ভোর ৬টায় বাস। এখন ৫:৪৫, আমি এখনো বাসায়ই। মাত্র ৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠলাম। কি করবো বুঝতেছি না। বাসায় থেকে বাস স্ট্যান্ড ৩০ মিনিটের পথ। মাথা ঝিমঝিম ধরে গেছে। উপায় না দেখে টিকিট থেকে কাউন্টারের নাম্বার নিয়ে ফোন দিলাম। ৭টায় বাসের টিকিট খালি আছে নাকি জিজ্ঞাসা করে হতাশ হলাম। আজকে, কালকে কোনোটার সিটই ফাঁকা নেই। তারমানে আজ লোকাল বাসের পথই ধরতে হবে। কিচ্ছু করার নাই। ভীষণ রকম চিন্তার সময় আবার আমার ঘুম পায়। তখনও তাই পেল। বালিশে মাথা রেখে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছি এমন সময় আম্মুর ডাক-" শুভ, ফোন তুলিস না ক্যান?? ঘুমালি নাকি আবার!" চোখ বুজেই ফোন ধরলাম। টিকিট কাউন্টার থেকে ফোন দিছে। ৭ টার বাসের একটা যাত্রী নাকি ভুলে আগে এসে পরছে। আমি যদি চাই তো আমি আমার সিটে তাকে যাওয়ার অণুমতি দিলে নাকি সে ও আমাকে তার সময় যেতে দিবে। আমার খুশি আর দেখে কে? এক লাফে উঠে রেডি হওয়া শুরু করলাম। ঠিক ৭ টার ২ মিনিট আগে পৌছালাম। কাউন্টার থেকে ঐ ব্যক্তির সিট নম্বর শুনলাম। তারপর প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে বাসে উঠলাম। গিয়ে আশেপাশে না তাকিয়ে সোজা সিটে গিয়ে বসলাম। প্রচুর হাঁপিয়ে উঠেছি তাই চোখ বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে একটু রিলাক্স মুডে বসলাম। ২ মিনিট পর একটি কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে উঠলো, "এখনো তোমার লেইট করার অভ্যাস্টা গেল নি।" একদম চমকে উঠলাম। বুকের ভেতর কেমন যেন একটু টান লাগলো। বামে তাকিয়ে দেখলাম তাকে। হ্যাঁ সে ঈ তো। ২ বছর ৫ মাস ১৪ তার চোখে চোখ পরলো। এখনো চোখে মায়াটা আছেই। আর পলক না ফেলে তাকিয়ে তাকার অভ্যাসটাও। আমিই চোখ সরিয়ে নিলাম। সামনের দিকে তাকিয়ে বললাম কেমন আছো? সে উত্তরদিল অণেক্ষণপর-"হ্যাঁ আছি"। ততক্ষণে আমি হারিয়ে গেছি স্মৃতির জগতে। প্রায় ৩ বছর সে আমার ছিল। তারপর ভাগ্যের কারণে এসএসসশেষে আমি পড়তে যাই বগুড়াতে আর সে সিরাজগঞ্জ এই থেকে যায়। তবে ফোন তো ছিলই কিন্তু হটাৎই কথা কাটাকাটি চরমে গেল। আমাদের মাঝে পরতেছিলই না একদম। সেরকম চলার প্রায় ৬ মাসের পর আমাদের মাঝে সবই শেষ হয়ে যায়। বগুড়ার যাওয়ার পর থেকে আর কোনোদিন দেখা পাই নি। আর লাস্ট দেড় বছরের মাঝে শুধু দুইজনের বার্থডে উইশ ছাড়া কোনো ম্যাসেজ পর্যন্ত আদান প্রদান হয় নি। "তুমি কেমন আছো?" তার এই কথাতেই আমার ভাবনার ছেদ পরলো।
আমি -হ্যাঁ, স্বাভাবিক।
সে - স্বাভাবিক থাকাই ভালো। যাচ্ছো কোথায়?
- ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে, তুমি?
- আমিও তো।
- বাসার কেউ যাচ্ছে না তোমার?
- ভাইয়া ঢাকাতেই আছে। ওখানেই চাকরি করে ভাবিকে নিয়ে আছে। আব্বু তুলে দিয়ে গেল।
- বাবা ভালো আছেন? [ওর আব্বুকে আমি বাবা বলেই ডাকতাম ও আর আমি যখন থাকতাম, ও ও তাই করতো]
সরি সরি আঙ্কেল ভালো আছেন?
- হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোমার মা-বাবা?
-হ্যাঁ ভালো।
- সিরাজগঞ্জ আসছো কবে, শুভ?
- গত পরশু। রাজশাহীতে কোচিং করেছি। তুমি কোথায় কোচিং করেছো প্রণয়া?
কেমন যেন ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় উত্তর দিল
-ঢাকাতে।
- প্রণয়া?
-ঐ নামে ডেকো না প্লিজ [অন্য দিকে তাকিয়ে]
- ওকে
সে - স্বাভাবিক থাকাই ভালো। যাচ্ছো কোথায়?
- ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে, তুমি?
- আমিও তো।
- বাসার কেউ যাচ্ছে না তোমার?
- ভাইয়া ঢাকাতেই আছে। ওখানেই চাকরি করে ভাবিকে নিয়ে আছে। আব্বু তুলে দিয়ে গেল।
- বাবা ভালো আছেন? [ওর আব্বুকে আমি বাবা বলেই ডাকতাম ও আর আমি যখন থাকতাম, ও ও তাই করতো]
সরি সরি আঙ্কেল ভালো আছেন?
- হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোমার মা-বাবা?
-হ্যাঁ ভালো।
- সিরাজগঞ্জ আসছো কবে, শুভ?
- গত পরশু। রাজশাহীতে কোচিং করেছি। তুমি কোথায় কোচিং করেছো প্রণয়া?
কেমন যেন ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় উত্তর দিল
-ঢাকাতে।
- প্রণয়া?
-ঐ নামে ডেকো না প্লিজ [অন্য দিকে তাকিয়ে]
- ওকে
আমি জানি প্রণয়া কেন অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে ওর চোখ এখন ভিজে আছে আর তার কারণ এই "প্রণয়া" নামটা। কারণ এই নামটা আমার দেওয়া। ওকে ভালোবেসে দিয়েছিলাম নামটা।
- শুনেছি তুমি জিপিএ-৫ পেয়েছো, কংগ্রাচুলেশনস।
- তুমি তো গোল্ডেন পেয়েছো। কংগ্রাচুলেশনস টু & থ্যাংকস শুভ।
- তোমার গান কেমন চলছে? বহুদিন তোমার গান শুনিনি।
- হ্যাঁ গান ভালোই চলছে, তোমার লেখালেখি ও তো দারুণ চালাচ্ছো শুভ।
- তুমি আমার লেখা পড়।
- তোমার লেখায় এখনো প্রণয়া নামটা কি না দিলেই নয়? নাকি নতুন যে জিএফ হয়েছে তাকেও প্রণয়া বলেই ডাকো।
- হাহাহা
-হাসছো যে?
- না, তোমার কথা শুনে। প্রণয়া শুধু তুমিই। নতুন কাউকে পুরোনো নাম কেনো দিতে যাবো।
-হ্যাঁ তাইতো। সেই নামটা মেই বি আরও রোমান্টিক??
- তুমি তো গোল্ডেন পেয়েছো। কংগ্রাচুলেশনস টু & থ্যাংকস শুভ।
- তোমার গান কেমন চলছে? বহুদিন তোমার গান শুনিনি।
- হ্যাঁ গান ভালোই চলছে, তোমার লেখালেখি ও তো দারুণ চালাচ্ছো শুভ।
- তুমি আমার লেখা পড়।
- তোমার লেখায় এখনো প্রণয়া নামটা কি না দিলেই নয়? নাকি নতুন যে জিএফ হয়েছে তাকেও প্রণয়া বলেই ডাকো।
- হাহাহা
-হাসছো যে?
- না, তোমার কথা শুনে। প্রণয়া শুধু তুমিই। নতুন কাউকে পুরোনো নাম কেনো দিতে যাবো।
-হ্যাঁ তাইতো। সেই নামটা মেই বি আরও রোমান্টিক??
উত্তর দিলাম না। তার চোখের দিকে তাকালাম। এখনো অভিমানী চোখে তাকে সেই বাচ্চাটাই লাগে। তার গুলু গুলু গাল গুলা আগে মতোই আমাকে যেন টিপে দেওয়ার জন্য ইশারা করা। তাকের নাকের ভাঁজ, কুঁচকানো ভ্রু তার সৌন্দর্যকে শতশত গুণে বাড়িতে দেয়। তার জোড়া লেগে থাকা ওষ্ঠ প্রকৃতির মলিনতাকেও হার মানায়।
না চোখটা সরিয়ে নিল। এভাবে তাকানো উচিত হয় নি একটুও। এখন তো আর সে আমার না। তারপর অণেক্ষণ নিরবতা।
না চোখটা সরিয়ে নিল। এভাবে তাকানো উচিত হয় নি একটুও। এখন তো আর সে আমার না। তারপর অণেক্ষণ নিরবতা।
প্রায় ঘণ্টা খানেক পর
-শুভ, এখনো রাত জেগে দেরি করে ওঠো।
-হ্যাঁ, অভ্যাসটা থেকেই গেছে।
-ওহ, তোমার জিএফ মনে হয় আমার মতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে তোমার মন খারাপ করেও দেয় না এবং সকালে উঠে তোমার ঘুমের ডিস্টার্ব ও করে না, না?
- হ্যাঁ, প্রণয়া। আমাকে কেউ আর কষ্টও দেয় নে, আর ডিস্টার্বও করে না। ভালোই আছি। তোমার বিএফ এর কি খবর?
-হ্যাঁ, খুব ভালো। জানো, ও খুব স্মার্ট। খুব কেয়ার করে। (কান্নাজড়িত কণ্ঠ)
- যাক তোমার যোগ্য কাউকেও পেয়েছো। আমিই খালি একা হয়ে থাকলাম।
-একা? কেন তোমার জিএফ?
কোনো এক ঝোকে পড়ে আর সহ্যই হল না। বলেই দিতাম যে তাকে এখনো ভালোবাসি, তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখি। কিন্তু সেই মুহুর্তেই টিকিট চেইক করতে আসছে। " আপু আপনার টিকিট?" তাতে ২ জনই নিজেদের গুছিয়ে নিলাম। আবার নিরবতা। অণেক্ষণ পর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো প্রণয়ার। আমার চোখ পরলো তার স্ক্রিনে। ওয়ালপেপারে আমার ছবি। চমকিয়ে উঠলাম তারমানে এখনো আমায় ভালোবাসে যেমন বাসি আমি। তাড়াতাড়ি ফোন অফ করলো প্রণয়া। আমিও বুঝতে দিলাম না যে আমি দেখে ফেলছি। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলি প্রণয়া তুমি শুধু আমার। আজও ভালোবাসি তোমায়। নিজেকে সংযত করলাম। তারপর অনেক চেষ্টাতেও না পেরে তার ডান হাতের কণিষ্ঠা আঙ্গুলের ভেতরে আমার বাম হাতে কণিষ্ঠা আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিলাম। সে চমকিয়ে আমার দিকে তাকালো ,যেমন ভাবে তাকিয়েছিল তাকে প্রথম যেদিন ভালোবাসি বলেছিলাম সেদিন। তাকানীতে ভয় এবং ভালোবাসার সংমিশ্রণ। দারুণ লাগছে তাকে। ইচ্ছে করে তাকিয়ে থাকি অনন্তকাল। আমিও পকেট থেকে ফোন বের করলাম। তাকে দেখালাম আমার ওয়ালপেপার। সে তা দেখে পাথর হয়ে গেল। তার শরীরে একটা অংশও আর থামছে না। শুধু চোখ বদলাচ্ছে। এখন ছলছল করছে তার চোখ। মেঘ এসেছে তার চোখে। নামবে বৃষ্টি। নামলে নামুক আজ। বৃষ্টি পরুক তার সেই গুলু গুলু গালে। এই সূযোগে না হয় একটু টিপে দিব। তবে এবার আর তাকে হারাবো না। হারিয়ে যেতে দেব না
💑
-হ্যাঁ, অভ্যাসটা থেকেই গেছে।
-ওহ, তোমার জিএফ মনে হয় আমার মতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে তোমার মন খারাপ করেও দেয় না এবং সকালে উঠে তোমার ঘুমের ডিস্টার্ব ও করে না, না?
- হ্যাঁ, প্রণয়া। আমাকে কেউ আর কষ্টও দেয় নে, আর ডিস্টার্বও করে না। ভালোই আছি। তোমার বিএফ এর কি খবর?
-হ্যাঁ, খুব ভালো। জানো, ও খুব স্মার্ট। খুব কেয়ার করে। (কান্নাজড়িত কণ্ঠ)
- যাক তোমার যোগ্য কাউকেও পেয়েছো। আমিই খালি একা হয়ে থাকলাম।
-একা? কেন তোমার জিএফ?
কোনো এক ঝোকে পড়ে আর সহ্যই হল না। বলেই দিতাম যে তাকে এখনো ভালোবাসি, তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখি। কিন্তু সেই মুহুর্তেই টিকিট চেইক করতে আসছে। " আপু আপনার টিকিট?" তাতে ২ জনই নিজেদের গুছিয়ে নিলাম। আবার নিরবতা। অণেক্ষণ পর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো প্রণয়ার। আমার চোখ পরলো তার স্ক্রিনে। ওয়ালপেপারে আমার ছবি। চমকিয়ে উঠলাম তারমানে এখনো আমায় ভালোবাসে যেমন বাসি আমি। তাড়াতাড়ি ফোন অফ করলো প্রণয়া। আমিও বুঝতে দিলাম না যে আমি দেখে ফেলছি। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলি প্রণয়া তুমি শুধু আমার। আজও ভালোবাসি তোমায়। নিজেকে সংযত করলাম। তারপর অনেক চেষ্টাতেও না পেরে তার ডান হাতের কণিষ্ঠা আঙ্গুলের ভেতরে আমার বাম হাতে কণিষ্ঠা আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিলাম। সে চমকিয়ে আমার দিকে তাকালো ,যেমন ভাবে তাকিয়েছিল তাকে প্রথম যেদিন ভালোবাসি বলেছিলাম সেদিন। তাকানীতে ভয় এবং ভালোবাসার সংমিশ্রণ। দারুণ লাগছে তাকে। ইচ্ছে করে তাকিয়ে থাকি অনন্তকাল। আমিও পকেট থেকে ফোন বের করলাম। তাকে দেখালাম আমার ওয়ালপেপার। সে তা দেখে পাথর হয়ে গেল। তার শরীরে একটা অংশও আর থামছে না। শুধু চোখ বদলাচ্ছে। এখন ছলছল করছে তার চোখ। মেঘ এসেছে তার চোখে। নামবে বৃষ্টি। নামলে নামুক আজ। বৃষ্টি পরুক তার সেই গুলু গুলু গালে। এই সূযোগে না হয় একটু টিপে দিব। তবে এবার আর তাকে হারাবো না। হারিয়ে যেতে দেব না

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন