
কথাটা বলে দিলেই তো হয়..বলবেই বা কি করে
সেদিন যে ঝাড়ি দিছি হয়তো ভয়ে বলছে না
.
-- আজ ছেলেটাকে দেখে সত্যি মায়া হচ্ছে এত
রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থাকার কি আছে (আমি)
আমি ছেলেটার দিকে এগিয়ে গিলাম, আমাকে
দেখে ছেলেটি হাঁটা শুরু করলো
..এই দাঁড়ান তো
-- জ্বী আমাকে বলছেন (শ্রাবণ)
-- হুম আপনাকেই বলছি ..
-- বলেন??
-- বাসায় ছাতা নেই
-- হ্যাঁ,আছে কেন?
-- কাল থেকে ছাতা নিয়ে আসবেন
-- অকে
-- শুনেন..আপনি কি আমাকে কিছু বলতে চান..
-- না তো..কি বলবো
-- আপনার মাথা..আজিব ছেলে
.
তিনদিন পর
-- একটু শুনবেন (শ্রাবণ)
-- বলেন (আমি)
-- রেগে আছেন মনে হয়
-- না বলেন
-- কিছুনা..থাক..আজ আপনার মুড অফ
-- আজ না বললে আর কোনদিন যদি আমার
আশেপাশে আপনাকে দেখি তাহলে খোবর আছে
-- হুম,, চোখটা একটু বন্ধ করা যাবে
-- কেন!!!
-- ভয় লাগছে করেন না
-- অকে
চোখ খুলে দেখি আমার হাতে একটা চিরকুট
..ছেলেটা নেই
কোথায় গেলো..ছেলেটাকে এত খুঁজে দেখা
পেলাম..একটু হাসলাম তারপর বাসায় গেলাম
বাসায় গিয়ে চিরকুট খুললাম..
কোথাও কিছু লেখা নেয় ..এক কোনায় ছোট্র
করে লেখা
" ভালোবাসি "
এইটা কি লাভ লেটার না অন্য কিছু
.
পরেরদিন ছেলেটি একি জায়গায় মাথা নিচু
করে দাঁড়িয়ে আছে
-- আমার দিকে তাকান, কলমের কালি ছিলো
না (আমি)
-- ছিলো তো কেন (শ্রবণ)
-- তাহলে এত ছোট করে লেখা কেন..অারো
কিছু তো লিখতে পারতেন ..
-- এই চিরকুট টাই দিতে পারছিলাম অনেকদিন
ধরে পকেটে লিখে রেখেছিলাম
-- আমাকে ভয় পাওয়ার কি আছে..বুঝলাম না
-- আপনে যা রাগি..ভয় পাবো না যদি আমাকে
থাপ্পড় দেন
-- হুম..আপনাকে থাপ্পড় দেওয়াই উচিত...কথাটা
তো সামনা সামনি বলতে পারতেন
-- সামনে বলার সাহস হয়নি তাই চিরকুটে ..
-- আচ্ছা আমার প্রতি আপনার ভালোবাসাও কি
এতো অল্প
-- কতটা ভালোবাসি তা লিখে প্রকাশ করতে
পারবো না....তাই বেশি কিছু লিখলাম না
-- এত ভালোবাসা কিন্তু আমি তো আপনার
সাথে প্রেম করতে পারবো না
-- কেন
-- আমি এরকম ভীতু ছেলের সাথে প্রেম করতে
পারবো না
-- কে বলছে আমি ভীতু ..
-- তাহলে সবার সামনে প্রপোজ করতে পারবেন
-- হুম ..এখনি করছি..একটু দাঁড়ান
-- কেন??
শ্রাবণ দৌড়ে গিয়ে একটা গোলাপ নিয়ে আসলো
তারপর হাঁটু গেরে সবার সামনে
-- will you marry me?? (শ্রাবণ)
-- অবাক হয়ে আমি শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে
রইলাম
-- হ্যা করে তাকিয়ে থাকবেন নাকি গোলাপ টা
নিবেন হাঁটু ব্যাথা হয়ে গেলো
-- yeah..হাদারাম
-- আমি হাদারাম..
-- তাই তো..এখনো তুমি করে বলতে পারলে
না..আমার চোখের দিকে ভালো করে তাকাতে
পারছো না ..কিসের এত লজ্জা তোমার
-- তোমার ওই মায়াবী চোখের দিকে তাকালে
আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়..
-- তাই..আর এই যে, এখন যেভাবে দাড়িয়ে
থাকো এরপর থেকেও এভাবেই দাড়িয়ে
থাকবে..কিন্ত রোদের মধ্যে না একটা ছাতাও
আনবে
-- অকে...
-- হুম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন