রিন্তির সাথে ফোনে কথা বলছি,
.
"এই রিন্তি শোনো।"
"হুম, বলো শুনছি।"
"চলোনা আজকে দেখা করি?"
"তোমার মাথা খারাপ হইছে অমি?"
"মোটেও না, আই এম ওকে।"
"আজকে নির্বাচনের দিন পুরো শহর ভোট-
টোট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, কত জায়গায়
গণ্ডগোল বাঁধবে, আর তুমি আজকে দেখা
করতে চাচ্ছো?"
"আমি কিছু বুঝিনা, তোমাকে খুব দেখতে
ইচ্ছে করছে।"
"ফোনের গ্যালারী তে গিয়ে আমার
ছবিগুলো দেখো।"
"দেখছি কিন্তু মন ভরেনাই।"
"উফ! এক কাজ করো, চোখ দুটো বন্ধ করে আমার
কথা ভাবো আমাকে কল্পনা করো, তাহলেই
তো আমাকে দেখতে পাবে"
"আচ্ছা করলাম, এই রিন্তি, রিন্তি।"
"কি হলো?"
"তোমাকে এত কালো দেখতে পাচ্ছি
কেনো?"
"আমি কালোই, কোনো সমস্যা।"
"হ্যা, অনেক সমস্যা, আমি কালো মেয়ে
বিয়ে করবো নাতো।"
"ক্যান?"
"ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে তখন আফ্রিকারজাতি হয়ে
যাবে।"
"উফ, ঢং ছাড়ো তো, আচ্ছা অমি, আমি যদি
এখন কালো হয়েই যাই কোনোভাবে, আমায়
বিয়ে করবেনা?"
"মোটেও না, দেশে সুন্দরী মেয়ের অভাব
পরেছে নাকি।"
.
টুট টুট করে ফোনটা কেটে গেলো। বুঝলাম
রিন্তি রাগ করেছে আমার মৃদু দুষ্টামিতে। ছয়
মাসের রিলেশনে অনেক রোমান্টিক কথা
বলেছি আর কত বলবো! আর কতইবা রোমান্টিক
কথা মানুষের পেটে থাকে! তবুও নিত্যনতুন কত
কথা রিন্তিকে বলতে হয়। রিন্তি যে কম কথা
বলে তা না, সে গল্প শুরু করলে শেষই হয়না,
আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীর হাজারো
জাতের গল্প। ছোটছোট কাহিনী গুলোকে
রংচং করে এত্ত বড় গল্প বানিয়ে ফেলে
সে। শুধু যে রিন্তি এমনটি করে তা না, প্রায়
সকল মেয়েই ছোট গল্পকে রাবারের মত
টেনে বড় গল্পে পরিণত করতে পারে। আর
আমরা ছেলেরা এক মিনিটেই এক দুই ঘন্টার
ছবির কাহিনী বলে শেষ করতে পারি।
.
প্রেম সঙ্গাহীন তবে অনেক প্রকারের। যেমন
দুটি মনের মানুষের মধ্যকার প্রেম, শরীরের
আকর্ষনজনিত প্রেম, বাবা-মা-ভাই-বোন-
আত্মীয় স্বজনের প্রেম, অন্যান্য জীবের প্রতি
প্রেম। আবার মোবাইলের প্রতি প্রেম।
.
রিন্তি আর আমার মধ্যে রয়েছে দুটি মনের
মধ্যকার প্রেম। আর এরই জন্য আমরা কেউই
কাউকে ছাড়া কোনো কিছু কল্পনা করতে
পারিনা। তবে হ্যা আমার দুজনের মধ্যেও
শারীরিক প্রেমটাও খুব অল্প পরিমাণে
আছে।
.
ব্যাপারটাকে খারাপ কিংবা
জটিলভাবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ব্যাপারটা পানির মত সোজা। শারীরিক
সৌন্দর্য্য দেখেই তো আমরা একটা মেয়ের
প্রেমে পড়ি, আমিও রিন্তির প্রেমে
একইভাবে পড়েছি। প্রেমে পড়ার পর হয়তো
নানান স্টেজ পার হয়ে আজ দুজন দুজনার মনের
বন্ধন ঘটাতে পেরেছি। এটাই শেষ নয়, দুজন
যদি খুব কাছাকাছি থাকি তাহলে একে
অপরকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে, জড়িয়ে ধরতে
ইচ্ছে করে আবার গভীর চুম্বনেরও ইচ্ছে
জাগে।
.
তাই বলাই যায় যে প্রেম শুধু মন দিয়ে হয়না।
সৌন্দর্য্য, ব্যবহার এবং নানাবিধ গুন হলো
প্রেমের কাঁচামাল।
.
নাহ, লিখাটা রোমান্টিক না হয়ে প্রবন্ধ
হয়ে যাচ্ছে। একটু রোমান্টিক না করলে সবাই
বিরক্ত হবে, বেশি রোমান্টিক করলে আবার
সমালোচনাও হবে। এসব ভাবতে ভাবতে
রিন্তিকে আর কল ব্যাক করাই হয়নি।
.
চার ঘন্টা পর রিন্তির ফোন,
.
"তুমি ফোন দাওনি কেনো?"
"ফোনে ব্যালেন্স ছিলোনা।"
"ফেসবুকেও তো মেসেজ করতে পারতা।"
"আচ্ছা স্যরি, আগে বলো কি হইছে তোমার।"
"কিছুনা, ইদানিং তুমি আমায় এভয়েড করছো
বুঝতে পারছি।"
"আরে পাগলী ব্যাপারটা তা না।"
"তাহলে ব্যাপারটা কি শুনি?"
.
অতঃপর ব্যাপারটা বুঝালাম। বিয়ের আগে
এত প্রেম-ভালবাসা খরচ করে কি কোনও লাভ
আছে? কোনই লাভ নেই, কেননা কতজনের কত
ভারী ভারী প্রেম ভেস্তে গেছে। এখুনি
যদি এত প্রেম খরচ করি তাহলে বিয়ের পর শুধু
ঝগড়া লাগবে, আর সংসারে অশান্তি
লাগবে।
.
আমরা শক্তির নিত্যতা সূত্র পড়েছি যে,
মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট,
শক্তির কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই, শক্তি
কেবল এক রূপ থেকে অন্য রুপে রূপান্তরিত হয়
মাত্র। তেমনি প্রেম ভালবাসাটাও, ঠিক
শক্তির মত,পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া।
আগে বেশি করে খরচ করলে পরে অভাব
দেখা দিবে আর আগে কম করে খরচ করলে পরে
সুন্দরভাবে পরিস্থিতিগুলোকে সেটিসফাই
করা যাবে।
.
এতসব কথায় রিন্তি যে কি বুঝলো আর না
বুঝলো তা জানিনা, কিন্তু এসব কথা শুনে
বেশকয়েকবার বললো যে, "অমি আমি
তোমাকে অনেক ভালবাসি, কিছুতেই
হারাতে চাইনা তোমায়।"
.
ভালবাসার মানুষটিকে কেউই হারাতে
চায়না, দুষ্ট লোক বাদে সবাই ভালবাসার
মানুষটিকে নিজের করে নিতে নানান
রকমের পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে। যারা
যুদ্ধে জয়ী হয় তারাই সফলকাম পুরষ্কার স্বরুপ
দুটি মনের আমরণ মিলন। কিন্তু কত প্রেম
ভালবাসা যে এত কঠোর কঠোর রোমান্টিক
প্রতিজ্ঞা থেকে বিচ্যুত হয়েছে তার
হিসেব নেই।
.
তবে প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি দুটোকেই মেনে
নিতে হয়, মেনে নেওয়া ছাড়া উপায়ই
থাকেনা। তবুও প্রেম ভালবাসা অমূল্য রতন,
তাই অপাত্রে এই প্রেম ভালবাসা যাতে
দিতে না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখা
অবশ্যই কর্তব্য।
.
আবার রিন্তির ফোন,
.
"অমি, কি করো?"
"এইতো ভাবছিলাম।"
"কি ভাবছিলে বলোনা?"
"আমার লক্ষি রিন্তির কথাই ভাবছিলাম।"
"সত্যি।"
"হুম সত্যি।"
"লাভ ইউ সো মাচ।"
.
আমি মোটেও রিন্তির কথা ভাবছিলাম না।
আমি ভাবছিলাম দুইদিন পর আমার ফর্ম ফিল
আপ বাট এখনও টাকা জোগাড় করতে
পারিনি সেই কথা। একটা মিষ্টি মিথ্যে
কথায় ভালবাসার মানুষটাতো খুশি হয়েছে
এইবা কম কিসের।
.
আর হ্যা, আমি খুব কমই রিন্তিকে ফোন দেই।
কেননা আমি এখনও উপার্জন করিনা টিউশনি
করে এক আধটু নিজের খরচ চালাই কোনওমতে।
আর বাবার টাকায় আমার প্রেম করার বিন্দু
মাত্র ইচ্ছে নেই।
.
অনেকেই ভাবতে পারে যে রিন্তি বুঝি
বড়লোকের মেয়ে। মোটেও না, আমার মতই
রিন্তিরও ফ্যামিলি, মধ্যবিত্ত, যেখানে সুখ
দুঃখ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তবে মেয়েটা
বাবার টাকা দিয়েই আমার সাথে প্রেম
করে। বারণ করেছিলাম কিন্তু সে বারণ
মানেনা। দিনে কতবার যে ফোন দেয় তার
হিসেব নেই। ভালই আছি আমরা এভাবে, অল্প
অল্প করে সব কিছু, অল্প অল্প করে সুখ, দুঃখ,
হাসি, কান্না, অভিমান, রাগ, প্রেম,
ভালবাসা সবকিছুই রয়েছে আমাদের মাঝে।
.
আর জীবন চলতে তো এইসব জিনিস অল্প অল্ল
করেই থাকলেই অনেক সুখে থাকা যায়। এসব
কিছু বেশি বেশি করে থাকলে অনেক
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা সইতে
পারবেনা অনেকে।
.
"এই রিন্তি শোনো।"
"হুম, বলো শুনছি।"
"চলোনা আজকে দেখা করি?"
"তোমার মাথা খারাপ হইছে অমি?"
"মোটেও না, আই এম ওকে।"
"আজকে নির্বাচনের দিন পুরো শহর ভোট-
টোট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, কত জায়গায়
গণ্ডগোল বাঁধবে, আর তুমি আজকে দেখা
করতে চাচ্ছো?"
"আমি কিছু বুঝিনা, তোমাকে খুব দেখতে
ইচ্ছে করছে।"
"ফোনের গ্যালারী তে গিয়ে আমার
ছবিগুলো দেখো।"
"দেখছি কিন্তু মন ভরেনাই।"
"উফ! এক কাজ করো, চোখ দুটো বন্ধ করে আমার
কথা ভাবো আমাকে কল্পনা করো, তাহলেই
তো আমাকে দেখতে পাবে"
"আচ্ছা করলাম, এই রিন্তি, রিন্তি।"
"কি হলো?"
"তোমাকে এত কালো দেখতে পাচ্ছি
কেনো?"
"আমি কালোই, কোনো সমস্যা।"
"হ্যা, অনেক সমস্যা, আমি কালো মেয়ে
বিয়ে করবো নাতো।"
"ক্যান?"
"ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে তখন আফ্রিকারজাতি হয়ে
যাবে।"
"উফ, ঢং ছাড়ো তো, আচ্ছা অমি, আমি যদি
এখন কালো হয়েই যাই কোনোভাবে, আমায়
বিয়ে করবেনা?"
"মোটেও না, দেশে সুন্দরী মেয়ের অভাব
পরেছে নাকি।"
.
টুট টুট করে ফোনটা কেটে গেলো। বুঝলাম
রিন্তি রাগ করেছে আমার মৃদু দুষ্টামিতে। ছয়
মাসের রিলেশনে অনেক রোমান্টিক কথা
বলেছি আর কত বলবো! আর কতইবা রোমান্টিক
কথা মানুষের পেটে থাকে! তবুও নিত্যনতুন কত
কথা রিন্তিকে বলতে হয়। রিন্তি যে কম কথা
বলে তা না, সে গল্প শুরু করলে শেষই হয়না,
আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীর হাজারো
জাতের গল্প। ছোটছোট কাহিনী গুলোকে
রংচং করে এত্ত বড় গল্প বানিয়ে ফেলে
সে। শুধু যে রিন্তি এমনটি করে তা না, প্রায়
সকল মেয়েই ছোট গল্পকে রাবারের মত
টেনে বড় গল্পে পরিণত করতে পারে। আর
আমরা ছেলেরা এক মিনিটেই এক দুই ঘন্টার
ছবির কাহিনী বলে শেষ করতে পারি।
.
প্রেম সঙ্গাহীন তবে অনেক প্রকারের। যেমন
দুটি মনের মানুষের মধ্যকার প্রেম, শরীরের
আকর্ষনজনিত প্রেম, বাবা-মা-ভাই-বোন-
আত্মীয় স্বজনের প্রেম, অন্যান্য জীবের প্রতি
প্রেম। আবার মোবাইলের প্রতি প্রেম।
.
রিন্তি আর আমার মধ্যে রয়েছে দুটি মনের
মধ্যকার প্রেম। আর এরই জন্য আমরা কেউই
কাউকে ছাড়া কোনো কিছু কল্পনা করতে
পারিনা। তবে হ্যা আমার দুজনের মধ্যেও
শারীরিক প্রেমটাও খুব অল্প পরিমাণে
আছে।
.
ব্যাপারটাকে খারাপ কিংবা
জটিলভাবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ব্যাপারটা পানির মত সোজা। শারীরিক
সৌন্দর্য্য দেখেই তো আমরা একটা মেয়ের
প্রেমে পড়ি, আমিও রিন্তির প্রেমে
একইভাবে পড়েছি। প্রেমে পড়ার পর হয়তো
নানান স্টেজ পার হয়ে আজ দুজন দুজনার মনের
বন্ধন ঘটাতে পেরেছি। এটাই শেষ নয়, দুজন
যদি খুব কাছাকাছি থাকি তাহলে একে
অপরকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে, জড়িয়ে ধরতে
ইচ্ছে করে আবার গভীর চুম্বনেরও ইচ্ছে
জাগে।
.
তাই বলাই যায় যে প্রেম শুধু মন দিয়ে হয়না।
সৌন্দর্য্য, ব্যবহার এবং নানাবিধ গুন হলো
প্রেমের কাঁচামাল।
.
নাহ, লিখাটা রোমান্টিক না হয়ে প্রবন্ধ
হয়ে যাচ্ছে। একটু রোমান্টিক না করলে সবাই
বিরক্ত হবে, বেশি রোমান্টিক করলে আবার
সমালোচনাও হবে। এসব ভাবতে ভাবতে
রিন্তিকে আর কল ব্যাক করাই হয়নি।
.
চার ঘন্টা পর রিন্তির ফোন,
.
"তুমি ফোন দাওনি কেনো?"
"ফোনে ব্যালেন্স ছিলোনা।"
"ফেসবুকেও তো মেসেজ করতে পারতা।"
"আচ্ছা স্যরি, আগে বলো কি হইছে তোমার।"
"কিছুনা, ইদানিং তুমি আমায় এভয়েড করছো
বুঝতে পারছি।"
"আরে পাগলী ব্যাপারটা তা না।"
"তাহলে ব্যাপারটা কি শুনি?"
.
অতঃপর ব্যাপারটা বুঝালাম। বিয়ের আগে
এত প্রেম-ভালবাসা খরচ করে কি কোনও লাভ
আছে? কোনই লাভ নেই, কেননা কতজনের কত
ভারী ভারী প্রেম ভেস্তে গেছে। এখুনি
যদি এত প্রেম খরচ করি তাহলে বিয়ের পর শুধু
ঝগড়া লাগবে, আর সংসারে অশান্তি
লাগবে।
.
আমরা শক্তির নিত্যতা সূত্র পড়েছি যে,
মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট,
শক্তির কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই, শক্তি
কেবল এক রূপ থেকে অন্য রুপে রূপান্তরিত হয়
মাত্র। তেমনি প্রেম ভালবাসাটাও, ঠিক
শক্তির মত,পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া।
আগে বেশি করে খরচ করলে পরে অভাব
দেখা দিবে আর আগে কম করে খরচ করলে পরে
সুন্দরভাবে পরিস্থিতিগুলোকে সেটিসফাই
করা যাবে।
.
এতসব কথায় রিন্তি যে কি বুঝলো আর না
বুঝলো তা জানিনা, কিন্তু এসব কথা শুনে
বেশকয়েকবার বললো যে, "অমি আমি
তোমাকে অনেক ভালবাসি, কিছুতেই
হারাতে চাইনা তোমায়।"
.
ভালবাসার মানুষটিকে কেউই হারাতে
চায়না, দুষ্ট লোক বাদে সবাই ভালবাসার
মানুষটিকে নিজের করে নিতে নানান
রকমের পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে। যারা
যুদ্ধে জয়ী হয় তারাই সফলকাম পুরষ্কার স্বরুপ
দুটি মনের আমরণ মিলন। কিন্তু কত প্রেম
ভালবাসা যে এত কঠোর কঠোর রোমান্টিক
প্রতিজ্ঞা থেকে বিচ্যুত হয়েছে তার
হিসেব নেই।
.
তবে প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি দুটোকেই মেনে
নিতে হয়, মেনে নেওয়া ছাড়া উপায়ই
থাকেনা। তবুও প্রেম ভালবাসা অমূল্য রতন,
তাই অপাত্রে এই প্রেম ভালবাসা যাতে
দিতে না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখা
অবশ্যই কর্তব্য।
.
আবার রিন্তির ফোন,
.
"অমি, কি করো?"
"এইতো ভাবছিলাম।"
"কি ভাবছিলে বলোনা?"
"আমার লক্ষি রিন্তির কথাই ভাবছিলাম।"
"সত্যি।"
"হুম সত্যি।"
"লাভ ইউ সো মাচ।"
.
আমি মোটেও রিন্তির কথা ভাবছিলাম না।
আমি ভাবছিলাম দুইদিন পর আমার ফর্ম ফিল
আপ বাট এখনও টাকা জোগাড় করতে
পারিনি সেই কথা। একটা মিষ্টি মিথ্যে
কথায় ভালবাসার মানুষটাতো খুশি হয়েছে
এইবা কম কিসের।
.
আর হ্যা, আমি খুব কমই রিন্তিকে ফোন দেই।
কেননা আমি এখনও উপার্জন করিনা টিউশনি
করে এক আধটু নিজের খরচ চালাই কোনওমতে।
আর বাবার টাকায় আমার প্রেম করার বিন্দু
মাত্র ইচ্ছে নেই।
.
অনেকেই ভাবতে পারে যে রিন্তি বুঝি
বড়লোকের মেয়ে। মোটেও না, আমার মতই
রিন্তিরও ফ্যামিলি, মধ্যবিত্ত, যেখানে সুখ
দুঃখ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তবে মেয়েটা
বাবার টাকা দিয়েই আমার সাথে প্রেম
করে। বারণ করেছিলাম কিন্তু সে বারণ
মানেনা। দিনে কতবার যে ফোন দেয় তার
হিসেব নেই। ভালই আছি আমরা এভাবে, অল্প
অল্প করে সব কিছু, অল্প অল্প করে সুখ, দুঃখ,
হাসি, কান্না, অভিমান, রাগ, প্রেম,
ভালবাসা সবকিছুই রয়েছে আমাদের মাঝে।
.
আর জীবন চলতে তো এইসব জিনিস অল্প অল্ল
করেই থাকলেই অনেক সুখে থাকা যায়। এসব
কিছু বেশি বেশি করে থাকলে অনেক
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা সইতে
পারবেনা অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন