তখন রাত প্রায় দুটো বাজে, অভি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে বসে নিরবে কেদে যাচ্ছে।
কারণ তার ভালবাসা পাখিটা অাজ মৃত্যুরপথযাত্রি। ডাক্তার বলেছে ১ঘন্টার মদ্ধে A+ রক্ত লাগবে তা না হলে নীলাকে বাচানো সম্ভব না। এত রাতে অভি রক্ত কোথায় পাবে, ব্লাড ব্যাংকেও রক্ত নেই।
তাছাড়া এত রাতে রক্ত দেয়ার মত কাউকে খুজেও পাওয়া যাচ্ছেনা। কিন্তু ডাক্তার সময় দিয়েছে মাত্র ১ ঘন্টা, ঘড়ির কাটা তখন মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে যাচ্ছে।
কি অার করবে?
অভি চিৎকার করে কাদছে তখন, কিন্তু কে শুনবে তার চিৎকার?
মনে হয় তার চিৎকার শব্দহীন।
.
অভি অার নিলার বিবাহিত জীবন অাজ ১বছরের মত হবে, কিন্তু এখনো কোন শারীরিক সম্পর্ক হয়নি তাদের। সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় নীলাকে কোন সময় দিতে পারতো না অভি।
অবশ্য নিজেকে ইচ্ছে করেই ব্যস্ততার মাঝে লুকিয়ে রাখে। অভি প্রতিদিন অনেক রাত করে বাসায় ফিরতো,
অাবার সকালে নাস্তা না করেই অফিসে চলে যেত।
নীলা অভির সব পছন্দের খাবার রান্না করে রাখতো, কিন্ত অভি না খেয়েই অফিসে চলে যেত, এমনকি রাতেও বাসায় খায়না। নিলা সব সময় কাঁদতো অার এর কারন খুজতো, অভি কেন নীলার সাথে এমন করে। নীলা অনেক সময় ভাবতো বাবার বাড়ি চলে যাবে কিন্তু বাবা শুনলে কষ্ট পাবে তাই অার যাওয়া হতনা,
.
নীলা সেই তারা ভরা অাকাশের চাদঁ দেখতে খুব পছন্দ করে। অভিকে অনেক বলতো প্লিজ আজ একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এসো দুজন এক সাথে চাদঁ দেখবো, অাইসক্রিম খাবো। দুষ্টুমিষ্টির গল্প বলবো। কিন্তু অভি ইচ্ছে করেই অনেক রাতে বাসায় ফিরে, নীলা প্রতিদিন খাবার নিয়ে রাতে অপেক্ষা করতো কিন্তু অভি প্রতিদিন বাহির থেকে খেয়ে এসেই শুয়ে পড়ে।
ওদিকে খাবার টেবিলে বসে কেঁদে কেঁদে রাত পার করে দিতো নীলা। কিন্তু তার কান্না শব্দহীন, নিরবে কেঁদে যায় মেয়েটি
.
অভি বুঝতে পারতো যে নীলা সারা রাত না ঘুমিয়ে শুধু কেঁদেছে।
ঘুম থেকে উঠে দেখে খাবার টেবিলে বসে বসে ঝিমাচ্ছে নীলা।
কিন্তু অভি দেখেও না দেখের ভান করে চলে যায়।
ভাবছেন অভি কেন নীলার সাথে এমন করছে?
অভি একটি মেয়েকে খুব ভালবাসতো মেয়েটির নাম ছিলো অানিকা,
অানিকাও অভিকে খুব ভালবাসতো।
অভি তখন একটি বেকার মানুষ ছিলেন,
কোন চাকরি খুজে না পাওয়ায় অানিকার অন্য কোথায় বিয়ে হয়ে যায়।
অভি অানিকাকে কিন্তু এখনো অনেক ভালবাসে।
যে কারনে নীলাকে সে মেনে নিতে পারছেনা। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো অানিকার বিয়ে হয়ে গেছে সেটা জানার পরও তাকে এখনো ভালাবাসে।
.
তবে নীলাও কিন্তু অভিকে খুব ভালবাসে,
যদিও অভি অানিকা'কে এখনো ভুলতে পারেনি তাই নীলাকে নিজের মনে যায়গা করে দিতে পারেনি। বাবার কারণে বিয়েটি করতে বাদ্ধ হতে হয়।
প্রতিদিনের মত অাজও অভি রাত ১টা বাজে বাসায় ফিরে,
সব সময় কলিং বেল বাজার সাথে সাথেই নীলা দরজা খুলতো, কিন্তু অাজ দরজা খুলছেনা।
একটু ভয় পেয়ে দরজাটা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নীলাকে খুজার চেষ্টা করছে অভি।
কিচেনে গিয়ে দেখে নীলা ফ্লোরে পড়ে অাছে, অনেক রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।
সাথে সাথেই পাসেরই এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থা তখন খুব খারাপের দিকে।
.
অভি তখন বুঝতে পারে সে কি হারাচ্ছে। ভালবাসা যখন নিজের সামনে সব সময় থাকে তখন সেটার মুল্য দেয়ার প্রয়জন মনে হয়না, কিন্তু যখন সেটা দূরে কোথায় যাওয়ার পথে তখন সেটার মুল্য বুঝা যায়। কিছু সময় পর ডাক্তার এসে বললো,
৩০ মিনিটের ভিতরে রক্ত লাগবে, না হলে অাপনার স্ত্রীকে বাচানো যাবেনা।
অভি অনেক বন্ধু/বান্ধবকে কল দিচ্ছে কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। এত রাতে হয়তো সবাই ঘুমাচ্ছে। অভি তখন দৌড়ে চলে গেলো অপরিচিত কিছু মানুষের সামনে এই অাশায় যদি কেউ রক্ত ডোনেট করে।
.
পাগলের মত ছুটাছুটি করছে, কিন্তু কোন উপায় ই খুজে পাচ্ছেনা।
২০মিনিট পর অাবারো হাসপাতালে ফিরে অাসে, অাশা তখন হারিয়ে গেছে অভির।
কি অার করার সব ভুল তো তার নিজেরই পাগলী টা কত ভালবাসতো অামাকে।
কিন্তু অামি বুঝার চেষ্টা করিনি কখনো।
খুব অবহেলা করেছি অামি, অামার কারনে অাজ নীলার এমন অবস্থা। পাগলীর কিছু হলে নিজেকে তো অনেক বড় অপরাধী মনে হবে।
(মনে মনে ভাবছে কথা গুলো)
.
কিছু সময় পর পরিচিত এক কন্ঠ ভেসে অাসলো সেই হাসপাতালে, শব্দটি ছিলো 'অামি রক্ত দিব' অভির নিচু হয়ে থাকা মাথাটি এবার উপরে তুলে দেখে সেই অানিকা।
অভি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অাছে। কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে সে কিন্তু বলতে পারছেনা।
অানিকা অভির অনেক কাছে এসে বলে,অামি রক্ত দিবো।
অভি তখন নতুন প্রান ফিরে পেলো মনে হয়, অবশেষে অভি একটু হেসে বললো
-তুমি এখানে? (অভি)
-সেটা জানতে হবেনা, (অানিকা)
-তুমি কিভাবে জানলে নীলার রক্তের প্রয়জন?
- বলেছিনা জানতে হবে না, মানুষকে ভালবাসতে শিখো অাগে
-সত্যি অামি ভালবাসতে জানিনা, তাইতো তোমাকে কাছ থেকে পাওয়া হয়নি! অার অাজ নীলাও চলে যাওয়ার পথে।
-কিছু হবেনা ওর।
.
অানিকা রক্ত দেয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে চলে যায়।
অতঃপর নিলা সুস্থ হয়ে যায়, অানিকা অভিকে বলেছিলো, বেচারা নিলা তোমাকে অনেক ভালবাসে। প্লিজ ওর ভালবাসার উপযুক্ত সম্মান তুমি দিও।
এরপর থেকে অভি নিলার খুব কেয়ার করে।
এখন সন্ধা হলেই অফিস থেকে ফিরে অাসে, সাথে করে নীলার পছন্দের আইসক্রিম-চকলেট নিয়ে অাসে।
দুজন এক সাথে চাদঁ দেখে মিষ্টি গল্প করে।
সুন্দর সুন্দর কবিতা বলে।
এখন নীলাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেসি ভালবাসে অভি।
নীলার সব ইচ্ছে পুরোনের চেষ্টা করে, এবং তাদের ভালবাসা অনেক গভির হতে থাকে।
কারণ তার ভালবাসা পাখিটা অাজ মৃত্যুরপথযাত্রি। ডাক্তার বলেছে ১ঘন্টার মদ্ধে A+ রক্ত লাগবে তা না হলে নীলাকে বাচানো সম্ভব না। এত রাতে অভি রক্ত কোথায় পাবে, ব্লাড ব্যাংকেও রক্ত নেই।
তাছাড়া এত রাতে রক্ত দেয়ার মত কাউকে খুজেও পাওয়া যাচ্ছেনা। কিন্তু ডাক্তার সময় দিয়েছে মাত্র ১ ঘন্টা, ঘড়ির কাটা তখন মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে যাচ্ছে।
কি অার করবে?
অভি চিৎকার করে কাদছে তখন, কিন্তু কে শুনবে তার চিৎকার?
মনে হয় তার চিৎকার শব্দহীন।
.
অভি অার নিলার বিবাহিত জীবন অাজ ১বছরের মত হবে, কিন্তু এখনো কোন শারীরিক সম্পর্ক হয়নি তাদের। সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় নীলাকে কোন সময় দিতে পারতো না অভি।
অবশ্য নিজেকে ইচ্ছে করেই ব্যস্ততার মাঝে লুকিয়ে রাখে। অভি প্রতিদিন অনেক রাত করে বাসায় ফিরতো,
অাবার সকালে নাস্তা না করেই অফিসে চলে যেত।
নীলা অভির সব পছন্দের খাবার রান্না করে রাখতো, কিন্ত অভি না খেয়েই অফিসে চলে যেত, এমনকি রাতেও বাসায় খায়না। নিলা সব সময় কাঁদতো অার এর কারন খুজতো, অভি কেন নীলার সাথে এমন করে। নীলা অনেক সময় ভাবতো বাবার বাড়ি চলে যাবে কিন্তু বাবা শুনলে কষ্ট পাবে তাই অার যাওয়া হতনা,
.
নীলা সেই তারা ভরা অাকাশের চাদঁ দেখতে খুব পছন্দ করে। অভিকে অনেক বলতো প্লিজ আজ একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এসো দুজন এক সাথে চাদঁ দেখবো, অাইসক্রিম খাবো। দুষ্টুমিষ্টির গল্প বলবো। কিন্তু অভি ইচ্ছে করেই অনেক রাতে বাসায় ফিরে, নীলা প্রতিদিন খাবার নিয়ে রাতে অপেক্ষা করতো কিন্তু অভি প্রতিদিন বাহির থেকে খেয়ে এসেই শুয়ে পড়ে।
ওদিকে খাবার টেবিলে বসে কেঁদে কেঁদে রাত পার করে দিতো নীলা। কিন্তু তার কান্না শব্দহীন, নিরবে কেঁদে যায় মেয়েটি
.
অভি বুঝতে পারতো যে নীলা সারা রাত না ঘুমিয়ে শুধু কেঁদেছে।
ঘুম থেকে উঠে দেখে খাবার টেবিলে বসে বসে ঝিমাচ্ছে নীলা।
কিন্তু অভি দেখেও না দেখের ভান করে চলে যায়।
ভাবছেন অভি কেন নীলার সাথে এমন করছে?
অভি একটি মেয়েকে খুব ভালবাসতো মেয়েটির নাম ছিলো অানিকা,
অানিকাও অভিকে খুব ভালবাসতো।
অভি তখন একটি বেকার মানুষ ছিলেন,
কোন চাকরি খুজে না পাওয়ায় অানিকার অন্য কোথায় বিয়ে হয়ে যায়।
অভি অানিকাকে কিন্তু এখনো অনেক ভালবাসে।
যে কারনে নীলাকে সে মেনে নিতে পারছেনা। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো অানিকার বিয়ে হয়ে গেছে সেটা জানার পরও তাকে এখনো ভালাবাসে।
.
তবে নীলাও কিন্তু অভিকে খুব ভালবাসে,
যদিও অভি অানিকা'কে এখনো ভুলতে পারেনি তাই নীলাকে নিজের মনে যায়গা করে দিতে পারেনি। বাবার কারণে বিয়েটি করতে বাদ্ধ হতে হয়।
প্রতিদিনের মত অাজও অভি রাত ১টা বাজে বাসায় ফিরে,
সব সময় কলিং বেল বাজার সাথে সাথেই নীলা দরজা খুলতো, কিন্তু অাজ দরজা খুলছেনা।
একটু ভয় পেয়ে দরজাটা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নীলাকে খুজার চেষ্টা করছে অভি।
কিচেনে গিয়ে দেখে নীলা ফ্লোরে পড়ে অাছে, অনেক রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।
সাথে সাথেই পাসেরই এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থা তখন খুব খারাপের দিকে।
.
অভি তখন বুঝতে পারে সে কি হারাচ্ছে। ভালবাসা যখন নিজের সামনে সব সময় থাকে তখন সেটার মুল্য দেয়ার প্রয়জন মনে হয়না, কিন্তু যখন সেটা দূরে কোথায় যাওয়ার পথে তখন সেটার মুল্য বুঝা যায়। কিছু সময় পর ডাক্তার এসে বললো,
৩০ মিনিটের ভিতরে রক্ত লাগবে, না হলে অাপনার স্ত্রীকে বাচানো যাবেনা।
অভি অনেক বন্ধু/বান্ধবকে কল দিচ্ছে কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। এত রাতে হয়তো সবাই ঘুমাচ্ছে। অভি তখন দৌড়ে চলে গেলো অপরিচিত কিছু মানুষের সামনে এই অাশায় যদি কেউ রক্ত ডোনেট করে।
.
পাগলের মত ছুটাছুটি করছে, কিন্তু কোন উপায় ই খুজে পাচ্ছেনা।
২০মিনিট পর অাবারো হাসপাতালে ফিরে অাসে, অাশা তখন হারিয়ে গেছে অভির।
কি অার করার সব ভুল তো তার নিজেরই পাগলী টা কত ভালবাসতো অামাকে।
কিন্তু অামি বুঝার চেষ্টা করিনি কখনো।
খুব অবহেলা করেছি অামি, অামার কারনে অাজ নীলার এমন অবস্থা। পাগলীর কিছু হলে নিজেকে তো অনেক বড় অপরাধী মনে হবে।
(মনে মনে ভাবছে কথা গুলো)
.
কিছু সময় পর পরিচিত এক কন্ঠ ভেসে অাসলো সেই হাসপাতালে, শব্দটি ছিলো 'অামি রক্ত দিব' অভির নিচু হয়ে থাকা মাথাটি এবার উপরে তুলে দেখে সেই অানিকা।
অভি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অাছে। কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে সে কিন্তু বলতে পারছেনা।
অানিকা অভির অনেক কাছে এসে বলে,অামি রক্ত দিবো।
অভি তখন নতুন প্রান ফিরে পেলো মনে হয়, অবশেষে অভি একটু হেসে বললো
-তুমি এখানে? (অভি)
-সেটা জানতে হবেনা, (অানিকা)
-তুমি কিভাবে জানলে নীলার রক্তের প্রয়জন?
- বলেছিনা জানতে হবে না, মানুষকে ভালবাসতে শিখো অাগে
-সত্যি অামি ভালবাসতে জানিনা, তাইতো তোমাকে কাছ থেকে পাওয়া হয়নি! অার অাজ নীলাও চলে যাওয়ার পথে।
-কিছু হবেনা ওর।
.
অানিকা রক্ত দেয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে চলে যায়।
অতঃপর নিলা সুস্থ হয়ে যায়, অানিকা অভিকে বলেছিলো, বেচারা নিলা তোমাকে অনেক ভালবাসে। প্লিজ ওর ভালবাসার উপযুক্ত সম্মান তুমি দিও।
এরপর থেকে অভি নিলার খুব কেয়ার করে।
এখন সন্ধা হলেই অফিস থেকে ফিরে অাসে, সাথে করে নীলার পছন্দের আইসক্রিম-চকলেট নিয়ে অাসে।
দুজন এক সাথে চাদঁ দেখে মিষ্টি গল্প করে।
সুন্দর সুন্দর কবিতা বলে।
এখন নীলাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেসি ভালবাসে অভি।
নীলার সব ইচ্ছে পুরোনের চেষ্টা করে, এবং তাদের ভালবাসা অনেক গভির হতে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন