সময় সকাল ৮ টা..
.
ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে অয়নকে ফোন দিলাম। ফোন রিসিভ করতেই..
.
আমি: ঐ হারামি কই তুই?
অয়ন: ঘুমাই কেন?
আমি: কলেজে আসবি না?
অয়ন: হুম আসবো।
আমি: তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয়।
অয়ন: আচ্ছা বাই।
আমি: বাই।
.
কলেজে যেতে পরিচয়টা দেয়া যাক। আমি ফারিয়া। এই বছর ইন্টারে নতুন ভর্তি হইছি। আর ও হলো অয়ন। আমরা খুব ভালো বন্ধু। ওর সাথে ক্লাসে পরিচয় হয়। খুব শান্ত একটা ছেলে। সব সময় চুপচাপ বসে থাকে। কেনো এমন তার কারন শুনতে চাইলেও কখনো বলেনি আরো রাগ দেখাইছে।
.
ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে অয়নকে ফোন দিলাম। ফোন রিসিভ করতেই..
.
আমি: ঐ হারামি কই তুই?
অয়ন: ঘুমাই কেন?
আমি: কলেজে আসবি না?
অয়ন: হুম আসবো।
আমি: তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয়।
অয়ন: আচ্ছা বাই।
আমি: বাই।
.
কলেজে যেতে পরিচয়টা দেয়া যাক। আমি ফারিয়া। এই বছর ইন্টারে নতুন ভর্তি হইছি। আর ও হলো অয়ন। আমরা খুব ভালো বন্ধু। ওর সাথে ক্লাসে পরিচয় হয়। খুব শান্ত একটা ছেলে। সব সময় চুপচাপ বসে থাকে। কেনো এমন তার কারন শুনতে চাইলেও কখনো বলেনি আরো রাগ দেখাইছে।
৯:৩০ মিনিট এ কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতেই..
.
অয়ন: দেখছিস আমিই আগে আসছি তুই সেই লেট হইলি।
আমি: কলেজের থেকে কার বাসা ধারে হুম?
অয়ন: না না কিছু না। চল ক্লাসে চল।
আমি: হুম চল।
.
ক্লাসে বসে স্যার না থাকা কালীন...
.
আমি: আচ্ছা আয়ন তুই এমন চুপচাপ থাকিস কেন?
অয়ন: এমনিই।
আমি: বল না
অয়ন: ভালো লাগছে না বাদ দে।
আমি: আগে বল তারপর বাদ।
অয়ন: ধুর থাক তুই বাই।
আমি: অয়ন শোন কই যাইস? অয়ন
.
অয়ন: দেখছিস আমিই আগে আসছি তুই সেই লেট হইলি।
আমি: কলেজের থেকে কার বাসা ধারে হুম?
অয়ন: না না কিছু না। চল ক্লাসে চল।
আমি: হুম চল।
.
ক্লাসে বসে স্যার না থাকা কালীন...
.
আমি: আচ্ছা আয়ন তুই এমন চুপচাপ থাকিস কেন?
অয়ন: এমনিই।
আমি: বল না
অয়ন: ভালো লাগছে না বাদ দে।
আমি: আগে বল তারপর বাদ।
অয়ন: ধুর থাক তুই বাই।
আমি: অয়ন শোন কই যাইস? অয়ন
অয়ন চলে গেছে। ওর কোনো রাগ দেখি না কখনো শুধু এই বিষয়েই যত রাগ ওর। আমি ও ছাড়ার পাত্রী না কারন তো শুনেই ছাড়বো।
.
এভাবে কিছুদিন ওর সাথে আঠার মতো লেগে থেকে একদিন বিকালে....
.
আমি: আজ তোকে সব বলতেই হবে অয়ন কেন তুই এমন বল??
অয়ন: বলছি না এসব বিষয়ে শোনার জন্য কখনো জোড় করবি না?
আমি: বল প্লিজ।
অয়ন: আগে বল শোনার পর আমাকে শান্তনা দিতে আসবি না?
আমি: আচ্ছা আগে বল তো
অয়ন: শোন তাহলে......
.
.
একদম ছোট থেকেই আমি খুব শান্ত ছিলাম। এমনকি স্কুলেও। সবে মাত্র ক্লাস সিক্স শেষ করে সেভেনে উঠলাম তখন একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। নাম ছিলো বাধন। আমরা একসাথে এক ক্লাসে পড়তাম। একদিন ক্লাসে....
.
বাধন: তোমার নাম কি?
অয়ন: অয়ন। তোমার?
বাধন: আমার নাম বাধন। ফ্রেন্ড?
অয়ন: আচ্ছা।
.
তারপর থেকে আমরা সব সময় ক্লাসে একসাথে আসতাম। এক ব্যাচে পড়তাম। একসাথে খেলাধুলা করতাম। একটা সময় খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম আমরা।
.
এভাবে ক্লাস সেভেন শেষ করে অষ্টম শ্রেনীতে উঠলাম। আবার এক ব্যাচে ভর্তি হলাম। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ ওর জন্মদিন ছিলো কিন্তু ও বলেনি।
.
৮ই ফেব্রুয়ারি,, বিকাল ৪:৩০ এ...
.
প্রতিদিনের মতো আজও ব্যাচে গেলাম। যেয়ে দেখি বাধন আজ খুব সেঁজে এসেছে। কারন শুনতে চাইলে বলে আজ ওর জন্মদিন। আমি কিছু না ভেবেই দৌড় দিয়ে একটা চকলেটের বক্স কিনে আনলাম।
.
অয়ন: বাধন শোন?
বাধন: হুম বল।
অয়ন: শুভ জন্মদিন। এটা তোর জন্য (চকলেটের বক্সটা ওর দিকে দিয়ে)
বাধন: আমার এইটা চাইনা।
অয়ন: তাহলে কি নিবি বল?
বাধন: আমরা একসাথে থাকতে চাই।
অয়ন: আমরা তো একসাথেই আছি।
বাধন: আরে বোকা এভাবে না.
অয়ন: তাহলে?
বাধন: তোর জীবনসঙ্গী হিসেবে।
অয়ন: কি বলছিস এসব? তুই ঠিক আছিস তো?
বাধন: হুম। কেন তুই আমাকে ভালোবাসিস না?
অয়ন: দেখ আমরা ভালো বন্ধু। সামনে জেএসসি পরীক্ষা এখন এসবে মধ্যে যাওয়া মোটেই ঠিক না।
বাধন: আমি এসব জানি না। আমার তোকে লাগবে তো লাগবেই।
অয়ন: পাগলামি করিস না বাধন।
বাধন: তাহলে আমাকে মেনে নে?
অয়ন: দেখ বাধন আমারও তোকে ভালো লাগে। কিন্তু তাও আমরা ক্লাস টেনের পর রিলেশন করবো এখন কোনো মতেই না।
বাধন: তুই শুধু আমার সাথেই থাকবি বল?
অয়ন: হ্যা আমি শুধু তোর সাথেই থাকবো। খুশি?
বাধন: হুম খুব। চল এখন আমাকে বাসা পর্যন্ত দিয়ে আয়।
অয়ন: চল।
.
এভাবে ২০-২২ দিন চলে গেলো। হঠাৎ একদিন ও আবার আগের মতো পাগলামি শুরু করলো...
.
অয়ন: তুই এসব আবার কেন শুরু করলি?
বাধন: আমার তোকে এখনই লাগবে টেন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবো না।
অয়ন: কেন? কি হইছে?
বাধন: আগে বল রিলেশন করবি কিনা?
অয়ন: না এখন করতে পারবো না।
বাধন: তার মানে তুই আমাকে ভালোবাসিস না। সব অভিনয় করছিস, আমার সাথে গেম খেলছিস।
অয়ন: তুই ভুল বুঝছিস বাধন। এখন এসব করা ঠিক হবে না।
বাধন: তুই আমার সাথে আর কখনো কোনো কথা বলবি না, আমার সামনেও আসবি না।
অয়ন: বাধন তুই এসব কি বলছিস?
বাধন: যা বলছি ঠিক বলছি।
অয়ন: আচ্ছা ঠিক আছে। বাই
.
আর কোনো কথা না বলে ওর সামনে দিয়ে চলে আসি। তারপর আর ওর সামনে যাই নি। ৪-৫ ধরে ব্যাচেও যাইনি কোনো কথাও বলিনি। ৬ দিনের দিন স্যার ফোন দিয়ে ব্যাচে আসতে বলে। ব্যাচে গেলে কোথা থেকে যেন বাধন এসে সবার সামনে কাঁন্না করে দেয়।
.
অয়ন: আরে পাগলি কাঁন্না কেন করিস?
বাধন: তুই এতদিন কই ছিলি হারামি?
অয়ন: বাসায় ছিলাম তো।
বাধন: ব্যাচে কেন আসিস নায়?
অয়ন: তুই তো কথা না বলতে বলছিস, সামনে না আসতে বলছিস তাই আসিনি। আজ স্যার ফোন দিছিলো তাই আসছি।
বাধন: সব রাগের মাথায় বলছি। আর তুই?(কাঁন্না করতে করতে)
অয়ন: আচ্ছা পাগলি আর এমন হবে না।
বাধন: হুম।
.
এভাবে আরো কিছুদিন গেলো। হঠাৎ একদিন একজনের কাছ থেকে জানতে পারি যে এগুলো বাধনের নাটক ছিলো। আসলে ও ওর বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে আমার সাথে রিলেশন করার নাটক করছে। এগুলো শোনার পর বাধনের কাছে গেলাম...
অয়ন: তোর সাথে একটু কথা আছে।
বাধন: হুম বল।
অয়ন: এইসব কি বাধন? তুই আমাকে নিয়ে বাজি ধরছিস?
বাধন: তোকে এসব কে বলছে?
অয়ন: যেই বলুক সব সত্যি তাহলে??
বাধন: হুম সত্যি তো?
অয়ন: তুই এটা আমার সাথে করতে পারলি?
বাধন: দেখ ওরা বলছিলো তোর সাথে নাকি রিলেশন করা যাবে না তাই বাজি ধরে করিয়ে দেখাতে চেয়েছি আর কিছুই না।
অয়ন: কাজটা তুই ঠিক করিস নি।
বাধন: আমি তোকে এখন সত্যিই ভালোবাসি। বিশ্বাস কর?
অয়ন: আর কোনো কথা বলবি না তুই। সব তোর নাটক। থাক তুই বাই
বাধন: অয়ন শোন অয়ন?
.
আর কোনো কথা না বলে ওখান থেকে চলে আসি। চোখের পানি মুছতে মুছতে।
.
৪ দিন পর একটা মেসেজ আসে ফোনে...
.
শোন পাগল আমি তোর সাথে অভিনয় করতে করতে এক সময় সত্যিই ভালোবেসে ফেলি। কিন্তু তুই তা বুঝলি না। আমাকে না বুঝেই তুই চলে গেছিস কিন্তু একবারো ফিরে আসিস নায়। এটাই তোর কাছে আমার দেয়া শেষ মেসেজ। আর যাবে না কখনো তুই দেখিস। ভালো থাক তুই এটাই চাই আর কখনো তোকে কষ্ট দেবো না। পারলে মাফ করে দিস। বাই পাগল তোকে খুব মিস করবো ভালো থাকিস।
.
মেসেজ টা পাওয়ার সাথেই ওকে ফোন দেই কিন্তু ফোন অফ থাকে। প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছিলাম। অনেক খোজ নেয়ার পর জানতে পারলাম ও এই কষ্টটা না নিতে পেরে ও আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে। কিন্তু রেখে গেছে অনেক স্মৃতি যা আমাকে এখনো কাঁদায়।
.
তারপর থেকেই আমি এমন। ওকে খুব ভালোবাসছিলাম। আর এখনো বাসি কিন্তু ওকে আর পাবো না তাই আমি একা বুঝছিস?
.
আমি: হুম বুঝছি। সরি দোস্ত তোকে আবার সব আগের কথা মনে করিয়ে দিলাম।
অয়ন: না না ঠিক আছে। যা বাসায় যা এখব বাই
আমি: হুম বাই
.
তারপর অয়ন নিজের গন্তব্যে চলে গেলো আর আমি ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে আছি.........
.
.
><সমাপ্ত><
.
এভাবে কিছুদিন ওর সাথে আঠার মতো লেগে থেকে একদিন বিকালে....
.
আমি: আজ তোকে সব বলতেই হবে অয়ন কেন তুই এমন বল??
অয়ন: বলছি না এসব বিষয়ে শোনার জন্য কখনো জোড় করবি না?
আমি: বল প্লিজ।
অয়ন: আগে বল শোনার পর আমাকে শান্তনা দিতে আসবি না?
আমি: আচ্ছা আগে বল তো
অয়ন: শোন তাহলে......
.
.
একদম ছোট থেকেই আমি খুব শান্ত ছিলাম। এমনকি স্কুলেও। সবে মাত্র ক্লাস সিক্স শেষ করে সেভেনে উঠলাম তখন একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। নাম ছিলো বাধন। আমরা একসাথে এক ক্লাসে পড়তাম। একদিন ক্লাসে....
.
বাধন: তোমার নাম কি?
অয়ন: অয়ন। তোমার?
বাধন: আমার নাম বাধন। ফ্রেন্ড?
অয়ন: আচ্ছা।
.
তারপর থেকে আমরা সব সময় ক্লাসে একসাথে আসতাম। এক ব্যাচে পড়তাম। একসাথে খেলাধুলা করতাম। একটা সময় খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম আমরা।
.
এভাবে ক্লাস সেভেন শেষ করে অষ্টম শ্রেনীতে উঠলাম। আবার এক ব্যাচে ভর্তি হলাম। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ ওর জন্মদিন ছিলো কিন্তু ও বলেনি।
.
৮ই ফেব্রুয়ারি,, বিকাল ৪:৩০ এ...
.
প্রতিদিনের মতো আজও ব্যাচে গেলাম। যেয়ে দেখি বাধন আজ খুব সেঁজে এসেছে। কারন শুনতে চাইলে বলে আজ ওর জন্মদিন। আমি কিছু না ভেবেই দৌড় দিয়ে একটা চকলেটের বক্স কিনে আনলাম।
.
অয়ন: বাধন শোন?
বাধন: হুম বল।
অয়ন: শুভ জন্মদিন। এটা তোর জন্য (চকলেটের বক্সটা ওর দিকে দিয়ে)
বাধন: আমার এইটা চাইনা।
অয়ন: তাহলে কি নিবি বল?
বাধন: আমরা একসাথে থাকতে চাই।
অয়ন: আমরা তো একসাথেই আছি।
বাধন: আরে বোকা এভাবে না.
অয়ন: তাহলে?
বাধন: তোর জীবনসঙ্গী হিসেবে।
অয়ন: কি বলছিস এসব? তুই ঠিক আছিস তো?
বাধন: হুম। কেন তুই আমাকে ভালোবাসিস না?
অয়ন: দেখ আমরা ভালো বন্ধু। সামনে জেএসসি পরীক্ষা এখন এসবে মধ্যে যাওয়া মোটেই ঠিক না।
বাধন: আমি এসব জানি না। আমার তোকে লাগবে তো লাগবেই।
অয়ন: পাগলামি করিস না বাধন।
বাধন: তাহলে আমাকে মেনে নে?
অয়ন: দেখ বাধন আমারও তোকে ভালো লাগে। কিন্তু তাও আমরা ক্লাস টেনের পর রিলেশন করবো এখন কোনো মতেই না।
বাধন: তুই শুধু আমার সাথেই থাকবি বল?
অয়ন: হ্যা আমি শুধু তোর সাথেই থাকবো। খুশি?
বাধন: হুম খুব। চল এখন আমাকে বাসা পর্যন্ত দিয়ে আয়।
অয়ন: চল।
.
এভাবে ২০-২২ দিন চলে গেলো। হঠাৎ একদিন ও আবার আগের মতো পাগলামি শুরু করলো...
.
অয়ন: তুই এসব আবার কেন শুরু করলি?
বাধন: আমার তোকে এখনই লাগবে টেন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবো না।
অয়ন: কেন? কি হইছে?
বাধন: আগে বল রিলেশন করবি কিনা?
অয়ন: না এখন করতে পারবো না।
বাধন: তার মানে তুই আমাকে ভালোবাসিস না। সব অভিনয় করছিস, আমার সাথে গেম খেলছিস।
অয়ন: তুই ভুল বুঝছিস বাধন। এখন এসব করা ঠিক হবে না।
বাধন: তুই আমার সাথে আর কখনো কোনো কথা বলবি না, আমার সামনেও আসবি না।
অয়ন: বাধন তুই এসব কি বলছিস?
বাধন: যা বলছি ঠিক বলছি।
অয়ন: আচ্ছা ঠিক আছে। বাই
.
আর কোনো কথা না বলে ওর সামনে দিয়ে চলে আসি। তারপর আর ওর সামনে যাই নি। ৪-৫ ধরে ব্যাচেও যাইনি কোনো কথাও বলিনি। ৬ দিনের দিন স্যার ফোন দিয়ে ব্যাচে আসতে বলে। ব্যাচে গেলে কোথা থেকে যেন বাধন এসে সবার সামনে কাঁন্না করে দেয়।
.
অয়ন: আরে পাগলি কাঁন্না কেন করিস?
বাধন: তুই এতদিন কই ছিলি হারামি?
অয়ন: বাসায় ছিলাম তো।
বাধন: ব্যাচে কেন আসিস নায়?
অয়ন: তুই তো কথা না বলতে বলছিস, সামনে না আসতে বলছিস তাই আসিনি। আজ স্যার ফোন দিছিলো তাই আসছি।
বাধন: সব রাগের মাথায় বলছি। আর তুই?(কাঁন্না করতে করতে)
অয়ন: আচ্ছা পাগলি আর এমন হবে না।
বাধন: হুম।
.
এভাবে আরো কিছুদিন গেলো। হঠাৎ একদিন একজনের কাছ থেকে জানতে পারি যে এগুলো বাধনের নাটক ছিলো। আসলে ও ওর বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে আমার সাথে রিলেশন করার নাটক করছে। এগুলো শোনার পর বাধনের কাছে গেলাম...
অয়ন: তোর সাথে একটু কথা আছে।
বাধন: হুম বল।
অয়ন: এইসব কি বাধন? তুই আমাকে নিয়ে বাজি ধরছিস?
বাধন: তোকে এসব কে বলছে?
অয়ন: যেই বলুক সব সত্যি তাহলে??
বাধন: হুম সত্যি তো?
অয়ন: তুই এটা আমার সাথে করতে পারলি?
বাধন: দেখ ওরা বলছিলো তোর সাথে নাকি রিলেশন করা যাবে না তাই বাজি ধরে করিয়ে দেখাতে চেয়েছি আর কিছুই না।
অয়ন: কাজটা তুই ঠিক করিস নি।
বাধন: আমি তোকে এখন সত্যিই ভালোবাসি। বিশ্বাস কর?
অয়ন: আর কোনো কথা বলবি না তুই। সব তোর নাটক। থাক তুই বাই
বাধন: অয়ন শোন অয়ন?
.
আর কোনো কথা না বলে ওখান থেকে চলে আসি। চোখের পানি মুছতে মুছতে।
.
৪ দিন পর একটা মেসেজ আসে ফোনে...
.
শোন পাগল আমি তোর সাথে অভিনয় করতে করতে এক সময় সত্যিই ভালোবেসে ফেলি। কিন্তু তুই তা বুঝলি না। আমাকে না বুঝেই তুই চলে গেছিস কিন্তু একবারো ফিরে আসিস নায়। এটাই তোর কাছে আমার দেয়া শেষ মেসেজ। আর যাবে না কখনো তুই দেখিস। ভালো থাক তুই এটাই চাই আর কখনো তোকে কষ্ট দেবো না। পারলে মাফ করে দিস। বাই পাগল তোকে খুব মিস করবো ভালো থাকিস।
.
মেসেজ টা পাওয়ার সাথেই ওকে ফোন দেই কিন্তু ফোন অফ থাকে। প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছিলাম। অনেক খোজ নেয়ার পর জানতে পারলাম ও এই কষ্টটা না নিতে পেরে ও আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে। কিন্তু রেখে গেছে অনেক স্মৃতি যা আমাকে এখনো কাঁদায়।
.
তারপর থেকেই আমি এমন। ওকে খুব ভালোবাসছিলাম। আর এখনো বাসি কিন্তু ওকে আর পাবো না তাই আমি একা বুঝছিস?
.
আমি: হুম বুঝছি। সরি দোস্ত তোকে আবার সব আগের কথা মনে করিয়ে দিলাম।
অয়ন: না না ঠিক আছে। যা বাসায় যা এখব বাই
আমি: হুম বাই
.
তারপর অয়ন নিজের গন্তব্যে চলে গেলো আর আমি ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে আছি.........
.
.
><সমাপ্ত><
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন