হ্যালো, আদিবা?(আমি)
কে বলছেন আপনি?(আদিবা)
এখন চিনবেনা কারন আমি অপরিচিত।
(আমি)
এত কথা বলার সময় নেই আমার, কে বলছেন
আপনি সেটা বলেন।(আদিবা)
আফসান নামের কোনো ছেলেকে চিনতে?
(আমি)
আরে আফসান তুই,কতদিন হয়েছে দেশে
আসার?(আদিবা)
হা আমি, আজ আসছি দেশে,কিন্তু নিজের
আত্বীয় কারো বাসায় উটছি না তোদের
বাসায় উটবো।(আমি)
আচ্ছা চলে আয় আমাদের বাসায়,আমি
এড্রেস দিচ্ছি।(আদিবা)
আচ্ছা আসতেছি।(আমি)
আমি আফিসান, পাঁচ বছর পর বিদেশ থেকে
ফিরছি। আদিবা হচ্ছে আমার কলেজ
জীবনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
ঠিকানা মত চলে গেলাম। কলিং বেল
চাপতেই আদিবা দরজা খুললো। আমাকে
দেখে অনেক আনন্দ করছে আদিবাদের
বাসায় তার বাবা ও আদিবা থাকে।
আদিবার মা অনেক বছর আগে মারা
গেছেন। সেদিন অনেক আনন্দ ফুর্তি হয়।
আদিবার বাবা আমাকে খুব ভালো ছেলে
হিসাবে কোনো সন্দেহ করেননা। বিদেশ
যাওয়ার আগেও অনেক তাদের বাসায় গিয়ে
রাত কাটিয়েছি।
পরেরদিন রাতে একা একা রুমে ডুকে
আদিবার কথা ভাবছি। মেয়েটা কত দুস্টু
ছিল। কত রাগ অভিমান করে, আবার দুজন
ঠিক হয়ে যেতাম। অনেক দিনের বন্ধুত্ব
আমাদের। হটাৎ একদিন আদিবা আমাকে
প্রপোজ করে বসে।
আফসান আমি তোকে ভালোবাসি।(আদিবা
)
কি বলিস এসব,তোর মাথা ঠিক আছে তো।
(আমি)
হা আমার মাথা ঠিক আছে।(আদিবা)
মাথা ঠিক থাকলে তো ঠিক আছে, কিন্তু
আমি তোকে বন্ধু ছাড়া আর কিছুই
ভাবিনা।(আমি)
থাক,লাগবেনা তোর ভালোবাসা।(আদিবা)
সেদিন অনেক কান্না করে মেয়েটি চলে
যায়।
কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই।
আমিও যোগাযোগ করার চেস্টা করেনি।
একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আছি। হটাৎ
দেখি আদিবা একটা ছেলের সাথে কথা
বলছে। একজন আরেকজনের হাত ধরছে। আমি
তো হতভাগা হয়ে গেলাম। এই কলেজে আমি
ছাড়া কোনো ছেলের সাথে কথা বলতো
না। এখন দেখি অন্য ছেলের সাথে কথা
বলছে। আমার মাথা নস্ট হয়ে গেছে।
আদিবার কাছে এগিয়ে গেলাম।
আরে আফসান তুই।(আদিবা)
হা। (আমি)
সে হলো আবির, আমার বয়ফ্রেন্ড।(আদিবা)
অহ আচ্ছা,কয়দিন থেকে তুই প্রেম করেছিস?
(আমি)
এই তো কয়েকদিন।(আদিবা)
সেদিন চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে বারবার
আদিবার কথা মনে পড়ে। এক মুহৃত্ব ভালো
কাটেনা। কয়েকদিনের ভিতরে আমি
বিদেশ চলে যাই। বিদেশ পাঁচটি বছর
কাটিয়েছি আদিবার কথা ভেবে। মনে
পড়লে অনেক বুকের ভিতর কস্ট চলে আসে।
মেয়েটা আমাকে সত্যি ভালোবাসতো।
আমি না বুঝে হারিয়েছি থাকে। প্রতি
মুহৃত্ব আদিবা মিছ করেছি।
একদিন আদিবাকে বললাম,
আদিবা বিয়ের জন্য কেমন আনন্দে আছো।
(আমি)
তুই জানলি কি করে।(আদিবা)
আমার খবর রাখিছনা তুই,ভাবছিস আমি
তোর খবর রাখিনা।(আমি)
হুম ভালোই আনন্দে আছি।(আদিবা)
আদিবার সাথে কথা বলার সময় বুকের
ভিতরের কস্ট আরো ভেড়ে যায়।মেয়েটির
মায়াবী চেহারা,মায়াবী চোখ আমায়
পাগল করে দেয়। অনেক কস্ট বুকে জমা।
নিজের ভুলে হারিয়েছি,এখন নিজেই
কপালে মারছি। মনে মনে ভাবলাম আদিবাকে
বলবো আমার সব কথা।
দশদিন পর আদিবাকে বললাম।
আদিবা তোমার সাথে আমার একটু কথা
আছে।(আমি)
হা বলো।(আদিবা)
জানি আমি নিজের ভুলে তোমাকে
হারিয়েছি, কিন্তু পাঁচটি বছর তোমাকে
প্রতি মুহৃত্ব মিছ করেছি, আমি সেদিন
বুঝতে পারিনি। (আমি)
এখন এইসব বলে লাভ নেই।(আদিবা)
প্লিজ একটু বুঝার চেস্টা করোনা,আমি
তোমাকে অনেক সুখে রাখবো।(আমি)
প্লিজ এসব বলে, হুদাই লাভ নেই।(আদিবা)
প্লিজ একটু বুঝার চেস্টা করো।(আমি)
লাভ নেই, এতে যেভাবে আছো, সেভাবে
থাক, বিয়েতে আনন্দ ফুর্তি করে যাবে।
(আদিবা)
সেদিন অনেক কান্না করে চলে আসি।
বুকের ভিতর অনেক কস্ট জমা নিয়ে চলে
আসলাম তাদের বাড়ি থেকে। কয়েকদিন পর
আদিবার বিয়ে হয়ে যায়। আদিবা সুখেই
আছে। কিন্তু আমি সুখে নেই। প্রতি মুহৃত্ব
আদিবাকে মিছ করি। এখনো আদিবাকে
অনেক ভালোবাসি। আদিবাকে অনেক
ভালোবেসেছিলাম।
(সমাপ্ত)
কে বলছেন আপনি?(আদিবা)
এখন চিনবেনা কারন আমি অপরিচিত।
(আমি)
এত কথা বলার সময় নেই আমার, কে বলছেন
আপনি সেটা বলেন।(আদিবা)
আফসান নামের কোনো ছেলেকে চিনতে?
(আমি)
আরে আফসান তুই,কতদিন হয়েছে দেশে
আসার?(আদিবা)
হা আমি, আজ আসছি দেশে,কিন্তু নিজের
আত্বীয় কারো বাসায় উটছি না তোদের
বাসায় উটবো।(আমি)
আচ্ছা চলে আয় আমাদের বাসায়,আমি
এড্রেস দিচ্ছি।(আদিবা)
আচ্ছা আসতেছি।(আমি)
আমি আফিসান, পাঁচ বছর পর বিদেশ থেকে
ফিরছি। আদিবা হচ্ছে আমার কলেজ
জীবনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
ঠিকানা মত চলে গেলাম। কলিং বেল
চাপতেই আদিবা দরজা খুললো। আমাকে
দেখে অনেক আনন্দ করছে আদিবাদের
বাসায় তার বাবা ও আদিবা থাকে।
আদিবার মা অনেক বছর আগে মারা
গেছেন। সেদিন অনেক আনন্দ ফুর্তি হয়।
আদিবার বাবা আমাকে খুব ভালো ছেলে
হিসাবে কোনো সন্দেহ করেননা। বিদেশ
যাওয়ার আগেও অনেক তাদের বাসায় গিয়ে
রাত কাটিয়েছি।
পরেরদিন রাতে একা একা রুমে ডুকে
আদিবার কথা ভাবছি। মেয়েটা কত দুস্টু
ছিল। কত রাগ অভিমান করে, আবার দুজন
ঠিক হয়ে যেতাম। অনেক দিনের বন্ধুত্ব
আমাদের। হটাৎ একদিন আদিবা আমাকে
প্রপোজ করে বসে।
আফসান আমি তোকে ভালোবাসি।(আদিবা
)
কি বলিস এসব,তোর মাথা ঠিক আছে তো।
(আমি)
হা আমার মাথা ঠিক আছে।(আদিবা)
মাথা ঠিক থাকলে তো ঠিক আছে, কিন্তু
আমি তোকে বন্ধু ছাড়া আর কিছুই
ভাবিনা।(আমি)
থাক,লাগবেনা তোর ভালোবাসা।(আদিবা)
সেদিন অনেক কান্না করে মেয়েটি চলে
যায়।
কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই।
আমিও যোগাযোগ করার চেস্টা করেনি।
একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আছি। হটাৎ
দেখি আদিবা একটা ছেলের সাথে কথা
বলছে। একজন আরেকজনের হাত ধরছে। আমি
তো হতভাগা হয়ে গেলাম। এই কলেজে আমি
ছাড়া কোনো ছেলের সাথে কথা বলতো
না। এখন দেখি অন্য ছেলের সাথে কথা
বলছে। আমার মাথা নস্ট হয়ে গেছে।
আদিবার কাছে এগিয়ে গেলাম।
আরে আফসান তুই।(আদিবা)
হা। (আমি)
সে হলো আবির, আমার বয়ফ্রেন্ড।(আদিবা)
অহ আচ্ছা,কয়দিন থেকে তুই প্রেম করেছিস?
(আমি)
এই তো কয়েকদিন।(আদিবা)
সেদিন চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে বারবার
আদিবার কথা মনে পড়ে। এক মুহৃত্ব ভালো
কাটেনা। কয়েকদিনের ভিতরে আমি
বিদেশ চলে যাই। বিদেশ পাঁচটি বছর
কাটিয়েছি আদিবার কথা ভেবে। মনে
পড়লে অনেক বুকের ভিতর কস্ট চলে আসে।
মেয়েটা আমাকে সত্যি ভালোবাসতো।
আমি না বুঝে হারিয়েছি থাকে। প্রতি
মুহৃত্ব আদিবা মিছ করেছি।
একদিন আদিবাকে বললাম,
আদিবা বিয়ের জন্য কেমন আনন্দে আছো।
(আমি)
তুই জানলি কি করে।(আদিবা)
আমার খবর রাখিছনা তুই,ভাবছিস আমি
তোর খবর রাখিনা।(আমি)
হুম ভালোই আনন্দে আছি।(আদিবা)
আদিবার সাথে কথা বলার সময় বুকের
ভিতরের কস্ট আরো ভেড়ে যায়।মেয়েটির
মায়াবী চেহারা,মায়াবী চোখ আমায়
পাগল করে দেয়। অনেক কস্ট বুকে জমা।
নিজের ভুলে হারিয়েছি,এখন নিজেই
কপালে মারছি। মনে মনে ভাবলাম আদিবাকে
বলবো আমার সব কথা।
দশদিন পর আদিবাকে বললাম।
আদিবা তোমার সাথে আমার একটু কথা
আছে।(আমি)
হা বলো।(আদিবা)
জানি আমি নিজের ভুলে তোমাকে
হারিয়েছি, কিন্তু পাঁচটি বছর তোমাকে
প্রতি মুহৃত্ব মিছ করেছি, আমি সেদিন
বুঝতে পারিনি। (আমি)
এখন এইসব বলে লাভ নেই।(আদিবা)
প্লিজ একটু বুঝার চেস্টা করোনা,আমি
তোমাকে অনেক সুখে রাখবো।(আমি)
প্লিজ এসব বলে, হুদাই লাভ নেই।(আদিবা)
প্লিজ একটু বুঝার চেস্টা করো।(আমি)
লাভ নেই, এতে যেভাবে আছো, সেভাবে
থাক, বিয়েতে আনন্দ ফুর্তি করে যাবে।
(আদিবা)
সেদিন অনেক কান্না করে চলে আসি।
বুকের ভিতর অনেক কস্ট জমা নিয়ে চলে
আসলাম তাদের বাড়ি থেকে। কয়েকদিন পর
আদিবার বিয়ে হয়ে যায়। আদিবা সুখেই
আছে। কিন্তু আমি সুখে নেই। প্রতি মুহৃত্ব
আদিবাকে মিছ করি। এখনো আদিবাকে
অনেক ভালোবাসি। আদিবাকে অনেক
ভালোবেসেছিলাম।
(সমাপ্ত)