রাত ১০:৫৫……………
আকাশটা ভীষণ কাদছে। অনবরত কেদেই চলেছে। প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি বলতে যা বুঝায়, এটা সেই ঝড়-বৃষ্টি নয়! এটা সুধুই বৃষ্টি, তুমুল বৃষ্টি। কোন বাজ বা বিজলির চমকানো নেই! বাতাস নেই! সুধুই অঝোড় ধারায় ঝুম বৃষ্টি………………
-
এমন বৃষ্টির সময়ে একটু শীত শীত লাগছে। বিছানায় শুয়ে থেকে সুধু এপাশ-ওপাশ করছি। দু-চোখ ভর্তি ঘুম, তবুও ঘুম নেই! সবচেয়ে বড় কথা, এই প্রশস্ত বুকের উপরে কোন এক অভিমানির মাথা'টাকে মিস করছি! তার রাগ জড়ানো কণ্ঠের অভিযোগগুলোকে ভিষণ মিস করছি। তার অদ্ভুত 'আবদার' গুলোকে মিস করছি!
-
যাকে এত মিস করছি, সে এই একই ঘরের ভিতরে আছে! অবশ্য নিচে একা একাই শুয়ে আছে! আজ ৩ দিন হল রাগারাগি করার পর থেকে এখনো কোন কথা হয়নি আমাদের মাঝে। তাই একই ঘরে থাকার পরেও মনে হচ্ছে, দুজনার মধ্যো আসমান-জমিন তফাৎ!! সে অভিমানির নাম 'ইসরাত' আমার বউ……………
-
৩ দিন আগের ঘটনা……………
---- এই শুনছ?
---- হুম, বল……
---- আজকে আমাকে একটু বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারবে?
---- সরি লক্ষিটি, আজকে একটু কাজ আছে! তুমি জিয়াসমিনের (আমার বোন) সাথে বাইরে খেতে যাও………………
---- যাও, আমাকে লক্ষিটি বলবে না! তুমি আমাকে একটুও ভালবাস না…
---- কে বলছে ভালবাসি না! দেখাবো, কত ভালবাসি? (জরিয়ে ধরতে এগিয়ে গেলাম!)
---- যাও, আমার কাছে আসবা না! তোমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাক গে………
---- রাগ কর না প্লিজ, তুমি রাগ করে থাকলে কাজে মন দিতে পারব না……
---- ওকে, তোমার উপর কি রাগ করতে পারি? আমি জিয়াসমিনের সাথেই যাব!…………
---- এইত লক্ষিটি! লাভ ইউ সোনা!………
.
আমার নাম আরিয়ান। আমাদের বিয়েটা হয়েছিল পারিবারিক ভাবে প্রায় ১ বছর আগে। প্রেম করে বিয়ে করার থেকে, পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার একটা সুবিধা হল, আপনি এমন মেয়ে পাবেন, যার যোগ্য আপনি নন!! সবার ক্ষেত্রে কিনা জানিনা, তবে আমার ক্ষেত্রে এমনই ঘটেছে!………
ইসরাত যথেষ্ট সুন্দরি, বুদ্ধিমতী, সংসারি। তবে একটু বেশিই আবেগী আর অভিমানী। ওর অভিমানের জন্যেই ওকে বেশি ভালো লাগে!………
-
আসলে সেদিন সত্যিই কাজের চাপের কারণে ইসরাতের সাথে খেতে যেতে পারি নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, সেদিন ভার্সিটির এক পুরোনো বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে যায়। অনেকক্ষণ কথাবার্তা হওয়ার পরে, খুব করে ধরে যে, আজকে সে আমাকে খাওয়াবে! এবং তারসাথে যেতেই হবে।
একপ্রকার বাধ্য হয়েই গেলাম ওর সাথে খাওয়ার জন্য। কিন্তু, বিধিবাম! ইসরাতও যে এই একই রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছে। দেখাও হয় দুজনার! তিনজনার চোখাচোখি হলেও কোন কথা হয়নি। বান্ধবির সাথে আমাকে দেখে ও যে বিশেষ খুশি হয় নি! তা তো বুঝতেই পারলাম! কিন্তু, কেন কথা বলল না? এটাই বুঝলাম না…………
তারপর বাড়িতে এসে যা ঘটল………
-
ইসরাতঃ ওই মেয়েটা কে?
আরিয়ানঃ না, মানে………
ইসরাতঃ বলছি, ওই মেয়েটা কে?
আরিয়ানঃ পুরোনো বান্ধবি…………
ইসরাতঃ আপনার কতগুলা বান্ধবি ছিল? আর এখন কয়টা আছে?
আরিয়ানঃ তুমি যা ভাবছ? তা না! আসলে ও আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল………
ইসরাতঃ তা তো বুঝতেই পারলাম! আমাকে খেতে না নিয়ে গিয়ে, তার সাথে যাওয়া!…………
আরিয়ানঃ আসলে আমি সরি! এবারের মত ক্ষমা করে দাও প্লিজ………
ইসরাতঃ আমি জিয়াসমিনের থেকে সব শুনেছি! আমাকে যখন দরকারই নেই………………
যাই, হোক আপনি থাকেন আপনার বান্ধবি দের নিয়ে…………
-
ইসরাতের ভিষণ রাগ হলে, ও আপনি করে বলে!
তারউপর যখন, জানতে পেরেছে ওই মেয়েটার সাথেই একসময় সম্পর্ক ছিল! এত সহজে রাগ কমবে না!
এই বোনটাকে নিয়ে আর পারি না! ওকে কেন এসব বলতে গেল?……………
-
তারপর সেই যে রাগারাগি আর কথা বলা বন্ধ! ৩ দিনেও আর কথা হয়নি! পরিবারের সবার সাথেই খুব সুন্দর সম্পর্ক ইসরাতের। তাদের সাথে যেমন হাসি-খুশি ছিল, এখনও তেমন। সুধু আমার সাথে যেন, আসমান-জমিন দুরুত্ব!
-
এখন ১১:৩৫!
এখনো বৃষ্টি হচ্ছে আগের মতই! আকাশ যেন তার সমস্ত রাগ ঝড়িয়ে ফেলছে এই কান্নায়!
ইসরাতকে একদিন তার 'ভয়ের' লিস্ট দিতে বলেছিলাম! তাতে মাত্র ২ টা জিনিস ভয় পাওয়ার কথা বলেছিল। স্বাভাবিক মেয়েদের মত তেলাপোকাকে ও ভয় পাই না!
ওর ভয় পাওয়া হল, 'অন্ধকার' এবং 'বজ্রপাত' বা বিজলীর চমকানি!
এ ক'দিনে ঘর প্রচুর অন্ধকার রেখেও কাজ হয়নি! ও ওর রাগের উপর ছিল অবিচল!
তাই, আজ ভীষণ ভাবে বজ্রপাত চাচ্ছি! তাতে যদি ভয় পেয়ে আমার কাছে আসে!!
-
অবশেষে বৃষ্টিটা কমে গিয়ে, বাতাস বইতে লাগল। বিজলীর চমকও দেখা গেল! এবং খুব শব্দ করে বজ্রপাত হতে লাগণ বিজলী চমকাতে লাগল………
আমি খুব উৎসুক হয়ে আছি, ইসরাতের জন্য! এই বুঝি কাছে আসে………?
তারপরেও যখন আসল না! গিয়ে দরজা-জানালা সব খুলে দিলাম! ঘরে প্রচন্ড বাতাস! আর মাঝে মাঝে আলোর ঝলক সহ বৃষ্টির ফোটাও আসতে লাগল! এবং একটি বজ্র প্রায় জানালা ঘেষে বিকট শব্দে চলে গেল!
সাথে সাথে 'মহারাণী' যেন ধরফরিয়ে একেবারে বিছানায় আমার উপর এসে পড়ল…………
আমিও বুকে জড়িয়ে নিলাম! আহ্! কি শান্তি! যার জন্য ৩ দিন অপেক্ষা করছি।
কিন্তু একি, ইসরাত কাদছে! সাথে ওর মাথাটা এমন শক্ত ভাবে বুকের ভিতর রেখেছে যে, মনে হচ্ছে বুকটা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে পড়বে!
আমি হাত দিয়ে ওর মাথাটা তুলে ধরলাম………
আরিয়ানঃ এই পাগলি! কি হয়েছে? কাদছ কেন?
ইসরাতঃ …………… (হালকা আলোর ঝলকানিতে ভালোই বুঝা যাচ্ছে ও কতটা লজ্জা পেয়েছে! মুখ যেন লজ্জায় লাল!)
আরিয়ানঃ আরে হয়েছে তো! এত কাদলে তো বর্ষা হয়ে যাবে!……
ইসরাতঃ তাহলে তুমি বল, ওই মেয়েটা তোমার কেউ না?
আরিয়ানঃ হ্যা তো! ও আমার কিছুই না! তোমাকে ভালবাসি! সুধুই তোমাকে……
ইসরাতঃ কচু বাস! আমার একটা কথাও তো রাখ না………
আরিয়ানঃ যাও, এখন যা বলবে তাই রাখব…………
ইসরাতঃ সত্যি তো? বুঝে বল কিন্তু!
আরিয়ানঃ সত্যি, সত্যি, তিন সত্যি………
ইসরাতঃ তাহলে চল ছাদে যায়! ভিজব! দুজনা বসে ভিজতে ভিজতে গল্প করব…………
আরিয়ানঃ কি? এই রাত ১২:০০ টার বৃষ্টিতে ভিজব!
ইসরাতঃ যাও, তোমার ভেজা লাগবে না! জানতামই যে তুমি আমাকে ভালবাস না…………
আরিয়ানঃ আরে না, চল ভিজি………
-
অবশেষে ইসরাতকে আড়কোলে করে নিলাম! ও ওর দুহাত দিয়ে ঘাড় শক্ত করে ধরল। ছাদে গিয়ে বসে শুরু করলাম আনলিমিটেড গল্প আর বৃষ্টিতে ভেজা…………
আকাশটা ভীষণ কাদছে। অনবরত কেদেই চলেছে। প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি বলতে যা বুঝায়, এটা সেই ঝড়-বৃষ্টি নয়! এটা সুধুই বৃষ্টি, তুমুল বৃষ্টি। কোন বাজ বা বিজলির চমকানো নেই! বাতাস নেই! সুধুই অঝোড় ধারায় ঝুম বৃষ্টি………………
-
এমন বৃষ্টির সময়ে একটু শীত শীত লাগছে। বিছানায় শুয়ে থেকে সুধু এপাশ-ওপাশ করছি। দু-চোখ ভর্তি ঘুম, তবুও ঘুম নেই! সবচেয়ে বড় কথা, এই প্রশস্ত বুকের উপরে কোন এক অভিমানির মাথা'টাকে মিস করছি! তার রাগ জড়ানো কণ্ঠের অভিযোগগুলোকে ভিষণ মিস করছি। তার অদ্ভুত 'আবদার' গুলোকে মিস করছি!
-
যাকে এত মিস করছি, সে এই একই ঘরের ভিতরে আছে! অবশ্য নিচে একা একাই শুয়ে আছে! আজ ৩ দিন হল রাগারাগি করার পর থেকে এখনো কোন কথা হয়নি আমাদের মাঝে। তাই একই ঘরে থাকার পরেও মনে হচ্ছে, দুজনার মধ্যো আসমান-জমিন তফাৎ!! সে অভিমানির নাম 'ইসরাত' আমার বউ……………
-
৩ দিন আগের ঘটনা……………
---- এই শুনছ?
---- হুম, বল……
---- আজকে আমাকে একটু বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারবে?
---- সরি লক্ষিটি, আজকে একটু কাজ আছে! তুমি জিয়াসমিনের (আমার বোন) সাথে বাইরে খেতে যাও………………
---- যাও, আমাকে লক্ষিটি বলবে না! তুমি আমাকে একটুও ভালবাস না…
---- কে বলছে ভালবাসি না! দেখাবো, কত ভালবাসি? (জরিয়ে ধরতে এগিয়ে গেলাম!)
---- যাও, আমার কাছে আসবা না! তোমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাক গে………
---- রাগ কর না প্লিজ, তুমি রাগ করে থাকলে কাজে মন দিতে পারব না……
---- ওকে, তোমার উপর কি রাগ করতে পারি? আমি জিয়াসমিনের সাথেই যাব!…………
---- এইত লক্ষিটি! লাভ ইউ সোনা!………
.
আমার নাম আরিয়ান। আমাদের বিয়েটা হয়েছিল পারিবারিক ভাবে প্রায় ১ বছর আগে। প্রেম করে বিয়ে করার থেকে, পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার একটা সুবিধা হল, আপনি এমন মেয়ে পাবেন, যার যোগ্য আপনি নন!! সবার ক্ষেত্রে কিনা জানিনা, তবে আমার ক্ষেত্রে এমনই ঘটেছে!………
ইসরাত যথেষ্ট সুন্দরি, বুদ্ধিমতী, সংসারি। তবে একটু বেশিই আবেগী আর অভিমানী। ওর অভিমানের জন্যেই ওকে বেশি ভালো লাগে!………
-
আসলে সেদিন সত্যিই কাজের চাপের কারণে ইসরাতের সাথে খেতে যেতে পারি নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, সেদিন ভার্সিটির এক পুরোনো বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে যায়। অনেকক্ষণ কথাবার্তা হওয়ার পরে, খুব করে ধরে যে, আজকে সে আমাকে খাওয়াবে! এবং তারসাথে যেতেই হবে।
একপ্রকার বাধ্য হয়েই গেলাম ওর সাথে খাওয়ার জন্য। কিন্তু, বিধিবাম! ইসরাতও যে এই একই রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছে। দেখাও হয় দুজনার! তিনজনার চোখাচোখি হলেও কোন কথা হয়নি। বান্ধবির সাথে আমাকে দেখে ও যে বিশেষ খুশি হয় নি! তা তো বুঝতেই পারলাম! কিন্তু, কেন কথা বলল না? এটাই বুঝলাম না…………
তারপর বাড়িতে এসে যা ঘটল………
-
ইসরাতঃ ওই মেয়েটা কে?
আরিয়ানঃ না, মানে………
ইসরাতঃ বলছি, ওই মেয়েটা কে?
আরিয়ানঃ পুরোনো বান্ধবি…………
ইসরাতঃ আপনার কতগুলা বান্ধবি ছিল? আর এখন কয়টা আছে?
আরিয়ানঃ তুমি যা ভাবছ? তা না! আসলে ও আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল………
ইসরাতঃ তা তো বুঝতেই পারলাম! আমাকে খেতে না নিয়ে গিয়ে, তার সাথে যাওয়া!…………
আরিয়ানঃ আসলে আমি সরি! এবারের মত ক্ষমা করে দাও প্লিজ………
ইসরাতঃ আমি জিয়াসমিনের থেকে সব শুনেছি! আমাকে যখন দরকারই নেই………………
যাই, হোক আপনি থাকেন আপনার বান্ধবি দের নিয়ে…………
-
ইসরাতের ভিষণ রাগ হলে, ও আপনি করে বলে!
তারউপর যখন, জানতে পেরেছে ওই মেয়েটার সাথেই একসময় সম্পর্ক ছিল! এত সহজে রাগ কমবে না!
এই বোনটাকে নিয়ে আর পারি না! ওকে কেন এসব বলতে গেল?……………
-
তারপর সেই যে রাগারাগি আর কথা বলা বন্ধ! ৩ দিনেও আর কথা হয়নি! পরিবারের সবার সাথেই খুব সুন্দর সম্পর্ক ইসরাতের। তাদের সাথে যেমন হাসি-খুশি ছিল, এখনও তেমন। সুধু আমার সাথে যেন, আসমান-জমিন দুরুত্ব!
-
এখন ১১:৩৫!
এখনো বৃষ্টি হচ্ছে আগের মতই! আকাশ যেন তার সমস্ত রাগ ঝড়িয়ে ফেলছে এই কান্নায়!
ইসরাতকে একদিন তার 'ভয়ের' লিস্ট দিতে বলেছিলাম! তাতে মাত্র ২ টা জিনিস ভয় পাওয়ার কথা বলেছিল। স্বাভাবিক মেয়েদের মত তেলাপোকাকে ও ভয় পাই না!
ওর ভয় পাওয়া হল, 'অন্ধকার' এবং 'বজ্রপাত' বা বিজলীর চমকানি!
এ ক'দিনে ঘর প্রচুর অন্ধকার রেখেও কাজ হয়নি! ও ওর রাগের উপর ছিল অবিচল!
তাই, আজ ভীষণ ভাবে বজ্রপাত চাচ্ছি! তাতে যদি ভয় পেয়ে আমার কাছে আসে!!
-
অবশেষে বৃষ্টিটা কমে গিয়ে, বাতাস বইতে লাগল। বিজলীর চমকও দেখা গেল! এবং খুব শব্দ করে বজ্রপাত হতে লাগণ বিজলী চমকাতে লাগল………
আমি খুব উৎসুক হয়ে আছি, ইসরাতের জন্য! এই বুঝি কাছে আসে………?
তারপরেও যখন আসল না! গিয়ে দরজা-জানালা সব খুলে দিলাম! ঘরে প্রচন্ড বাতাস! আর মাঝে মাঝে আলোর ঝলক সহ বৃষ্টির ফোটাও আসতে লাগল! এবং একটি বজ্র প্রায় জানালা ঘেষে বিকট শব্দে চলে গেল!
সাথে সাথে 'মহারাণী' যেন ধরফরিয়ে একেবারে বিছানায় আমার উপর এসে পড়ল…………
আমিও বুকে জড়িয়ে নিলাম! আহ্! কি শান্তি! যার জন্য ৩ দিন অপেক্ষা করছি।
কিন্তু একি, ইসরাত কাদছে! সাথে ওর মাথাটা এমন শক্ত ভাবে বুকের ভিতর রেখেছে যে, মনে হচ্ছে বুকটা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে পড়বে!
আমি হাত দিয়ে ওর মাথাটা তুলে ধরলাম………
আরিয়ানঃ এই পাগলি! কি হয়েছে? কাদছ কেন?
ইসরাতঃ …………… (হালকা আলোর ঝলকানিতে ভালোই বুঝা যাচ্ছে ও কতটা লজ্জা পেয়েছে! মুখ যেন লজ্জায় লাল!)
আরিয়ানঃ আরে হয়েছে তো! এত কাদলে তো বর্ষা হয়ে যাবে!……
ইসরাতঃ তাহলে তুমি বল, ওই মেয়েটা তোমার কেউ না?
আরিয়ানঃ হ্যা তো! ও আমার কিছুই না! তোমাকে ভালবাসি! সুধুই তোমাকে……
ইসরাতঃ কচু বাস! আমার একটা কথাও তো রাখ না………
আরিয়ানঃ যাও, এখন যা বলবে তাই রাখব…………
ইসরাতঃ সত্যি তো? বুঝে বল কিন্তু!
আরিয়ানঃ সত্যি, সত্যি, তিন সত্যি………
ইসরাতঃ তাহলে চল ছাদে যায়! ভিজব! দুজনা বসে ভিজতে ভিজতে গল্প করব…………
আরিয়ানঃ কি? এই রাত ১২:০০ টার বৃষ্টিতে ভিজব!
ইসরাতঃ যাও, তোমার ভেজা লাগবে না! জানতামই যে তুমি আমাকে ভালবাস না…………
আরিয়ানঃ আরে না, চল ভিজি………
-
অবশেষে ইসরাতকে আড়কোলে করে নিলাম! ও ওর দুহাত দিয়ে ঘাড় শক্ত করে ধরল। ছাদে গিয়ে বসে শুরু করলাম আনলিমিটেড গল্প আর বৃষ্টিতে ভেজা…………
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন