আজ এইচ.এস.সি রেজাল্ট দিল।
সবাই এ+ আশা করলেও পাওয়াটা আমার কাছে এতটা সহজ ছিল না। এ মাইনাস পেলাম।
বাসায় যাব কিনা ভাবতে ভাবতেই দুপুর।
মোবাইল বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
কেউ ফোন না দিলেও রিমি ঠিকই ফোন দিচ্ছে।
অনেক মেধাবী মেয়ে রিমি -এস.এস.সি তে এ+ পায় আর
এবারও একই রেজাল্ট।
আমাকে অনেক ভালবাসে রিমি।
১ বছরের রিলেশন আমাদের। আমার প্রথম ভালবাসা ও, হয়ত এজন্যই অনেক ভালবেসে ফেলেছি ওকে।
কিন্তু গত ছয় মাস অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাকে।
ফোন করাতো বাদই দিলাম সারাদিনে মাত্র ২ টা মেসেজের রিপ্লাই দিত।
ওর একটাই শর্ত: আমাকে এ+ পেতেই হবে। আর তাই পরীক্ষাসহ রেজাল্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত যোগাযোগ বন্ধ।
বিকেলে মোবাইল অন করলাম সাথেসাথেই বাবার ফোন,
বলল: "তাড়াতাড়ি বাসায় আয় তোর মা খুব টেনশন করছে।"
তারপর ১ ঘন্টা হয়ে গেল- কই রিমিতো কোন ফোন দিলনা !
আমিই ফোন দিলাম।__
-> হ্যলো
-ছিঃ জাহিদ তুমি এত খারাপ রেজাল্ট করবে আমি ভাবতেও পারিনি।
আমাকে ফোন দিতে লজ্জা করল না তোমার ?
-> তুমি এভাবে কথা বলছ কেন, আমিতো অনেক চেষ্টা করেছি। আর রেজাল্ট দিয়ে কি হবে। তুমিতো আমাকে ভালবাস। আর আমি তোমাকে। প্লিজ রিমি আমাকে বোঝার চেষ্টা কর।
- না, ভালবাসি না তোমাকে।
তোমাকে আমার বয়ফ্রেন্ড পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। তুমি আমাকে আর ফোন দিবা না, তোমার সাথে আজথেকে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
......( ফোন কেটে দিল )
_কি করব বুঝতে পারছিলামনা।
আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু কামরুলের ম্যাচে গেলাম।
আমার মতই কামরুল তবে নেশা করার বাজে বদঅভ্যাস আছে ওর।
ব্রেকআপের কথা বলতেই আমার হাতে একটা সিগারেট ধরিয়ে দিল,
এত কষ্টের মাঝে সিগারেট ভালই লাগল কেমন যেনো একটা যাদু আছে এতে, তারপর কোনরকম সান্তনা দিয়ে বাসায় যেতে বলল আর পকেটে এক প্যাকেট সিগারেট দিয়ে দিল।
রিমিকে অনেকবার ফোন করেছি( কিন্তু মোবাইল বন্ধ)।
সেদিন রাতে অনেক কান্না করেছিলাম আর সিগারেটের প্যাকেটও শেষ করেছি পুরোটা।
নিজেকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যেই আমি একদিন অন্যদের স্মোক করতে মানা করতাম সেই আমি কি করছি আজ!!
এরপর থেকে প্রতিদিন কামরুলের ম্যাচে যাই, আস্তে আস্তে বাজে সবকিছুর নেশায় আসক্ত হয়ে পরি।
প্রায় একমাস পরের একদিনের ঘটনা:::
কামরুলের বাসায় যাচ্ছিলাম_পিছনথেকে জাহিদ ভাই বলে ডাকল কেউ।
পেছনে তাকাতেই রিমির বান্ধবী নিঝুমকে দেখলাম।
-> কিছু বলবে?
-আপনাকে কিছু বলার ছিল রিমি সম্পর্কে।
->কি বলবে বল?
-এখানে বলা যাবে না, ঐদিকে যে পার্কটা আছে ওখানে গিয়ে বসে বলি।
...( হাটা শুরু করল )
অবুঝ শিশুর মতো ওর পিছনে হাটা শুরু করলাম আমি_পার্কটা একটু দূরে প্রায় বিশ মিনিট হাটার পর পৌছলাম।
একটা টুলে বসলাম।
তারপর নিঝুম যা বলল::::
"আমি জানি কথা গুলো শুনে আপনার খুব কষ্ট হবে, রিমিও আমাকে বারন করেছিল কিন্তু চোখের সামনে একটা মানুষকে এভাবে ধংস হওয়ার দৃশ্য দেখতে পারছি না। আপনাদের সম্পর্কের পাঁচ মাসের মাথায় রিমির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে আপনার বন্ধু কামরুল। তারপর থেকে আপনার সাথে কি হচ্ছে তাতো আপনি জানেন-ই "
মুহূর্তের মধ্যে আমার চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরে।
নিজেকে কোনরকম কন্ট্রোল করে কামরুলের ম্যাচে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম_ "তুই রিমিকে ভালবাসিস? " কামরুল কোন উত্তর দেয়নি, শুধু মাথা নিচু করে বসে ছিল।
বুঝতে বাকি রইলনা যে নিঝুম সত্য কথাই বলেছে।
তারপর থেকে আমার সময় কাটে ঐ পার্কে।
শুধু ভালবাসা, বন্ধুত্ব আর বিশ্বাস নিয়ে হিসেবনিকেশ করতে থাকি, কিন্তু ফলাফল কান্না ছাড়া কিছুই পেলাম না। নেশার মাত্রা আরো বেড়ে গেল।
এভাবেই চলতে লাগল।
কিছুদিনপর বাসায় ফিরতেই মা বলল:: "নিঝুম এসেছিল, তোর কিছু কাগজ নিয়ে গেল পরে দিয়ে যাবে বলল।
রুমে ঢুকে দেখতে পাই টেবিলের উপর আমার মার্কশিট আর এডমিড কর্ড মিসিং।
রাত দশটার দিকে ফোন আসে_নিঝুম লিখা,
অবাক হয়ে যাই এই নামে সেভ করা নাম্বার থেকে ফোন আসায়, পরে মনে পরে ঐদিন পার্কে আমার মোবাইলটা একবার নিঝুম নিয়েছিল।
ঘুম আর নেশার ঘোরে ফোনটা রিসিভ করতে পারিনি। পরদিন বাসায় এসে একটা ভর্তির রিসিট আমার হাতে দিল আর বলল দুজনই ভর্তি হয়ে গেলাম।
নিঝুম ভাল ছাত্রী ছিল, চাইলেই পাবলিক ভার্সিটিতে পড়তে পারত।
কিন্তু পরে বুঝতে পারি আমার জন্যই এই প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হয়।
মায়ের মন জয় করে নিয়েছে একয়দিনে।
এরমধ্যেই আমাকে তুমি করে বলা শুরু করে দিয়েছে।
ক্লাস শুরু হওয়ার পরথেকে আমাকে ফোন করে একসাথে আমাকে নিয়ে যেত ভার্সিটিতে।
আমাকে অনেক বুঝাতে থাকে নেশা ছেড়ে দিয়ে নতুন করে বাঁচতে। কিন্তু আমি পারি না।
এভাবে চলতে থাকে_আমার জন্মদিন চলে আসে।
নিঝুম আমাকে একটা ডায়রি উপহার দেয়।
প্রথম পৃষ্ঠায় বড়করে লাল রঙে লেখা ছিল I Love You ।
রাতে ফোন করে বলে """তুমি কি চাওনা আমি যাকে ভালবাসি সে একজন সুস্খ মানুষ এবং ভালো মানুষ হোক ?"""
ফোনটা কেটে দিলাম আমি।
বারবার ফোন করছে নিঝুম, প্রায় এক ঘন্টা পর ফোন রিসিভ করে বলি "আমি চাই"
এরপর থেকে প্রতি রাতে কথা হয় ওর সাথে। আস্তে আস্তে নেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই ওর ভালবাসার কারনে। আমাদের রিলেশনের আজ তিনবছর।
সবাই বলে প্রথম ভালবাসা নাকি ভূলা যায় না। কিন্তু আমার এখন মনেই হয়না যে আমার ১ম ভালবাসা অন্য কেউ ছিল।
সত্যি-ই একদম বদলে দিয়েছে আমায়
এই শেষ ভালবাসা
____নিঝুমের ভালবাসা।
সবাই এ+ আশা করলেও পাওয়াটা আমার কাছে এতটা সহজ ছিল না। এ মাইনাস পেলাম।
বাসায় যাব কিনা ভাবতে ভাবতেই দুপুর।
মোবাইল বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
কেউ ফোন না দিলেও রিমি ঠিকই ফোন দিচ্ছে।
অনেক মেধাবী মেয়ে রিমি -এস.এস.সি তে এ+ পায় আর
এবারও একই রেজাল্ট।
আমাকে অনেক ভালবাসে রিমি।
১ বছরের রিলেশন আমাদের। আমার প্রথম ভালবাসা ও, হয়ত এজন্যই অনেক ভালবেসে ফেলেছি ওকে।
কিন্তু গত ছয় মাস অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাকে।
ফোন করাতো বাদই দিলাম সারাদিনে মাত্র ২ টা মেসেজের রিপ্লাই দিত।
ওর একটাই শর্ত: আমাকে এ+ পেতেই হবে। আর তাই পরীক্ষাসহ রেজাল্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত যোগাযোগ বন্ধ।
বিকেলে মোবাইল অন করলাম সাথেসাথেই বাবার ফোন,
বলল: "তাড়াতাড়ি বাসায় আয় তোর মা খুব টেনশন করছে।"
তারপর ১ ঘন্টা হয়ে গেল- কই রিমিতো কোন ফোন দিলনা !
আমিই ফোন দিলাম।__
-> হ্যলো
-ছিঃ জাহিদ তুমি এত খারাপ রেজাল্ট করবে আমি ভাবতেও পারিনি।
আমাকে ফোন দিতে লজ্জা করল না তোমার ?
-> তুমি এভাবে কথা বলছ কেন, আমিতো অনেক চেষ্টা করেছি। আর রেজাল্ট দিয়ে কি হবে। তুমিতো আমাকে ভালবাস। আর আমি তোমাকে। প্লিজ রিমি আমাকে বোঝার চেষ্টা কর।
- না, ভালবাসি না তোমাকে।
তোমাকে আমার বয়ফ্রেন্ড পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। তুমি আমাকে আর ফোন দিবা না, তোমার সাথে আজথেকে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
......( ফোন কেটে দিল )
_কি করব বুঝতে পারছিলামনা।
আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু কামরুলের ম্যাচে গেলাম।
আমার মতই কামরুল তবে নেশা করার বাজে বদঅভ্যাস আছে ওর।
ব্রেকআপের কথা বলতেই আমার হাতে একটা সিগারেট ধরিয়ে দিল,
এত কষ্টের মাঝে সিগারেট ভালই লাগল কেমন যেনো একটা যাদু আছে এতে, তারপর কোনরকম সান্তনা দিয়ে বাসায় যেতে বলল আর পকেটে এক প্যাকেট সিগারেট দিয়ে দিল।
রিমিকে অনেকবার ফোন করেছি( কিন্তু মোবাইল বন্ধ)।
সেদিন রাতে অনেক কান্না করেছিলাম আর সিগারেটের প্যাকেটও শেষ করেছি পুরোটা।
নিজেকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যেই আমি একদিন অন্যদের স্মোক করতে মানা করতাম সেই আমি কি করছি আজ!!
এরপর থেকে প্রতিদিন কামরুলের ম্যাচে যাই, আস্তে আস্তে বাজে সবকিছুর নেশায় আসক্ত হয়ে পরি।
প্রায় একমাস পরের একদিনের ঘটনা:::
কামরুলের বাসায় যাচ্ছিলাম_পিছনথেকে জাহিদ ভাই বলে ডাকল কেউ।
পেছনে তাকাতেই রিমির বান্ধবী নিঝুমকে দেখলাম।
-> কিছু বলবে?
-আপনাকে কিছু বলার ছিল রিমি সম্পর্কে।
->কি বলবে বল?
-এখানে বলা যাবে না, ঐদিকে যে পার্কটা আছে ওখানে গিয়ে বসে বলি।
...( হাটা শুরু করল )
অবুঝ শিশুর মতো ওর পিছনে হাটা শুরু করলাম আমি_পার্কটা একটু দূরে প্রায় বিশ মিনিট হাটার পর পৌছলাম।
একটা টুলে বসলাম।
তারপর নিঝুম যা বলল::::
"আমি জানি কথা গুলো শুনে আপনার খুব কষ্ট হবে, রিমিও আমাকে বারন করেছিল কিন্তু চোখের সামনে একটা মানুষকে এভাবে ধংস হওয়ার দৃশ্য দেখতে পারছি না। আপনাদের সম্পর্কের পাঁচ মাসের মাথায় রিমির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে আপনার বন্ধু কামরুল। তারপর থেকে আপনার সাথে কি হচ্ছে তাতো আপনি জানেন-ই "
মুহূর্তের মধ্যে আমার চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরে।
নিজেকে কোনরকম কন্ট্রোল করে কামরুলের ম্যাচে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম_ "তুই রিমিকে ভালবাসিস? " কামরুল কোন উত্তর দেয়নি, শুধু মাথা নিচু করে বসে ছিল।
বুঝতে বাকি রইলনা যে নিঝুম সত্য কথাই বলেছে।
তারপর থেকে আমার সময় কাটে ঐ পার্কে।
শুধু ভালবাসা, বন্ধুত্ব আর বিশ্বাস নিয়ে হিসেবনিকেশ করতে থাকি, কিন্তু ফলাফল কান্না ছাড়া কিছুই পেলাম না। নেশার মাত্রা আরো বেড়ে গেল।
এভাবেই চলতে লাগল।
কিছুদিনপর বাসায় ফিরতেই মা বলল:: "নিঝুম এসেছিল, তোর কিছু কাগজ নিয়ে গেল পরে দিয়ে যাবে বলল।
রুমে ঢুকে দেখতে পাই টেবিলের উপর আমার মার্কশিট আর এডমিড কর্ড মিসিং।
রাত দশটার দিকে ফোন আসে_নিঝুম লিখা,
অবাক হয়ে যাই এই নামে সেভ করা নাম্বার থেকে ফোন আসায়, পরে মনে পরে ঐদিন পার্কে আমার মোবাইলটা একবার নিঝুম নিয়েছিল।
ঘুম আর নেশার ঘোরে ফোনটা রিসিভ করতে পারিনি। পরদিন বাসায় এসে একটা ভর্তির রিসিট আমার হাতে দিল আর বলল দুজনই ভর্তি হয়ে গেলাম।
নিঝুম ভাল ছাত্রী ছিল, চাইলেই পাবলিক ভার্সিটিতে পড়তে পারত।
কিন্তু পরে বুঝতে পারি আমার জন্যই এই প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হয়।
মায়ের মন জয় করে নিয়েছে একয়দিনে।
এরমধ্যেই আমাকে তুমি করে বলা শুরু করে দিয়েছে।
ক্লাস শুরু হওয়ার পরথেকে আমাকে ফোন করে একসাথে আমাকে নিয়ে যেত ভার্সিটিতে।
আমাকে অনেক বুঝাতে থাকে নেশা ছেড়ে দিয়ে নতুন করে বাঁচতে। কিন্তু আমি পারি না।
এভাবে চলতে থাকে_আমার জন্মদিন চলে আসে।
নিঝুম আমাকে একটা ডায়রি উপহার দেয়।
প্রথম পৃষ্ঠায় বড়করে লাল রঙে লেখা ছিল I Love You ।
রাতে ফোন করে বলে """তুমি কি চাওনা আমি যাকে ভালবাসি সে একজন সুস্খ মানুষ এবং ভালো মানুষ হোক ?"""
ফোনটা কেটে দিলাম আমি।
বারবার ফোন করছে নিঝুম, প্রায় এক ঘন্টা পর ফোন রিসিভ করে বলি "আমি চাই"
এরপর থেকে প্রতি রাতে কথা হয় ওর সাথে। আস্তে আস্তে নেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই ওর ভালবাসার কারনে। আমাদের রিলেশনের আজ তিনবছর।
সবাই বলে প্রথম ভালবাসা নাকি ভূলা যায় না। কিন্তু আমার এখন মনেই হয়না যে আমার ১ম ভালবাসা অন্য কেউ ছিল।
সত্যি-ই একদম বদলে দিয়েছে আমায়
এই শেষ ভালবাসা
____নিঝুমের ভালবাসা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন