বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

ভেঙে গেছে

কাব্য এই কাব্য এখানে আসো একটু।
- কি হইছে?
- কি হইছে মানে! আমি কি তোমাকে কারণ ছাড়া ডাকতে পারি না নাকি??
- সাথী কি বলো এসব,, এমন করে বলো না প্লিজ।
- তাহলে তুমি ওভাবে বললে কেন?
- আচ্ছা বাবা সরি, আর এমন হবে না।
- কান ধরে বলো।
- এইযে মহারাণী কান ধরলাম হইছে এখন?
- হুম, এবার চল।
- কই যাব?
- কলেজে ব্রেক টাইম, ক্যান্টিনে যাব।
- আচ্ছা জান চলো,
- পাগল একটা,
- তোমার জন্য।
- যা শয়তান কোথাকার।
- হিহিহি পেত্নীর শয়তান।
- কিইইইই, আমি পেত্নী।
- এইইইই না, আমি সেটা বলি নি।
- সেটা বলি নি না, আমাকে আর ভালো লাগে না তাই না, আমার জন্য ভালবাসা কমে গেছে তাই না। তার জন্য আগে আমাকে বলতে পরী আর এখন বলো পেত্নী। উহুঁ উহুঁ,,
- আরে এই পাগলী কাঁদছো কেন? আমি সত্যি বলছি ওভাবে বলতে চাইনি। তুমি কি থেকে কি ভাবো না, নিজেও জানো না।
- তাহলে বললে কেন? আমি পেত্নী?
- উফফফ বাবা, শয়তানের সাথে তো পেত্নীই মানায় তাই না।
- হুম।
- তাহলে আমি শয়তান হলে তুমি পেত্নী।
- আবার,,, আম্মুওওওও।।
- এই চুপ চুপ ( মুখ চেপে ধরলাম) এই পাগলী কি করছো, কলেজে এসে কেউ এভাবে কাদে নাকি?? সবাই পাগল বলবো তো।
আচ্ছা, বাবা " আবার কানে ধরছি, তুমি আমার মিষ্টি পরী। এবার হইছে?
- আবার তো ওটা বলবা না?
- একদম না। ( হাত দিয়ে চোখের পানি টা মুছিয়ে দিলাম)
এবার চল।
.
উহ্ গড, একে নিয়ে কি করি না,,, এতো কান্না যে কই থাকে? একটু কিছু বলা যায় না, ওমনি বাচ্চাদের মতো কান্না করে।
এতো অল্প কিছুতে শুধু তার জন্যই কাদা যায়, যাকে মন থেকে অনেক ভালবাসা যায়। আর ওই কান্নারত কিউট পাগলী পরীটাও আমাকে অনেক ভালবাসে। তারজন্যই আমি ওকে নিয়ে একটু কিছু বাজে বললেই কেদে দেয়। আমার কাছে যেটা ফাজলামো আর দুষ্টামির ওর কাছে সেটা খারাপ লাগা কষ্টের। তাই কেদে দেয়, আর আমিও কিছু বলতে পারি না।
.
আমি কাব্য। আর ও সাথী। দুজনেই একই ক্লাসে পড়ি। এবার অনার্স ফাস্ট ইয়ার। আমাদের ভালবাসার শুরু অনেক আগে থেকেই। ইন্টারে থাকার সময়ই আমাদের ভালবাসার জন্ম। আর সেখান থেকেই আমাদের প্রেম চলে আসছে। এই কয়েক বছরে দুজন দুজনের অনেক কাছাকাছি চলে আসছি। একদম দুই দেহ এক প্রাণ। আমার বিশ্বাস আমাদের এ ভালবাসা সারা জীবনই আমাদের দুজনের মাঝে থাকবে।
.
আমরা যখন ইন্টারে পড়ি, মানে ফাস্ট ইয়ার। তখন থেকেই আমাদের চোখাচোখি হতো। নতুন ভর্তি হওয়া কলেজে এই মেয়ের প্রতিই প্রথম ক্রাশ খাই। তখন আমরা দুজনেই গাজীপুর থাকতাম। ওখানকার কলেজে পড়তাম। আমার বাসা থেকে ওর বাসা কিছুটা দূরে ছিলো, তাই ওর বাসায় গিয়ে উকি মারা মানে নিজের গলায় নিজে ছাগলের দড়ি পরা। তাই ওকে আমি কলেজে থেকেই মন ভরে দেখতাম।
.
প্রথম আমাদের কোনো দিন মুখে কথা হয়নি সবসময় চোখেই কথা হতো। চোখ দিয়েই আমরা আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতাম। আমাদের চোখের চাহনি যে এতো তাড়াতাড়ি তীব্র ভালবাসায় রুপ নিবে সেটা আমি ভাবতে পারি নি।
.
যেমন :
.
সেদিন ছিলো আকাশে মেঘলা মেঘলা ভাব, কলেজ ছুটি দিছে। যেই কলেজের বাইরে পা রাখছি ওমনি শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। এখন কি করব বুঝতে পারছি না।
কাছেই আমাদের কলেজের এক মেয়ে ছিলো,, ওর আমাদের বাসার পাশেই, আমি ওনাকে আপু বলেই ডাকি।
.
গিয়ে বললাম,
আপু ছাতাটা দিন না, আমার টা আনি নাই। আপনি আপনার কোনো বান্ধবীর ছাতার নিচে যান।
- আরে তার দরকার নেই, আমি তো তোমার বড় আপুই হই, ছাতার নিচে আসো।
- ( সিনিয়র ক্লাসের, বয়সেও বড় তাই ভাইয়ের মতো ছাতার নিচে চলে গেলাম, কতদূর আপুর সাথে যাওয়ার পরই দেখি কে যেন, হ্যাঁচকা টান দিয়ে ছাতা নিয়ে ফেলে দিল,,
ভালো করে দেখলাম এতো সাথী)
- ( আপু) এই মেয়ে তুমি কি করলে
এটা, ছাতা ফেললে কেন?
- ( সাথী) চুপ ছেমরী, ওই হারামজাদা তুই এই মেয়ের ছাতার নিচে কি করছ?
- আরে আপুর সাথে যাচ্ছিলাম, বৃষ্টি হচ্ছে তো তাই।
- একদম মিথ্যা কথা বলবি না, আমি জানি তোর কোনো আপু নেই,, সত্যি করে বল এটা কে?
:- সত্যি বলছি, এটা আমার পাশের বাসার বড় আপু,,, আমার সিনিয়র। ( দেখি আপু আমাদের কান্ড দেখে হাসতেছে)
- সিনিয়র আপু এটা তাই না???
- আপু আপনি কিছু বলুন না, ওকে। বিশ্বাস করছে না আপনি আমার আপু হোন।
- আমি কি বলব?? আর কাব্য তুমি তো আমাকে কোনো দিন বলো নি তোমার রিলেশন আছে।
- রিলেশন না, মনে করেন আমাদের টা চোখে চোখে প্রেম, কোনো দিন কথা হয়নি। কিন্তু আজ ও আপনার সাথে আমাকে দেখে এরকম করবে আমি ভাবতেও পারি নি।
- ওহ্, বুঝতে পারছি। এই তোমার নাম কি?
- সাথী ( রাগী সুরে)
- এতো রাগ করছো কেন? তুমি যেটা ভাবছো সেটা না। কাব্য আমার ভাইয়ের মতো আমরা দুজন সিনিয়র জুনিয়র। আমি কাব্যের সিনিয়র। আর তুমি ভাবছো আমার আর ওর মাঝে রিলেশন আছে তাই না,, তোমার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে তুমি যাও, আর আমার ছাতা ফেরত দাও।
- সরি আপু, বুঝতে পারিনি। এই নিন আপনার ছাতা, আর এখন ছাতার দরকার হবে না, বৃষ্টি কমে গেছে।
- আমি আসি আর তোমরা তোমাদের ঝগড়া মেটাও ( আপুর প্রস্থান)
.
- এখন কি হলো, চুপ করলে কেন? এতখন তো চেচামেচি করে গলা ফাটিয়ে ফেলছো।
- চুপ, একদম চুপ,, তোমার সাথে যদি আরেক দিন কোন মেয়েকে দেখি তো তোমারে আমি শেষ করে ফেলবো, সেটা আপুই হোক আর যেই হোক।
- (মাইয়া বলে কি রে) আইচ্ছা।
- প্রপোজ করো এখন।
- আজকে এই বৃষ্টির দিনে?
- হুম।
- কাল করলে হয় না?
- ( ভেবে) ওকে। কাল করবা।
- ওকে জান, আসো একটু জড়িয়ে ধরি।
- একদম না।
- কেন?
- প্রপোজ করার পর।
- উফফফ, ওকে।
.
খুশিতে নাচানাচি করতে করতে বাড়ি আসলাম। ভাবতেই পারছি না, চোখের চাহনিতে এতো ভালবাসা। কয়জনের আছে এমন কপাল। আমার ভাগ্য টা খুবই ভালো রে মাইরি।
.
অতঃপর তার পরের দিন সাথীকে প্রপোজ করলাম আর,,,,,,, তারপর যেন কি করলাম,, ধুরর মনে নাই।
.
ওহ্, হ্যাঁ, তারপর জড়িয়ে ধরছিলাম।
.
তারপর থেকেই আমাদের ভালবাসার শুরু।
আমরা এখন দুজনেই ঢাকা থাকি। দুজনে ঢাকা থাকা আর আসার একটা ঘটনা আছে সেটা হলো,,
আমাদের দুজনের যখন সেকেন্ড ইয়ারে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলো, তখন সাথীর পরিবার ঢাকা এসে পরে, সাথী আসতে চাইছিল না, তবুও আর পরিবারের জন্য বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছিল। আর যেদিন এসে পরে সেদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করে।
.
সেদিন আমিও কেদে ছিলাম। সাথী চলে যাওয়ার কয়েক দিন পরই বুদ্ধি খাটিয়ে, বাবাকে বুঝিয়ে পড়াশুনার ছুতো দিয়ে আমিও চলে আসি ঢাকায়।
.
এখানে এসে দুজনে এক কলেজে ভর্তি হয়ে আবার শুরু হয় চুটিয়ে প্রেম। আমাদের মাঝে কোনো বাধা ছিলো না সবসময় আমরা হ্যাপি ছিলাম। দিন ফুরাতে লাগল, বছর শেষ হতে লাগল, ঢাকায়ই কয়েক বছর গেল।
.
সেই ভালবাসার শুরু থেকে আজ এই অনার্স পর্যন্ত আসলাম, অনেক ঝড়ঝাপটার মুখোমুখি হয়েছি আমরা তবুও কখনো দুজন দুজনের হাত ছাড়ি নি। সেই জন্য আজও আমাদের রিলেশন এতো শক্ত রয়েছে। ভালবাসা নামক শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি আমরা।
.
.
আর কয়েক দিন পর আমাদের অনার্সের টেস্ট পরীক্ষা শুরু। তাই আমরা দুজনেই ভালভাবে প্রস্তুতি নিলাম, টেস্ট পরীক্ষার।
পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। সুন্দর দুজন হাসিখুশি দিন কাটাচ্ছি।
.
এমন একদিন সময়ে। রাত তিনটে বাজে, একটা বাজে সপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেল, তারপর আর কিছুতেই ঘুম আসছে না। তাই ভাবলাম, পাগলীটাকে একটু ডিস্টার্ব করি।
.
ফোনের স্কিন লাইট জ্বালিয়ে দেখি, রাত তিনটা বেজে পাঁচ মিনিট।
সাথীরে ফোন দিলাম। ফোনে দিয়ে তো আমার মাথায় তালগাছ ভেঙে পরলো। এতরাতে পাগলীর ফোন ওয়েটিং। আমার কেমন যেন ভয় হতে লাগল, বুকের বাম পাশে হালকা ব্যথা অনুভব করলাম।
.
এত রাতে সাথী আবার কার সাথে কথা বলছে। পর পর অনেক বার চেষ্টা করলাম, ঢুকছে না, শুধু ওয়েটিং বলছে।
১ ঘন্টা পর আবার চেষ্টা করলাম,, ভোর হয়ে গেল কিন্তু এখনো ফোন ওয়েটিং। দাড়া আজ আগে কলেজে আসি তারপর মজা দেখাবো।
.
আমি আজকে একটু আগেই কলেজে গেলাম কিন্তু সাথী আজ একটু দেরী করেই কলেজে আসলো।
এসে দেখি আমার কাছে না এসে বান্ধবীদের সাথে হাসাহাসিতে মেতে উঠছে।
- সাথী এদিকে আসো তো একটু।
- কেন?
- কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি এখন?
- এমন ভাবে বলছো কেন?
- এদিকে আসতে বলছি আসো।
- আচ্ছা,,
- তোমার ফোন কই?
- আমার কাছেই।
- ওটা দাও।
- কেন?
- প্রশ্ন করছো কেন? আগে তো প্রশ্ন করতে না। আমি তো আগে বলতাম, তোমার জীবন টা দিয়ে দাও, তুমি বলতে নিয়ে নাও কিন্তু এখন এই ছোটখাটো জিনিস নিয়ে প্রশ্ন করছো কেন?
- কাব্য তোমার কি হইছে, এরকম ভাবে আজ কথা বলছো কেন?
- ফোন দাও,
- এই নাও, যত্তোসব।
- (সাথীর কথার ধরন দেখে অবাক হলাম,, যাইহোক, আগে কল লিস্ট বের করলাম) সাথী এদিকে তাকাও।
- এবার,,,
- আমি তোমাকে রাত তিনটার সময় ফোন দিছিলাম, ধরলে না কেন?
- আরে এই ব্যপার। ফোন সাইলেন্ট ছিলো আর আমি ঘুমোচ্ছিলাম।
- হাহাহা সাথী তুমি মিথ্যা বলা শিখে গেছো। এতো রাতে কার সাথে কথা বলছিলে, ফোন ওয়েটিং ছিলো কেন?
- ইয়ে মানে কি বলছো?
- চুপ, একদম চুপ। কার সাথে কথা বলছিলে?
- এমন করে বলছো কেন?
- কথা ঘুরাবে না, যা বলছি তার উওর দাও।
- আমার কাজিনের সাথে,,
- মেয়ে না ছেলে।
- মেয়ে।
- নাম্বার কই, বের করো। ডায়াল করা নাম্বার থেকে বের করো।
- এই নাও।
( ঠাস)
- এটা কি হ্যাঁ, রাত ৮টার সময় কল দিছিলা সেটা বের করে দিছো,, রাত তিনটের টা কই?
- তুমি আমাকে মারলে?
- আরেক টা মারব এখন,, রাত তিনটের টা বের কর।
- পাব কই সেটা।
- কথা বলছো তখন আর এখন বলছো পাব কই সেটা। ডিলিট করছো কেন?
.
একথা বলতেই ফোনে ভাইব্রেট করে উঠলো। অচেনা নাম্বার থেকে কল, নাম সেভ করা নেই। ফোন আমার হাতেই ছিলো, তাই আমিই ফোন ধরলাম। সাথীকে মারছি বলে ও ওখানে দাড়িয়ে কাঁদছে।
- হ্যালো।
- সাথী কই তুমি? এখনো আসছো না কেন? ( অপর পাশ থেকে)
- কই আসবে?
- তুমি কে?
- আমি ওর ফ্রেন্ড ( আমি বলি নাই আমি ওর বয়ফ্রেন্ড)
- ও সাথীকে কল টা দাও তো একটু।
- কেন?
- ওর সাথে কথা আছে।
- তুমি ওর কে হও?
- আরে ভাই আমি ওর বয়ফ্রেন্ড ওর কাছে ফোন দাও। ( আস্তে) কেন যে এসব ছেলের সাথে বন্ধুত করে!!
- সাথী এই সাথী নাও তোমার বয়ফ্রেন্ড ফোন দিছে
( সাথী আমার কথা শুনে চমকে উঠলো) আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে কি যেন বললো, তারপর কেটে দিয়ে আমার কাছে আসলো।
- সরি কাব্য।
( ঠাস)
- তোর লজ্জা করে না, এখন সরি বলতে আইছত,, ছিঃ। আমার এতদিন ধরে তিলেতিলে গড়ে উঠা ভালবাসার পাহাড় এক নিমিষে ভেঙে দিলি। এই তোর ভালবাসা। আমাকে ছেড়ে একটা সেকেন্ড থাকতে পারতি না, আজ আমাকে রেখে অন্য একজনের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলছিস, তোর একটুও আমার কথা মনে পরলো না তখন??
- ( চুপ করে আছে)
- কিছু বলছিস না কেন?? কিভাবে বলবি, তোর বলার কিছু আছে আর! আমি ভেবেছিলাম আমাদের রিলেশন সারাজীবনই থাকবে কিন্তু আজ এখানে এটা শেষ হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারি নাই।
তোর জন্য আমি আমার মা বাবাকে ওখানে রেখে ঢাকায় এসে থাকছি তার বদলে তুই এটাই আমাকে উপহার দিলি।
- ক্ষমা করে দিও।
- আমি মরে গেলেও তোকে কোনো দিন ক্ষমা করব না। বিশ্বাসঘাতক। তোকে আমি ভালবেসে বিশ্বাস করছিলাম, তুই সেটা ধরে রাখতে পারলি না।
তোর ভালবাসা এতদিন তাহলে মিথ্যা ছিলো,,
আবার আমার সামনে এখনো দাড়িয়ে আছিস লজ্জা করে না তোর, যা এখান থেকে।
( একথা বলার পরই দৌড়ে চলে গেল)
.
আমি আর কি করব, ওখানেই বসে পড়লাম আর চোখ দিয়ে পানি ফেলতে লাগলাম। হায়রে মেয়ে মানুষ। দিনের বেলা প্রেম করে একজনের সাথে আর রাতের বেলা প্রেম করে আরেক জনের সাথে।
এটাই কি ওদের ভালবাসা, না ওদের ভেতর ভালবাসা বলতে কিছু নেই!!।।
.
যদি সত্যি ওর ভেতর ভালবাসা থাকতো তাহলে ও আমার সাথে এমন
করতে পারতো???
আমার সব সপ্ন শেষ করে দিল।
.
ধোকা খেলাম জীবনে,, এই প্রথম ভালবাসার ধোঁকা।
এখন বুঝতে পারছি, কাছের মানুষ টা অন্যের হলে কতটা কষ্ট হয় নিজের।
.
.
.
.
এই চোখের পানিই ছিলো আমার ভালবাসার শেষ পরিণতি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন