নদীকে নিয়ে খুব ভালোই চলছিল।
প্রচন্ড ভালোবাসে মেয়েটা
আমাকে।যাকে বলে নিখাত ভালোবাসা।
সবসময় প্রচন্ড শাসন করে আমায়। এটা
করলে কেন, ওটা করলে কেন, রাতে
এটা করবা, দিনে ওটা করবা এসব বলে
বলে আমার কানের বারোটা বাজিয়ে
দিত। আমি কখনো প্রতিবাদ করিনি। কেন
যেন ওর শাসনের দেয়ালের
ভেতরে থাকতে ভালো লাগত। তাই
হয়ত ওকে কখনো কিছু বলিনি।আর
এভাবেই আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে যায়
সামনের দিকে। ***
.
- হ্যালো
-- এখনো ঘুমাচ্ছ।
- হুম।
-- তোমার সাহস তো কম না। আবার হুম
বলছ।তাড়াতাড়ি ওঠ।
- আরেকটু ঘুমাই।
-- কয়টা বাজে জানো।
- না।
-- ১০ টা বাজে।
- বাজুক আরেকটু ঘুমাইনা প্লীজ। --
এখন
না উঠলে তোমার ঠ্যাং ভেঙ্গে দেব।
-আমাকে শিশু পেয়ে নির্যাতন করছ।
আমি কিন্তু মামলা করব।
-- কি বললা তুমি।তুমি মামলা করবা। ঠিক
আছে
কর।আর আমাকে ফোন দিবানা। তোমার
কাছে তোমার ঘুম বেশি গুরুত্বপুর্ণ।
আমার কোন গুরুত্ব নাই তোমার কাছে।
আমি রাখছি। বলেই নদী ফোন
রেখে
দেয়।
.
মেয়েটা অল্পতেই রেগে
যায়।কিন্তু আমি রাগের আড়ালে লুকিয়ে
থাকা ভালোবাসাটা বুঝি।তাই হয়ত ওর রাগ
ভাঙ্গাতে পারি।তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ
হয়ে ওকে ফোন দিই।রিং হবার সাথে
সাথেই ফোনটা রিসিভ করে। কারন সে
আমার কলের জন্য ওয়েট করে। --
.
.
হ্যালো।
- আমি উঠেছি প্লীজ ঠ্যাং
ভেঙ্গোনা।
-- যাও মামলা করতে যাও। আমি তো
নির্যাতন করি তোমায়।
- অবশ্যই নির্যাতন কর। কিন্তু সেটা
ভালোবাসার নির্যাতন।আমি এই
ভালোবাসার জন্য আজীবন নির্যাতিত
হতে চাই।
-- তুমি আসলেই একটা বান্দর।
- তুমি তাহলে বান্দরী।
-- কি বললা?
- না বলছি তুমি সুন্দরী।
-- হইছে আর পাম্প দিতে হবেনা।
বিকেলে দেখা করব।মাথায় থাকে
যেন।
আমি জানি কোথায় কখন দেখা করতে
বলেছে।এভাবেই খুনশুটির মধ্য দিয়ে
আমাদের ভালবাসা এগিয়ে যায়।
.
কিন্তু এর
মধ্যে আমি কেমন যেন হয়ে যাই।ওর
সেই শাসন গুলো এখন আর সহ্য হয়না।
মন চায় তাকে দু একটা কথা শুনিয়ে দিতে।
কিন্তু পারিনা।এরপর থেকে আমি তাকে
গুরুত্ব একটু কমই দিই। সে প্রতিদিনই
বলত তার প্রতি আমার ভালবাসা নাকি কমে
গেছে। আমি হেসে উড়িয়ে দিতাম।
একদিন মনটা ভীষন খারাপ। বাবা মা খুব
করে বকা দিছে।এমনিতেই মন খারাপ
হয়ে আছে। তার উপর নদীর বকুনি।
সহ্য
করতে পারিনি।
- হ্যালো।
-- কি ব্যপার তুমি ফোন রিসিভ করছনা
কেন?
- তুমি যখন ফোন দিবে তখনই যে
রিসিভ করতে হবে এমনতো কোন
কথা নেই। ( রেগে যাই আমি)
-- এভাবে কথা বলছ কেন তুমি?
- তো কিভাবে কথা বলব?
-- তোমার কি হল হঠ্যাৎ। এমন করছ
কেন
তুমি?
- তো কেমন করব আমি? প্রত্যেক
দিন তোমার শাসন সহ্য করতে করতে
আমি বিরক্ত হয়ে গেছি। সো বুঝতেই
পারছ যে তোমাকে আর নিতে পারছিনা
আমি।
-- তুমি এটা বলতে পারলে( কেঁদে
ফেলল নদী)
- হ্যাঁ পারলাম।
-- ঠিক আছে। আমি চাইনা আমার কারনে
কেউ বিরক্ত হোক।আমার কাছে
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হল তোমার
ভালো থাকা। তুমি যদি আমার শাসন না
পেয়ে ভালো থাকতে পারো
থাকো। আমি কথা দিচ্ছি তোমায় আমি আর
তোমায় ফোন দিয়ে বিরক্ত করবনা।
ভালো থেকো।
বলেই নদী কাঁদতে কাঁদতে ফোনটা
রেখে দিল।আমিও মোবাইলটা খাটের
উপর ছুঁড়ে ফেলে দিই।যাক বাবা বাঁচা
গেল।***
.
.
তারপর কিছুদিন ঠিকঠাক গেল। এরপরই শুরু
হল আমার অগোছালো জীবন।নদী
আমায় আর ফোন দেয়নি। আমি খুব মিস
করতে থাকি ওকে।বিশেষ করে ওর
শাসন গুলোকে। এতদিন নদীই
আমাকে
গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখত। এখন পুরো
এলোমেলো হয়ে গেছি। বুঝতেই
পারছি।নদীকে ছাড়া আমি কখনো
পরিপুর্ণ
হবোনা।কিন্তু আমি ওর সাথে সেদিন খুব
খারাপ ব্যবহার করেছি। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে
আমার নিজের উপর।কি যে করি।নদী কি
আমায় ক্ষমা করবে? মনে তো হয়না
যে অপরাধ আমি তার সাথে করেছি।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে নদীকে কল
দিলাম।কিন্তু ফোন রিসিভ করছেনা।
তিনবারের পর রিসিভ করল।
.
.
-- হ্যালো
- কি ব্যপার ফোন রিসিভ করছনা কেন --
-কিছু বলবে?
- হুম
-- বল
- একটা বিকেল হবে?
-- মানে?
- মানে তোমার কি একটা বিকেল হবে?
-- কেন?
- ধার চাইছি। চাইলে ফেরত নিতে পারবে
আবার।
-- কিন্তু কেন?
- উত্তরটা আমি মুখে বলবনা। একটা গান
শুনাই
তোমাকে। ওয়েট।
বলেই ওর উত্তরের অপেক্ষা না করে
বেলাল খানের একটা বিকেল গানটা প্লে
করি।নদী শুনতে থাকে।
""" তোমার কি একটা বিকেল হবে আমায়
একটা বিকেল দেবে
নিতে চাই যদিও ধার
চাইলে ফেরত নিও আবার
শুধুই তো একটা বিকেল
চাইলে ফেরত নিও আবার
বলতে চাই সে কথা যে কথা হয়নি বলা
চলতে চাই সে পথে যে পথে হয়নি
চলা"""""""
- শুনেছ?
-- হুম
- বুঝছ?
-- না। একটা বিকেল কেন চাই তোমার?
- ওই যে,,, বলতে চাই সে কথা যে কথা
হয়নি বলা।
-- আমি পারবনা।
- প্লীজ এই শিশুর উপর কি একটু দয়া করা
যায়না।
আমি জানি নদী আমার অনুরোধ
ফেলতে
পারবেনা।তাই রাজি হয়ে গেল।আমি জানি
ও কোথায় দেখা করবে। নদী সাদা
গোলাপ খুব
পছন্দ করে। ওর জন্য অনেক খুজে ৫
টা সাদা গোলাপ নিয়ে যাই। অপেক্ষা করছি
নদী আসার জন্য।একসময় নদী
আসে।
অনেক বিকেল নদীকে নিয়ে
এখানেই
কাটিয়েছি। কিন্তু আজকেরটা অন্য রকম।
.
.
নদী আসছে। ওকে দেখা যাছে।শুরু
হয়
আমার হার্টবিট।ও আসে।কিছুক্ষন দুজনে
নিশ্চুপ থাকার পর নদীই নীরবতা
ভাঙ্গে।
-- কি বলার জন্য ডেকেছ বল
- কেমন আছ?
-- ভাল।
- আমার কথা মনে পড়ে?
-- জানিনা।
- চোখ বন্ধ কর?
-- কেন?
- কর তো।
-- ওকে।
আমি ওর পাশে সাদা গোলাপ গুলো রাখি।
- চোখ খোল।
-- কি?
- তোমার ডানপাশে তাকাও?
নদী সাদা গোলাপ দেখে খুব খুশি হয়।
তারপর আবার মুখটা মলিন করে রাখে। --
এগুলো আনার কোন দরকার ছিলনা। -
আমার কাছে মনে হয়েছে দরকার তাই
এনেছি।
-- ও।
- একটা কথা বলব।
-- কি?
- আমায় আবার শাসন করবে?
-- না।
- কেন?
-- আমার শাসন ছাড়াই তুমি ভালো থাকতে
পারো।
- আমি স্যরি।
-- কেন স্যরি। তোমার যেটা মনে
ছিল
সেটাই বলেছ। নিজের মনের কথা
প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে।
- প্লিজ
ক্ষমা করে দাওনা। আমি আর কখনো
এমন করবনা। তোমার কথা মত চলব।
--তোমার নিজের ইচ্ছা মত তুমি
চলবে।
এতে আমার কি করার থাকতে পারে।
-প্লিজ তুমি আমায় আরেকটা বার সুযোগ
দাও।মানুষই তো ভুল করে। আর আমিও
তো মানুষ।
-- কেন। তুমিই তো বলেছ আমি
তোমায় বিরক্ত করি। কেন আবার নিজে
থেকে বিরক্ত হতে চাচ্ছো?
আমি কিছুনা বলে ওর সামনে হাঁটু গেড়ে
বসি।তারপর হাত জোড় করে বলি
- প্লীজ তোমার কাছে হাত জোড়
করে অনুরোধ করছি।তোমার এই
শিশুটি তোমার কাছে আবার নির্যাতিত
হতে চায়।
নদী আমার চোখের দিকে তাকায়। ও
বুঝতে পারে আমি সত্যিই তাকে
অনুরোধ করছি।
আমার হাত ধরে টেনে ওঠায়।
*****
.
তারপর একসাথে হাত ধরে পথ চলি।সেই
পথে চলছি যে পথে আগে চলা হয়নি।
প্রচন্ড ভালোবাসে মেয়েটা
আমাকে।যাকে বলে নিখাত ভালোবাসা।
সবসময় প্রচন্ড শাসন করে আমায়। এটা
করলে কেন, ওটা করলে কেন, রাতে
এটা করবা, দিনে ওটা করবা এসব বলে
বলে আমার কানের বারোটা বাজিয়ে
দিত। আমি কখনো প্রতিবাদ করিনি। কেন
যেন ওর শাসনের দেয়ালের
ভেতরে থাকতে ভালো লাগত। তাই
হয়ত ওকে কখনো কিছু বলিনি।আর
এভাবেই আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে যায়
সামনের দিকে। ***
.
- হ্যালো
-- এখনো ঘুমাচ্ছ।
- হুম।
-- তোমার সাহস তো কম না। আবার হুম
বলছ।তাড়াতাড়ি ওঠ।
- আরেকটু ঘুমাই।
-- কয়টা বাজে জানো।
- না।
-- ১০ টা বাজে।
- বাজুক আরেকটু ঘুমাইনা প্লীজ। --
এখন
না উঠলে তোমার ঠ্যাং ভেঙ্গে দেব।
-আমাকে শিশু পেয়ে নির্যাতন করছ।
আমি কিন্তু মামলা করব।
-- কি বললা তুমি।তুমি মামলা করবা। ঠিক
আছে
কর।আর আমাকে ফোন দিবানা। তোমার
কাছে তোমার ঘুম বেশি গুরুত্বপুর্ণ।
আমার কোন গুরুত্ব নাই তোমার কাছে।
আমি রাখছি। বলেই নদী ফোন
রেখে
দেয়।
.
মেয়েটা অল্পতেই রেগে
যায়।কিন্তু আমি রাগের আড়ালে লুকিয়ে
থাকা ভালোবাসাটা বুঝি।তাই হয়ত ওর রাগ
ভাঙ্গাতে পারি।তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ
হয়ে ওকে ফোন দিই।রিং হবার সাথে
সাথেই ফোনটা রিসিভ করে। কারন সে
আমার কলের জন্য ওয়েট করে। --
.
.
হ্যালো।
- আমি উঠেছি প্লীজ ঠ্যাং
ভেঙ্গোনা।
-- যাও মামলা করতে যাও। আমি তো
নির্যাতন করি তোমায়।
- অবশ্যই নির্যাতন কর। কিন্তু সেটা
ভালোবাসার নির্যাতন।আমি এই
ভালোবাসার জন্য আজীবন নির্যাতিত
হতে চাই।
-- তুমি আসলেই একটা বান্দর।
- তুমি তাহলে বান্দরী।
-- কি বললা?
- না বলছি তুমি সুন্দরী।
-- হইছে আর পাম্প দিতে হবেনা।
বিকেলে দেখা করব।মাথায় থাকে
যেন।
আমি জানি কোথায় কখন দেখা করতে
বলেছে।এভাবেই খুনশুটির মধ্য দিয়ে
আমাদের ভালবাসা এগিয়ে যায়।
.
কিন্তু এর
মধ্যে আমি কেমন যেন হয়ে যাই।ওর
সেই শাসন গুলো এখন আর সহ্য হয়না।
মন চায় তাকে দু একটা কথা শুনিয়ে দিতে।
কিন্তু পারিনা।এরপর থেকে আমি তাকে
গুরুত্ব একটু কমই দিই। সে প্রতিদিনই
বলত তার প্রতি আমার ভালবাসা নাকি কমে
গেছে। আমি হেসে উড়িয়ে দিতাম।
একদিন মনটা ভীষন খারাপ। বাবা মা খুব
করে বকা দিছে।এমনিতেই মন খারাপ
হয়ে আছে। তার উপর নদীর বকুনি।
সহ্য
করতে পারিনি।
- হ্যালো।
-- কি ব্যপার তুমি ফোন রিসিভ করছনা
কেন?
- তুমি যখন ফোন দিবে তখনই যে
রিসিভ করতে হবে এমনতো কোন
কথা নেই। ( রেগে যাই আমি)
-- এভাবে কথা বলছ কেন তুমি?
- তো কিভাবে কথা বলব?
-- তোমার কি হল হঠ্যাৎ। এমন করছ
কেন
তুমি?
- তো কেমন করব আমি? প্রত্যেক
দিন তোমার শাসন সহ্য করতে করতে
আমি বিরক্ত হয়ে গেছি। সো বুঝতেই
পারছ যে তোমাকে আর নিতে পারছিনা
আমি।
-- তুমি এটা বলতে পারলে( কেঁদে
ফেলল নদী)
- হ্যাঁ পারলাম।
-- ঠিক আছে। আমি চাইনা আমার কারনে
কেউ বিরক্ত হোক।আমার কাছে
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হল তোমার
ভালো থাকা। তুমি যদি আমার শাসন না
পেয়ে ভালো থাকতে পারো
থাকো। আমি কথা দিচ্ছি তোমায় আমি আর
তোমায় ফোন দিয়ে বিরক্ত করবনা।
ভালো থেকো।
বলেই নদী কাঁদতে কাঁদতে ফোনটা
রেখে দিল।আমিও মোবাইলটা খাটের
উপর ছুঁড়ে ফেলে দিই।যাক বাবা বাঁচা
গেল।***
.
.
তারপর কিছুদিন ঠিকঠাক গেল। এরপরই শুরু
হল আমার অগোছালো জীবন।নদী
আমায় আর ফোন দেয়নি। আমি খুব মিস
করতে থাকি ওকে।বিশেষ করে ওর
শাসন গুলোকে। এতদিন নদীই
আমাকে
গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখত। এখন পুরো
এলোমেলো হয়ে গেছি। বুঝতেই
পারছি।নদীকে ছাড়া আমি কখনো
পরিপুর্ণ
হবোনা।কিন্তু আমি ওর সাথে সেদিন খুব
খারাপ ব্যবহার করেছি। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে
আমার নিজের উপর।কি যে করি।নদী কি
আমায় ক্ষমা করবে? মনে তো হয়না
যে অপরাধ আমি তার সাথে করেছি।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে নদীকে কল
দিলাম।কিন্তু ফোন রিসিভ করছেনা।
তিনবারের পর রিসিভ করল।
.
.
-- হ্যালো
- কি ব্যপার ফোন রিসিভ করছনা কেন --
-কিছু বলবে?
- হুম
-- বল
- একটা বিকেল হবে?
-- মানে?
- মানে তোমার কি একটা বিকেল হবে?
-- কেন?
- ধার চাইছি। চাইলে ফেরত নিতে পারবে
আবার।
-- কিন্তু কেন?
- উত্তরটা আমি মুখে বলবনা। একটা গান
শুনাই
তোমাকে। ওয়েট।
বলেই ওর উত্তরের অপেক্ষা না করে
বেলাল খানের একটা বিকেল গানটা প্লে
করি।নদী শুনতে থাকে।
""" তোমার কি একটা বিকেল হবে আমায়
একটা বিকেল দেবে
নিতে চাই যদিও ধার
চাইলে ফেরত নিও আবার
শুধুই তো একটা বিকেল
চাইলে ফেরত নিও আবার
বলতে চাই সে কথা যে কথা হয়নি বলা
চলতে চাই সে পথে যে পথে হয়নি
চলা"""""""
- শুনেছ?
-- হুম
- বুঝছ?
-- না। একটা বিকেল কেন চাই তোমার?
- ওই যে,,, বলতে চাই সে কথা যে কথা
হয়নি বলা।
-- আমি পারবনা।
- প্লীজ এই শিশুর উপর কি একটু দয়া করা
যায়না।
আমি জানি নদী আমার অনুরোধ
ফেলতে
পারবেনা।তাই রাজি হয়ে গেল।আমি জানি
ও কোথায় দেখা করবে। নদী সাদা
গোলাপ খুব
পছন্দ করে। ওর জন্য অনেক খুজে ৫
টা সাদা গোলাপ নিয়ে যাই। অপেক্ষা করছি
নদী আসার জন্য।একসময় নদী
আসে।
অনেক বিকেল নদীকে নিয়ে
এখানেই
কাটিয়েছি। কিন্তু আজকেরটা অন্য রকম।
.
.
নদী আসছে। ওকে দেখা যাছে।শুরু
হয়
আমার হার্টবিট।ও আসে।কিছুক্ষন দুজনে
নিশ্চুপ থাকার পর নদীই নীরবতা
ভাঙ্গে।
-- কি বলার জন্য ডেকেছ বল
- কেমন আছ?
-- ভাল।
- আমার কথা মনে পড়ে?
-- জানিনা।
- চোখ বন্ধ কর?
-- কেন?
- কর তো।
-- ওকে।
আমি ওর পাশে সাদা গোলাপ গুলো রাখি।
- চোখ খোল।
-- কি?
- তোমার ডানপাশে তাকাও?
নদী সাদা গোলাপ দেখে খুব খুশি হয়।
তারপর আবার মুখটা মলিন করে রাখে। --
এগুলো আনার কোন দরকার ছিলনা। -
আমার কাছে মনে হয়েছে দরকার তাই
এনেছি।
-- ও।
- একটা কথা বলব।
-- কি?
- আমায় আবার শাসন করবে?
-- না।
- কেন?
-- আমার শাসন ছাড়াই তুমি ভালো থাকতে
পারো।
- আমি স্যরি।
-- কেন স্যরি। তোমার যেটা মনে
ছিল
সেটাই বলেছ। নিজের মনের কথা
প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে।
- প্লিজ
ক্ষমা করে দাওনা। আমি আর কখনো
এমন করবনা। তোমার কথা মত চলব।
--তোমার নিজের ইচ্ছা মত তুমি
চলবে।
এতে আমার কি করার থাকতে পারে।
-প্লিজ তুমি আমায় আরেকটা বার সুযোগ
দাও।মানুষই তো ভুল করে। আর আমিও
তো মানুষ।
-- কেন। তুমিই তো বলেছ আমি
তোমায় বিরক্ত করি। কেন আবার নিজে
থেকে বিরক্ত হতে চাচ্ছো?
আমি কিছুনা বলে ওর সামনে হাঁটু গেড়ে
বসি।তারপর হাত জোড় করে বলি
- প্লীজ তোমার কাছে হাত জোড়
করে অনুরোধ করছি।তোমার এই
শিশুটি তোমার কাছে আবার নির্যাতিত
হতে চায়।
নদী আমার চোখের দিকে তাকায়। ও
বুঝতে পারে আমি সত্যিই তাকে
অনুরোধ করছি।
আমার হাত ধরে টেনে ওঠায়।
*****
.
তারপর একসাথে হাত ধরে পথ চলি।সেই
পথে চলছি যে পথে আগে চলা হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন