হ্যালো
-হ্যাঁ নীলা বলো
-নিলয় জানো? এখানে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে.. তোমার সাথে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে।
-জানি নীলা... আমারও খুব ইচ্ছে হচ্ছে তোমার হাত ধরে ভিজতে।কিন্তু এখন আমি তোমার থেকে গুণে গুণে ৭,৭১২ মাইল দূরে..
-নিলয়.. আমরা তো কোন অন্যায় করি নি। এত ভালোবাসা সত্ত্বেও কেন আমাদের এতো দূরে থাকতে হচ্ছে?
-ভাগ্যের পরিহাস নীলা। তাছাড়া সুখের দেখা পেতে হলে প্রথমে কিছু কষ্টও তো পেতে হয়।
-তুমি আসবে কবে নিলয়?
-আমার ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে চলে আসি এখনই আমার বাবুইটার কাছে। জড়িয়ে।ধরে বৃষ্টিতে ভিজি দুজনে... কিন্তু এর জন্যে আমাকে কোর্স শেষ করেই আসতে হবে।
-আচ্ছা নিলয়। রাখলাম.. একা একাই বৃষ্টিতে ভিজব এখন।
- একা একা কিভাবে ভিজবে? আমি Massachusetts এ থাকলে কি হলো.. আমার মন তো তোমার কাছেই থাকে ঢাকায়।
-থাকলে কি এসে যায়...মন এর সাথে তো বৃষ্টিতে ভিজতে পারব না...
- আমি মেঘ ছুড়ে দেই তোমার ঐ আকাশে বুঝে নিও তুমি এই আমাকে।।... ধরো না হয় আমার ভালোবাসা বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে তোমাকে...
.
নীলা আর নিলয় স্কুল ফ্রেন্ড ছিলো। কলেজ এ পৌঁছে দুজনে সম্পর্কে জড়িয়েছিলো। সমবয়সী সম্পর্ক গুলোতে যেমন হয় তেমন খুনশুটি,ঝগড়া,অভিমান নিয়ে সম্পর্ক ভালোই এগোচ্ছিলো।
.
দুজনের স্বপ্নই ছিলো মেডিকেল এ পড়ার। এই স্বপ্নের ভিত্তিতে আরো শত সহস্র স্বপ্ন সাজিয়েছিলো দুজনে। নিলয় মাঝে মাঝেই বলতো "দেখো নীলা...আমাদের দুজনের মধ্যে কোন একজনেরই মেডিকেল এ হবে" সেই একজনটা যদি তুমি হও অনেক খুশি হবো আমি।
.
নিলয় এর কথাটা ফলে গেছিলো। নীলার সলিমুল্লাহ মেডিকেল এ চান্স হইছিলো। নিলয় ওয়েটিং লিস্ট এ ছিলো। এরপরেও নিলয় খুশি ছিলো। মিষ্টি নিয়ে নীলার বাসার সামনে ছুটে গেছিলো। নীলাকে মিষ্টি খাইয়ে বলেছিলো.. আমার বউটা মস্ত বড় সার্জন হবে ইন শা আল্লাহ্। আমি সবাইকে গর্ব ভরে বলতে পারব অমুক অধ্যাপিকা আমারই স্ত্রী।.... নীলা জবাবে কিছুই বলতে পারেনি। শুধুই কেঁদেছিলো।
.
একটা মানুষ যে এত ভালোবাসতে পারে নীলা কল্পনাও করতে পারে নি।নিজের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পরেও ভালোবাসার মানুষের সাফল্য উদযাপন করতে আসলেই অনেক ভালোবাসা লাগে। নীলা নিলয়ের ভালোবাসা বুঝেছিলো।
.
নিলয়ের কোথাও না হওয়ায় যখন নিলয় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো তখনো নীলা ওর পাশে ছিলো। সাফল্যের বন্যায় ভালোবাসাকে ভুলে যায়নি অন্য সবার মতো।
.
ওদের ভালোবাসায় ভিলেন হয়ে এসেছিলেন নিলয়ের আব্বু।উনি নিলয়কে Massachusetts এ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন BBA করতে।
.
নিলয়ের যাবার সময় নীলা শুধু একটা প্রশ্নই করেছিলো... "তোমাকে ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে?" জবাবে নিলয় কিছুই বলেনি। নীলার চোখ মুছে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো "ভালোবাসি বাবুই"
..........
-হ্যালো নীলা?
- হ্যাঁ বলো
- জানো নীলা আজ জীবনের প্রথম তুষারপাত দেখছি। মিহি কণার মত আমার গায়ে পড়ছে। আমি ডরমিটরির সামনে দাঁড়িয়ে তুষারপাত অনুভব করছি। ইশশ তুমি যদি এখানে থাকতে......
- আমি থাকলে কি হতো?
-তুষার ছুড়ে মারতাম তোমার কপালে...
-আমি কি ছেড়ে দিতাম তোমাকে?
- আর কয়দিন.. আসছি দেশ এ।নিয়ে যাব আমার রাজকুমারীকে টগবগে ঘোড়ায় চেপে।
- সেদিন যেনো খুব জলদি আসে। বিয়ের প্রস্তাব ফেরাতে ফেরাতে আমি ক্লান্ত।
-ইদানীং আবার আসছিলো?
-হ্যাঁ। ছেলে মাল্টি মিলিয়নিয়ার। সিলেট এ বাড়ি।
-আটকালে কিভাবে?
-কি করবো? নতুন নতুন আইডিয়া আর মাথায় আসে না... ইদানীং ল্যাংড়ার অভিনয় করে চালাতে হচ্ছে...
-আল্লাহ....কতদিন পর্যন্ত করবি এসব?
-যতদিন পর্যন্ত তুই আসবি না!
-তুই এত্ত জেদী কেন?
-আমি আমার বাপের মতো হইছি। সেজন্যে
.................
নিলয় ক্লাসে ব্যস্ত। ক্লাস করতে করতে আনমনে নীলার কথা ভাবে। ভাবে মেয়েটা এখন কি করছে... ওর ছবিগুলো দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লো কি না। আচ্ছা ঘুমোবার আগে কি ও বিছানার পাশের জানালাটা বন্ধ করেছিলো? যদি না করে.... হিম হাওয়ায় ঠান্ডা লেগে যাবে তো। এমনিতেই নীলার ঠান্ডা সহ্য হয় না।
.
অপরদিকে নীলা নিলয় এর দেয়া চিঠিগুলো পড়ছে আর ভাবছে.... নিলয় কি এখনো ঠিক আগের মতোই আমাকে ভালোবাসে? না অন্য কোন সাদা চামড়ার প্রেমে পড়ে গেছে?
........
এভাবেই মিস করে দুজনে দুজনকে।প্রায় ৮ হাজার মাইল দূরে থাকলেও কখনোই দুজন ভালোবাসার মানুষকে ভুলে যায়নি।
.
কয়েকবছর পর অবশেষে নীলা আর নিলয়ের অপেক্ষা ঘুচলো। নিলয় ইংল্যান্ড জব পাওয়ার অপেক্ষাতে ছিলো। আর এদিকে নীলার ইন্টার্নিও চলছিলো। জব পাওয়ার পর নিলয় দেশে আসল....
.
আল্লাহ এদের তাকদির এ মিল রেখেছিলেন। তাইতো এত দূরত্বের পর কেউ কাউকে ভুলে যায় নি।আর জিনিস যেটা ভালো তার দাম তো একটু বেশি হবেই। তাই বিশুদ্ধ ভালোবাসার দাম দিয়েছে ওরা এতদিন অপেক্ষা করে.....
.
দুজনেই এখন....প্রতিষ্ঠিত।পরিবারও মেনে নেয় ওদের সম্পর্ক.... এরপরে কি হবে তা তো... সবাইই বুঝে....
😊
😊
😊
-হ্যাঁ নীলা বলো
-নিলয় জানো? এখানে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে.. তোমার সাথে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে।
-জানি নীলা... আমারও খুব ইচ্ছে হচ্ছে তোমার হাত ধরে ভিজতে।কিন্তু এখন আমি তোমার থেকে গুণে গুণে ৭,৭১২ মাইল দূরে..
-নিলয়.. আমরা তো কোন অন্যায় করি নি। এত ভালোবাসা সত্ত্বেও কেন আমাদের এতো দূরে থাকতে হচ্ছে?
-ভাগ্যের পরিহাস নীলা। তাছাড়া সুখের দেখা পেতে হলে প্রথমে কিছু কষ্টও তো পেতে হয়।
-তুমি আসবে কবে নিলয়?
-আমার ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে চলে আসি এখনই আমার বাবুইটার কাছে। জড়িয়ে।ধরে বৃষ্টিতে ভিজি দুজনে... কিন্তু এর জন্যে আমাকে কোর্স শেষ করেই আসতে হবে।
-আচ্ছা নিলয়। রাখলাম.. একা একাই বৃষ্টিতে ভিজব এখন।
- একা একা কিভাবে ভিজবে? আমি Massachusetts এ থাকলে কি হলো.. আমার মন তো তোমার কাছেই থাকে ঢাকায়।
-থাকলে কি এসে যায়...মন এর সাথে তো বৃষ্টিতে ভিজতে পারব না...
- আমি মেঘ ছুড়ে দেই তোমার ঐ আকাশে বুঝে নিও তুমি এই আমাকে।।... ধরো না হয় আমার ভালোবাসা বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে তোমাকে...
.
নীলা আর নিলয় স্কুল ফ্রেন্ড ছিলো। কলেজ এ পৌঁছে দুজনে সম্পর্কে জড়িয়েছিলো। সমবয়সী সম্পর্ক গুলোতে যেমন হয় তেমন খুনশুটি,ঝগড়া,অভিমান নিয়ে সম্পর্ক ভালোই এগোচ্ছিলো।
.
দুজনের স্বপ্নই ছিলো মেডিকেল এ পড়ার। এই স্বপ্নের ভিত্তিতে আরো শত সহস্র স্বপ্ন সাজিয়েছিলো দুজনে। নিলয় মাঝে মাঝেই বলতো "দেখো নীলা...আমাদের দুজনের মধ্যে কোন একজনেরই মেডিকেল এ হবে" সেই একজনটা যদি তুমি হও অনেক খুশি হবো আমি।
.
নিলয় এর কথাটা ফলে গেছিলো। নীলার সলিমুল্লাহ মেডিকেল এ চান্স হইছিলো। নিলয় ওয়েটিং লিস্ট এ ছিলো। এরপরেও নিলয় খুশি ছিলো। মিষ্টি নিয়ে নীলার বাসার সামনে ছুটে গেছিলো। নীলাকে মিষ্টি খাইয়ে বলেছিলো.. আমার বউটা মস্ত বড় সার্জন হবে ইন শা আল্লাহ্। আমি সবাইকে গর্ব ভরে বলতে পারব অমুক অধ্যাপিকা আমারই স্ত্রী।.... নীলা জবাবে কিছুই বলতে পারেনি। শুধুই কেঁদেছিলো।
.
একটা মানুষ যে এত ভালোবাসতে পারে নীলা কল্পনাও করতে পারে নি।নিজের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পরেও ভালোবাসার মানুষের সাফল্য উদযাপন করতে আসলেই অনেক ভালোবাসা লাগে। নীলা নিলয়ের ভালোবাসা বুঝেছিলো।
.
নিলয়ের কোথাও না হওয়ায় যখন নিলয় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো তখনো নীলা ওর পাশে ছিলো। সাফল্যের বন্যায় ভালোবাসাকে ভুলে যায়নি অন্য সবার মতো।
.
ওদের ভালোবাসায় ভিলেন হয়ে এসেছিলেন নিলয়ের আব্বু।উনি নিলয়কে Massachusetts এ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন BBA করতে।
.
নিলয়ের যাবার সময় নীলা শুধু একটা প্রশ্নই করেছিলো... "তোমাকে ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে?" জবাবে নিলয় কিছুই বলেনি। নীলার চোখ মুছে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো "ভালোবাসি বাবুই"
..........
-হ্যালো নীলা?
- হ্যাঁ বলো
- জানো নীলা আজ জীবনের প্রথম তুষারপাত দেখছি। মিহি কণার মত আমার গায়ে পড়ছে। আমি ডরমিটরির সামনে দাঁড়িয়ে তুষারপাত অনুভব করছি। ইশশ তুমি যদি এখানে থাকতে......
- আমি থাকলে কি হতো?
-তুষার ছুড়ে মারতাম তোমার কপালে...
-আমি কি ছেড়ে দিতাম তোমাকে?
- আর কয়দিন.. আসছি দেশ এ।নিয়ে যাব আমার রাজকুমারীকে টগবগে ঘোড়ায় চেপে।
- সেদিন যেনো খুব জলদি আসে। বিয়ের প্রস্তাব ফেরাতে ফেরাতে আমি ক্লান্ত।
-ইদানীং আবার আসছিলো?
-হ্যাঁ। ছেলে মাল্টি মিলিয়নিয়ার। সিলেট এ বাড়ি।
-আটকালে কিভাবে?
-কি করবো? নতুন নতুন আইডিয়া আর মাথায় আসে না... ইদানীং ল্যাংড়ার অভিনয় করে চালাতে হচ্ছে...
-আল্লাহ....কতদিন পর্যন্ত করবি এসব?
-যতদিন পর্যন্ত তুই আসবি না!
-তুই এত্ত জেদী কেন?
-আমি আমার বাপের মতো হইছি। সেজন্যে
.................
নিলয় ক্লাসে ব্যস্ত। ক্লাস করতে করতে আনমনে নীলার কথা ভাবে। ভাবে মেয়েটা এখন কি করছে... ওর ছবিগুলো দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লো কি না। আচ্ছা ঘুমোবার আগে কি ও বিছানার পাশের জানালাটা বন্ধ করেছিলো? যদি না করে.... হিম হাওয়ায় ঠান্ডা লেগে যাবে তো। এমনিতেই নীলার ঠান্ডা সহ্য হয় না।
.
অপরদিকে নীলা নিলয় এর দেয়া চিঠিগুলো পড়ছে আর ভাবছে.... নিলয় কি এখনো ঠিক আগের মতোই আমাকে ভালোবাসে? না অন্য কোন সাদা চামড়ার প্রেমে পড়ে গেছে?
........
এভাবেই মিস করে দুজনে দুজনকে।প্রায় ৮ হাজার মাইল দূরে থাকলেও কখনোই দুজন ভালোবাসার মানুষকে ভুলে যায়নি।
.
কয়েকবছর পর অবশেষে নীলা আর নিলয়ের অপেক্ষা ঘুচলো। নিলয় ইংল্যান্ড জব পাওয়ার অপেক্ষাতে ছিলো। আর এদিকে নীলার ইন্টার্নিও চলছিলো। জব পাওয়ার পর নিলয় দেশে আসল....
.
আল্লাহ এদের তাকদির এ মিল রেখেছিলেন। তাইতো এত দূরত্বের পর কেউ কাউকে ভুলে যায় নি।আর জিনিস যেটা ভালো তার দাম তো একটু বেশি হবেই। তাই বিশুদ্ধ ভালোবাসার দাম দিয়েছে ওরা এতদিন অপেক্ষা করে.....
.
দুজনেই এখন....প্রতিষ্ঠিত।পরিবারও মেনে নেয় ওদের সম্পর্ক.... এরপরে কি হবে তা তো... সবাইই বুঝে....



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন