-নিলিমাকে রুমে রেখে নিরব ছাদে চলে আসলো। ছাদে
এসে দাড়িয়ে থেকে ভাবছে নিরব,
কি থেকে কি হয়ে গেলো,
হুট করেই নিলিমা নিরবকে বিয়ে করে ফেলল।
নিরবের এই বিয়েতে মত ছিলোনা, কিন্তু নিলিমার
কারনে নিরবকে বিয়েটা করতেই হলো।
.
বিয়ে করে সবাই বউ নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে,আর
নিরব বিয়ে করে বউ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসেছে।
.
দাড়িয়ে না থেকে নিরব ছাদের এক কোনে বসে পড়ে।
নিরবের মাথাই সবসময় কিছু চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে।
কি করে নিলিমাকে সে সুখি রাখবে।
ছোটখাটো একটা চাকরি করে,এতে করে কি সে পারবে
নিলিমাকে সুখে রাখতে।
.
নিরবের পরিবারে,নিরবের কেউ নাই,বাবা মা সবাই
অনেক আগেই মারা গিয়েছে।
এরপর বিভিন্ন যায়গাই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে নিরব
নিজের জীবন পার করেছে।
.
জীবনে বহু ত্যাগ স্বীকার করে নিরব আজকে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
তবে এর পেছনে নিলিমার কিছু অবদান আছে।
নিলিমার জন্য নিজেকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে
পেরেছে নিরব।
.
নিজেকে স্থায়ীত্ব ও নিজের কিছু তৈরি করে বিয়ে
করতে চেয়েছিলো নিরব , কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো
না।
আজকে নিরবের বাসর রাত, তবে সেটাও শ্বশুর বাড়িতেই।
নিজের কোন বাড়িঘর নেই নিরবের।
চেয়েছিলো বছর খানেক চাকরি করে টাকা জমিয়ে
বাড়ি দিবে।
তারপর বিয়ে করবে।কিন্তু তার আগেই বিয়েটা হয়ে
গেলো নিরবের।
এতিম ছেলেদের তেমন কিছুই থাকেনা।
তবে এতিমদের কিছু থাকুক বা না থাকুক, সুন্দর একটা মন
থাকে।
.
এদিকে নিলিমা নিরবকে বাড়ির কোথাও খুজে পাচ্ছে
না।
পুরো বাড়ি খুজেও সে নিরবের দেখা পাচ্ছে না।
শেষে ছাদে চলে আসে নিলিমা।
ছাদে এসে দেখে ছাদের একপাশে চুপটি করে বসে আছে
নিরব।
.
নিলিমা নিরবের কাধে নিজের হাতটি রাখে।
নিরব পেছনে ফিরে দেখে নিলিমা দাড়িয়ে আছে,মুখে
তার সামান্য হাসি।
.
> বসো নিলিমা (নিরব)
-কি ব্যাপার তুমি ছাদে কেনো? (নিলিমা)
> একা একা বাড়ির ভিতরে ভালো লাগছিলো
না,সেইজন্য ছাদে চলে আসলাম।
- আমাকে তো বলে আসতে পারতে,আমি তোমাকে খুজতে
খুজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
> কেনো এতো খুজেছো।
- বারে,আমার স্বামীকে আমি কি খুজতে পারবো
না,কোথাই গেলো সে, কোন সমস্যা হলো নাকি,সেটা
জানতেই এতো খোঁজাখোজি।
> নিলিমা তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো কেনো?
- তাহলে কাকে এতো ভালোবাসবো,অন্য কাউকে,তুমিই
তো আমার পৃথিবী,তোমাকে ঘিরেই তো আমার সব স্বপ্ন।
> সেই স্বপ্ন গুলো আমি কি বাস্তবে পূরন করতে
পারবো,নাকি সেগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে।
- সবার তো সব স্বপ্ন গুলো পূরন হয় না,আমাদেরো হবে না।
তবুও আমি খুশি হবো,কারন তুমি তো আছো,আমার কাছে।
তুমি আমার কাছে থাকলেই সবদুঃখ কষ্ট পার করে দিতে
পারবো আমি।
এখন রুমে চলো,নইতো ঠান্ডা লেগে যাবে।
.
নিলিমাকে আর কিছু বলতে পারলাম না ।
নিলিমার সাথে রুমে চলে আসলাম।
রুমটি এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,যেটা দেখে
আমি অবাক হয়ে গেছি।
রুমটি দেখার পরে মনে হচ্ছে আজকে আমাদের বাসর
রাত।
.
নিলিমা আমাকে রুমে বসিয়ে রেখে চলে গেলো।
রুমে একা একা বসে থাকতে অসস্থি লাগছে।
নিজের রুম হলে হয়তো এমন লাগতো না।
অন্যের রুম সেইজন্য এমনটা হচ্ছে।
.
কিছুক্ষন পরে নিলিমার বাবা মা এসে আমার সাথে
কিছুক্ষন কথা বললেন।
আমার জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
যেভাবে বড় হয়েছি,সবকিছুই বলে দিলাম।
এতে করে ওনারা কিছু মনে করলেন না,বরং খুশি হলেন
আরো।
.
শোন বাবা আমার একমাত্র মেয়ে,আমি চাইনা আমার
মেয়ে কোন কষ্ট পাক।
মেয়ের সব আবদার গুলো পূরন করার চেষ্টা করেছি।
হয়তো পারিনি,তবুও চেয়েছি মেয়েটি খুশি থাকুক।
তোমাকে দেখে মনে হয়না, তুমি আমার মেয়েকে কষ্ট
দিবে।
সে যখন চেয়েছে তোমাকে নিয়ে ওর সারাজীবন ও পার
করবে, আমরাও চাই তুমি ওকে সর্বদা সুখি রাখার চেষ্টা
করবে।
কথাগুলো বলে ওনি একটা সোনার চেইন আমাকে পরিয়ে
দিয়ে চলে গেলেন।
হয়তো জামাইকে দেবার জন্য কিনে রেখেছিলেন,এখন
যেহুতু আমিই জামাই তাই আমাকে দিয়ে গেলেন।
নিলিমার মা শুধু বলল,আজকে থেকে ওনাকে জেনো মা
বলে ডাকি।
মা বলে না ডাকলে নিলিমাকে দিয়ে শায়েস্তা করাবে,
এইটা বলে ওনিও চলে গেলেন।
ওনার কথা শুনে আমি মুচকি হাসলাম।
আমি রুমের ভেতর আবার একাই বসে থাকলাম।
.
কিছুক্ষণ পরে নিলিমা আসলো,
নিলিমার হাতে খাবারের প্লেট।
নিলিমা খাবার নিয়ে এসেছে।
-নাও খেয়ে নাও (নিলিমা)
> তুমি খেয়েছো (নিরব)
- তুমি না খেলে আমি কি করে খাই বলো।
> আমি যদি সারাদিন না খেয়ে থাকি,তাহলে কি তুমিও
সারাদিন না খেয়ে থাকবে।
- হ্যাঁ,তুমি যখন খাবে,তারপরে ওই প্লেটেই আমি খাবো।
তোমাকে অভুক্ত রেখে আমার মুখ দিয়ে খাবার নামবে
না কোনদিনও।
> তাহলে দুজনই মিলে একসাথে খাবো।
তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে,আর আমি তোমাকে।
.
নিলিমাকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি,আর নিলিমা আমাকে
খাইয়ে দিচ্ছে।
এই সময় মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সব থেকে সুখি আমরা দুজন।
.
খাওয়া শেষ করে,হাত মুখ ধুয়ে নিলাম,নিলিমা প্লেট
গুলো রেখে আসতে গেলো।
প্লেট গুলো রেখে নিলিমা রুমের দরজাটা বন্ধ করে চলে
আসলো।
.
নিলিমা আর আমি দুজনেই পাশাপাশি বসে,আছি
বিছানাতে।
মনে সাহস নিয়ে
আমি পকেট থেকে,একজোড়া দুল বের নিলিমার সামনে
ধরলাম।
-এইটা কোথাই পেলে তুমি?(নিলিমা)
> বেতন থেকে টাকা জমিয়ে, এটা কিনেছি। (নিরব)
- তোমাকে এসব কিনতে কে বলেছে।
> কেউ বলেনি, আমি নিজেই কিনেছি,আমার পরীটার
কানে দুল থাকবে না,সেটা কি কখনো হয়।
-এটা তো পরেও কিনতে পারতে,সবে মাত্র কয়েকমাস
হলো চাকরিটা পেয়েছো।
>পরের কথা বাদ দাও,এখন বলো কেমন হয়েছে।
-তোমার পছন্দ করা জিনিষ কখনো খারাপ হবে না।
এখন ওটা হাতে ধরে না রেখে পরিয়ে দাও।
> নিলিমার কানে দুল জোড়া পরিয়ে দিলাম।
বাহ এখন নিলিমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
বাবার দেওয়া সোনার চেইনটাও গলা থেকে বের করে
নিলিমাকে পরিয়ে দিলাম।
-এটা কি করছো,এটা তোমার গলাতেই ভালো থাকবে।
(নিলিমা)
> আমার কাছে থাকলে আমি এর প্রতি কখনো খেয়াল
রাখতে পারবো না,এটা তোমার গলাই থাক।
তোমার কাছে থাকলেই এটা ভালো থাকবে।এটা পরে
আমাকে ভালো লাগছে না। তোমাকে এটা পড়লে ভালো
লাগবে দেখতে।
তুমি তো জানো মেয়েরা অনেক কেয়ারফুল,সব কিছুর
খেয়াল ওরা ভালো রাখতে পারে।
এইজন্য এটা তোমাকে দিয়ে দেওয়া।
নিলিমা বাধা দিয়েছিলো,কিন্তু আমার জন্য আর
পারলো না।
আসলেই মেয়েরা সবকিছুতেই অনেক কেয়ারফুল ।
তবে কিছুটা অবুঝ।
নিলিমা বুঝতে পারেনি,ওকে সুখি রাখতেই চেইনটা
ওকে পরিয়ে দেওয়া।
.
নিলিমাকে চেইনটা পরিয়ে দেবার পরেই নিলিমা
আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
আমিও বাধা দিলাম না। কারন
এটা দুঃখের না সুখের কান্না।
মানুষ শুধু দুঃখ পেলে কাঁদে না, সুখেও কাঁদে।
এসে দাড়িয়ে থেকে ভাবছে নিরব,
কি থেকে কি হয়ে গেলো,
হুট করেই নিলিমা নিরবকে বিয়ে করে ফেলল।
নিরবের এই বিয়েতে মত ছিলোনা, কিন্তু নিলিমার
কারনে নিরবকে বিয়েটা করতেই হলো।
.
বিয়ে করে সবাই বউ নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে,আর
নিরব বিয়ে করে বউ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসেছে।
.
দাড়িয়ে না থেকে নিরব ছাদের এক কোনে বসে পড়ে।
নিরবের মাথাই সবসময় কিছু চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে।
কি করে নিলিমাকে সে সুখি রাখবে।
ছোটখাটো একটা চাকরি করে,এতে করে কি সে পারবে
নিলিমাকে সুখে রাখতে।
.
নিরবের পরিবারে,নিরবের কেউ নাই,বাবা মা সবাই
অনেক আগেই মারা গিয়েছে।
এরপর বিভিন্ন যায়গাই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে নিরব
নিজের জীবন পার করেছে।
.
জীবনে বহু ত্যাগ স্বীকার করে নিরব আজকে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
তবে এর পেছনে নিলিমার কিছু অবদান আছে।
নিলিমার জন্য নিজেকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে
পেরেছে নিরব।
.
নিজেকে স্থায়ীত্ব ও নিজের কিছু তৈরি করে বিয়ে
করতে চেয়েছিলো নিরব , কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো
না।
আজকে নিরবের বাসর রাত, তবে সেটাও শ্বশুর বাড়িতেই।
নিজের কোন বাড়িঘর নেই নিরবের।
চেয়েছিলো বছর খানেক চাকরি করে টাকা জমিয়ে
বাড়ি দিবে।
তারপর বিয়ে করবে।কিন্তু তার আগেই বিয়েটা হয়ে
গেলো নিরবের।
এতিম ছেলেদের তেমন কিছুই থাকেনা।
তবে এতিমদের কিছু থাকুক বা না থাকুক, সুন্দর একটা মন
থাকে।
.
এদিকে নিলিমা নিরবকে বাড়ির কোথাও খুজে পাচ্ছে
না।
পুরো বাড়ি খুজেও সে নিরবের দেখা পাচ্ছে না।
শেষে ছাদে চলে আসে নিলিমা।
ছাদে এসে দেখে ছাদের একপাশে চুপটি করে বসে আছে
নিরব।
.
নিলিমা নিরবের কাধে নিজের হাতটি রাখে।
নিরব পেছনে ফিরে দেখে নিলিমা দাড়িয়ে আছে,মুখে
তার সামান্য হাসি।
.
> বসো নিলিমা (নিরব)
-কি ব্যাপার তুমি ছাদে কেনো? (নিলিমা)
> একা একা বাড়ির ভিতরে ভালো লাগছিলো
না,সেইজন্য ছাদে চলে আসলাম।
- আমাকে তো বলে আসতে পারতে,আমি তোমাকে খুজতে
খুজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
> কেনো এতো খুজেছো।
- বারে,আমার স্বামীকে আমি কি খুজতে পারবো
না,কোথাই গেলো সে, কোন সমস্যা হলো নাকি,সেটা
জানতেই এতো খোঁজাখোজি।
> নিলিমা তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো কেনো?
- তাহলে কাকে এতো ভালোবাসবো,অন্য কাউকে,তুমিই
তো আমার পৃথিবী,তোমাকে ঘিরেই তো আমার সব স্বপ্ন।
> সেই স্বপ্ন গুলো আমি কি বাস্তবে পূরন করতে
পারবো,নাকি সেগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে।
- সবার তো সব স্বপ্ন গুলো পূরন হয় না,আমাদেরো হবে না।
তবুও আমি খুশি হবো,কারন তুমি তো আছো,আমার কাছে।
তুমি আমার কাছে থাকলেই সবদুঃখ কষ্ট পার করে দিতে
পারবো আমি।
এখন রুমে চলো,নইতো ঠান্ডা লেগে যাবে।
.
নিলিমাকে আর কিছু বলতে পারলাম না ।
নিলিমার সাথে রুমে চলে আসলাম।
রুমটি এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,যেটা দেখে
আমি অবাক হয়ে গেছি।
রুমটি দেখার পরে মনে হচ্ছে আজকে আমাদের বাসর
রাত।
.
নিলিমা আমাকে রুমে বসিয়ে রেখে চলে গেলো।
রুমে একা একা বসে থাকতে অসস্থি লাগছে।
নিজের রুম হলে হয়তো এমন লাগতো না।
অন্যের রুম সেইজন্য এমনটা হচ্ছে।
.
কিছুক্ষন পরে নিলিমার বাবা মা এসে আমার সাথে
কিছুক্ষন কথা বললেন।
আমার জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
যেভাবে বড় হয়েছি,সবকিছুই বলে দিলাম।
এতে করে ওনারা কিছু মনে করলেন না,বরং খুশি হলেন
আরো।
.
শোন বাবা আমার একমাত্র মেয়ে,আমি চাইনা আমার
মেয়ে কোন কষ্ট পাক।
মেয়ের সব আবদার গুলো পূরন করার চেষ্টা করেছি।
হয়তো পারিনি,তবুও চেয়েছি মেয়েটি খুশি থাকুক।
তোমাকে দেখে মনে হয়না, তুমি আমার মেয়েকে কষ্ট
দিবে।
সে যখন চেয়েছে তোমাকে নিয়ে ওর সারাজীবন ও পার
করবে, আমরাও চাই তুমি ওকে সর্বদা সুখি রাখার চেষ্টা
করবে।
কথাগুলো বলে ওনি একটা সোনার চেইন আমাকে পরিয়ে
দিয়ে চলে গেলেন।
হয়তো জামাইকে দেবার জন্য কিনে রেখেছিলেন,এখন
যেহুতু আমিই জামাই তাই আমাকে দিয়ে গেলেন।
নিলিমার মা শুধু বলল,আজকে থেকে ওনাকে জেনো মা
বলে ডাকি।
মা বলে না ডাকলে নিলিমাকে দিয়ে শায়েস্তা করাবে,
এইটা বলে ওনিও চলে গেলেন।
ওনার কথা শুনে আমি মুচকি হাসলাম।
আমি রুমের ভেতর আবার একাই বসে থাকলাম।
.
কিছুক্ষণ পরে নিলিমা আসলো,
নিলিমার হাতে খাবারের প্লেট।
নিলিমা খাবার নিয়ে এসেছে।
-নাও খেয়ে নাও (নিলিমা)
> তুমি খেয়েছো (নিরব)
- তুমি না খেলে আমি কি করে খাই বলো।
> আমি যদি সারাদিন না খেয়ে থাকি,তাহলে কি তুমিও
সারাদিন না খেয়ে থাকবে।
- হ্যাঁ,তুমি যখন খাবে,তারপরে ওই প্লেটেই আমি খাবো।
তোমাকে অভুক্ত রেখে আমার মুখ দিয়ে খাবার নামবে
না কোনদিনও।
> তাহলে দুজনই মিলে একসাথে খাবো।
তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে,আর আমি তোমাকে।
.
নিলিমাকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি,আর নিলিমা আমাকে
খাইয়ে দিচ্ছে।
এই সময় মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সব থেকে সুখি আমরা দুজন।
.
খাওয়া শেষ করে,হাত মুখ ধুয়ে নিলাম,নিলিমা প্লেট
গুলো রেখে আসতে গেলো।
প্লেট গুলো রেখে নিলিমা রুমের দরজাটা বন্ধ করে চলে
আসলো।
.
নিলিমা আর আমি দুজনেই পাশাপাশি বসে,আছি
বিছানাতে।
মনে সাহস নিয়ে
আমি পকেট থেকে,একজোড়া দুল বের নিলিমার সামনে
ধরলাম।
-এইটা কোথাই পেলে তুমি?(নিলিমা)
> বেতন থেকে টাকা জমিয়ে, এটা কিনেছি। (নিরব)
- তোমাকে এসব কিনতে কে বলেছে।
> কেউ বলেনি, আমি নিজেই কিনেছি,আমার পরীটার
কানে দুল থাকবে না,সেটা কি কখনো হয়।
-এটা তো পরেও কিনতে পারতে,সবে মাত্র কয়েকমাস
হলো চাকরিটা পেয়েছো।
>পরের কথা বাদ দাও,এখন বলো কেমন হয়েছে।
-তোমার পছন্দ করা জিনিষ কখনো খারাপ হবে না।
এখন ওটা হাতে ধরে না রেখে পরিয়ে দাও।
> নিলিমার কানে দুল জোড়া পরিয়ে দিলাম।
বাহ এখন নিলিমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
বাবার দেওয়া সোনার চেইনটাও গলা থেকে বের করে
নিলিমাকে পরিয়ে দিলাম।
-এটা কি করছো,এটা তোমার গলাতেই ভালো থাকবে।
(নিলিমা)
> আমার কাছে থাকলে আমি এর প্রতি কখনো খেয়াল
রাখতে পারবো না,এটা তোমার গলাই থাক।
তোমার কাছে থাকলেই এটা ভালো থাকবে।এটা পরে
আমাকে ভালো লাগছে না। তোমাকে এটা পড়লে ভালো
লাগবে দেখতে।
তুমি তো জানো মেয়েরা অনেক কেয়ারফুল,সব কিছুর
খেয়াল ওরা ভালো রাখতে পারে।
এইজন্য এটা তোমাকে দিয়ে দেওয়া।
নিলিমা বাধা দিয়েছিলো,কিন্তু আমার জন্য আর
পারলো না।
আসলেই মেয়েরা সবকিছুতেই অনেক কেয়ারফুল ।
তবে কিছুটা অবুঝ।
নিলিমা বুঝতে পারেনি,ওকে সুখি রাখতেই চেইনটা
ওকে পরিয়ে দেওয়া।
.
নিলিমাকে চেইনটা পরিয়ে দেবার পরেই নিলিমা
আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
আমিও বাধা দিলাম না। কারন
এটা দুঃখের না সুখের কান্না।
মানুষ শুধু দুঃখ পেলে কাঁদে না, সুখেও কাঁদে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন