কেটেগেছে ১ বছর ৮ মাস ৩ দিন।..... কি ভাবছেন কারোর সাথে সম্পর্কের??? -- হ্যা। এটা সম্পর্কেরই। তবে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক। গত ২০১৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনে সে আমার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিলো একটি মিথ্যা সন্দেহের কারনে।
.
সম্পর্ক!!!! -- হায় রে মানুষ!!! এটা নাকি একটা সম্পর্ক!!! না কোন সম্পর্ক না। তবে হতে পারতো। কারন তার কথা গুলো দেখে বুঝেছিলাম সে আমায় পছন্দ করতো। আমার মন বলে.....
.
একদিন কলেজের টিফিন টাইমে কলেজ ক্যান্টিনে বসে আছি। প্রভাতি শাখায় ক্লাস হওয়ায় ঘুমের দরুন মুড তেমন ভালো ছিলো না। ক্যান্টিনের একটা সাইডে বসে ফেসবুক গতাচ্ছি। সাজেস্ট ফ্রেন্ড লিস্টে সাবেক প্রেমিকার ID খুজছিলাম। কিন্তু তার ID টা পাচ্ছিলাম না। হটাত চোখে পড়লো "জানভি" নামে একটা ID.... নামটা আমার কাছে uncommon লাগসে। প্রোফাইল পিক দেখলাম শুধু একটা ঠোটের ছবি দেয়া। ঠোট দেখে মনে হচ্ছিলো সে মুচকি হাসছে। ---- জানিনা সেটা তার ঠোট কি না। তবে ঠোটটা ছিলো গোলাপী। হালকা চিকন। কিন্তু মনে পরশ আনার মত সুন্দর। ধরেই নিলাম ছবিটা ফেক। ---- এরপর তার প্রোফাইলে গেলাম। দেখলাম অনেক কিছুতেই প্রাইভেসি দেয়া। দোটানায় পড়ে গেলাম। ID টা কি ফেক না রিয়েল!!! সব কিছু ভাবতে ভাবতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ফেসবুক থেকে বেড় হয়ে পড়লাম।
.
.
সারাদিন কলেজ আর ল্যাব দিয়েই কাটলো। বিকালে প্রায়ভেট ছিলো। তাই বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেলো। --- সারাদিনের ব্যাস্ততার জন্য জানভির কথা মনেছিলো না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফেসবুকে ঢুকলাম। নটিফিকেশনে দেখি প্রথমেই দেয়া "Janvi commented on your post... " ---- ওফ!!! তার মানে সে আমার রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করসে। গিয়া তার কমেন্টের রিপ্লাই করলাম।
.
বলে রাখা ভালো, তখনো আমি টুকটাক লেখালেখি করতাম। তবে গল্প না, ছোটখাটো লেখা। জানভি যেটাতে কনেন্ট করেছিলো, সেটা ছিলো হুমায়ুন আহমেদ স্যারের একটা উক্তি। সেটা হলো ------ "ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাতামাতি করাই হলো মেয়েদের স্বভাব।" -- হুমায়ুন আহমেদ।
.
তো, সে এই কথাটার চরম বিরোধিতা করে কমেন্ট করলো। আমিও তার কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। আবার সেও আমার রিপ্লাই দিলো। আমিও আবার দিলাম। এভাবে একটা মিষ্টি ঝগড়া চলছিলো। --- কিন্তু কথার এক পর্যায়ে সে তার কমেন্টটা ডিলেট করে দিলো। যা দেখে এক রকম রাগ মিশ্রিত কষ্ট পেয়েছিলাম।
.
যাইহোক, হটাত দেখি সে একটা মেসেজ দিয়েছে। ---- মনে মনে একটু পুলকিত হলাম!!!! গিয়ে দেখি.... সে লিখেছে --- "আমি বেশি কথা বলা পছন্দ করি না। তাই কমেন্ট টা ডিলেট করে দিলাম।"
আমি: It's ok...
জানভি: Hmm
আমি : (লাইক দিলাম)
জানভি: Good।
আমি: Well...
জানভি: hmm
আমি: আপনার নামকি জানভি না জাহ্নবি...
জানভি: জা ন ভি..... বুঝছেন???
আমি: হুমম। কোন ক্লাসে পড়েন??
জানভি: এবার পরীক্ষা দিচ্ছি ( 2016 এর SSC examiner)। আপনি???
আমি: ইন্টার ১ম বর্ষের শেষের দিকে। আপনি কোন বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন??
জানভি: বাণিজ্য।
আমি: ওওও.... কাল তো সম্ভবত পরীক্ষা আছে, না???
জানভি: হুমম। বিজ্ঞান।
আমি: তাহলে পড়া রাইখা ফেসবুকে কি?? কেও আছে নাকি???
জানভি: আরে নাহ। এমনি আসছিলাম। এখন আবার চলে যাব। bye....
.
.
তার সাথে আমার শুরুটা এভাবে হয়েছিলো। এরপর তার সাথে প্রতিদিনই একটু একটু কথা হতো। একসময় দেখা গেলো ঘুমের সময়টা ছাড়া আর সারা দিনই আমরা কথা বলতাম। রাত ৩ টা, ৪ টা এমন অনেক রাত আছে যে আমি তার সাথে কথা বলে পার করে দিয়েছি। সকালে জাস্ট কলেজ ইউনিফর্ম পড়ে কলেজে গিয়েছি। আস্তে আস্তে আমার প্রতি তার কেয়ারিং বাড়তে লাগলো। আমিও তার প্রতি কেয়ার করতে লাগলাম। আমার কনভারসেশন এর এক পর্যায়ে সত্যিই আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লাম। হয়ত সে ও হয়েছিলো। নয়ত আমার প্রোফাইলে থাকা অনেক মেয়েকেই সে জোর করে আনফ্রেন্ড করিয়েছিলো কেন??? ---- একটা কথা বলেরাখি, আমাদের কনভারসেশন এর এই মধুমাখা সময়টাতেও আমি তার ছবি দেখিনি।
.
একটা পর্যায়ে দুইজনেই বুঝেছিলাম যে -- "Yah... we are in love..." কিন্তু, কেও কাউকে বলিনি। তার অন্যতম একটা কারন ছিলো দূরত্ব। সে থাকতো মংলা পোর্ট.... এই জায়গাটা খুলনা নাকি যশোর আমি সিউর জানি না। আর আমি থাকতাম ময়মন সিংহে। আমি অনেকবার স্ট্যাটাস দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করেছি যে দূরত্ব কোন ব্যাপারনা। কিন্তু, তাতে খুব একটা কাজ হয় নি।
.
.
আমার বেপরোয়া মন আর মানছিলো না। তার যে পরীক্ষা, তার যে সমস্যা হতে পারে এই কথাটা আমার মাথায়ই আসছিলো না। --- আমি এক রকম উজবুক এর মতই তাকে প্রপোজ করে দিলাম....
.
দিনটা ছিলো ১৯ ফেব্রুয়ারি.....
.
আমি: পরীক্ষা কেমন হচ্ছে??
জানভি: মোটামুটি.... তুমার জন্য তো ঠিক মত পড়তেই পারিনা।
--- ওমা, আমি আবার কি করলাম???
--- ঐ... রাত ৩/৪টা পর্যন্ত পেচাল পারে কেডা???
--- তুমি কথা কইলা কে???
--- মন চাইসে।
--- এখন কাহিনি কি???? ফেলের সম্ভাবনা আছে নাকি???
--- আজাইরা কথা কও কে??? যত্তসব অলক্ষুণে কথা....
--- হাহাহাহা.... রাগ কইরো না, I was kidding....
--- It's ok...
--- জানভি একটা কথা ছিলো।
--- কি?? বলো।
--- তুমার কি সত্যিই বফ নাই???
--- এই এক কথা আর কয়বার বলবো??? -- সত্যিই নাই....
--- ওওওও....
--- আমার বফ দিয়া তুমি কি কর???
--- না এমনি।
--- ওওও।
--- তুমাকে একটা কথা বলার ছিলো।
--- কি??
--- না থাক....
--- কি বলতে চাইসিলা বলো। না হলে রাতে আমি ঠিক মত পড়তে পারবো না।
--- ওকে বলতেসি।
--- হুমম।
--- ----
--- কই??? বলো না কেন???
--- হুমম। আসলে বলতে চাইসিলাম Te amo...
--- মানে???
--- মানে Te amo...
--- Te amo তো বুঝলাম। এর মানে কি???
--- I love you....
--- আমাকে তুমি চিনো না, আমিও তুমাকে চিনি না। Then Love কিভাবে সম্ভব???
--- আমি আমার ডিটেইলস তুমাকে দিতেসি।
.
.
এই বলে আমি আমার কিছু তথ্য, তাকে দিলাম। কিন্তু, তার এক কথা, সে আমাকে পরীক্ষা করবে।
.
প্রথম যেই পরীক্ষা ছিলো, সেটা একটা সাধারণ প্রশ্ন। সঙ্গত কারনে এটা আমি পাঠকদের বলবো না। -- তবে তার করা সেই প্রশ্নের উত্তরটা আমার মনের গভীর থেকে দিয়েছিলাম। যার জন্য পাশ করে গিয়েছি। দ্বিতীয়টাও ছিলো একটা প্রশ্ন। এটাও বলা যাবে না। তবে বহু কষ্টে পাশ করেছি।
.
এরপর সেই দিন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি। সে আমাকে হটাত মেসেজ দিয়ে বললো,
--- তুমি কি আমার বিশেষ মানুষটাকে দেখতে চাও???
--- বিশেষ মানুষ মানে?? তুমার না কেউ নাই???
--- না আছে। আমার স্ট্যাটাস এ গিয়া দেখো।
.
একরকম উদভ্রান্তের মত তার টাইমলাইনে গেলাম।
.
.
তার টাইমলাইনে গিয়া দেখলাম একটা পোষ্ট দেয়া..... Janvi is taking care of (একটা ছেলের নাম) এরপর কিছু লেখা...। লেখাটা পড়িনাই।
.
.
তবে পোষ্টটা দেইখা মাথাটা গরম হয়া গেলো। তারে আবার মেসেজ দিলাম....
--- আমারে মিথ্যা কথা কইলা কে???
--- আমার মন চাইসে।
--- ওওওও.... আসলে একটা ব্যাপার কি জানো???
--- কি???
--- আসলে আমার একজনের সাথে রিলেশন ছিলো। পরে ব্রেকআপ হইসে। এখন আমার সাথে ভাব নিতেসে। তাই তার সাথে জিদ ধইরা তুমারে প্রপোজ করসি। প্রপোজের ব্যাপারটারে সিরিয়াসলি নিয়ো না।
--- আমি কোনদিন ও সিরিয়াসলি নেই নাই। [বিদ্র: এরপরের কথা গুলা প্রকাশ করতে চাচ্ছি না]
.
এরপর সে আমাকে ব্লক দিয়ে দেয়। আমি আমার ফেক আইডি দিয়ে তাকে আরো কিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তার ID তে দেখলাম তার দেয়া পোষ্টের সেই বিশেষ ছেলেটা আর কেউ না, তার ভাই...... এরপর বহুবার তার সাথে কন্টাক্ট এর চেষ্টা করেছি। অনেক সরি বলেছি। লাভ হয় নি। সবটাই বিফলে গেছে। আমার দুইটা ID তেই সে ব্লক দিয়ে রেখেছে......
.
.
আর বলা হলো না.... ওগো অপরিচিতা... শুনে যাও। যা বলেছি সব মিথ্যা। সত্য হলো আমার বলা সেই কথাটা --- Te amo.....
.
সম্পর্ক!!!! -- হায় রে মানুষ!!! এটা নাকি একটা সম্পর্ক!!! না কোন সম্পর্ক না। তবে হতে পারতো। কারন তার কথা গুলো দেখে বুঝেছিলাম সে আমায় পছন্দ করতো। আমার মন বলে.....
.
একদিন কলেজের টিফিন টাইমে কলেজ ক্যান্টিনে বসে আছি। প্রভাতি শাখায় ক্লাস হওয়ায় ঘুমের দরুন মুড তেমন ভালো ছিলো না। ক্যান্টিনের একটা সাইডে বসে ফেসবুক গতাচ্ছি। সাজেস্ট ফ্রেন্ড লিস্টে সাবেক প্রেমিকার ID খুজছিলাম। কিন্তু তার ID টা পাচ্ছিলাম না। হটাত চোখে পড়লো "জানভি" নামে একটা ID.... নামটা আমার কাছে uncommon লাগসে। প্রোফাইল পিক দেখলাম শুধু একটা ঠোটের ছবি দেয়া। ঠোট দেখে মনে হচ্ছিলো সে মুচকি হাসছে। ---- জানিনা সেটা তার ঠোট কি না। তবে ঠোটটা ছিলো গোলাপী। হালকা চিকন। কিন্তু মনে পরশ আনার মত সুন্দর। ধরেই নিলাম ছবিটা ফেক। ---- এরপর তার প্রোফাইলে গেলাম। দেখলাম অনেক কিছুতেই প্রাইভেসি দেয়া। দোটানায় পড়ে গেলাম। ID টা কি ফেক না রিয়েল!!! সব কিছু ভাবতে ভাবতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ফেসবুক থেকে বেড় হয়ে পড়লাম।
.
.
সারাদিন কলেজ আর ল্যাব দিয়েই কাটলো। বিকালে প্রায়ভেট ছিলো। তাই বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেলো। --- সারাদিনের ব্যাস্ততার জন্য জানভির কথা মনেছিলো না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফেসবুকে ঢুকলাম। নটিফিকেশনে দেখি প্রথমেই দেয়া "Janvi commented on your post... " ---- ওফ!!! তার মানে সে আমার রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করসে। গিয়া তার কমেন্টের রিপ্লাই করলাম।
.
বলে রাখা ভালো, তখনো আমি টুকটাক লেখালেখি করতাম। তবে গল্প না, ছোটখাটো লেখা। জানভি যেটাতে কনেন্ট করেছিলো, সেটা ছিলো হুমায়ুন আহমেদ স্যারের একটা উক্তি। সেটা হলো ------ "ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাতামাতি করাই হলো মেয়েদের স্বভাব।" -- হুমায়ুন আহমেদ।
.
তো, সে এই কথাটার চরম বিরোধিতা করে কমেন্ট করলো। আমিও তার কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। আবার সেও আমার রিপ্লাই দিলো। আমিও আবার দিলাম। এভাবে একটা মিষ্টি ঝগড়া চলছিলো। --- কিন্তু কথার এক পর্যায়ে সে তার কমেন্টটা ডিলেট করে দিলো। যা দেখে এক রকম রাগ মিশ্রিত কষ্ট পেয়েছিলাম।
.
যাইহোক, হটাত দেখি সে একটা মেসেজ দিয়েছে। ---- মনে মনে একটু পুলকিত হলাম!!!! গিয়ে দেখি.... সে লিখেছে --- "আমি বেশি কথা বলা পছন্দ করি না। তাই কমেন্ট টা ডিলেট করে দিলাম।"
আমি: It's ok...
জানভি: Hmm
আমি : (লাইক দিলাম)
জানভি: Good।
আমি: Well...
জানভি: hmm
আমি: আপনার নামকি জানভি না জাহ্নবি...
জানভি: জা ন ভি..... বুঝছেন???
আমি: হুমম। কোন ক্লাসে পড়েন??
জানভি: এবার পরীক্ষা দিচ্ছি ( 2016 এর SSC examiner)। আপনি???
আমি: ইন্টার ১ম বর্ষের শেষের দিকে। আপনি কোন বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন??
জানভি: বাণিজ্য।
আমি: ওওও.... কাল তো সম্ভবত পরীক্ষা আছে, না???
জানভি: হুমম। বিজ্ঞান।
আমি: তাহলে পড়া রাইখা ফেসবুকে কি?? কেও আছে নাকি???
জানভি: আরে নাহ। এমনি আসছিলাম। এখন আবার চলে যাব। bye....
.
.
তার সাথে আমার শুরুটা এভাবে হয়েছিলো। এরপর তার সাথে প্রতিদিনই একটু একটু কথা হতো। একসময় দেখা গেলো ঘুমের সময়টা ছাড়া আর সারা দিনই আমরা কথা বলতাম। রাত ৩ টা, ৪ টা এমন অনেক রাত আছে যে আমি তার সাথে কথা বলে পার করে দিয়েছি। সকালে জাস্ট কলেজ ইউনিফর্ম পড়ে কলেজে গিয়েছি। আস্তে আস্তে আমার প্রতি তার কেয়ারিং বাড়তে লাগলো। আমিও তার প্রতি কেয়ার করতে লাগলাম। আমার কনভারসেশন এর এক পর্যায়ে সত্যিই আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লাম। হয়ত সে ও হয়েছিলো। নয়ত আমার প্রোফাইলে থাকা অনেক মেয়েকেই সে জোর করে আনফ্রেন্ড করিয়েছিলো কেন??? ---- একটা কথা বলেরাখি, আমাদের কনভারসেশন এর এই মধুমাখা সময়টাতেও আমি তার ছবি দেখিনি।
.
একটা পর্যায়ে দুইজনেই বুঝেছিলাম যে -- "Yah... we are in love..." কিন্তু, কেও কাউকে বলিনি। তার অন্যতম একটা কারন ছিলো দূরত্ব। সে থাকতো মংলা পোর্ট.... এই জায়গাটা খুলনা নাকি যশোর আমি সিউর জানি না। আর আমি থাকতাম ময়মন সিংহে। আমি অনেকবার স্ট্যাটাস দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করেছি যে দূরত্ব কোন ব্যাপারনা। কিন্তু, তাতে খুব একটা কাজ হয় নি।
.
.
আমার বেপরোয়া মন আর মানছিলো না। তার যে পরীক্ষা, তার যে সমস্যা হতে পারে এই কথাটা আমার মাথায়ই আসছিলো না। --- আমি এক রকম উজবুক এর মতই তাকে প্রপোজ করে দিলাম....
.
দিনটা ছিলো ১৯ ফেব্রুয়ারি.....
.
আমি: পরীক্ষা কেমন হচ্ছে??
জানভি: মোটামুটি.... তুমার জন্য তো ঠিক মত পড়তেই পারিনা।
--- ওমা, আমি আবার কি করলাম???
--- ঐ... রাত ৩/৪টা পর্যন্ত পেচাল পারে কেডা???
--- তুমি কথা কইলা কে???
--- মন চাইসে।
--- এখন কাহিনি কি???? ফেলের সম্ভাবনা আছে নাকি???
--- আজাইরা কথা কও কে??? যত্তসব অলক্ষুণে কথা....
--- হাহাহাহা.... রাগ কইরো না, I was kidding....
--- It's ok...
--- জানভি একটা কথা ছিলো।
--- কি?? বলো।
--- তুমার কি সত্যিই বফ নাই???
--- এই এক কথা আর কয়বার বলবো??? -- সত্যিই নাই....
--- ওওওও....
--- আমার বফ দিয়া তুমি কি কর???
--- না এমনি।
--- ওওও।
--- তুমাকে একটা কথা বলার ছিলো।
--- কি??
--- না থাক....
--- কি বলতে চাইসিলা বলো। না হলে রাতে আমি ঠিক মত পড়তে পারবো না।
--- ওকে বলতেসি।
--- হুমম।
--- ----
--- কই??? বলো না কেন???
--- হুমম। আসলে বলতে চাইসিলাম Te amo...
--- মানে???
--- মানে Te amo...
--- Te amo তো বুঝলাম। এর মানে কি???
--- I love you....
--- আমাকে তুমি চিনো না, আমিও তুমাকে চিনি না। Then Love কিভাবে সম্ভব???
--- আমি আমার ডিটেইলস তুমাকে দিতেসি।
.
.
এই বলে আমি আমার কিছু তথ্য, তাকে দিলাম। কিন্তু, তার এক কথা, সে আমাকে পরীক্ষা করবে।
.
প্রথম যেই পরীক্ষা ছিলো, সেটা একটা সাধারণ প্রশ্ন। সঙ্গত কারনে এটা আমি পাঠকদের বলবো না। -- তবে তার করা সেই প্রশ্নের উত্তরটা আমার মনের গভীর থেকে দিয়েছিলাম। যার জন্য পাশ করে গিয়েছি। দ্বিতীয়টাও ছিলো একটা প্রশ্ন। এটাও বলা যাবে না। তবে বহু কষ্টে পাশ করেছি।
.
এরপর সেই দিন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি। সে আমাকে হটাত মেসেজ দিয়ে বললো,
--- তুমি কি আমার বিশেষ মানুষটাকে দেখতে চাও???
--- বিশেষ মানুষ মানে?? তুমার না কেউ নাই???
--- না আছে। আমার স্ট্যাটাস এ গিয়া দেখো।
.
একরকম উদভ্রান্তের মত তার টাইমলাইনে গেলাম।
.
.
তার টাইমলাইনে গিয়া দেখলাম একটা পোষ্ট দেয়া..... Janvi is taking care of (একটা ছেলের নাম) এরপর কিছু লেখা...। লেখাটা পড়িনাই।
.
.
তবে পোষ্টটা দেইখা মাথাটা গরম হয়া গেলো। তারে আবার মেসেজ দিলাম....
--- আমারে মিথ্যা কথা কইলা কে???
--- আমার মন চাইসে।
--- ওওওও.... আসলে একটা ব্যাপার কি জানো???
--- কি???
--- আসলে আমার একজনের সাথে রিলেশন ছিলো। পরে ব্রেকআপ হইসে। এখন আমার সাথে ভাব নিতেসে। তাই তার সাথে জিদ ধইরা তুমারে প্রপোজ করসি। প্রপোজের ব্যাপারটারে সিরিয়াসলি নিয়ো না।
--- আমি কোনদিন ও সিরিয়াসলি নেই নাই। [বিদ্র: এরপরের কথা গুলা প্রকাশ করতে চাচ্ছি না]
.
এরপর সে আমাকে ব্লক দিয়ে দেয়। আমি আমার ফেক আইডি দিয়ে তাকে আরো কিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তার ID তে দেখলাম তার দেয়া পোষ্টের সেই বিশেষ ছেলেটা আর কেউ না, তার ভাই...... এরপর বহুবার তার সাথে কন্টাক্ট এর চেষ্টা করেছি। অনেক সরি বলেছি। লাভ হয় নি। সবটাই বিফলে গেছে। আমার দুইটা ID তেই সে ব্লক দিয়ে রেখেছে......
.
.
আর বলা হলো না.... ওগো অপরিচিতা... শুনে যাও। যা বলেছি সব মিথ্যা। সত্য হলো আমার বলা সেই কথাটা --- Te amo.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন