সপ্নটা ছিল অনেক বড় কিন্তুু অসম্ভব নয়,জীবনে
হারার কথা কখনো চিন্তাই করিনা।
কারণ মনে সবসময় বিশ্বাস ছিল আমি
পারবো,নিজের উপর আস্তা অটুট ছিল,তাই আজ
এই পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে আপনাদের
সকলের দোয়াই।
-এস,এস,সি পাশ করার পর ভাবনা ছিল জীবনে
বড় কিছু করব আমি,কিন্তুু সংসারের অভাব আর
দারিদ্রতার কারণে অসম্বব হয়ে পড়ল,গ্রামের
কলেজেই ভর্তি হলাম।ইন্টারে ভর্তি হয়েছি
মাএ সো কলেজে নতুন কেমন যেনো আলাদা
একটা অনুভূতি বিরাজ করছে আমার
মাছে,এভাবেই কিছুদিন কেটে যায়,
মাঝে কিছু ছেলেদের সাথে ভালোই আড্ডা
বাজিতে মেতে উঠি, কয়েকজনের সাথে
ভালো সম্পর্কও গড়ে ওঠে।
টেবিলে বসে বই পড়ছি,হঠাৎ করে দিপা
নামের একজন মেয়ে এসে বলে ভাইয়া আপনার
অর্থনীতি বইটা কি একদিনের জন্য দেওয়া
যাবে,নিজের অজান্তেই অর্থনীতি বইটি
দিয়ে ছিলাম,বাসায় এসে অনেক খোঁজা
খোঁজি করি কোথাও পেলাম না বইটি,পরের
দিন কলেজে পৌঁছা মাএ দিপা বলছে এই নেন
ভাইয়া আপনার বই,ভালো করে দেখে
নিয়েন,পরে কিন্তুু আমায় দোষারুপ করতে
পারবেন না বলে দিলাম,বলেই দিপা চলে
গেলো,মনে হল বইয়ের মাঝে কি যেনো একটা
কাগজ ভাজ করে রাখা আছে,খুলতেই সাদা
একটা কাগজ পেলাম,তাতে লেখা আই,লাই,ইউ
কিন্তুু প্রথমে আপনাকেই বলতে হবে,
দিপা বান্ধবীদের সাথে বসে গল্প
করছিল,গেলেম... দিপা এই নাও তোমার
কাগজটা ভুল করে বইয়ের মাঝে রেখেছিলে।
দিপা বললো ঐই কাগজটা আমার না আপনারই
হবে হয়তো।
রুমে গিয়ে চিন্তা করলাম এ আবার কেমন আজব
মেয়ে বাবা,নাকি অন্য মতলব,পরীক্ষা করার
জন্য আমিও একটু চালাকি করলাম।
বাংলা ক্লাস হচ্ছিলো এমন সময় দিপার
দিকে তাকাতেই দেখি সেও আমার দিকে
বাঁকা চোখে চেয়ে আছে,ক্লাস শেষে
দিপাকে জিঙ্গেস করলাম চলো একদিন
সিনেমা দেখতে যাই সব বন্ধুরা মিলে,আর
দিপা বলে উঠলো কেনো আমরা কি রাস্তা
দেখিনি,কবে যাবে।
আমি তো পুরাই অবাক, মেয়ে বলে
কি,দিপাকে অবশ্য আমারও ভালোই লাগে
জীবন সাথী হিসাবে একদম পারফেক্ট হবে।
.
এরই মধ্যে কলেজে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হচ্ছিলো,
অনুষ্ঠানের আর মাএ দুইদিন বাঁকি রাতে
দিপার ফোন করে বলছে আমি কি নৃত্য করতে
পারব কলেজের অনুষ্ঠানে,তুমি অনুমতি দিলে
তবেই হবে না হলে নাই।
আগামীকাল বলি একটু চিন্তা করতে দাও,রাত
তিনটার দিকে দিপাকে কল দিলাম,দিপা
বলে কি ভাবলা,এবার বলেই দিলাম
আই,লাভ,ইউ দিপা,আমি তোমায় খুব
ভালোবেসে ফেলেছি।
বলা মাএই দিপা হেসে উঠলো,তখন মনটা ভীষন
খারাপ হয়ে গেল,ফোনটা কেটে দিয়ে
বিছানায় এপাশ ওপাশ করছিলাম,দিপা হয়তো
আবার কল দিবে,কিন্তুু কোনো সাড়া পেলাম
না।
পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখলাম আমাকে
দেখেই দিপার বান্ধবীরা হাসাহাসি
করছে,কেমন একটা সন্দেহ হল,ঠিক সেই সময়
দিপার এক বান্ধবী বলে ভাইয়া এদিকে
আসবেন একটু,গেলাম...দেখেন ভাইয়া দিপার
সাথে আমরা বাজি ধরে ছিলাম যদি সে
আপনাকে প্রেমের জালে আটকাতে পারে
তাহলে তাকে আমরা ২০০০ টাকা দিব।
কথাগুলো আমার হৃদয় ভেদ করে কলিজা ছিদ্র
করে দিয়ে গেল,কিছু বুঝি ওঠার আগেই দেখি
আমি হাসপাতালের বেডে"পাশে কয়েকজন
বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে।
হাসপাতাল থেকে বাসায় আসলাম,এর মধ্যে
দিপার সাথে কোনো যোগাযোগ
নেই,দিপাকে কল দিতে গেলাম কিন্তুু দিপার
নম্বর বন্ধ পেলাম,বুঝতে আর বাঁকি রইল
না,আমাকে নিয়ে সত্যি দিপা খেলা করেছে।
কিন্তুু দিপাকে আমার মন প্রাণ দিয়ে
ভালোবেসে ফেলেছি কি করবো এখন বুঝতেও
পারছিনা,প্রায় ৯ দিন পর কলেজে
গেলাম,চোখে পড়লো দিপা বান্ধবীদের সাথে
আড্ডা দিচ্ছে,সব অভিমান ভুলে এক বন্ধুকে
দিয়ে দিপাকে ডেকে আনলাম,আচ্ছা দিপা
তুমি কি জানতেনা আমি তোমাকে
ভালোবাসতাম,সবসময় তোমাকে নিয়েই
ভাবতাম,কেনো করলে এমন,দিপা কথা বলে না
চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে।
এবার কিছু না বলেই দিপা চলে গেলো,বন্ধুরা
সবাই বলছে দিপার আশা এবার মন থেকে মুছে
ফেল,কিন্তুু চাইলেই কি আর ভোলা যায়,মুছে
ফেলা যায় চির বাস্তবতাকে।
কিছুদিন অপেক্ষা করলাম দেখি দিপা হয়তো
কিছু বলবে,কিন্তুু কোনোই সাড়া পাইনা,হঠাৎ
একদিন দিপার ফোন রিসিভ করলাম,দিপা
কান্না শুরু করেছে,বুঝলাম না ব্যাপারটা কি,
একটু পরে বলতেছে আমাকে ক্ষমা করে
দিয়েন,আমি কখনোই আপনার হতে পারব
না,বলে সেই যে দিপা কলেজ থেকে চলে
গেল আজো তার কোনো সন্ধান পেলাম
না.......!!
হারার কথা কখনো চিন্তাই করিনা।
কারণ মনে সবসময় বিশ্বাস ছিল আমি
পারবো,নিজের উপর আস্তা অটুট ছিল,তাই আজ
এই পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে আপনাদের
সকলের দোয়াই।
-এস,এস,সি পাশ করার পর ভাবনা ছিল জীবনে
বড় কিছু করব আমি,কিন্তুু সংসারের অভাব আর
দারিদ্রতার কারণে অসম্বব হয়ে পড়ল,গ্রামের
কলেজেই ভর্তি হলাম।ইন্টারে ভর্তি হয়েছি
মাএ সো কলেজে নতুন কেমন যেনো আলাদা
একটা অনুভূতি বিরাজ করছে আমার
মাছে,এভাবেই কিছুদিন কেটে যায়,
মাঝে কিছু ছেলেদের সাথে ভালোই আড্ডা
বাজিতে মেতে উঠি, কয়েকজনের সাথে
ভালো সম্পর্কও গড়ে ওঠে।
টেবিলে বসে বই পড়ছি,হঠাৎ করে দিপা
নামের একজন মেয়ে এসে বলে ভাইয়া আপনার
অর্থনীতি বইটা কি একদিনের জন্য দেওয়া
যাবে,নিজের অজান্তেই অর্থনীতি বইটি
দিয়ে ছিলাম,বাসায় এসে অনেক খোঁজা
খোঁজি করি কোথাও পেলাম না বইটি,পরের
দিন কলেজে পৌঁছা মাএ দিপা বলছে এই নেন
ভাইয়া আপনার বই,ভালো করে দেখে
নিয়েন,পরে কিন্তুু আমায় দোষারুপ করতে
পারবেন না বলে দিলাম,বলেই দিপা চলে
গেলো,মনে হল বইয়ের মাঝে কি যেনো একটা
কাগজ ভাজ করে রাখা আছে,খুলতেই সাদা
একটা কাগজ পেলাম,তাতে লেখা আই,লাই,ইউ
কিন্তুু প্রথমে আপনাকেই বলতে হবে,
দিপা বান্ধবীদের সাথে বসে গল্প
করছিল,গেলেম... দিপা এই নাও তোমার
কাগজটা ভুল করে বইয়ের মাঝে রেখেছিলে।
দিপা বললো ঐই কাগজটা আমার না আপনারই
হবে হয়তো।
রুমে গিয়ে চিন্তা করলাম এ আবার কেমন আজব
মেয়ে বাবা,নাকি অন্য মতলব,পরীক্ষা করার
জন্য আমিও একটু চালাকি করলাম।
বাংলা ক্লাস হচ্ছিলো এমন সময় দিপার
দিকে তাকাতেই দেখি সেও আমার দিকে
বাঁকা চোখে চেয়ে আছে,ক্লাস শেষে
দিপাকে জিঙ্গেস করলাম চলো একদিন
সিনেমা দেখতে যাই সব বন্ধুরা মিলে,আর
দিপা বলে উঠলো কেনো আমরা কি রাস্তা
দেখিনি,কবে যাবে।
আমি তো পুরাই অবাক, মেয়ে বলে
কি,দিপাকে অবশ্য আমারও ভালোই লাগে
জীবন সাথী হিসাবে একদম পারফেক্ট হবে।
.
এরই মধ্যে কলেজে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হচ্ছিলো,
অনুষ্ঠানের আর মাএ দুইদিন বাঁকি রাতে
দিপার ফোন করে বলছে আমি কি নৃত্য করতে
পারব কলেজের অনুষ্ঠানে,তুমি অনুমতি দিলে
তবেই হবে না হলে নাই।
আগামীকাল বলি একটু চিন্তা করতে দাও,রাত
তিনটার দিকে দিপাকে কল দিলাম,দিপা
বলে কি ভাবলা,এবার বলেই দিলাম
আই,লাভ,ইউ দিপা,আমি তোমায় খুব
ভালোবেসে ফেলেছি।
বলা মাএই দিপা হেসে উঠলো,তখন মনটা ভীষন
খারাপ হয়ে গেল,ফোনটা কেটে দিয়ে
বিছানায় এপাশ ওপাশ করছিলাম,দিপা হয়তো
আবার কল দিবে,কিন্তুু কোনো সাড়া পেলাম
না।
পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখলাম আমাকে
দেখেই দিপার বান্ধবীরা হাসাহাসি
করছে,কেমন একটা সন্দেহ হল,ঠিক সেই সময়
দিপার এক বান্ধবী বলে ভাইয়া এদিকে
আসবেন একটু,গেলাম...দেখেন ভাইয়া দিপার
সাথে আমরা বাজি ধরে ছিলাম যদি সে
আপনাকে প্রেমের জালে আটকাতে পারে
তাহলে তাকে আমরা ২০০০ টাকা দিব।
কথাগুলো আমার হৃদয় ভেদ করে কলিজা ছিদ্র
করে দিয়ে গেল,কিছু বুঝি ওঠার আগেই দেখি
আমি হাসপাতালের বেডে"পাশে কয়েকজন
বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে।
হাসপাতাল থেকে বাসায় আসলাম,এর মধ্যে
দিপার সাথে কোনো যোগাযোগ
নেই,দিপাকে কল দিতে গেলাম কিন্তুু দিপার
নম্বর বন্ধ পেলাম,বুঝতে আর বাঁকি রইল
না,আমাকে নিয়ে সত্যি দিপা খেলা করেছে।
কিন্তুু দিপাকে আমার মন প্রাণ দিয়ে
ভালোবেসে ফেলেছি কি করবো এখন বুঝতেও
পারছিনা,প্রায় ৯ দিন পর কলেজে
গেলাম,চোখে পড়লো দিপা বান্ধবীদের সাথে
আড্ডা দিচ্ছে,সব অভিমান ভুলে এক বন্ধুকে
দিয়ে দিপাকে ডেকে আনলাম,আচ্ছা দিপা
তুমি কি জানতেনা আমি তোমাকে
ভালোবাসতাম,সবসময় তোমাকে নিয়েই
ভাবতাম,কেনো করলে এমন,দিপা কথা বলে না
চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে।
এবার কিছু না বলেই দিপা চলে গেলো,বন্ধুরা
সবাই বলছে দিপার আশা এবার মন থেকে মুছে
ফেল,কিন্তুু চাইলেই কি আর ভোলা যায়,মুছে
ফেলা যায় চির বাস্তবতাকে।
কিছুদিন অপেক্ষা করলাম দেখি দিপা হয়তো
কিছু বলবে,কিন্তুু কোনোই সাড়া পাইনা,হঠাৎ
একদিন দিপার ফোন রিসিভ করলাম,দিপা
কান্না শুরু করেছে,বুঝলাম না ব্যাপারটা কি,
একটু পরে বলতেছে আমাকে ক্ষমা করে
দিয়েন,আমি কখনোই আপনার হতে পারব
না,বলে সেই যে দিপা কলেজ থেকে চলে
গেল আজো তার কোনো সন্ধান পেলাম
না.......!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন