যে বাড়িতে এখন থাকছি, তার গেটের সাথেই পাশের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান।
সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে যদি কখনও বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে প্রায়ই বাড়ি
থেকে বের হয়ে গেটের সিঁড়িতে বসি। গেইট থেকে পনেরো ফিট দূরেই পিচঢালা লকাল
রাস্তা। নানান ধরনের মানুষ আর গাড়ি ঘোড়ার যাতায়াত দেখতে দেখতে বাতাস
খেতে ভালই লাগে।
.
প্রায় দিনের মত আজকেও রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াতে গেটের বাইরে গিয়ে এক মনে ফোন চালাতে লাগলাম। বাতাস থম থমে, গরমও পড়েছে অনেক। হাতের ডানপাশে কবরস্থান।
.
হটাৎ করে মনে হলো রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত সাঁ করে কিছু একটা চলে গেলো। এ রাস্তায় অনেক দ্রুত মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কিছু চলার কথা নয়। কিন্তু....
কিন্তু মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিনের কোনো শব্দ পেলাম না কেনো!
চোখের ভুল ভেবে আমার ফোনের দিকে মনোনিবেশ করলাম।
.
আসলে ফোনে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করছিলাম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে। এক বন্ধু বললো "আমু তোর জন্য একটা মেয়ে পছন্দ করছি, দেখবি?"
.
আমি বললাম "দেরী না করে তাড়াতাড়ি দে.."
.
তাড়াতাড়িই দিলো ছবি, ওপেন করার সাথে সাথে দেখি....
.
এমন সময় ছোট্ট একটা অন্যরকম গলা খাঁকারির শব্দ আমার সামনে থেকে আসলো বলে মনে হলো। সামনে তাকালাম। হাত পা কাঁপতে লাগলো।
.
ফোনের ছবিটার সাথে আমার সামনে দাঁড়ানো জিনিসটা একদম কপি পেস্ট। একটা মেয়ে......
যার একটা চোখ তুলে নেওয়া যেখান থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে। আর পাশের চোখটা পুরোটাই সাদা যেখানে কালো অক্ষিগোলক বলতে কিছুই নেই। সাদা চোখের পাশের গালটা রক্ত মাখা হাতে ধরে আছে মেয়েটা।
.
নিজের হার্টবিট নিজেই শুনতে পাচ্ছিলাম। এমন সময় ফোনটা টুং করে উঠলো, বন্ধুর মেসেজ এসেছে।
অনিচ্ছাসত্ত্বেও মেসেজ দেখলাম, ওই একি ছবি সে আবার পাঠিয়েছে। ছবির দিক থেকে সামনের দিকে দেখতেই দেখি ভূত মেয়েটা নেই।
বন্ধুর দেওয়া ছবি দেখে রাতের অন্ধকারে হিপনোটাইস হয়ে গেছি এই ভেবে সিঁড়িতে বসলাম। বসার সাথে সাথেই বাম পাশ থেকে সেই একি গলা খাঁকারি। মুখ তুলে দেখতে গিয়ে তো আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া। এমনটা কি বাস্তবে আসলেই সম্ভব! আমি কোনো ঘোরের মধ্যে আছিনাতো!
.
নিজেকে আগে অনেক সাহসী মনে করতাম, কিন্তু এই ভূতকন্যাকে দেখে তো আমার সাহস হুস হুস করে কমে যাচ্ছে। সবই বুঝি আমার দেখার ভুল মনের ভুল এই মনে করে শরীর টা একটু ঝাড়া দিলাম সাথে সাথেই আমার বাম কাঁধে কিসের যেনো ছোঁয়া পেলাম। ধীরে ধীরে চোখে বাঁকিয়ে দেখি ওই ডাইনীর রক্ত মাখা হাত।
.
আমার ঘেমে যাওয়া উষ্ণ শরীরে বুঝতে পারলাম তার শীতল হাতের ছোঁয়া। আমার মাথা ঘুরছে, যেকোনো সময় জ্ঞান হারাতে পারি। ভয়ের চোটে আপুকে ডাকতে চাইলাম কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বের হলোনা, কেমন যেনো একটা ফ্যাস ফ্যাস শব্দ করে বসলাম।
.
ছোট আপুর আওয়াজ শুনতে পারলাম "আমু তুই কার সাথে বসে ছিলি? তোর পাশে বুঝি কাউকে দেখলাম।"
আপু কাছাকাছি আসতেই দেখি আমার পাশে আর ভয়ানক চেহেরার ডাইনীটা আর নেই।
.
আপুকে কিছু বলতে যাবো, যে, "আপু আমি খুব ভয় পেয়েছি এই এই এই এই কাহিনী।"
কিন্তু একি! ভূতকন্যা দেখি আপুর পিছনে দাঁড়িয়ে আমাকে ইশারা করছে, হাতজোর করছে, আমি যাতে আপুকে কিছু না বলি।
.
আমি কি করবো কি না করবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। শুধু আঙুল দিয়ে আপুর পিছনে ইশারা করলাম। ব্যস এতটুকুই হাটু ভাজ হয়ে দড়াম করে মাটিতে পড়ে গেলাম।
.
.
.
বিদ্যুৎ আসলো। শরীরটা প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছে। খিদেও লেগেছে প্রচুর, কিন্তু কিছুই খেতে পারলাম না। না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
মাঝরাতে ঘুম ভাঙলো, দেখি বিদ্যুৎ নেই। বিছানায় ফোন হাতড়াতে লাগলাম, কিন্তু পাচ্ছিনা। এমন সময় আমার হাতটা খুব ঠান্ডা একটা জিনিস এ স্পর্শ করলো বুঝতে পারলাম।
.
সব কিছু বুঝতে আমার কিছুক্ষণ সময় লাগলো। বুকের উপর কেউ বুঝি উঠলো, নরম আর ঠান্ডা শরীর। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে... আ আ আ আপু আপু.... ডাকছি কিন্তু আওয়াজ হচ্ছেনা।
.
.
"আমু, এই আমু, আমু... কথা বল...।"
আপু আর দুলাভাই ডাকছে। চোখ মেলতে আর শরীরটা একটু আলগা করতেই বুঝতে পারলাম আমার শরীরের অবস্থা খুবই কাহিল। বেশ কয়েক জায়গায় খুব ব্যথা করছে। সবচেয়ে বেশি বুকে।
.
আপু আর দুলাভাইকে কিছু বলতে যাবো, তাতেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। আমি চিৎকার করে বলতে লাগলাম "লাইট জ্বালাও লাইট জ্বালাও।"
.
.
মোমবাতি জ্বালালো আপু, দুলাভাই ফোনের লাইট অন করে টেবিলে রাখলো। এবং দুজনে বলতে লাগলো - "এভাবে চেঁচাচ্ছিলি ক্যান? কি হয়েছে?"
.
আমি চুপই রয়ে গেলাম, কেননা আপু আর দুলাভাই এর পিছনে ওই বিদঘুটে ভূতকন্যাটা আবারো ইশারা করছে কিছু না বলতে...।
কিন্তু আপনা আপনি আমার আঙুল তার দিকে ইশারা করলো...।
আর আমার পুরো শরীর ধীরে অবশ হয়ে যেতে লাগলো, চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসলো,ঝাপসা দেখতে লাগলাম সবকিছু...।
ভূতকন্যাকে দেখতে দেখতে চোখ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে এলো।
.
.
.
প্রায় দিনের মত আজকেও রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াতে গেটের বাইরে গিয়ে এক মনে ফোন চালাতে লাগলাম। বাতাস থম থমে, গরমও পড়েছে অনেক। হাতের ডানপাশে কবরস্থান।
.
হটাৎ করে মনে হলো রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত সাঁ করে কিছু একটা চলে গেলো। এ রাস্তায় অনেক দ্রুত মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কিছু চলার কথা নয়। কিন্তু....
কিন্তু মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিনের কোনো শব্দ পেলাম না কেনো!
চোখের ভুল ভেবে আমার ফোনের দিকে মনোনিবেশ করলাম।
.
আসলে ফোনে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করছিলাম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে। এক বন্ধু বললো "আমু তোর জন্য একটা মেয়ে পছন্দ করছি, দেখবি?"
.
আমি বললাম "দেরী না করে তাড়াতাড়ি দে.."
.
তাড়াতাড়িই দিলো ছবি, ওপেন করার সাথে সাথে দেখি....
.
এমন সময় ছোট্ট একটা অন্যরকম গলা খাঁকারির শব্দ আমার সামনে থেকে আসলো বলে মনে হলো। সামনে তাকালাম। হাত পা কাঁপতে লাগলো।
.
ফোনের ছবিটার সাথে আমার সামনে দাঁড়ানো জিনিসটা একদম কপি পেস্ট। একটা মেয়ে......
যার একটা চোখ তুলে নেওয়া যেখান থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে। আর পাশের চোখটা পুরোটাই সাদা যেখানে কালো অক্ষিগোলক বলতে কিছুই নেই। সাদা চোখের পাশের গালটা রক্ত মাখা হাতে ধরে আছে মেয়েটা।
.
নিজের হার্টবিট নিজেই শুনতে পাচ্ছিলাম। এমন সময় ফোনটা টুং করে উঠলো, বন্ধুর মেসেজ এসেছে।
অনিচ্ছাসত্ত্বেও মেসেজ দেখলাম, ওই একি ছবি সে আবার পাঠিয়েছে। ছবির দিক থেকে সামনের দিকে দেখতেই দেখি ভূত মেয়েটা নেই।
বন্ধুর দেওয়া ছবি দেখে রাতের অন্ধকারে হিপনোটাইস হয়ে গেছি এই ভেবে সিঁড়িতে বসলাম। বসার সাথে সাথেই বাম পাশ থেকে সেই একি গলা খাঁকারি। মুখ তুলে দেখতে গিয়ে তো আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া। এমনটা কি বাস্তবে আসলেই সম্ভব! আমি কোনো ঘোরের মধ্যে আছিনাতো!
.
নিজেকে আগে অনেক সাহসী মনে করতাম, কিন্তু এই ভূতকন্যাকে দেখে তো আমার সাহস হুস হুস করে কমে যাচ্ছে। সবই বুঝি আমার দেখার ভুল মনের ভুল এই মনে করে শরীর টা একটু ঝাড়া দিলাম সাথে সাথেই আমার বাম কাঁধে কিসের যেনো ছোঁয়া পেলাম। ধীরে ধীরে চোখে বাঁকিয়ে দেখি ওই ডাইনীর রক্ত মাখা হাত।
.
আমার ঘেমে যাওয়া উষ্ণ শরীরে বুঝতে পারলাম তার শীতল হাতের ছোঁয়া। আমার মাথা ঘুরছে, যেকোনো সময় জ্ঞান হারাতে পারি। ভয়ের চোটে আপুকে ডাকতে চাইলাম কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বের হলোনা, কেমন যেনো একটা ফ্যাস ফ্যাস শব্দ করে বসলাম।
.
ছোট আপুর আওয়াজ শুনতে পারলাম "আমু তুই কার সাথে বসে ছিলি? তোর পাশে বুঝি কাউকে দেখলাম।"
আপু কাছাকাছি আসতেই দেখি আমার পাশে আর ভয়ানক চেহেরার ডাইনীটা আর নেই।
.
আপুকে কিছু বলতে যাবো, যে, "আপু আমি খুব ভয় পেয়েছি এই এই এই এই কাহিনী।"
কিন্তু একি! ভূতকন্যা দেখি আপুর পিছনে দাঁড়িয়ে আমাকে ইশারা করছে, হাতজোর করছে, আমি যাতে আপুকে কিছু না বলি।
.
আমি কি করবো কি না করবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। শুধু আঙুল দিয়ে আপুর পিছনে ইশারা করলাম। ব্যস এতটুকুই হাটু ভাজ হয়ে দড়াম করে মাটিতে পড়ে গেলাম।
.
.
.
বিদ্যুৎ আসলো। শরীরটা প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছে। খিদেও লেগেছে প্রচুর, কিন্তু কিছুই খেতে পারলাম না। না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
মাঝরাতে ঘুম ভাঙলো, দেখি বিদ্যুৎ নেই। বিছানায় ফোন হাতড়াতে লাগলাম, কিন্তু পাচ্ছিনা। এমন সময় আমার হাতটা খুব ঠান্ডা একটা জিনিস এ স্পর্শ করলো বুঝতে পারলাম।
.
সব কিছু বুঝতে আমার কিছুক্ষণ সময় লাগলো। বুকের উপর কেউ বুঝি উঠলো, নরম আর ঠান্ডা শরীর। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে... আ আ আ আপু আপু.... ডাকছি কিন্তু আওয়াজ হচ্ছেনা।
.
.
"আমু, এই আমু, আমু... কথা বল...।"
আপু আর দুলাভাই ডাকছে। চোখ মেলতে আর শরীরটা একটু আলগা করতেই বুঝতে পারলাম আমার শরীরের অবস্থা খুবই কাহিল। বেশ কয়েক জায়গায় খুব ব্যথা করছে। সবচেয়ে বেশি বুকে।
.
আপু আর দুলাভাইকে কিছু বলতে যাবো, তাতেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। আমি চিৎকার করে বলতে লাগলাম "লাইট জ্বালাও লাইট জ্বালাও।"
.
.
মোমবাতি জ্বালালো আপু, দুলাভাই ফোনের লাইট অন করে টেবিলে রাখলো। এবং দুজনে বলতে লাগলো - "এভাবে চেঁচাচ্ছিলি ক্যান? কি হয়েছে?"
.
আমি চুপই রয়ে গেলাম, কেননা আপু আর দুলাভাই এর পিছনে ওই বিদঘুটে ভূতকন্যাটা আবারো ইশারা করছে কিছু না বলতে...।
কিন্তু আপনা আপনি আমার আঙুল তার দিকে ইশারা করলো...।
আর আমার পুরো শরীর ধীরে অবশ হয়ে যেতে লাগলো, চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসলো,ঝাপসা দেখতে লাগলাম সবকিছু...।
ভূতকন্যাকে দেখতে দেখতে চোখ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে এলো।
.
.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন