কাব্যঃ কিরে দোস্ত কেমন আছিস?
--- নীলঃ আরে আর বলিসনা, স্বপ্ন আমার যা হাল করেছে উফ...
--- কাব্যঃ কেন কি করেছে?
--- নীলঃ কি আর করেছে আমায় দেখেও বুঝতে পারছিসনা?
--- কাব্যঃ হুম একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছি তকে দেখে। আচ্ছা তুই আর হিমুর মতন I mean হিমুকে অনুকরণ করিসনা!!!
--- নীলঃ না বেটা ম্যাডামের নির্দেশ খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে আর মুখে পাণ গুঁজে উদ্ভট পাগলাদের মতন ঘুরাঘুরি করা যাবেনা।
--- কাব্যঃ বাহ বেশ ভালই পরিবর্তন করেছিস নিজের। এবারে তাহলে রোমাঞ্চিত নীল তাও আবার নীল স্বপ্ন। বাহ বাহ চালিয়ে যা চালিয়ে যা। সালার আমি একটা পাইলে সারাজীবন বসে বসে খেতাম।
--- নীলঃ হুম এবারে তাইলে কাউকে বেছে নে। ভালোবাসাযুক্ত জীবনভর কাটা। দোআ করিস। আর বসে বসে খাবি মানে?
--- কাব্যঃ ওইতো আমার ভালোবাসার চাঁদমুখখানা দেখে বসেই পার করে দিতাম জীবনটা।
--- নীলঃ সালা ঝাটার বারি খাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছেরে দোস্ত সময় হলে জানাস কেমন খেতে। আসি...
--- কাব্যঃ তুই সালা সবসময় এমন করিস। আমি যখনি কিছু করে উঠবো ভাবি ঠিক তখনি তুই আমার মণ ভেঙ্গে দিস। তর নামে মণ ভাঙ্গনের মামলা করবো।
--- নীলঃ ধ্যাত তর ভাষণ থামা। গেলাম।
--- কাব্যঃ যা তর লগে আর কথাই কমুনা।
--- নীলঃ হিঁ,,,,,,হিঁ,,,,,,হিঁ,,,,,,
--- কাব্যঃ আবার বলদের মতো হাঁসে। যা ভাগ।
--- নীলঃ ওওওওকেএএএ গেলামরে দোস্ত...
..
নীল আর কাব্য দুইজন খুব ভালো বন্ধু একেবারে ছেলেবেলা থেকেই। তারা দুজনে হিমুর বই পড়তে পড়তে হিমুকে অনুকরণ করা শুরু করে। আর স্বপ্ন হলো নীলের বেস্ট ফ্রেন্ড। নীল অনেক ভালোবাসে স্বপ্নকে।
..
--- স্বপ্নঃ হ্যালো ভাইয়া আমাকে আপনার সাইকেলে একটু লিফট দিবেন?
--- নীলঃ আরে না না। গ্রামের মানুষ দেখলে কি বলবে!!
--- স্বপ্নঃ প্লীজ আমার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর কেউ কিছু বলবেনা।
--- নীলঃ এ হয়না। একজন মেয়ে আরেকজন ছেলে তাও আবার সাইকেলে লিফট!! আমি কারোর হাঁসির পাত্র হতে চাইনা।
--- স্বপ্নঃ দেখুন এমন কথা বলছেননা যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারেননা।
--- নীলঃ আচ্ছা আচ্ছা উঠুন। মেপে দুই হাত দূরে বসবেন।
--- স্বপ্নঃ আপনার সাইকেলে আছে কতটুকু জায়গা?? গর্দভ একটা।
--- নীলঃ ওই হলো আরকি। যা বললাম তা মেনে বসবেন।
--- স্বপ্নঃ ওকে চলুন।
..
তারপর স্বপ্ন নীলের সাইকেল থেকে নেমে তড়িঘড়ি করে কলেজে চলে গেলো। কেননা স্বপ্নের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার আর ৫ মিনিট বাকি ছিলো। নীলও কিছু বলেনি। নীল বুঝেছিল মেয়েটার সত্যি আর সময় নেই। তবে স্বপ্ন চলে যাওয়ার পর নীল উপলব্ধি করতে পারলো মেয়েটাকে সে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছে। বিভিন্ন ছাইপাঁশ মনের মাঝে অংকন করতে করতে কলেজ ছাড়লো।
নীল বাসায় গিয়ে ভাবছে আচ্ছা ওর সাথে কি আবার দেখা হবে, দেখা হলেই বা কি বলবো!! না না আমিতো হিমু প্রায়। হিমুদের এমন আশা নেই। আমি আর ওকে নিয়ে ভাববো না। যেই ভাবা সেই কাজ হতচ্ছাড়া নীল এক নিমিষেই ভুলে গেলো।
এদিকে স্বপ্ন বাসায় ফিরে এসে ছেলেটার কথা মনে করলো আর মনে মনে বিড়বিড় করতে লাগলো। ইস আমি অনেকটা স্বার্থপর... কালকেই ছেলেটার সাথে দেখা করে ধন্যবাদ জানাতে হবে। এইসব বলে স্বপ্ন রাতে ঘুমিয়ে পড়লো। সকাল হলো আর তৎক্ষণাত কিছু খেয়ে বেড়িয়ে পরলো গতদিনের রাস্তা ধরে। নীল বসে আছে তার প্রিয় হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে আর মুখে পাণ গুঁজে হিজল গাছটির নিচে। স্বপ্ন দেখতে পেয়ে, ডাকলো...
..
--- স্বপ্নঃ এইযে মিঃ কাল আমাকে ধন্যবাদ না দিয়ে চলে এলেন কেন?
..
নীল নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আর বেমালুম ভুলে গেলো গতকাল রাতের কথা যে নীল আর ওই মেয়ের কথা স্মরণ করবেনা কিন্তু এবার আর কথা না বলে থাকতে পারলনা। কেননা মেয়েটা দোষ করে তার উপড়ে চাপাচ্ছে।
..
--- নীলঃ ওই কি বলছেন!! আপনার মতো এমন মেয়ে আর একটাও দেখিনি।
--- স্বপ্নঃ ওমা আপনি কি খালি মেয়ে দেখে বেড়ান নাকি? অবশ্য যা দেখতে দেখাচ্ছে আপনাকে।
--- নীলঃ আপনি এমন কেন? আল্লাহ কি ঘারের তার টেরা করে দিছে? ঠিকঠাক মতো কথা বলতে পারেননা।
--- স্বপ্নঃ না পারিনা। একটা কথা বলি?
--- নীলঃ আলাদা করে আরো কিছু বলার ফন্দি আছে নাকি?
--- স্বপ্নঃ যা সত্যি তাই বলছি। আপনাকে দেখতে না আমার মরহুম চাচার মতো লাগছে।
--- নীলঃ মানে?
--- স্বপ্নঃ এইযে খালি পায়ে, গায়ে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে তাও আবার পাণ মুখে। ছিঃ ছিঃ... জানেন কতটা বাজে দেখাচ্ছে আপনাকে?
--- নীলঃ তাআআ,,,তেএএ আপনার কি!! আমার এভাবে ভালো লাগে। আর আপনি বেশিয়ে করছেন কিন্তু।
--- স্বপ্নঃ আরে আরে এভাবে তু তু তুতলাচ্ছেন কেন? মুখ দেখো হিঁ,,,হিঁ,,,হিঁ একেবারে জুকার।
--- নীলঃ আপনার সঙ্গে আর কোন কথা নাই। ফালতু বজ্জাত মেয়ে।
--- স্বপ্নঃ যান যান,,,, আর শুনুন কালকে আমায় আপনার সাইকেলে লিফট দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
--- নীলঃ ধুর....
--- স্বপ্নঃ হিঁ,,,হিঁ,,,হিঁ,,,
..
সেদিনের পর থেকে নীল সেই যে মেয়েটার সাথে রাগ করেছে দীর্ঘ দেড় মাস তার রাগ একটুও কমানোর চেষ্টা করেনি। আমাকে কিনা তার মরহুম চাচার মতো
--- নীলঃ আরে আর বলিসনা, স্বপ্ন আমার যা হাল করেছে উফ...
--- কাব্যঃ কেন কি করেছে?
--- নীলঃ কি আর করেছে আমায় দেখেও বুঝতে পারছিসনা?
--- কাব্যঃ হুম একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছি তকে দেখে। আচ্ছা তুই আর হিমুর মতন I mean হিমুকে অনুকরণ করিসনা!!!
--- নীলঃ না বেটা ম্যাডামের নির্দেশ খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে আর মুখে পাণ গুঁজে উদ্ভট পাগলাদের মতন ঘুরাঘুরি করা যাবেনা।
--- কাব্যঃ বাহ বেশ ভালই পরিবর্তন করেছিস নিজের। এবারে তাহলে রোমাঞ্চিত নীল তাও আবার নীল স্বপ্ন। বাহ বাহ চালিয়ে যা চালিয়ে যা। সালার আমি একটা পাইলে সারাজীবন বসে বসে খেতাম।
--- নীলঃ হুম এবারে তাইলে কাউকে বেছে নে। ভালোবাসাযুক্ত জীবনভর কাটা। দোআ করিস। আর বসে বসে খাবি মানে?
--- কাব্যঃ ওইতো আমার ভালোবাসার চাঁদমুখখানা দেখে বসেই পার করে দিতাম জীবনটা।
--- নীলঃ সালা ঝাটার বারি খাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছেরে দোস্ত সময় হলে জানাস কেমন খেতে। আসি...
--- কাব্যঃ তুই সালা সবসময় এমন করিস। আমি যখনি কিছু করে উঠবো ভাবি ঠিক তখনি তুই আমার মণ ভেঙ্গে দিস। তর নামে মণ ভাঙ্গনের মামলা করবো।
--- নীলঃ ধ্যাত তর ভাষণ থামা। গেলাম।
--- কাব্যঃ যা তর লগে আর কথাই কমুনা।
--- নীলঃ হিঁ,,,,,,হিঁ,,,,,,হিঁ,,,,,,
--- কাব্যঃ আবার বলদের মতো হাঁসে। যা ভাগ।
--- নীলঃ ওওওওকেএএএ গেলামরে দোস্ত...
..
নীল আর কাব্য দুইজন খুব ভালো বন্ধু একেবারে ছেলেবেলা থেকেই। তারা দুজনে হিমুর বই পড়তে পড়তে হিমুকে অনুকরণ করা শুরু করে। আর স্বপ্ন হলো নীলের বেস্ট ফ্রেন্ড। নীল অনেক ভালোবাসে স্বপ্নকে।
..
--- স্বপ্নঃ হ্যালো ভাইয়া আমাকে আপনার সাইকেলে একটু লিফট দিবেন?
--- নীলঃ আরে না না। গ্রামের মানুষ দেখলে কি বলবে!!
--- স্বপ্নঃ প্লীজ আমার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর কেউ কিছু বলবেনা।
--- নীলঃ এ হয়না। একজন মেয়ে আরেকজন ছেলে তাও আবার সাইকেলে লিফট!! আমি কারোর হাঁসির পাত্র হতে চাইনা।
--- স্বপ্নঃ দেখুন এমন কথা বলছেননা যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারেননা।
--- নীলঃ আচ্ছা আচ্ছা উঠুন। মেপে দুই হাত দূরে বসবেন।
--- স্বপ্নঃ আপনার সাইকেলে আছে কতটুকু জায়গা?? গর্দভ একটা।
--- নীলঃ ওই হলো আরকি। যা বললাম তা মেনে বসবেন।
--- স্বপ্নঃ ওকে চলুন।
..
তারপর স্বপ্ন নীলের সাইকেল থেকে নেমে তড়িঘড়ি করে কলেজে চলে গেলো। কেননা স্বপ্নের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার আর ৫ মিনিট বাকি ছিলো। নীলও কিছু বলেনি। নীল বুঝেছিল মেয়েটার সত্যি আর সময় নেই। তবে স্বপ্ন চলে যাওয়ার পর নীল উপলব্ধি করতে পারলো মেয়েটাকে সে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছে। বিভিন্ন ছাইপাঁশ মনের মাঝে অংকন করতে করতে কলেজ ছাড়লো।
নীল বাসায় গিয়ে ভাবছে আচ্ছা ওর সাথে কি আবার দেখা হবে, দেখা হলেই বা কি বলবো!! না না আমিতো হিমু প্রায়। হিমুদের এমন আশা নেই। আমি আর ওকে নিয়ে ভাববো না। যেই ভাবা সেই কাজ হতচ্ছাড়া নীল এক নিমিষেই ভুলে গেলো।
এদিকে স্বপ্ন বাসায় ফিরে এসে ছেলেটার কথা মনে করলো আর মনে মনে বিড়বিড় করতে লাগলো। ইস আমি অনেকটা স্বার্থপর... কালকেই ছেলেটার সাথে দেখা করে ধন্যবাদ জানাতে হবে। এইসব বলে স্বপ্ন রাতে ঘুমিয়ে পড়লো। সকাল হলো আর তৎক্ষণাত কিছু খেয়ে বেড়িয়ে পরলো গতদিনের রাস্তা ধরে। নীল বসে আছে তার প্রিয় হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে আর মুখে পাণ গুঁজে হিজল গাছটির নিচে। স্বপ্ন দেখতে পেয়ে, ডাকলো...
..
--- স্বপ্নঃ এইযে মিঃ কাল আমাকে ধন্যবাদ না দিয়ে চলে এলেন কেন?
..
নীল নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আর বেমালুম ভুলে গেলো গতকাল রাতের কথা যে নীল আর ওই মেয়ের কথা স্মরণ করবেনা কিন্তু এবার আর কথা না বলে থাকতে পারলনা। কেননা মেয়েটা দোষ করে তার উপড়ে চাপাচ্ছে।
..
--- নীলঃ ওই কি বলছেন!! আপনার মতো এমন মেয়ে আর একটাও দেখিনি।
--- স্বপ্নঃ ওমা আপনি কি খালি মেয়ে দেখে বেড়ান নাকি? অবশ্য যা দেখতে দেখাচ্ছে আপনাকে।
--- নীলঃ আপনি এমন কেন? আল্লাহ কি ঘারের তার টেরা করে দিছে? ঠিকঠাক মতো কথা বলতে পারেননা।
--- স্বপ্নঃ না পারিনা। একটা কথা বলি?
--- নীলঃ আলাদা করে আরো কিছু বলার ফন্দি আছে নাকি?
--- স্বপ্নঃ যা সত্যি তাই বলছি। আপনাকে দেখতে না আমার মরহুম চাচার মতো লাগছে।
--- নীলঃ মানে?
--- স্বপ্নঃ এইযে খালি পায়ে, গায়ে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে তাও আবার পাণ মুখে। ছিঃ ছিঃ... জানেন কতটা বাজে দেখাচ্ছে আপনাকে?
--- নীলঃ তাআআ,,,তেএএ আপনার কি!! আমার এভাবে ভালো লাগে। আর আপনি বেশিয়ে করছেন কিন্তু।
--- স্বপ্নঃ আরে আরে এভাবে তু তু তুতলাচ্ছেন কেন? মুখ দেখো হিঁ,,,হিঁ,,,হিঁ একেবারে জুকার।
--- নীলঃ আপনার সঙ্গে আর কোন কথা নাই। ফালতু বজ্জাত মেয়ে।
--- স্বপ্নঃ যান যান,,,, আর শুনুন কালকে আমায় আপনার সাইকেলে লিফট দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
--- নীলঃ ধুর....
--- স্বপ্নঃ হিঁ,,,হিঁ,,,হিঁ,,,
..
সেদিনের পর থেকে নীল সেই যে মেয়েটার সাথে রাগ করেছে দীর্ঘ দেড় মাস তার রাগ একটুও কমানোর চেষ্টা করেনি। আমাকে কিনা তার মরহুম চাচার মতো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন