সকাল ৯ টায় অনিমার ফোন,
পাহাড় পরিমান ঘুম নিয়ে ফোন টা ধরল রুদ্র।আর ধরই একটা ঝাঝালো কন্ঠ ভেষে আসল।
~হ্যালো। কোথায় তুমি?
বুঝতে পারল রেগে গিয়ে মেয়েটার মিষ্টি কন্ঠটা ঝাঝালো হয়ে গেছে।
ওকে আরেকটু রাগানোর জন্য,
=এই তো ফুটবল খেলছিলাম।খেলবে তুমি?
~একদম মশকরা করবে না।
ণবাব জাদার মতো পড়ে পড়ে ঘুমিয়ে এখন আবার ঠাট্রা করছে!
লজ্জা করে না?
= আহা জান,তুমি রাগ করছ কেনো?
আমি তো স্বপ্নে ফুটবল খেলছিলাম!
~ আজ কত তারিখ?
=কত তারিখ যেনো? ..... !
~আজ পহেলা জানুয়ারি! সেই খেয়াল আছে তোমার?
কি কথা ছিল আজ?
= ওহ! ভুলে গেছিলাম গো!
স্যরি!
~ রাখো তোমার স্যরি। আধা ঘন্টার ভিতর ভার্সিটির ক্যাম্পাসে উপস্থিত হবে।
= আরে বল কি! প্রতিপক্ষের কাছে তো এক গোল খেয়ে বসে আছি! আগে শোধ দি ওটা!
শোধ দেবার আগেই তো ঘুম টা ভাঙ্গিয়ে দিলে!
=দেওয়াচ্ছি তোমায় গোল শোধ!
যা বলেছি তাই যদি না করো না,তাহলে স্বপ্নের ভিতর তোমাকে আস্ত গিলে ফেলব!
=আচ্ছা বাবা আচ্ছা উঠছি!
~হূম। তারাতারি।
হটাৎ ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো রুদ্রের।ওহ! সে স্বপ্ন দেখছিল এতোক্ষন।কিন্তু,একদিন এসব স্বপ্ন ছিল না।সব ই বাস্তব ছিল।আজ পহেলা জানুয়ারি, অনিমা প্রতি বছরের এই দিনে এভাবেই রুদ্রের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিতো।খুব ভালবাসত তারা একে অপরকে।কিন্তু,নিয়তির পরিহাসে আর বাস্তবতার কঠোর আঘাতে সব ই ভেঙ্গে চুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।
গত ২ বছরে অনিমার মারা যায় এক মর্মান্তিক এক্সিডেন্টে।
আজ অনিমা নেই কিন্তু তার স্মৃতি গুলো ঠিক ই রয়ে গেছে।অনিমা থাকলে হয়ত আজ এভাবেই তার ঘুম ভাঙ্গাত।
নেই?? . . ! কে বলেছে নেই??
আছে তো! এইতো অনিমা! সারাক্ষন রুদ্রের মনের মাঝেই তো আছে।স্বপ্নে হলেও তো অনিমা আজ ঠিক ই এই সময় তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছে!
নাহ! আর দেরি করা যাবে না।অনিমা তো ভার্সিটিতে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তারাতারি যেতে হবে তো আমায়।হ্যা! যেতেই হবে!
.
রুদ্র জানে অনিমা আর কখনো ফিরে আসবে না। তবুও সে প্রতি বছর এই দিনে ঠিক তাই তাই ই করে,আগে যা যা করত।
আর এটায় হলো প্রকৃত ভালবাসা। যার শুরু আছে শেষ নেই।
আর এভাবেই চলবে এক ভালবাসার পাগলের পাগলামি। আমাদেরও,ভালবাসলে, এভাবেই কাউকে ভালবাসা উচিৎ.
পাহাড় পরিমান ঘুম নিয়ে ফোন টা ধরল রুদ্র।আর ধরই একটা ঝাঝালো কন্ঠ ভেষে আসল।
~হ্যালো। কোথায় তুমি?
বুঝতে পারল রেগে গিয়ে মেয়েটার মিষ্টি কন্ঠটা ঝাঝালো হয়ে গেছে।
ওকে আরেকটু রাগানোর জন্য,
=এই তো ফুটবল খেলছিলাম।খেলবে তুমি?
~একদম মশকরা করবে না।
ণবাব জাদার মতো পড়ে পড়ে ঘুমিয়ে এখন আবার ঠাট্রা করছে!
লজ্জা করে না?
= আহা জান,তুমি রাগ করছ কেনো?
আমি তো স্বপ্নে ফুটবল খেলছিলাম!
~ আজ কত তারিখ?
=কত তারিখ যেনো? ..... !
~আজ পহেলা জানুয়ারি! সেই খেয়াল আছে তোমার?
কি কথা ছিল আজ?
= ওহ! ভুলে গেছিলাম গো!
স্যরি!
~ রাখো তোমার স্যরি। আধা ঘন্টার ভিতর ভার্সিটির ক্যাম্পাসে উপস্থিত হবে।
= আরে বল কি! প্রতিপক্ষের কাছে তো এক গোল খেয়ে বসে আছি! আগে শোধ দি ওটা!
শোধ দেবার আগেই তো ঘুম টা ভাঙ্গিয়ে দিলে!
=দেওয়াচ্ছি তোমায় গোল শোধ!
যা বলেছি তাই যদি না করো না,তাহলে স্বপ্নের ভিতর তোমাকে আস্ত গিলে ফেলব!
=আচ্ছা বাবা আচ্ছা উঠছি!
~হূম। তারাতারি।
হটাৎ ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো রুদ্রের।ওহ! সে স্বপ্ন দেখছিল এতোক্ষন।কিন্তু,একদিন এসব স্বপ্ন ছিল না।সব ই বাস্তব ছিল।আজ পহেলা জানুয়ারি, অনিমা প্রতি বছরের এই দিনে এভাবেই রুদ্রের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিতো।খুব ভালবাসত তারা একে অপরকে।কিন্তু,নিয়তির পরিহাসে আর বাস্তবতার কঠোর আঘাতে সব ই ভেঙ্গে চুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।
গত ২ বছরে অনিমার মারা যায় এক মর্মান্তিক এক্সিডেন্টে।
আজ অনিমা নেই কিন্তু তার স্মৃতি গুলো ঠিক ই রয়ে গেছে।অনিমা থাকলে হয়ত আজ এভাবেই তার ঘুম ভাঙ্গাত।
নেই?? . . ! কে বলেছে নেই??
আছে তো! এইতো অনিমা! সারাক্ষন রুদ্রের মনের মাঝেই তো আছে।স্বপ্নে হলেও তো অনিমা আজ ঠিক ই এই সময় তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছে!
নাহ! আর দেরি করা যাবে না।অনিমা তো ভার্সিটিতে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তারাতারি যেতে হবে তো আমায়।হ্যা! যেতেই হবে!
.
রুদ্র জানে অনিমা আর কখনো ফিরে আসবে না। তবুও সে প্রতি বছর এই দিনে ঠিক তাই তাই ই করে,আগে যা যা করত।
আর এটায় হলো প্রকৃত ভালবাসা। যার শুরু আছে শেষ নেই।
আর এভাবেই চলবে এক ভালবাসার পাগলের পাগলামি। আমাদেরও,ভালবাসলে, এভাবেই কাউকে ভালবাসা উচিৎ.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন