শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

ভালবাসার অপমৃত্যু

শ্রাবনী,, শ্রাবনী দাড়াও প্লিজ
-না,
-প্লিজ একবার দড়াও না
-বললাম তো তোমার সাথে আমার কোন কথা নাই
-কিন্তু আমার দোষটা কি?
-বুঝোনা তোমার দোষ কি :/)
-না...প্লিজজ বল।
-তোমার বেকারত্ব।
-এতে আমার দোষ কোথায়?
-একজন বেকার হয়েও বলছো তোমার দোষ কোথায়?
-হ্যা বলছি।
-তোমার লজ্জা করে না এখনো আমার সামনে দাড়িয়ে আছো।
-লজ্জার কি আছে আমি তো চেষ্টা করছি কিন্তু টাকার জন্যই তো হচ্ছে না।
-কোন কথা নাই বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিক করেছে।
-কিন্তু....
-কোন কিন্তু নাই।ছেলে খুব ভাল স্মার্ট। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মাসিক বেতন ৫০০০০+ টাকা।তার সাথে নিজেকে অন্তত তুলনা কর না।
-কিন্তু।আচ্ছা যাইহোক তুমি কি করবে?
-সেই ছেলেটাকে বিয়ে করবো।
-এতে তুমি খুশী? ভাল থাকবে?
-হ্যা খুব।
-তাহলে তোমাকে আমি আর আটকাবো না।
-ওকে বায়।জীবনে আমার সামনে এসো না।
-ঠিক আছে তোমার সুখের জন্য আমি সব করতে পারি..
-হুম বায়।
-বায়।
★শ্রাবনী ও শামিমের সাথে কথা হচ্ছিল এতক্ষণ।
শামিম ও শ্রাবনীর ভালবাসাটা ৪ বছরের কিন্তু আজ সেটা ভেঙে গেল শুধু টাকার জন্য।
কি দোষ ছিল শামিমের? সে তো অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু কেন এমন হল কেন?
-কিরে শামিম কি মন খারাপ কেন
-কেন কই নাতো।
-দেখ আমি কিছু তো বুঝতে পারছিরে।
-মা,, মা,, [বলেই কান্ন করে দেয় শামিম]
-কি হয়েছেরে।
-মা, শ্রাবনী,, শ্রাবনী আমাকে রেখে চলে গেছে।
-কি বলছিস
-হ্যা মা আজ আমার এই বেকারত্বের জন্য আমার ভালবাসা আমাকে ছেড়ে গেল
-এতে তোর কোন দোষ নেইই বাবা
-মা আমি কি করবো বল ওরাই তো আমার কাছে টাকা চেয়েছে চাকরীর জন্য।
-আচ্ছা বাবা তুই নিজেকে ঠিক কর। তুই তার থেকেও অনেক ভাল চাকরি করবি।
-কিন্তু মা টাকা ছাড়া এই দুনিয়া কিছুই বুঝেনা
-আমার সব গহনা বেচে দে।
-না মা এ হয় না।
-তোকে বড় হতেই হবে আমি কোনোদিন তোর হার দেখিনি আজ তুই হেড়ে যাবি?
-কিন্তু মা,,
-কোন কিন্তু না তুই বড় হবি সবাইকে দেখিয়ে দিবি টাকা না ভালবাসাই সর্বোচ্চ।
-দোয়া কর মা তোমার ছেলে যেন তোমার আশার প্রদীপ জ্বালাতে পারে।
-হ্যা বাবা।
★আজ শামীম অনেক বড় হয়েছে টাকার কোন অভাব নেই। দেশের সব থেকে ধনী ব্যাক্তিদের মাঝে একজন।সব আছে কিন্তু নেই সে ভালবাসাটা আর নেই সেই ভালবাসার মানুষটা।
★হটাত একদিন★
মুখটা খুব চেনা লাগছে হ্যা এ সেই ভালবাসাটা
ভালবাসার শ্রাবনী কিন্তু সে এখানে কি করছে
দেখা করবে তখনই মনে।পরে সেদিনের সেই কথা গুলো বুকের ভিতর টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
ফিরে যাবে নাকি না এই অবস্থার কারন কি জানতেই হবে।
-Excuse me.....
-জ্বী.....[বলেই থেমে যায় শ্রাবনী]
-কি অবস্থা? কেমন আছো?
-কিছু বলে না শ্রাবনী
-এই যে
-কিছু না বলেই কেদে দেয় শ্রাবনী
-এভাবে কান্নার মানে কি? [শামীমের বুঝতে বাকি নেই যে শ্রাবনী কেমন আছে]
-শামিম প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও
-কেন তোমার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী কোথায়?
-তোমাকে ছেড়ে আমি খুব বড় ভুল করেছিলাম
-তাইইইইইইই??
-হ্যা।, আজ টাকা আছে কিন্তু নেই সেই তুমি, নেই ভালবাসা।প্লিজ আমাকে মাফ করে দিও
-কেন কি হয়েছে
-সজীব প্রতিদিন বাহির থেকে আসে খুব রাতে নেশা করে কিছু জিজ্ঞেস করলেই মারধর করে।
আমার জন্য কোন সময় নেই তার।প্লিজ আমাকে এই অন্ধকার জীবন থেকে মুক্তি দাও
-আমার কিছু করার নাই। তুমি টাকার জন্য তাকে বিয়ে করেছো।
-প্লিজ।আমি তোমাকে কত খুঁজেছি তুমি জানো না।
-সরি।তুমি তোমার বাব্র পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করেছো।আর আমি এখন আমার মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবো তোমার দাওয়াত রইল...
-কিন্তু শোন প্লিজ।
-বায়।
★কোন কথা না বলেই চলে যায় শামীম একবুক কষ্ট নিয়ে।তার থেকেও বেশী কষ্ট হচ্ছে শ্রাবনীর অনস্থা দেখে।খুব কষ্ট হচ্ছে শামীমের কিন্তু কিছুই করার নাই কান্নায় জড়িত চোখ নিয়ে ফিরে যায়।
এভাবেই একটি ভালবাসার অপমৃত্যু ঘটে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন