এক গবেষণায় দেখা গেছে লাভ ম্যারেজ হওয়া বিয়ে গুলোর ৪০% পরবর্তীতে ডির্ভোস হয়ে যায়!
আর ৬০% টিকে থাকে তবে এই ৬০% এর মধ্যে ৫০% সুখি হয় না!
সমাজ,পরিবার, লোক লজ্জার ভয়ে হয়তো তারা ডির্ভোস দিতে পারে না।
তাদের মধ্যে সব সময়ই ছোট ছোট কারন নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে।
আর মাত্র ১০% কাপলই আছে যারা লাভম্যারেজে সুখি হয়!
আর আমি বলবো এই ১০% কাপলদের ভালবাসাটাই ছিল সত্যি কারের ভালবাসা। আর ওই ৯০% কাপলদের ভালবাসাটা আর যাইহোক না কেন ওটা ভালবাসা ছিল না!
😒 কারন যারা সত্যিকারে ভালবাসে তারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একে অপরকে ছেড়ে যায় না।
এই ১০% কাপলদের মধ্যে আমার মা-বাবাও আছে!
☺
আজ আমার বাবা মায়ের ২৫তম বিবাহ বার্ষিকী!
😊কিন্তু এখনো তাদের ভালবাসা দেখলে কেউ বলবে না যে তাদের বিয়ের বয়স ২৫ বছর হয়ে গেছে! তাদের ভালবাসা দেখে মনে হয় যেনো নতুন বিয়ে হইছে!
😁 দিন যত যাচ্ছে তাদের একে অপরেরর প্রতি ভালবাসাটাও দিনদিন বাড়ছে!
💏
.
আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আমার বাবা মায়ের মধ্যে খুব কমই ঝগড়া লাগতে দেখেছি!
আমার বাবা মায়ের মধ্যে ঝগড়া লাগলে আমার একাটা দিক দিয়ে লাভ হয়!
😜
আর সেটা হলো তখন কেউ কারো সাথে কোনো কথা বলে না!
😶
কেউ কাউকে কিছু বলতে চাইলে আমাকে বলে আর আমি একজনের কথা অন্যজনকে গিয়ে বলে দেই। আর তখন নিজেকে ঘরের খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে হয়!।
😎
মনে হয় আমাকে ছাড়া পুরো ঘরটাই অচল।
😜
তাই মাঝেমাঝে নিজেকে ঘরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবার জন্য দোয়া করি যে আব্বু আম্মুর মধ্যে যেনো একটু ঝগড়া লাগে।
😁
কিন্তু আব্বু আম্মুর মধ্যে ঝগড়াও লাগে না আর নিজেকেও ঘরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবা হয় না।
🐸
.
তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগবে কি করে!!
😏
আব্বুকে যখন দেখি খু্ব রেগে যা তখন আম্মু একেবারে ভেজাবিড়াল হয়ে যায়! একটা কথাও তার মুখ থেকে বের হয় না! যদিও আম্মু গুনগুন করে কথার উত্তর দেয় কিন্তু সেটা আব্বুর কান পর্যন্ততো পৌছানো দূরের কথা নিজেরটা নিজেই শোনো কিনা সন্দেহ।
হয়তো আম্মু তখন আব্বুর কথার উত্তর দিলেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যেতো।
আসলে যখন একজনের উপর রাগ উঠে আর তখন সে যদি মুখে মুখে তর্ক করে তখন রাগ আরো বেড়ে যায়! আর ঝগড়াটা তখনি লাগে।
তাই আম্মু চুপ থাকে দেখেই হয়তো ঝগড়াটা লাগে না।
.
আর আম্মু যখন আব্বুর উপর রাগ করে আব্বুকে কথা শুনায় তখন দেখি আব্বু আস্তে করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়!
পুরুষ মানুষের রাগ এমনিতেই একটু বেশি থাকে।হয়তো আব্বু তখন ঘরে থাকলে রাগ না সামলাতে পেরে আম্মুর কথার উত্তর দিতো আর তখনি ঝগড়টা লাগতো।
তাই আব্বু ঘর থেকে বের হয়ে যায় যেনো আম্মুর কোনো কথা শোনা না লাগে আর উত্তরও না দেয়া লাগে!
.
আমার আব্বু আম্মুর মধ্যে এই বোঝাপড়াটার কারনেই হয়তো তাদের সংসার ২৫টা বছর এই রকম ভালবাসার মধ্যে ঠিকে আছে।
💒
আর আমার বিশ্বাস মিত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের ভালবাসা একই রকম থাকবে।
💕
আর তাদের ভালবাসাটা এই রকম অটুট থাকার আর একটা কারন একে অপরকে শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস।
আমাদের দেশে যে ডির্ভোস গুলা হয় তার প্রধান কারন হলো পরকিয়া আর দ্বিতীয় কারনটা হলো অবিশ্বাস বা সন্দেহ।
এই সন্দেহ জিনিসটা খুবই খারাপ। সন্দেহ হলো সুদের মত। সুদের টাকা যেমন দিনদিন বাড়তে থাকতে তেমনি সন্দেহ জিনিসটাও দিন দিন বাড়তে থাকে।
যে সম্পর্কে ভিতর একবার সন্দেহ ডুকে যায় সেটা আর বেশিদিন ঠিকে না।
আর আমার আব্বু আম্মুর মধ্যে এই সন্দেহ জিনিসটা কোনদিন ছিলনা দেখেই তারা আজ ২৫টা বছর একই ছাদের নিচে কাটিয়ে দিতে পারছে।
💕
.
অনেকেই বলে বিয়ের পর নাকি ভালবাসাটা আর আগের মত থাকে না! আমি এটা মানতে কোনো ভাবেই মানতে রাজি না।
😒
কারন সত্যি করের ভালবাসা কোনদিনও কমে না বরং দিন যত যায় ভালবাসাও ততো বাড়তে থাকে।
💖
💕
এটার সবচেয়ে বড় উদাহরন আমার বাবা-মা।
☺
✌🏼
আর ৬০% টিকে থাকে তবে এই ৬০% এর মধ্যে ৫০% সুখি হয় না!
সমাজ,পরিবার, লোক লজ্জার ভয়ে হয়তো তারা ডির্ভোস দিতে পারে না।
তাদের মধ্যে সব সময়ই ছোট ছোট কারন নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে।
আর মাত্র ১০% কাপলই আছে যারা লাভম্যারেজে সুখি হয়!
আর আমি বলবো এই ১০% কাপলদের ভালবাসাটাই ছিল সত্যি কারের ভালবাসা। আর ওই ৯০% কাপলদের ভালবাসাটা আর যাইহোক না কেন ওটা ভালবাসা ছিল না!

এই ১০% কাপলদের মধ্যে আমার মা-বাবাও আছে!

আজ আমার বাবা মায়ের ২৫তম বিবাহ বার্ষিকী!



.
আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আমার বাবা মায়ের মধ্যে খুব কমই ঝগড়া লাগতে দেখেছি!
আমার বাবা মায়ের মধ্যে ঝগড়া লাগলে আমার একাটা দিক দিয়ে লাভ হয়!

আর সেটা হলো তখন কেউ কারো সাথে কোনো কথা বলে না!

কেউ কাউকে কিছু বলতে চাইলে আমাকে বলে আর আমি একজনের কথা অন্যজনকে গিয়ে বলে দেই। আর তখন নিজেকে ঘরের খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে হয়!।

মনে হয় আমাকে ছাড়া পুরো ঘরটাই অচল।

তাই মাঝেমাঝে নিজেকে ঘরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবার জন্য দোয়া করি যে আব্বু আম্মুর মধ্যে যেনো একটু ঝগড়া লাগে।

কিন্তু আব্বু আম্মুর মধ্যে ঝগড়াও লাগে না আর নিজেকেও ঘরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবা হয় না।

.
তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগবে কি করে!!

আব্বুকে যখন দেখি খু্ব রেগে যা তখন আম্মু একেবারে ভেজাবিড়াল হয়ে যায়! একটা কথাও তার মুখ থেকে বের হয় না! যদিও আম্মু গুনগুন করে কথার উত্তর দেয় কিন্তু সেটা আব্বুর কান পর্যন্ততো পৌছানো দূরের কথা নিজেরটা নিজেই শোনো কিনা সন্দেহ।
হয়তো আম্মু তখন আব্বুর কথার উত্তর দিলেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যেতো।
আসলে যখন একজনের উপর রাগ উঠে আর তখন সে যদি মুখে মুখে তর্ক করে তখন রাগ আরো বেড়ে যায়! আর ঝগড়াটা তখনি লাগে।
তাই আম্মু চুপ থাকে দেখেই হয়তো ঝগড়াটা লাগে না।
.
আর আম্মু যখন আব্বুর উপর রাগ করে আব্বুকে কথা শুনায় তখন দেখি আব্বু আস্তে করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়!
পুরুষ মানুষের রাগ এমনিতেই একটু বেশি থাকে।হয়তো আব্বু তখন ঘরে থাকলে রাগ না সামলাতে পেরে আম্মুর কথার উত্তর দিতো আর তখনি ঝগড়টা লাগতো।
তাই আব্বু ঘর থেকে বের হয়ে যায় যেনো আম্মুর কোনো কথা শোনা না লাগে আর উত্তরও না দেয়া লাগে!
.
আমার আব্বু আম্মুর মধ্যে এই বোঝাপড়াটার কারনেই হয়তো তাদের সংসার ২৫টা বছর এই রকম ভালবাসার মধ্যে ঠিকে আছে।

আর আমার বিশ্বাস মিত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের ভালবাসা একই রকম থাকবে।

আর তাদের ভালবাসাটা এই রকম অটুট থাকার আর একটা কারন একে অপরকে শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস।
আমাদের দেশে যে ডির্ভোস গুলা হয় তার প্রধান কারন হলো পরকিয়া আর দ্বিতীয় কারনটা হলো অবিশ্বাস বা সন্দেহ।
এই সন্দেহ জিনিসটা খুবই খারাপ। সন্দেহ হলো সুদের মত। সুদের টাকা যেমন দিনদিন বাড়তে থাকতে তেমনি সন্দেহ জিনিসটাও দিন দিন বাড়তে থাকে।
যে সম্পর্কে ভিতর একবার সন্দেহ ডুকে যায় সেটা আর বেশিদিন ঠিকে না।
আর আমার আব্বু আম্মুর মধ্যে এই সন্দেহ জিনিসটা কোনদিন ছিলনা দেখেই তারা আজ ২৫টা বছর একই ছাদের নিচে কাটিয়ে দিতে পারছে।

.
অনেকেই বলে বিয়ের পর নাকি ভালবাসাটা আর আগের মত থাকে না! আমি এটা মানতে কোনো ভাবেই মানতে রাজি না।

কারন সত্যি করের ভালবাসা কোনদিনও কমে না বরং দিন যত যায় ভালবাসাও ততো বাড়তে থাকে।


এটার সবচেয়ে বড় উদাহরন আমার বাবা-মা।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন