ফারিহার আজ অনেক মন খারাপ অনেক।
সাইফের কথা তার বারবার মনে পড়ছে।
কেন জানি সাইফকে সে আজ অনেক মিস
করছে। আজ থেকে ঠিক ৩বছর আগে তাদের
দেখা হয়েছিল একটা অনুষ্ঠানে,সেখানে
হালকা ঝগড়া দিয়ে তাদের কথা বলা শুরু
হয়েছিল। সাইফ ছিল একটু অন্যটাইপের
ছেলে মেয়েদের সাথে কথা বলে নিমিষেই
পটিয়ে ফেলতো। ফারিহার ঝগড়াটে আচরন
তাকে জেদ বারিয়ে দেয় প্রতিশোধ
নেওয়ার,তাই সে কোন এক মাধ্যমে
ফারিহার ফেবু আইডি জোগাড় করে সরি
লিখে বার্তা পাঠায়।ফারিহা প্রো পিক দেখে সাইফকে চিনে ফেলে।রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করে, মেসেজের রিপ্লাই দিল,
-আমি অপরিচিত কারো সাথে চ্যাট করিনা।
-পরিচিত তো হতে পারি।
-একদম না।অপরিচিত মানুষ খুব খারাপ হয়।
-হাহাহা,আমি আগে খারাপ ছিলাম,আজ আপনার ঝগড়ায় একেবারে ভাল মানুষ হয়ে গেছি।
-শুনে প্রীত হলাম।
-আজ ঝগড়া না করলেও পারতেন।(কান্নার ইমু)
-আপনি হুট করে এসে ধাক্কা না খেলে ঝগড়া হতনা।
-আমিতো সরি বলছিলাম।
-ছাই বলছিলেন।এমন ভাবে বলছিলেন আমি ভয় পেয়েছিলাম।
-আপনার কথা শুনে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
-হিহিহি।
এভাবে ১০মাস ধরে তাদের চ্যাট চলতে থাকে।১০মাসের কথায় ও কেউ আপনি থেকে তুমিতে এগোয়নি।
তবে দুজনের মাঝে এক ঝগড়া বাধে তখন যখন সাইফ ফারিহার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল।ফারিহা আস্তে আস্তে ফেসবুকে আসা কমিয়ে দিয়েছিল।সাইফের কিছুই করার ছিলনা।সে ফারিহার উপর শুধু প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।কিন্তু ফারিহার ভালবাসার মায়া জালে আটকে পড়বে কে জানত?
ওহ হে!এই কদিনের মধ্যে ফারিহাকে প্রপোজ করে বসে সাইফ।কিন্তু ফারিহা তা নিমিষেই উড়িয়ে দিয়েছিল।অনেকবার জোর করেছিল ফারিহাকে,দেখা করার জন্যে।কিন্তু ফারিহা সবসময় না করে দিত।
কিন্তু কি মনে করে একদিন রাজি হয়ে যায় ফারিহা । সাইফও বেজায় খুশি । সে ১৪ই ফেব্রুয়ারীতেই দেখা করার তারিখ ঠিক করে, একটি রেস্টুরেন্ট এ ।
১৪ই ফেব্রুয়ারি,
আজ সাইফের দেখা করার কথা । সে যথা টাইমের রেডি হয়ে বের হলো ।রেস্টুরেন্টে দুইঘন্টা ধরে বসে থাকার পরও কেউ না আসায় সে আশাহত হয়ে চলে যেতে উদ্যত হল।
কাউন্টারে বিল দিয়ে বের হচ্ছে এমন সময় একটা মেয়ে হুরমুড় করে ঢুকলো । অসম্ভব সুন্দর দেখতে, সবুজ শাড়ি পড়ে এসেছে । চোখ ফেরানো দায় । মেয়েটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, হঠাত্ সাইফের দিকে চোখ পড়ায় কেমন যেন থমকে গেল , যেন কিছু বোঝার চেষ্টা করছে । তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো।
- “আপনি সাইফ ?”
-জ্বী
- সরি লেট হয়ে গেছে
- কি লেট হয়ে গেছে ?
- ন্যাকা নাকি ? আপনিই তো আমাকে দেখা করার জন্যে গত কয়েকদিন ধরে মাথা খারাপ করে দিচ্ছেন । আমার আগে দেখেন নি ? নাকি এখন ইচ্ছা করে না চেনার ভান করছেন ?
সাইফ কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে তাকিয়ে আছে । সে বুঝতে পারছে না কি ঘটছে । এসবের জন্যে সে প্রস্তুত ছিল না ।
- আপনি কি ফারিহা ?
- কেন এখনো কোন সন্দেহ আছে নাকি?
-না মানে,আপনাকে ঠিক চিনতে পারিনি প্রথমে।
-আগে দেখেন নি?
-দেখেছিলাম।কিন্তু তখনকার ফারিহা আর বর্তমান ফারিহার অনেক অমিল।
-আগের চেয়ে আরো খারাপ দেখতে লাগছে?
-তা ঠিক।
-কি???
-ওহ সরি।
-তাহলে!!!
-বেসম্ভভ সুন্দর।
হাসছে ফারিহা।এই প্রথম সাইফ ফারিহার হাসি খুব কাছ থেকে দেখছে।এই হাসিতেই ফারিহাকে খুব সুন্দর লাগে।ফারিহাও আড়চোখে বারবার সাইফকে দেখছিল।
-এই যে মিস্টার!!(ফারিহা)
-__________
-ও হ্যালো।
-জ্বী বলেন।
-কি দেখছেন এমন করে।
-আপনাকে বেশ মানিয়েছে।
-একটা কথা বলি??
-একটা কেন?যত ইচ্ছা তত করুন।
-শুনার সময় আছে তো?
-দরকার হলে সারাজীবন ধরে আপনার কথা শুনব।
-বাব্বাহ!!বাংলা সিনেমা দেখেন বুঝি?
-কেন?
-না এমনি।আপনি চাইলে তুমি করে বলতে পারেন।
-হুম বলা যায়,তবে আপনাকেও বলতে হবে।
-আচ্ছা।
সাইফ কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছে । এরকম অপ্রস্তুত অবস্থায় সে আগে পড়ে নি । তাই কি করতে হবে তা সে বুঝতে পারছে না ।
সাইফ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ফারিহার দিকে, ফারিহাও কটমট করে তাকিয়ে আছে সাইফের দিকে ।
অতঃপর কি ঘটিল ? তাদেরকে বাংলার ছিনেমার মত হঠাত্ বৃষ্টির মধ্যে নাচগান করতে দেখা যায় নি, কিংবা ইংরেজদের মত চরম রোমান্টিক অবস্থায়ও দেখা যায় নি । তবে আশা করা যায় যে তারা সুখে শান্তিতে একসাথে পরবর্তি জীবন পার করবে।
ব্যাস!!!শুরু হল তাদের প্রেম কাহিনী।
তারপর দুজনে একই ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া,ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া,রাগ,অভিমান,ঝগড়া,ভালবাসা,কেয়ারিং,শেয়ারিং এসব নিয়েই ২বছর কেটে যায়।
কি ভাবছেন?কাহিনী শেষ?
আরে না,কাহিনীতো সবেমাত্র শুরু হল। ফারিহা,সাইফ ভালবাসা কি বুঝতে সময় লেগেছিল ২বছর ১১মাস ২৩দিন।দিনটি ছিল ০১ই ফেব্রুয়ারি।
প্রতিদিনের মত দুজনেই ভার্সিটি গিয়েছিল।তারা আগেই প্ল্যান করে রেখেছিল ক্লাস শেষে একসাথে ঘুরতে যাবে।কিন্তু সাইফ কোন এক কাজে ক্লাসের আগেই বাসায় চলে যায়।
বিপত্তি তখন বাধল যখন ফারিহা সাইফের জন্যে ২ঘন্টা অপেক্ষা করেও সাইফ আসল না। আসলে সাইফ ফারিহাকে বলে যায়নি।তাই ফারিহা রেগেমেগে আগুন হয়ে সাইফকে ফোন দেয়
-হ্যালো জানু,মনু।(সাইফ)
-গুল্লি মারি,জানু মনুর।আমাকে একা রেখে কোথায় চলে গেলে?
-আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কোন দেশে যাবা চইলা।(গান ধরে সাইফ)
-আমাকে আর ফোন দিবেনা।
-এই শুন____
কথা শেষ হওয়ার আগেই ফোন কেটে দেয় ফারিহা।
৭দিন হয়ে গেল কেউ কারো সাথে কোন কথা বলেনা।ক্যাম্পাসে দেখলে ভেংচি কাটে দুজনে।ফারিহা বুঝেনা ছেলেটি এমন কেন?হয়ত একটু ও ভালবাসেনা ফারিহা।কিন্তু ফারিহা যে সাইফকে খুব ভালবাসে।সাইফের কথা ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে যায় ফারিহার।
পরদিন ক্যাম্পাসে,
দুজনেই বেঞ্চিতে বসে আছে।আসলে সাইফকে একা বসে থাকতে দেখেই ফারিহা তার পাশে এসে বসে।
- সরি, ওইদিন আসলে... (সাইফ)
- সাইফ আমি তোমার কাছে কোনো কৈফিয়ত চাইনি!(ফারিহা)
- না মানে আসলে....
মুখ কালো করে দাঁড়িয়ে আছে সাইফ! অবাক হয়ে ওকে দেখছে ফারিহা! সাইফের এই রূপ আগে দেখেনি ও! সাইফ এতোটা বোকা না যে ফারিহার রাগ ভাঙাতে এভাবে তাকিয়ে থাকবে! হঠাৎ ফারিহার হাতটা নিজের হাতে তুলে নিল সাইফ!
- শোন ফারিহা, আমি এই সাতদিন কিভাবে কাটিয়েছি জাননা।তুমি কি মনে কর একটুও ভালবাসি না তোমাকে?আমি অতটা নিষ্টুর না।
-ভালবাসা না ছাই।(হাসছে ফারিহা)
সাইফ ও হাসছে! বাইরে থেকে যতোটাই নির্লিপ্ত থাকুক না কেন ভিতরে ভিতরে এই পাগলামিটুকুর জন্যই সে অস্থির হয়ে থাকে! কারণ এই পাগলি আর তার পাগলামিটুকুই তার ভালোবাসা!
সাইফের কথা তার বারবার মনে পড়ছে।
কেন জানি সাইফকে সে আজ অনেক মিস
করছে। আজ থেকে ঠিক ৩বছর আগে তাদের
দেখা হয়েছিল একটা অনুষ্ঠানে,সেখানে
হালকা ঝগড়া দিয়ে তাদের কথা বলা শুরু
হয়েছিল। সাইফ ছিল একটু অন্যটাইপের
ছেলে মেয়েদের সাথে কথা বলে নিমিষেই
পটিয়ে ফেলতো। ফারিহার ঝগড়াটে আচরন
তাকে জেদ বারিয়ে দেয় প্রতিশোধ
নেওয়ার,তাই সে কোন এক মাধ্যমে
ফারিহার ফেবু আইডি জোগাড় করে সরি
লিখে বার্তা পাঠায়।ফারিহা প্রো পিক দেখে সাইফকে চিনে ফেলে।রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করে, মেসেজের রিপ্লাই দিল,
-আমি অপরিচিত কারো সাথে চ্যাট করিনা।
-পরিচিত তো হতে পারি।
-একদম না।অপরিচিত মানুষ খুব খারাপ হয়।
-হাহাহা,আমি আগে খারাপ ছিলাম,আজ আপনার ঝগড়ায় একেবারে ভাল মানুষ হয়ে গেছি।
-শুনে প্রীত হলাম।
-আজ ঝগড়া না করলেও পারতেন।(কান্নার ইমু)
-আপনি হুট করে এসে ধাক্কা না খেলে ঝগড়া হতনা।
-আমিতো সরি বলছিলাম।
-ছাই বলছিলেন।এমন ভাবে বলছিলেন আমি ভয় পেয়েছিলাম।
-আপনার কথা শুনে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
-হিহিহি।
এভাবে ১০মাস ধরে তাদের চ্যাট চলতে থাকে।১০মাসের কথায় ও কেউ আপনি থেকে তুমিতে এগোয়নি।
তবে দুজনের মাঝে এক ঝগড়া বাধে তখন যখন সাইফ ফারিহার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল।ফারিহা আস্তে আস্তে ফেসবুকে আসা কমিয়ে দিয়েছিল।সাইফের কিছুই করার ছিলনা।সে ফারিহার উপর শুধু প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।কিন্তু ফারিহার ভালবাসার মায়া জালে আটকে পড়বে কে জানত?
ওহ হে!এই কদিনের মধ্যে ফারিহাকে প্রপোজ করে বসে সাইফ।কিন্তু ফারিহা তা নিমিষেই উড়িয়ে দিয়েছিল।অনেকবার জোর করেছিল ফারিহাকে,দেখা করার জন্যে।কিন্তু ফারিহা সবসময় না করে দিত।
কিন্তু কি মনে করে একদিন রাজি হয়ে যায় ফারিহা । সাইফও বেজায় খুশি । সে ১৪ই ফেব্রুয়ারীতেই দেখা করার তারিখ ঠিক করে, একটি রেস্টুরেন্ট এ ।
১৪ই ফেব্রুয়ারি,
আজ সাইফের দেখা করার কথা । সে যথা টাইমের রেডি হয়ে বের হলো ।রেস্টুরেন্টে দুইঘন্টা ধরে বসে থাকার পরও কেউ না আসায় সে আশাহত হয়ে চলে যেতে উদ্যত হল।
কাউন্টারে বিল দিয়ে বের হচ্ছে এমন সময় একটা মেয়ে হুরমুড় করে ঢুকলো । অসম্ভব সুন্দর দেখতে, সবুজ শাড়ি পড়ে এসেছে । চোখ ফেরানো দায় । মেয়েটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, হঠাত্ সাইফের দিকে চোখ পড়ায় কেমন যেন থমকে গেল , যেন কিছু বোঝার চেষ্টা করছে । তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো।
- “আপনি সাইফ ?”
-জ্বী
- সরি লেট হয়ে গেছে
- কি লেট হয়ে গেছে ?
- ন্যাকা নাকি ? আপনিই তো আমাকে দেখা করার জন্যে গত কয়েকদিন ধরে মাথা খারাপ করে দিচ্ছেন । আমার আগে দেখেন নি ? নাকি এখন ইচ্ছা করে না চেনার ভান করছেন ?
সাইফ কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে তাকিয়ে আছে । সে বুঝতে পারছে না কি ঘটছে । এসবের জন্যে সে প্রস্তুত ছিল না ।
- আপনি কি ফারিহা ?
- কেন এখনো কোন সন্দেহ আছে নাকি?
-না মানে,আপনাকে ঠিক চিনতে পারিনি প্রথমে।
-আগে দেখেন নি?
-দেখেছিলাম।কিন্তু তখনকার ফারিহা আর বর্তমান ফারিহার অনেক অমিল।
-আগের চেয়ে আরো খারাপ দেখতে লাগছে?
-তা ঠিক।
-কি???
-ওহ সরি।
-তাহলে!!!
-বেসম্ভভ সুন্দর।
হাসছে ফারিহা।এই প্রথম সাইফ ফারিহার হাসি খুব কাছ থেকে দেখছে।এই হাসিতেই ফারিহাকে খুব সুন্দর লাগে।ফারিহাও আড়চোখে বারবার সাইফকে দেখছিল।
-এই যে মিস্টার!!(ফারিহা)
-__________
-ও হ্যালো।
-জ্বী বলেন।
-কি দেখছেন এমন করে।
-আপনাকে বেশ মানিয়েছে।
-একটা কথা বলি??
-একটা কেন?যত ইচ্ছা তত করুন।
-শুনার সময় আছে তো?
-দরকার হলে সারাজীবন ধরে আপনার কথা শুনব।
-বাব্বাহ!!বাংলা সিনেমা দেখেন বুঝি?
-কেন?
-না এমনি।আপনি চাইলে তুমি করে বলতে পারেন।
-হুম বলা যায়,তবে আপনাকেও বলতে হবে।
-আচ্ছা।
সাইফ কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছে । এরকম অপ্রস্তুত অবস্থায় সে আগে পড়ে নি । তাই কি করতে হবে তা সে বুঝতে পারছে না ।
সাইফ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ফারিহার দিকে, ফারিহাও কটমট করে তাকিয়ে আছে সাইফের দিকে ।
অতঃপর কি ঘটিল ? তাদেরকে বাংলার ছিনেমার মত হঠাত্ বৃষ্টির মধ্যে নাচগান করতে দেখা যায় নি, কিংবা ইংরেজদের মত চরম রোমান্টিক অবস্থায়ও দেখা যায় নি । তবে আশা করা যায় যে তারা সুখে শান্তিতে একসাথে পরবর্তি জীবন পার করবে।
ব্যাস!!!শুরু হল তাদের প্রেম কাহিনী।
তারপর দুজনে একই ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া,ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া,রাগ,অভিমান,ঝগড়া,ভালবাসা,কেয়ারিং,শেয়ারিং এসব নিয়েই ২বছর কেটে যায়।
কি ভাবছেন?কাহিনী শেষ?
আরে না,কাহিনীতো সবেমাত্র শুরু হল। ফারিহা,সাইফ ভালবাসা কি বুঝতে সময় লেগেছিল ২বছর ১১মাস ২৩দিন।দিনটি ছিল ০১ই ফেব্রুয়ারি।
প্রতিদিনের মত দুজনেই ভার্সিটি গিয়েছিল।তারা আগেই প্ল্যান করে রেখেছিল ক্লাস শেষে একসাথে ঘুরতে যাবে।কিন্তু সাইফ কোন এক কাজে ক্লাসের আগেই বাসায় চলে যায়।
বিপত্তি তখন বাধল যখন ফারিহা সাইফের জন্যে ২ঘন্টা অপেক্ষা করেও সাইফ আসল না। আসলে সাইফ ফারিহাকে বলে যায়নি।তাই ফারিহা রেগেমেগে আগুন হয়ে সাইফকে ফোন দেয়
-হ্যালো জানু,মনু।(সাইফ)
-গুল্লি মারি,জানু মনুর।আমাকে একা রেখে কোথায় চলে গেলে?
-আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কোন দেশে যাবা চইলা।(গান ধরে সাইফ)
-আমাকে আর ফোন দিবেনা।
-এই শুন____
কথা শেষ হওয়ার আগেই ফোন কেটে দেয় ফারিহা।
৭দিন হয়ে গেল কেউ কারো সাথে কোন কথা বলেনা।ক্যাম্পাসে দেখলে ভেংচি কাটে দুজনে।ফারিহা বুঝেনা ছেলেটি এমন কেন?হয়ত একটু ও ভালবাসেনা ফারিহা।কিন্তু ফারিহা যে সাইফকে খুব ভালবাসে।সাইফের কথা ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে যায় ফারিহার।
পরদিন ক্যাম্পাসে,
দুজনেই বেঞ্চিতে বসে আছে।আসলে সাইফকে একা বসে থাকতে দেখেই ফারিহা তার পাশে এসে বসে।
- সরি, ওইদিন আসলে... (সাইফ)
- সাইফ আমি তোমার কাছে কোনো কৈফিয়ত চাইনি!(ফারিহা)
- না মানে আসলে....
মুখ কালো করে দাঁড়িয়ে আছে সাইফ! অবাক হয়ে ওকে দেখছে ফারিহা! সাইফের এই রূপ আগে দেখেনি ও! সাইফ এতোটা বোকা না যে ফারিহার রাগ ভাঙাতে এভাবে তাকিয়ে থাকবে! হঠাৎ ফারিহার হাতটা নিজের হাতে তুলে নিল সাইফ!
- শোন ফারিহা, আমি এই সাতদিন কিভাবে কাটিয়েছি জাননা।তুমি কি মনে কর একটুও ভালবাসি না তোমাকে?আমি অতটা নিষ্টুর না।
-ভালবাসা না ছাই।(হাসছে ফারিহা)
সাইফ ও হাসছে! বাইরে থেকে যতোটাই নির্লিপ্ত থাকুক না কেন ভিতরে ভিতরে এই পাগলামিটুকুর জন্যই সে অস্থির হয়ে থাকে! কারণ এই পাগলি আর তার পাগলামিটুকুই তার ভালোবাসা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন