অটোবাইক স্টান্ডের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। একটা অটোতে দেখি একটা মেয়ে বসে
আছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো অটোটা ছাড়বে। ব্যাপারটাকে তেমন একটা আমলে না
নিয়ে হেটেই চলেছি। কিন্তু কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে থমকে গেলাম। মনে হচ্ছিলো
মূল্যবান কিছু একটা পিছনে ফেলে যাচ্ছি। উলটো হাটা দিয়ে মেয়েটার
সামনাসামনি আবার আসলাম।
.
সামনাসামনি আসতেই চোখে চোখ পড়ে গেলো। অদ্ভুত সুন্দর মেয়েটা। গাঢ় কালো রঙের অক্ষিগোলক দুটো অন্যরকম এক উন্মাদনায় আমায় মাতিয়ে তুললো। কালো রঙ্গের শীতের কোর্টটাতে একটু বেশিই সুন্দর লাগছিলো মেয়েটাকে।
.
মেয়েটা জিজ্ঞাসু আর বিরক্তি চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো। আমি আর দেরি না করে অটোওয়ালাকে 'মামা চলেন' বলে মেয়েটার পাশে বসে পড়লাম। অটোওয়ালা বলে উঠলো- 'কই যাবেন'? 'আপনি যতদূর যাবেন ততদূর যাবো,চলেন' এই বলে একটা হিরো হিরো ভাব নিয়ে মেয়েটার পাশের আসনটা খুব ভালভাবে দখল করলাম।
.
আমার মিশন শুধু মেয়েটার সাথে একটু কথা বলা, পরিচয় হওয়া এই আরকি। অটোবাইক চলতে শুরু করলো এমন সময় নাম না জানা মেয়েটার জবান খুললো। গোলাপ পাপড়ি ঠোটে বলে উঠলো - 'মামা থামেন আমি যাবোনা।'
.
অটোবাইক থামলো আর ছোটখাটো একটা বাজ পড়লো আমার মাথায়। স্বল্পদৈর্ঘ্য স্বপ্ন আমার নিমিষেই ভেঙ্গে গেলো।
.
মেয়েটা আবার বলে উঠলো- 'মামা আমি একাই যাবো, অন্য কোনও প্যাসেঞ্জারের সাথে আমি যেতে পারবনা, আর এই ছেলেটার তো হাব ভাবও ভাল না।'
.
আমি উপস্থিত ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হয়ে গেলাম। পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিবো বুঝতেই পারছিনা। অটো থেকে আমি নেমে গেলে তো আমি হেরে যাবো আর আমিতো হারার পাত্র নই। সাহস করে বলেই ফেললাম- 'পৃথিবীর কোনো শক্তি আমায় অটো থেকে নামাতে পারবেনা, আর মামা আপনি চলেন তো আমি ম্যানেজ করছি ব্যাপারটা।'
.
মেয়েটা বিরক্তি নিয়ে কি যেনো ভাবলো তারপর বললো,
-'তবে আপনি ওইদিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকবেন, আমার দিকে তাকাতে পারবেন না, বিষয়টা আমার খুব অস্বস্তিকর লাগছে।'
- 'সমস্যা নেই মিস অথৈ, আমি এদিকে ঘুরে যেতেও রাজি আছি।'
.
আসল ঘটনাটা ঘটবে এখন তা আমি ভাল করেই জানি। তাই সুন্দরী বালিকার দিকে না তাকিয়ে সুন্দর প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে রইলাম।
.
- 'আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?'
.
আমি জবাব না দিয়ে চুপ করেই রইলাম।
.
- 'আপনি কি আমাকে চেনেন?'
.
আমি আবার কোনও জবাব না দিয়ে চুপ করে রইলাম।
.
- 'আচ্ছা আপনি এদিকে ঘুরতে পারেন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আপনি আমার নাম কিভাবে জানেন সেটা বলুন।'
.
ঘুরে বসলাম। অথৈ এর উৎসুক চোখে তাকিয়ে বলা শুরু করলাম- 'তোমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে 'আমু' নামের এক ছেলের সাথে, কথাটা কি আমি ভুল বলেছি?'
- 'নাহ! ভুল বলেননি, কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন এসব?'
- 'ছেলেটির ছবি তুমি দেখোনি?'
- 'নাহ দেখিনি, রাগ করেই দেখিনি।'
- 'কেনো দেখোনি জানতে পারি?'
- 'কেননা এখন আমার বিয়ে করতে কোনরকম ইচ্ছে নেই।'
- 'বিয়েতো একদিন করতেই হবে তো এখন করলে সমস্যা কি শুনি?'
- 'সেই কৈফিয়ত কি আপনাকে দিতে হবে মিঃ আমু?'
- 'আজব তো! তুমি আমায় চিনলে কিভাবে!'
- 'অনুমান করে।'
- 'অনুমান তো ভুলও হতে পারতো? '
- 'আমার অনুমান কখনও যে ভুল হয়না!'
.
পরিস্থিতি এখন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। হবু বউয়ের সাথে কথা বলতে খুব ভালই লাগছিলো। কিন্তু আমি হবু বউ বললে কি হবে সে তো বিয়ে করতেই রাজি না। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে সে বললো যে সে কিনা এরেঞ্জ ম্যারেজ কোনোদিনও করবেনা তার অনেক ইচ্ছে যে প্রেম করে বিয়ে করবে।
.
খুব হাসি পাচ্ছিলো অথৈ এর কথা শুনে। তবে সে আমায় একটা অফার দিয়ে বসলো যে, যদি আমি বিয়ের আগে তিনমাস প্রেম করতে রাজি হই তাহলে সেও আমাকে বিয়ে করতে রাজি।
.
প্রেম করে বিয়ে করার আমারও কম ইচ্ছে ছিলোনা। অথৈ আমার ইচ্ছে পূরন করে দিলো। দুজনের ইচ্ছে না হয় একসাথেই পুরন হবে। খুশি মনে বিয়ের ডেট তিনমাস পিছিয়ে নিলাম, হবু বউয়ের ইচ্ছে বলে কথা
.
সামনাসামনি আসতেই চোখে চোখ পড়ে গেলো। অদ্ভুত সুন্দর মেয়েটা। গাঢ় কালো রঙের অক্ষিগোলক দুটো অন্যরকম এক উন্মাদনায় আমায় মাতিয়ে তুললো। কালো রঙ্গের শীতের কোর্টটাতে একটু বেশিই সুন্দর লাগছিলো মেয়েটাকে।
.
মেয়েটা জিজ্ঞাসু আর বিরক্তি চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো। আমি আর দেরি না করে অটোওয়ালাকে 'মামা চলেন' বলে মেয়েটার পাশে বসে পড়লাম। অটোওয়ালা বলে উঠলো- 'কই যাবেন'? 'আপনি যতদূর যাবেন ততদূর যাবো,চলেন' এই বলে একটা হিরো হিরো ভাব নিয়ে মেয়েটার পাশের আসনটা খুব ভালভাবে দখল করলাম।
.
আমার মিশন শুধু মেয়েটার সাথে একটু কথা বলা, পরিচয় হওয়া এই আরকি। অটোবাইক চলতে শুরু করলো এমন সময় নাম না জানা মেয়েটার জবান খুললো। গোলাপ পাপড়ি ঠোটে বলে উঠলো - 'মামা থামেন আমি যাবোনা।'
.
অটোবাইক থামলো আর ছোটখাটো একটা বাজ পড়লো আমার মাথায়। স্বল্পদৈর্ঘ্য স্বপ্ন আমার নিমিষেই ভেঙ্গে গেলো।
.
মেয়েটা আবার বলে উঠলো- 'মামা আমি একাই যাবো, অন্য কোনও প্যাসেঞ্জারের সাথে আমি যেতে পারবনা, আর এই ছেলেটার তো হাব ভাবও ভাল না।'
.
আমি উপস্থিত ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হয়ে গেলাম। পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিবো বুঝতেই পারছিনা। অটো থেকে আমি নেমে গেলে তো আমি হেরে যাবো আর আমিতো হারার পাত্র নই। সাহস করে বলেই ফেললাম- 'পৃথিবীর কোনো শক্তি আমায় অটো থেকে নামাতে পারবেনা, আর মামা আপনি চলেন তো আমি ম্যানেজ করছি ব্যাপারটা।'
.
মেয়েটা বিরক্তি নিয়ে কি যেনো ভাবলো তারপর বললো,
-'তবে আপনি ওইদিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকবেন, আমার দিকে তাকাতে পারবেন না, বিষয়টা আমার খুব অস্বস্তিকর লাগছে।'
- 'সমস্যা নেই মিস অথৈ, আমি এদিকে ঘুরে যেতেও রাজি আছি।'
.
আসল ঘটনাটা ঘটবে এখন তা আমি ভাল করেই জানি। তাই সুন্দরী বালিকার দিকে না তাকিয়ে সুন্দর প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে রইলাম।
.
- 'আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?'
.
আমি জবাব না দিয়ে চুপ করেই রইলাম।
.
- 'আপনি কি আমাকে চেনেন?'
.
আমি আবার কোনও জবাব না দিয়ে চুপ করে রইলাম।
.
- 'আচ্ছা আপনি এদিকে ঘুরতে পারেন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আপনি আমার নাম কিভাবে জানেন সেটা বলুন।'
.
ঘুরে বসলাম। অথৈ এর উৎসুক চোখে তাকিয়ে বলা শুরু করলাম- 'তোমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে 'আমু' নামের এক ছেলের সাথে, কথাটা কি আমি ভুল বলেছি?'
- 'নাহ! ভুল বলেননি, কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন এসব?'
- 'ছেলেটির ছবি তুমি দেখোনি?'
- 'নাহ দেখিনি, রাগ করেই দেখিনি।'
- 'কেনো দেখোনি জানতে পারি?'
- 'কেননা এখন আমার বিয়ে করতে কোনরকম ইচ্ছে নেই।'
- 'বিয়েতো একদিন করতেই হবে তো এখন করলে সমস্যা কি শুনি?'
- 'সেই কৈফিয়ত কি আপনাকে দিতে হবে মিঃ আমু?'
- 'আজব তো! তুমি আমায় চিনলে কিভাবে!'
- 'অনুমান করে।'
- 'অনুমান তো ভুলও হতে পারতো? '
- 'আমার অনুমান কখনও যে ভুল হয়না!'
.
পরিস্থিতি এখন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। হবু বউয়ের সাথে কথা বলতে খুব ভালই লাগছিলো। কিন্তু আমি হবু বউ বললে কি হবে সে তো বিয়ে করতেই রাজি না। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে সে বললো যে সে কিনা এরেঞ্জ ম্যারেজ কোনোদিনও করবেনা তার অনেক ইচ্ছে যে প্রেম করে বিয়ে করবে।
.
খুব হাসি পাচ্ছিলো অথৈ এর কথা শুনে। তবে সে আমায় একটা অফার দিয়ে বসলো যে, যদি আমি বিয়ের আগে তিনমাস প্রেম করতে রাজি হই তাহলে সেও আমাকে বিয়ে করতে রাজি।
.
প্রেম করে বিয়ে করার আমারও কম ইচ্ছে ছিলোনা। অথৈ আমার ইচ্ছে পূরন করে দিলো। দুজনের ইচ্ছে না হয় একসাথেই পুরন হবে। খুশি মনে বিয়ের ডেট তিনমাস পিছিয়ে নিলাম, হবু বউয়ের ইচ্ছে বলে কথা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন