-সাকিব চল বাসায় যাবি না?
>নারে দোস্ত যেতে ইচ্ছে করছে না,তুই যা।
-সন্ধ্যা হয়ে আসছে বাসায় চল।এভাবে বসে থাকলে তো আর রিয়া ফিরে আসবে না।
>চুপ একদম চুপ,রিয়া আসবে।ও ফিরে আসবে।ওকে যে আসতেই হবে।
-যে চলে যায় সে কি ফিরে তুই বল?তাছাড়া ও চলে গেছে আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল।তখন তো ওকে ফেরাস নি। বার বার ছুটে আসতো মেয়েটা তোর কাছে। কিন্তু তুই ফিরিয়ে দিয়েছিস।এখন পাঁচ বছর ধরে কেন তিলে তিলে নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছিস?
>আমি তো বুঝতে পারিনি ওকে আমার এতটা দরকার হবে।আমি ও ওকে পাগলের মত ভালোবাসে ফেলব। ( বলে কান্না করে দিলো সাকিব)
.
পাঁচ বছর আগের কথা,,
আমি আর আবির আড্ডা দিচ্ছিলাম বাসার গেইটের সামনে,আর তখনি
-এইযে মিস্টার শুনুন,
>জ্বী আমাকে বলছেন?
-হুম আপনাকেই,জান্নাত বাসায় আছে?
>হুম ও বাসায় আছে।
-ওকে ধন্যবাদ ( বলে চলে গেল বাসার ভেতর )
>এই মেয়ে কে রে আবির?
-জান্নাতের ফ্রেন্ড হবে মনে হয়।
(জান্নাত আমার ছোট বোন)
>কেমন মেয়েরে বাবা।যাক বাদ দে।কলেজ যাবি না?
-হুম চল।
.
ক্যাম্পাসে বসে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় জান্নাত এসে উপস্থিত।
.
-এই ভাইয়া শোন(জান্নাত)
>কিরে তুই এখানে ক্যান(সাকিব)
-ভাইয়া কিছু টাকা দে না(রিয়াকে সাথে নিয়ে আসছে)
>টাকা নাই যা ভাগ।
-এই যে মিস্টার এমন করছেন কেন?বোন টাকা চাইলে দিতে হয় তাও জানেন না?(রিয়া)
>এইযে ম্যাডাম আপনে কে হ্যা, আমাদের ভাই বোনের মাঝে কথা বলতে আসছেন?
-আমি রিয়া,জান্নাতের বান্ধবী।এবার ওকে টাকাটা দিয়ে দিন।
>এই আপনার কথায় দিবো নাকি?
-ভাইয়া দে না।
>কি করবি টাকা দিয়ে?এই বলে দু'শো টাকা বের করে দিল সাকিব।
-আর তিনশো দে ভাইয়া
>আমার কাছে আর নেই।মা যা দিছিলো সবই তো নিয়ে নিলি।
-আচ্ছা ভাইয়া, লাভ ইউ।
>হইছে যা ভাগ।
-হি হি হি( হাসতে হাসতে চলে গেল পেত্নিটা,আমার বোনটাকে এই মেয়ে খারাপ বানায় ফেলবে।এর আগে কখনো জান্নাত টাকা নেয়নি আমার থেকে )
.
দুপুরে খেয়ে একটা ঘুম দিব ভাবছি তাই রুমে গেলাম।
>এই আপনি এখানে কেন?
-বান্ধবীর বাসায় কেন আসে মানুষ (রিয়া)
>বান্ধুবীর বাসায় আসছেন ভালো কথা,আমার রুমে কি?
-এটা আপনার রুম প্রমান কি?
>এই মেয়ে বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।বের হোন,বের হোন বলছি।
-না বের হবো না,আপনি এমন ক্যান হ্যা?এত সুন্দরী একটা মেয়ে কোথায় একটু চান্স নিবেন তা না।
>জান্নাত এই জান্নাত
-চিল্লাছিস কেন ভাইয়া?কি হইছে তোর?
>তোর এই পাগল বান্ধবীকে আমার ঘর থেকে বের হতে বল।
-আমি বের হবো না(রিয়া)
>এই মেয়ে আপনার কি লজ্জা করে না? এত করে বলছি বের হতে তাও বের হবেন না বলছেন।
-বারে ভবিষ্যতে তো এটা আমারই ঘর হবে। তো যাবো কেন?
>এ এ এই মেয়ে বলে কি?জান্নাত ওকে নিয়ে বের হবি?নাকি মা কে ডাকবো?
-মা কে ডাকতে হবে না, যাচ্ছি,রিয়া চলে আয়।ভাইয়া রেগে গেছে।বলে চলে গেল দুই পেত্নি।
.
মেয়েটা কি বলে গেল। এটা নাকি ওর ঘর হবে।এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে নিশ্চিত।আর মতিগতি ভালো ঠেকছে না।আমায় চেনেনা জানেনা দুদিন দেখেই কি শুরু করছে।যাক প্রচুর ঘুম পাচ্ছে একটু ঘুমাই।
.
কিছুক্ষন পর পেত্নির হি হি আওয়াজ এ ঘুম ভেঙ্গে গেল।নিজেকে ভেজা শরীরে বিসানার উপর আবিষ্কার করলাম।না
পেত্নিতা আমার পিছু ছাড়বে বলে মনে হয় না।
.
>মা মা ওমা দেখে যাও
-কি হল চিল্লাস কেন এমন করে?
>জান্নাত আর ওর বজ্জাত বান্ধবীকে বাসা থেকে বের করবা?এরা আমার শান্তি কেরে নিতে উঠে পরে লেগেছে।
-মজা করছে ওরা তাতে রেগে যাচ্ছিস কেন?হাসতে হাসতে মা বললো। >নাহ আর সহ্য করা যায় না,ভেজা পোশাক চেইন্জ করে বাইরে চলে এলাম।আসার সময় বলে এলাম বাসায় ফিরে যাতে ঐ পেত্নিকে না দেখতে হয় আমার।তাহলে খবর আছে।
.
-কিরে দোস্ত এমন মুখ ভার করে বসে আছিস কেন?
>আর বলিস না আবির পেত্নিটা বাসায় এসে আমায় জ্বালানো শুরু করছে।তুই তো জানিস বিকেলে না ঘুমালে আমার মাথায় পেইন হয়,এই মেয়ে আমায় ঘুমাতে দেয়নি আজ।
-কার কথা বলছিস?জান্নাত এমন করছে?
>ধুর জান্নাত করবে কেন?ঐ রিয়া বাসায় এসে জুটেছে।আমার সব কিছুতে এর নাক গলানো চাই।নইলে সে নাকি শান্তি পায় না।
-হা হা হা সামথিং রং
>হাসিস কেন তুই?
-মেয়েটা তোর প্রেমে পড়েছে সাকিব
>ধুর,, ওর প্রেম ধুইয়া ও পানি খাক।আমি এসবে নাই।আর ওর মত পেত্নিরে আমি ভালোবাসমু না বুঝলি।
-এভাবে বলিস না চান্দু,মেয়েটা কিন্তু হেব্বি কিউট।
>কিউট না ছাই। বট গাছের পেত্নি।
-আচ্ছা চল পার্কে থেকে ঘুরে আসি। তোর মুড ঠিক হয়ে যাবে পার্কের হাওয়া খেলে।
>আচ্ছা চল।
.
আমি আর আবির মিলে লেকের ধারে বসে গান গাইলাম,সারা বিকেল দুজন পার্কে কাটিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় বাসায় ফিরে দেখি পেত্নি বাসায় নেই।তারমানে চলে গেছে পেত্নি। যাক বাঁচা গেল।রুমে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।
.
-হায় চান্দু
>এ এ এই পেত্নি কে চান্দু হ্যা...?
-কেন আপনি।
>আমি সাকিব, চান্দু নই।আর আপনি এখনো এ বাসায় কেন?
-আমি আমার শশুর বাড়ি আসছি চলে যাওয়ার জন্য নাকি?
>এই আপনার শশুর বাড়ি মানে?
-আরে ভাইয়া বুঝিস না? মা তো রিয়াকে তোর জন্য পছন্দ করে ফেলছে।আর আমার ও ওকে হেব্বি পছন্দ।তাছাড়া তোর সাথে মানাবে ভালো।
>আমার ওকে পছন্দ নয়,যত্তসব আজাইরা কথা বার্তা। এই শুনুন আপনি কাল চলে যাবেন।
-কেন যাবো হ্যা? আমি যাবোনা আমার হবু বরকে ছেড়ে।
>কাল যেন আপনাকে না দেখি।যত্তসব ঝামেলা আমার ঘারে এসে পরেছে।
.
রাগে রুমে এসে ডিনার না করেই শুয়ে পরলাম।
-এইযে শুনছেন?আমার উপর রাগ করে না খেয়ে থাকবেন না।আন্টি ডাকছে খেতে আসেন।
>খাবো না, আপনি যান।
-প্লিজ খেতে আসুন।আমি চলে যাবো কাল।
>আপনাকে যেতে বললাম তো।আমি খাবো না।
-আসুন না?(হাত ধরে টেনে বললো)
>আপনাকে বললাম না খাবো না ( ঠাস করে একটা চর বসিয়ে )
-হাত ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল রিয়া।
>না এটা বেশি করে ফেললাম না তো।কি করবো এত জালাচ্ছে সহ্য করার মত না।সকাল বেলায় সরি বলে দিবো।ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।
.
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে মায়ের কোনো চেঁচামেচি শুনলাম না,আজ মা ডাকলো না কেন?জান্নাত ও চা নিয়ে আসেনি।রিয়ার ও কোনো আওয়াজ পাচ্ছি না।তাই ফ্রেস হয়ে রিয়াকে খুঁজতে লাগলাম।সারা বাড়ি খুজঁলাম রিয়াকে পেলাম না কোথাও।
.
-কাকে খুঁজছিস ভাইয়া?
>রিয়া,রিয়া কোথায় বোন?
>রিয়া চলে গেছে ভাইয়া।তুই কাল এটা ঠিক করিস নি।রিয়া তোকে ভালোবাসে ভাইয়া।ও তোর ছোট বেলার খেলার সাথি।ও সেই রিয়া যার সাথে তুই ছোট বেলায় খেলা করতি,ও সেই রিয়া যার জন্য তুই স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেরাতি।ও সেই রিয়া ভাইয়া যাকে তুই ভালোবাসতি। ও তোকে খুব ভালোবাসে ভাইয়া।কাল তুই খাসনি বলে ও তোকে ডাকতে গেছিলো কিন্তু তুই ওকে আঘাত করছিস।সারাটা রাত কেঁদেছে মেয়েটা।সকাল হতেই তোর কথা রাখতে ও চলে গেছে।
.
যাওয়ার সময় বলে গেছে ও আর ফিরবে না কখনো।ভাইয়া তুই ওকে এত কাছে পেয়েও চিনলি না।ও শুধু তোর জন্য ওর বাবা মা কে ছেড়ে ঢাকায় এসেছিল ভাইয়া।
.
>এটা আমি কি করলাম?আমার ভালোবাসাকে আমি এভাবে হারিয়ে ফেললাম?তোরা তো বলতে পারতি ও আমার রিয়া।কেন বলিস নি? ও ফিরবে আমি জানি ও ফিরবে।
.
আজও আমি আমার রিয়ার অপেক্ষায় আছি,সারাজীবন ওর অপেক্ষায় থাকবো।
-বাসায় চল সাকিব।আর পাগলামি করিস না।
>বাসায় গেলে কি রিয়া কে পাবো?রিয়া তো এখান দিয়েই বাসায় যাবে।আমি ওর জন্য এখানেই অপেক্ষা করবো।
-এমন করলে কি রিয়া চলে আসবে বল?অনেক রাত হয়ে গেছে চল দোস্ত।
>তুই যা,রিয়া আসবে।আমি জানি ও আসবে।রিয়া যে আমায় ভালোবাসে।ওকে আসতেই হবে।
.
সাকিব আজও রিয়ার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে।রিয়া আসবে এটা ওর বিশ্বাস।
>নারে দোস্ত যেতে ইচ্ছে করছে না,তুই যা।
-সন্ধ্যা হয়ে আসছে বাসায় চল।এভাবে বসে থাকলে তো আর রিয়া ফিরে আসবে না।
>চুপ একদম চুপ,রিয়া আসবে।ও ফিরে আসবে।ওকে যে আসতেই হবে।
-যে চলে যায় সে কি ফিরে তুই বল?তাছাড়া ও চলে গেছে আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল।তখন তো ওকে ফেরাস নি। বার বার ছুটে আসতো মেয়েটা তোর কাছে। কিন্তু তুই ফিরিয়ে দিয়েছিস।এখন পাঁচ বছর ধরে কেন তিলে তিলে নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছিস?
>আমি তো বুঝতে পারিনি ওকে আমার এতটা দরকার হবে।আমি ও ওকে পাগলের মত ভালোবাসে ফেলব। ( বলে কান্না করে দিলো সাকিব)
.
পাঁচ বছর আগের কথা,,
আমি আর আবির আড্ডা দিচ্ছিলাম বাসার গেইটের সামনে,আর তখনি
-এইযে মিস্টার শুনুন,
>জ্বী আমাকে বলছেন?
-হুম আপনাকেই,জান্নাত বাসায় আছে?
>হুম ও বাসায় আছে।
-ওকে ধন্যবাদ ( বলে চলে গেল বাসার ভেতর )
>এই মেয়ে কে রে আবির?
-জান্নাতের ফ্রেন্ড হবে মনে হয়।
(জান্নাত আমার ছোট বোন)
>কেমন মেয়েরে বাবা।যাক বাদ দে।কলেজ যাবি না?
-হুম চল।
.
ক্যাম্পাসে বসে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় জান্নাত এসে উপস্থিত।
.
-এই ভাইয়া শোন(জান্নাত)
>কিরে তুই এখানে ক্যান(সাকিব)
-ভাইয়া কিছু টাকা দে না(রিয়াকে সাথে নিয়ে আসছে)
>টাকা নাই যা ভাগ।
-এই যে মিস্টার এমন করছেন কেন?বোন টাকা চাইলে দিতে হয় তাও জানেন না?(রিয়া)
>এইযে ম্যাডাম আপনে কে হ্যা, আমাদের ভাই বোনের মাঝে কথা বলতে আসছেন?
-আমি রিয়া,জান্নাতের বান্ধবী।এবার ওকে টাকাটা দিয়ে দিন।
>এই আপনার কথায় দিবো নাকি?
-ভাইয়া দে না।
>কি করবি টাকা দিয়ে?এই বলে দু'শো টাকা বের করে দিল সাকিব।
-আর তিনশো দে ভাইয়া
>আমার কাছে আর নেই।মা যা দিছিলো সবই তো নিয়ে নিলি।
-আচ্ছা ভাইয়া, লাভ ইউ।
>হইছে যা ভাগ।
-হি হি হি( হাসতে হাসতে চলে গেল পেত্নিটা,আমার বোনটাকে এই মেয়ে খারাপ বানায় ফেলবে।এর আগে কখনো জান্নাত টাকা নেয়নি আমার থেকে )
.
দুপুরে খেয়ে একটা ঘুম দিব ভাবছি তাই রুমে গেলাম।
>এই আপনি এখানে কেন?
-বান্ধবীর বাসায় কেন আসে মানুষ (রিয়া)
>বান্ধুবীর বাসায় আসছেন ভালো কথা,আমার রুমে কি?
-এটা আপনার রুম প্রমান কি?
>এই মেয়ে বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।বের হোন,বের হোন বলছি।
-না বের হবো না,আপনি এমন ক্যান হ্যা?এত সুন্দরী একটা মেয়ে কোথায় একটু চান্স নিবেন তা না।
>জান্নাত এই জান্নাত
-চিল্লাছিস কেন ভাইয়া?কি হইছে তোর?
>তোর এই পাগল বান্ধবীকে আমার ঘর থেকে বের হতে বল।
-আমি বের হবো না(রিয়া)
>এই মেয়ে আপনার কি লজ্জা করে না? এত করে বলছি বের হতে তাও বের হবেন না বলছেন।
-বারে ভবিষ্যতে তো এটা আমারই ঘর হবে। তো যাবো কেন?
>এ এ এই মেয়ে বলে কি?জান্নাত ওকে নিয়ে বের হবি?নাকি মা কে ডাকবো?
-মা কে ডাকতে হবে না, যাচ্ছি,রিয়া চলে আয়।ভাইয়া রেগে গেছে।বলে চলে গেল দুই পেত্নি।
.
মেয়েটা কি বলে গেল। এটা নাকি ওর ঘর হবে।এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে নিশ্চিত।আর মতিগতি ভালো ঠেকছে না।আমায় চেনেনা জানেনা দুদিন দেখেই কি শুরু করছে।যাক প্রচুর ঘুম পাচ্ছে একটু ঘুমাই।
.
কিছুক্ষন পর পেত্নির হি হি আওয়াজ এ ঘুম ভেঙ্গে গেল।নিজেকে ভেজা শরীরে বিসানার উপর আবিষ্কার করলাম।না
পেত্নিতা আমার পিছু ছাড়বে বলে মনে হয় না।
.
>মা মা ওমা দেখে যাও
-কি হল চিল্লাস কেন এমন করে?
>জান্নাত আর ওর বজ্জাত বান্ধবীকে বাসা থেকে বের করবা?এরা আমার শান্তি কেরে নিতে উঠে পরে লেগেছে।
-মজা করছে ওরা তাতে রেগে যাচ্ছিস কেন?হাসতে হাসতে মা বললো। >নাহ আর সহ্য করা যায় না,ভেজা পোশাক চেইন্জ করে বাইরে চলে এলাম।আসার সময় বলে এলাম বাসায় ফিরে যাতে ঐ পেত্নিকে না দেখতে হয় আমার।তাহলে খবর আছে।
.
-কিরে দোস্ত এমন মুখ ভার করে বসে আছিস কেন?
>আর বলিস না আবির পেত্নিটা বাসায় এসে আমায় জ্বালানো শুরু করছে।তুই তো জানিস বিকেলে না ঘুমালে আমার মাথায় পেইন হয়,এই মেয়ে আমায় ঘুমাতে দেয়নি আজ।
-কার কথা বলছিস?জান্নাত এমন করছে?
>ধুর জান্নাত করবে কেন?ঐ রিয়া বাসায় এসে জুটেছে।আমার সব কিছুতে এর নাক গলানো চাই।নইলে সে নাকি শান্তি পায় না।
-হা হা হা সামথিং রং
>হাসিস কেন তুই?
-মেয়েটা তোর প্রেমে পড়েছে সাকিব
>ধুর,, ওর প্রেম ধুইয়া ও পানি খাক।আমি এসবে নাই।আর ওর মত পেত্নিরে আমি ভালোবাসমু না বুঝলি।
-এভাবে বলিস না চান্দু,মেয়েটা কিন্তু হেব্বি কিউট।
>কিউট না ছাই। বট গাছের পেত্নি।
-আচ্ছা চল পার্কে থেকে ঘুরে আসি। তোর মুড ঠিক হয়ে যাবে পার্কের হাওয়া খেলে।
>আচ্ছা চল।
.
আমি আর আবির মিলে লেকের ধারে বসে গান গাইলাম,সারা বিকেল দুজন পার্কে কাটিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় বাসায় ফিরে দেখি পেত্নি বাসায় নেই।তারমানে চলে গেছে পেত্নি। যাক বাঁচা গেল।রুমে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।
.
-হায় চান্দু
>এ এ এই পেত্নি কে চান্দু হ্যা...?
-কেন আপনি।
>আমি সাকিব, চান্দু নই।আর আপনি এখনো এ বাসায় কেন?
-আমি আমার শশুর বাড়ি আসছি চলে যাওয়ার জন্য নাকি?
>এই আপনার শশুর বাড়ি মানে?
-আরে ভাইয়া বুঝিস না? মা তো রিয়াকে তোর জন্য পছন্দ করে ফেলছে।আর আমার ও ওকে হেব্বি পছন্দ।তাছাড়া তোর সাথে মানাবে ভালো।
>আমার ওকে পছন্দ নয়,যত্তসব আজাইরা কথা বার্তা। এই শুনুন আপনি কাল চলে যাবেন।
-কেন যাবো হ্যা? আমি যাবোনা আমার হবু বরকে ছেড়ে।
>কাল যেন আপনাকে না দেখি।যত্তসব ঝামেলা আমার ঘারে এসে পরেছে।
.
রাগে রুমে এসে ডিনার না করেই শুয়ে পরলাম।
-এইযে শুনছেন?আমার উপর রাগ করে না খেয়ে থাকবেন না।আন্টি ডাকছে খেতে আসেন।
>খাবো না, আপনি যান।
-প্লিজ খেতে আসুন।আমি চলে যাবো কাল।
>আপনাকে যেতে বললাম তো।আমি খাবো না।
-আসুন না?(হাত ধরে টেনে বললো)
>আপনাকে বললাম না খাবো না ( ঠাস করে একটা চর বসিয়ে )
-হাত ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল রিয়া।
>না এটা বেশি করে ফেললাম না তো।কি করবো এত জালাচ্ছে সহ্য করার মত না।সকাল বেলায় সরি বলে দিবো।ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।
.
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে মায়ের কোনো চেঁচামেচি শুনলাম না,আজ মা ডাকলো না কেন?জান্নাত ও চা নিয়ে আসেনি।রিয়ার ও কোনো আওয়াজ পাচ্ছি না।তাই ফ্রেস হয়ে রিয়াকে খুঁজতে লাগলাম।সারা বাড়ি খুজঁলাম রিয়াকে পেলাম না কোথাও।
.
-কাকে খুঁজছিস ভাইয়া?
>রিয়া,রিয়া কোথায় বোন?
>রিয়া চলে গেছে ভাইয়া।তুই কাল এটা ঠিক করিস নি।রিয়া তোকে ভালোবাসে ভাইয়া।ও তোর ছোট বেলার খেলার সাথি।ও সেই রিয়া যার সাথে তুই ছোট বেলায় খেলা করতি,ও সেই রিয়া যার জন্য তুই স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেরাতি।ও সেই রিয়া ভাইয়া যাকে তুই ভালোবাসতি। ও তোকে খুব ভালোবাসে ভাইয়া।কাল তুই খাসনি বলে ও তোকে ডাকতে গেছিলো কিন্তু তুই ওকে আঘাত করছিস।সারাটা রাত কেঁদেছে মেয়েটা।সকাল হতেই তোর কথা রাখতে ও চলে গেছে।
.
যাওয়ার সময় বলে গেছে ও আর ফিরবে না কখনো।ভাইয়া তুই ওকে এত কাছে পেয়েও চিনলি না।ও শুধু তোর জন্য ওর বাবা মা কে ছেড়ে ঢাকায় এসেছিল ভাইয়া।
.
>এটা আমি কি করলাম?আমার ভালোবাসাকে আমি এভাবে হারিয়ে ফেললাম?তোরা তো বলতে পারতি ও আমার রিয়া।কেন বলিস নি? ও ফিরবে আমি জানি ও ফিরবে।
.
আজও আমি আমার রিয়ার অপেক্ষায় আছি,সারাজীবন ওর অপেক্ষায় থাকবো।
-বাসায় চল সাকিব।আর পাগলামি করিস না।
>বাসায় গেলে কি রিয়া কে পাবো?রিয়া তো এখান দিয়েই বাসায় যাবে।আমি ওর জন্য এখানেই অপেক্ষা করবো।
-এমন করলে কি রিয়া চলে আসবে বল?অনেক রাত হয়ে গেছে চল দোস্ত।
>তুই যা,রিয়া আসবে।আমি জানি ও আসবে।রিয়া যে আমায় ভালোবাসে।ওকে আসতেই হবে।
.
সাকিব আজও রিয়ার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে।রিয়া আসবে এটা ওর বিশ্বাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন