<<…এই যে শুনছ?
>>…হু!শুনছি,কি বলবে বল।
<<…ঈদ তো চলে এলো।কেনাকেটা করবা
না?
>>…হু করব তো।কিন্তু সময় নেই,অনেক কাজ
বাকি আছে।
ঈদের তিন দিন আগে সব কাজ শেষ করতে
হবে।
না হয় ব্যবসায় ফকির হতে হবে।
.
<<…তো কবে মার্কেটে নিয়ে যাবে?
>>…কাজ শেষ করে দু'দিন রেষ্ট নিব তারপর
ঈদের আগের রাতে সবাই কে নিয়ে
মার্কেটে যাব।তখন যার যা ইচ্ছা তাই
কিনবে,টাকা নিয়ে কোন সমস্যা করব না।
<<…ঈদের আগের রাতে যাবে কেনাকাটা
করতে?
এত্ত দেরিতে না আরো আগে যেতে হবে।
>>…তবে তুমি আজ ই যাও,ইচ্ছে হলে এখনি
যাও।
বেশি রাত তো আর হয়নি।
কিন্তু আমি ঈদের আগের রাতে ছাড়া
যেতে পারব না।
.
<<তোমাকে কি কোনদিন এভাবে
বলেছিলাম মার্কেটে যাওয়ার কথা,সব
সময় তোমার ইচ্ছাতেই সব হয়েছে,
কিন্তু এবার আমি বললাম তুমি কথাটা
ফিরিয়ে দিলে।
.
>>…আরে ঘ্যান ঘ্যান কর না তো,আগে
কোনদিন বলোনি তবে এবার বলছ কেন?
<<…কারন তো নিশ্চয় একটা আছে,না হয়
বলতাম নাকি।
>>…কারন টা আবার কি?
<<…বলব কারন টা?
>>…বলো দেখি শুনি।
<<…বলো কথাটা ফেলেবেনা?
>>…আরে কথা না বাড়িয়ে বলত কি বলবা।
<<…আমাদের পাশের বাড়ি তে যে
আছিয়া আপারা থাকে তাদের কে তো
তুমি চিন ই,
তুমি তো জান ওরা গরিব,কত কষ্ট করে
জীবন চালায়।
আছিয়া আপার মেয়েটা না ওর মার কাছে
বায়না ধরেছে
ঈদের নতুন জামা এনে দিতে।
আছিয়া আপা একটা জামা দেখিয়ে
বলেছে এই টা তোমার ঈদের জামা কিন্তু
জামাটা ও কিছুতেই মেয়েটা পছন্দ
করছেনা,
কেঁদে কেঁদে শুধু বলছে এটা তো ঈদের
জামা না,এটা পুরাতন,আমাকে নতুন
জামা কিনে দাও।লাল একটা জামা
কিনে দাও আমায়।
.
কিন্তু তুমিই বলো আছিয়া আপা জামা
কিনে দিবে কিভাবে।
সেই কবে থেকে আছিয়া আপার স্বামীটা
বিছানায় পড়া।
কত কষ্ট করে আছিয়া আপা সংসার টা
চালাচ্ছে,মেয়ের জন্য তো ১হাজার
টাকাও খরচ করার সামর্থ নেই তার।
.
মেয়েটা মায়ের আচল ধরে সে কি কাঁন্না
করে যখনি দেখে কেউ মার্কেট থেকে
ঈদের কেনাকাটা করে এসেছে।
.
এসব দেখে আমার খুব কষ্ট লেগেছে,
আমাদের ও তো মেয়ে আছে,
আমরা যদি ওদের মত গরিব হতাম
তবে আমার কাছেও আমার মেয়ে
এভাবে আবদার করত,
.
সেও এভাবে আমার কাছে ঈদের জামা
চাইত।
আমরাও তো তার আবদার পূরন করত
পারতাম না,
তখন আমার কাছেও খুব খারাপ লাগত
মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে।
.
কিন্তু
আমাদের তো ওদের থেকে অনেক বেশি ই
টাকা আছে,মেয়েকে তো ওর পছন্দ মত
দামি জামা কিনে দিতে পারব।
আছিয়া আপার তো এত টাকা নেই
মেয়েকে জামা কিনে দেওয়ার।
তাই আমি বলছিলাম কি আছিয়া আপার
মেয়েকে তো আমরাই জামা কিনে দিতে
পারি।
নতুন জামা পেয়ে ও অনেক খুশি হবে।
হাঁসি মুখে আনন্দ সহ কারে ঈদ উদযাপন
করতে পারবে।
.
জানো মেয়েটা না প্রতিমুহুত্বেই ওর মার
আচল টেনে ধরে কাঁন্না করে,ওর মা রেগে
ওকে মেরে নিজেই কেঁদে ওঠে।
.
জানোনা ওসব দৃশ্য আমাকে ও কাঁদায়।
এজন্যই আমি চাচ্ছি যে ঈদের কেনাকাটা
টা আগে আগেই কর।
অন্তত মেয়েটার জন্য।
কি রাখবেনা আমার কথাটা?
.
>>…আসলে এসব শুনে আমার ও মনটা খারাপ
হয়ে গেল।
যদি আল্লাহ ওদের মত আমাদের ও গরিব
বানাত তবে আমরা ও তো সন্তানদের
ইচ্ছে গুলো পূরন করতে পারতাম না।
খোদার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া
তিনি অনেক সম্পদ দিয়েছেন।
আর আল্লাহর দেওয়া সম্পদ যদি গরিবদের
জন্য ব্যয় না করি তাদের মুখে হাঁসি না
ফুটাই তবে আল্লাহ যে বড় নারাজ হয়ে
যাবেন আমাদের প্রতি।
বেশিক্ষন ও তো লাগবেনা আমাদের
সম্পদ আল্লাহর ছিনিয়ে নিতে।
আমরাও তো তখন ওদের মত অসহায় হয়ে
যাব।
<<…সেটাই তো আমাদের সকল ধনীদের
বুঝা উচিত।
>>…হুম!ঠিক ই বলেছ।
কিন্তু সবাই তো আর এভাবে চিন্তা করে
দেখেনা তুমি যেভাবে চিন্তা করো।
<<…হ্যা! তাও ঠিক।
.
তবে এবার বলো কবে নিয়ে যাবে
মার্কেটে?
>>…আগামি কাল ই নিয়ে যাব।
আছিয়া আপার মেয়েকে ও সাথে নিয়ে
নিও,ওর পছন্দ মত কিনে দেওয়া যাবে।
<<… শুনে অনেক খুশি হলাম।
.
>>…মহারানী আপনাকে খুশি করতে পেরে
আমিও ধন্য হলাম।
আপনাকে খুশি না করতে পারলে তো
আবার আপনি ফুলে পেকে থাকতেন।
অবশ্য এই বিষয় টা আলাদা ব্যাপার।
.
অন্য বিষয় গুলো নিয়ে যেভাবে
গাল ফুলাও তুমি।বাপরে ভয় পেয়ে যাই।
<<…এই বেশি হচ্ছে কিন্তু।
>>…উহু! একদম ই না।
আসলে তুমি খুব ভাবুক মনের মানুষ,তোমার
মত স্ত্রী পেয়ে সত্যি ই আমি গর্বিত।
.
<<…হইছে!এবার ঘুমাও।
>>…ঘুমাব!!তা কেন?
<<…কাল মার্কেটে যাবে তাই।
>>…হা হাহা!নিজের টা ঠিক বুঝ আমার
টা শুধু বুঝনা।
<<…এই কি বুঝিনা তোমার টা হ্যা!
>>…এইযে আমার পাওনা- শোধ না করেই
ঘুমাতে বলছ।
<<…এই দুষ্ট।
>>…হা হা হা।
-------------
সকাল বেলা গাড়ির হর্ন শুনে সবাই রেডি
হচ্ছে মার্কেটে যাবার জন্য,
গাড়িতে উঠে সবাই রওনা হলো।
আছিয়া আপার মেয়েকে তার পছন্দ মত
জামা আর জুতা কিনে দেওয়া হলো।
সে তো অনেক খুশি।
.
আনন্দে আর্তহারা হয়ে ছুটা ছুটি করে
সবাই কে বলতে লাগল
আমার ঈদের জামা কিনা হয়ে গছে,এখন
তোমাদের দেখাব না,
দেখলে পুরাতন হয়ে যাবে।
ঈদের দিন পড়ে সবাই কে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখাব
আর ঈদের সালামি নিব।
.
এভাবেই হাঁসি ফুটল একটি সংসারের।
.....................................
((আমাদের বিবেক কে একটু সজা'গ করতে
পারলেই সমাজের এসব চিত্র পাল্টানো
সম্ভব))
((বিবেক কে একটু নাড়াচাড়া দিন
দেখবেন সমাজ সুন্দর হয়ে উঠবে
))
(((আর সমাজ সুন্দর হলে চারদিকে শুধু
শান্তি আর শান্তি)))
--
লেখাতে ভুল খুঁজতে যাবেন না
কারন ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
নিজের মানসিকতাকে সবার চোঁখের
সামনে
ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করুন।
আপনার একটু সহানুভূতিতে হাঁসি ফুটবে
অজস্র পরিবারের।
>>…হু!শুনছি,কি বলবে বল।
<<…ঈদ তো চলে এলো।কেনাকেটা করবা
না?
>>…হু করব তো।কিন্তু সময় নেই,অনেক কাজ
বাকি আছে।
ঈদের তিন দিন আগে সব কাজ শেষ করতে
হবে।
না হয় ব্যবসায় ফকির হতে হবে।
.
<<…তো কবে মার্কেটে নিয়ে যাবে?
>>…কাজ শেষ করে দু'দিন রেষ্ট নিব তারপর
ঈদের আগের রাতে সবাই কে নিয়ে
মার্কেটে যাব।তখন যার যা ইচ্ছা তাই
কিনবে,টাকা নিয়ে কোন সমস্যা করব না।
<<…ঈদের আগের রাতে যাবে কেনাকাটা
করতে?
এত্ত দেরিতে না আরো আগে যেতে হবে।
>>…তবে তুমি আজ ই যাও,ইচ্ছে হলে এখনি
যাও।
বেশি রাত তো আর হয়নি।
কিন্তু আমি ঈদের আগের রাতে ছাড়া
যেতে পারব না।
.
<<তোমাকে কি কোনদিন এভাবে
বলেছিলাম মার্কেটে যাওয়ার কথা,সব
সময় তোমার ইচ্ছাতেই সব হয়েছে,
কিন্তু এবার আমি বললাম তুমি কথাটা
ফিরিয়ে দিলে।
.
>>…আরে ঘ্যান ঘ্যান কর না তো,আগে
কোনদিন বলোনি তবে এবার বলছ কেন?
<<…কারন তো নিশ্চয় একটা আছে,না হয়
বলতাম নাকি।
>>…কারন টা আবার কি?
<<…বলব কারন টা?
>>…বলো দেখি শুনি।
<<…বলো কথাটা ফেলেবেনা?
>>…আরে কথা না বাড়িয়ে বলত কি বলবা।
<<…আমাদের পাশের বাড়ি তে যে
আছিয়া আপারা থাকে তাদের কে তো
তুমি চিন ই,
তুমি তো জান ওরা গরিব,কত কষ্ট করে
জীবন চালায়।
আছিয়া আপার মেয়েটা না ওর মার কাছে
বায়না ধরেছে
ঈদের নতুন জামা এনে দিতে।
আছিয়া আপা একটা জামা দেখিয়ে
বলেছে এই টা তোমার ঈদের জামা কিন্তু
জামাটা ও কিছুতেই মেয়েটা পছন্দ
করছেনা,
কেঁদে কেঁদে শুধু বলছে এটা তো ঈদের
জামা না,এটা পুরাতন,আমাকে নতুন
জামা কিনে দাও।লাল একটা জামা
কিনে দাও আমায়।
.
কিন্তু তুমিই বলো আছিয়া আপা জামা
কিনে দিবে কিভাবে।
সেই কবে থেকে আছিয়া আপার স্বামীটা
বিছানায় পড়া।
কত কষ্ট করে আছিয়া আপা সংসার টা
চালাচ্ছে,মেয়ের জন্য তো ১হাজার
টাকাও খরচ করার সামর্থ নেই তার।
.
মেয়েটা মায়ের আচল ধরে সে কি কাঁন্না
করে যখনি দেখে কেউ মার্কেট থেকে
ঈদের কেনাকাটা করে এসেছে।
.
এসব দেখে আমার খুব কষ্ট লেগেছে,
আমাদের ও তো মেয়ে আছে,
আমরা যদি ওদের মত গরিব হতাম
তবে আমার কাছেও আমার মেয়ে
এভাবে আবদার করত,
.
সেও এভাবে আমার কাছে ঈদের জামা
চাইত।
আমরাও তো তার আবদার পূরন করত
পারতাম না,
তখন আমার কাছেও খুব খারাপ লাগত
মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে।
.
কিন্তু
আমাদের তো ওদের থেকে অনেক বেশি ই
টাকা আছে,মেয়েকে তো ওর পছন্দ মত
দামি জামা কিনে দিতে পারব।
আছিয়া আপার তো এত টাকা নেই
মেয়েকে জামা কিনে দেওয়ার।
তাই আমি বলছিলাম কি আছিয়া আপার
মেয়েকে তো আমরাই জামা কিনে দিতে
পারি।
নতুন জামা পেয়ে ও অনেক খুশি হবে।
হাঁসি মুখে আনন্দ সহ কারে ঈদ উদযাপন
করতে পারবে।
.
জানো মেয়েটা না প্রতিমুহুত্বেই ওর মার
আচল টেনে ধরে কাঁন্না করে,ওর মা রেগে
ওকে মেরে নিজেই কেঁদে ওঠে।
.
জানোনা ওসব দৃশ্য আমাকে ও কাঁদায়।
এজন্যই আমি চাচ্ছি যে ঈদের কেনাকাটা
টা আগে আগেই কর।
অন্তত মেয়েটার জন্য।
কি রাখবেনা আমার কথাটা?
.
>>…আসলে এসব শুনে আমার ও মনটা খারাপ
হয়ে গেল।
যদি আল্লাহ ওদের মত আমাদের ও গরিব
বানাত তবে আমরা ও তো সন্তানদের
ইচ্ছে গুলো পূরন করতে পারতাম না।
খোদার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া
তিনি অনেক সম্পদ দিয়েছেন।
আর আল্লাহর দেওয়া সম্পদ যদি গরিবদের
জন্য ব্যয় না করি তাদের মুখে হাঁসি না
ফুটাই তবে আল্লাহ যে বড় নারাজ হয়ে
যাবেন আমাদের প্রতি।
বেশিক্ষন ও তো লাগবেনা আমাদের
সম্পদ আল্লাহর ছিনিয়ে নিতে।
আমরাও তো তখন ওদের মত অসহায় হয়ে
যাব।
<<…সেটাই তো আমাদের সকল ধনীদের
বুঝা উচিত।
>>…হুম!ঠিক ই বলেছ।
কিন্তু সবাই তো আর এভাবে চিন্তা করে
দেখেনা তুমি যেভাবে চিন্তা করো।
<<…হ্যা! তাও ঠিক।
.
তবে এবার বলো কবে নিয়ে যাবে
মার্কেটে?
>>…আগামি কাল ই নিয়ে যাব।
আছিয়া আপার মেয়েকে ও সাথে নিয়ে
নিও,ওর পছন্দ মত কিনে দেওয়া যাবে।
<<… শুনে অনেক খুশি হলাম।
.
>>…মহারানী আপনাকে খুশি করতে পেরে
আমিও ধন্য হলাম।
আপনাকে খুশি না করতে পারলে তো
আবার আপনি ফুলে পেকে থাকতেন।
অবশ্য এই বিষয় টা আলাদা ব্যাপার।
.
অন্য বিষয় গুলো নিয়ে যেভাবে
গাল ফুলাও তুমি।বাপরে ভয় পেয়ে যাই।
<<…এই বেশি হচ্ছে কিন্তু।
>>…উহু! একদম ই না।
আসলে তুমি খুব ভাবুক মনের মানুষ,তোমার
মত স্ত্রী পেয়ে সত্যি ই আমি গর্বিত।
.
<<…হইছে!এবার ঘুমাও।
>>…ঘুমাব!!তা কেন?
<<…কাল মার্কেটে যাবে তাই।
>>…হা হাহা!নিজের টা ঠিক বুঝ আমার
টা শুধু বুঝনা।
<<…এই কি বুঝিনা তোমার টা হ্যা!
>>…এইযে আমার পাওনা- শোধ না করেই
ঘুমাতে বলছ।
<<…এই দুষ্ট।
>>…হা হা হা।
-------------
সকাল বেলা গাড়ির হর্ন শুনে সবাই রেডি
হচ্ছে মার্কেটে যাবার জন্য,
গাড়িতে উঠে সবাই রওনা হলো।
আছিয়া আপার মেয়েকে তার পছন্দ মত
জামা আর জুতা কিনে দেওয়া হলো।
সে তো অনেক খুশি।
.
আনন্দে আর্তহারা হয়ে ছুটা ছুটি করে
সবাই কে বলতে লাগল
আমার ঈদের জামা কিনা হয়ে গছে,এখন
তোমাদের দেখাব না,
দেখলে পুরাতন হয়ে যাবে।
ঈদের দিন পড়ে সবাই কে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখাব
আর ঈদের সালামি নিব।
.
এভাবেই হাঁসি ফুটল একটি সংসারের।
.....................................
((আমাদের বিবেক কে একটু সজা'গ করতে
পারলেই সমাজের এসব চিত্র পাল্টানো
সম্ভব))
((বিবেক কে একটু নাড়াচাড়া দিন
দেখবেন সমাজ সুন্দর হয়ে উঠবে
))
(((আর সমাজ সুন্দর হলে চারদিকে শুধু
শান্তি আর শান্তি)))
--
লেখাতে ভুল খুঁজতে যাবেন না
কারন ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
নিজের মানসিকতাকে সবার চোঁখের
সামনে
ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করুন।
আপনার একটু সহানুভূতিতে হাঁসি ফুটবে
অজস্র পরিবারের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন