বন্ধুত্বের বন্ধন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন্ধন। আমরা সবাই বলি বন্ধুত্বের
বন্ধন কখনো ছিঁড়ে যায়না যতই ঘটনা রটুক না কেনো। সব ভুল, আসলে আমরা ডুবে আছি
আধুনিকতায়। আধুনিকতা নামক মোহ আমাদের এমনভাবে গ্রাস করে রেখেছে যার জন্যে
যেকোনো বড় বন্ধন ছিন্নভিন্ন করে দিতেও দ্বিধাবোধ করিনা। রিয়েল লাভ নেই
কিন্তু জান প্রাণ দিতেও প্রস্তুত মুখে মুখে। মেয়ে বা ছেলেদের ৪-৫ টা লাভার
না হলে চলেইনা এই আধুনিকতা নামক মোহের মাঝে। এই ছেলেটার হাইট আরেকটু হলে
বেটার হতো, চুলের স্টাইল অন্যভাবে হলে বেটার হতো। আর ছেলেদের কথা কি বলব!
এই মেয়েটার ফিগার ঠিক নাই, আরেকটু ফর্সা হলে ভালো হতো এইসব করতে করতে কখনো
একজনের মধ্যে আর থাকা হয়না। খুঁজাখুঁজি চলে আরেকজনকে। তার জন্যে রিলেশনের
১২ টা। আধুনিকতা রক্ষার্থে মেয়েরা যেই পোশাক পড়ে রাস্তায় বের হয় ওরা কি
প্রতিটা মূহুর্তে ধর্ষিত হচ্ছেনা? রাস্তায় বা ঘরে থাকলে উরনা থাকে কই আর
নিজে থাকে কই তার কোন ঠিক নাই। বাইরের কথা বাদ দিলাম, অন্তত ঘরের লোকের কথা
ভাবুন। বাবা, ভাই, দাদু ও অন্যরা যে দেখছে এইসব, কে বলতে পারে কার মনে কি
চলছে! শুধু শরীরের উপর আছড়ে পরে ধর্ষণ করাই ধর্ষণ নয়। আপনি ছোট কাপড় পড়ে
থাকেন আর মনে মনে বলেন নিশ্চই আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছে। হ্যাঁ সুন্দর দেখায়,
তাই তা দেখে কেউই ভালো নজরে তাকায় না। বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত খারাপ নজর দেয়
অথচ ওই বয়সি আপনার বাবা, দাদু আছেন। আরো অন্য কেউ না কেউতো বাজে নজরে
তাকিয়ে আপনাকে নিয়ে অন্য কিছু ভাবতে পারে। তাইলে এটাও কি ধর্ষণ নয়? সব ছেলে
আপনার অনুভূতি বুঝবেনা। এমনভাবে চলাফেরা করলে ছেলেরা দেহ ভোগ করতে ছলনার
আশ্রয় নিবেই। আপনাদের জন্যে বন্ধুত্বেও ফাটল তৈরি হয়। বন্ধুত্বের বন্ধন
ছিন্ন হবার জন্য মেয়েলী ব্যাপারটা খুব বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বর্তমান যুগে।
টাকা বা সম্পদের জন্যে নয় শুধু মেয়ের জন্য।
..
ওয়ালিউল আর রাব্বি দুই বন্ধু। একই কলেজে পড়াশুনা করে। ওয়ালিউল গরিব বাবার একমাত্র সন্তান, খুব মেধাবী ছাত্রও আর রাব্বি বড়লোক বাবার সন্তান। যা ইচ্ছে করে বেড়ায়। কিন্তু বন্ধুত্ব রক্ষার্থে দুজনে যেকোনো কিছু ত্যাগ করতে পারে। একজন আরেকজনের পাশে থাকে সব বিপদের মাঝে। একদিন কলেজে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় ওয়ালিউলের। মেয়েটির নাম শ্রাবণী। মেয়েটি অসম্ভব সুন্দরের অধিকারী। বড়লোক বাবার মেয়ে আর পোশাকের হাল দেখে ওয়ালিউল হাঁ করে তাকিয়ে ছিলো কিন্তু শ্রাবণী বলল ,,,
..
--- শ্রাবণীঃ এই যে মিঃ কি দেখছেন এভাবে?
--- ওয়ালিউলঃ না ইয়ে মানে কিছুনা।
--- শ্রাবণীঃ কিছুই যেনো না হয়। চোখ উপড়ে ফেলবো। মাইন্ড ইট...
--- ওয়ালিউলঃ জ্বী ম্যাডাম অবশ্যই অবশ্যই।
..
শ্রাবণী চলে গেলো খুব বকে দিয়ে ওয়ালিউলকে। ওয়ালিউল গ্রামের ছেলে তাই শহুরে মেয়ের খপ্পরে পড়তে চায়না। বাবার খুব স্বপ্ন ওয়ালিউল পড়াশুনা করে মস্ত বড় ডাক্তার হবে। খুব কষ্ট করে পড়াচ্ছেন ছেলেকে। তাই ওয়ালিউল বাবার কষ্টের কড়া মূল্য দিবে বলে কোন মেয়ের খপ্পরে জড়াতে চায়নি কখনো। কলেজের সেরা স্টুডেন্ট ছিলো এটা একদিন শ্রাবণী জানতে পারে আর ওয়ালিউলকে প্রপোজ করে। কিন্তু ওয়ালিউল তার ভালোবাসা এড়িয়ে গেছে। শ্রাবণী ভালোবেসেছিলো ও ফার্স্টবয় বলে কিন্তু ওয়ালিউল এড়িয়ে যাওয়াতে শ্রাবণী রেগে গেছে শিক্ষা দিবে বলে। এক পর্যায় শ্রাবণীর আকুতি দেখে ওয়ালিউল ভালোবাসতে বাধ্য হলো কিন্তু মন থেকে কতটা ভালোবাসতে পেরেছে জানেনা। রাব্বির সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করলো ,,,
..
--- ওয়ালিউলঃ দোস্ত আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসিরে।
--- রাব্বিঃ কি বলিস মামা! তর গার্ল ফ্রেন্ড আছে?
--- ওয়ালিউলঃ হ্যাঁ দোস্ত। মেয়েটা দেখতে অপূর্ব।
--- রাব্বিঃ আমরা এতো মাঞ্জা দিয়াও মাইয়্যা পটাতে পারিনা আর তর প্রেমে মেয়ে!! বিশ্বাস করিনা মামা।
--- ওয়ালিউলঃ আচ্ছা কাল পরিচয় করিয়ে দেবো যা।
..
এই বলে ওয়ালিউল চলে আসলো আর শ্রাবণীকে বললো কাল একটা বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে তাই লেকসিটিতে আসতে। রাব্বির বাসার কাছেই। রাব্বি আর ওয়ালিউল উপস্থিত লেকসিটিতে ,,,
..
--- রাব্বিঃ কিরে মামা আর কতো দাঁড়িয়ে থাকবো।
--- ওয়ালিউলঃ অস্থির হচ্ছিস কেন। দেখলে ফিদা হয়ে যাবি। ওইতো চলে এসেছে।
--- রাব্বিঃ উফ মামা জোশ। কি ফিগার মামা!
--- ওয়ালিউলঃ চুপ থাক। শ্রাবণী ও আমার বন্ধু রাব্বি। আর রাব্বি এই আমার জিএফ।
--- শ্রাবণীঃ হ্যালো।
--- রাব্বিঃ হাই।
..
মনে মনে বিড়বিড় করে বললো রাব্বি, "এমন হাবা মার্কা ছেলের ঘারে এত্ত সুন্দর পরী। একে হাতিয়ে নিতে হবেই।"
..
--- রাব্বিঃ আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি, যদি আপনার আপত্তি না থাকে!!!
--- শ্রাবণীঃ অবশ্যই।
--- রাব্বিঃ ফোন নাম্বার প্লীজ...
--- শ্রাবণীঃ ০1৮5৬....1৬
--- রাব্বিঃ থ্যাংক ইউ।
..
যে যার মতো চলে আসলো। রাতে রাব্বি ফোন দিলো শ্রাবণীকে। অনেক কথা হলো তাদের মধ্যে। ওয়ালিউল কল দেয়ায় শ্রাবণী ইগনোর করছে। ওয়ালিউল জানতে চাওয়ায় ,,,
..
--- ওয়ালিউলঃ তোমার কি হইছে বলবা?
--- শ্রাবণীঃ আমার আবার কি হবে আজিব! জলজ্যান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে দেখতে পারছোনা?
--- ওয়ালিউলঃ এভাবে রেগে কথা বলছো কেন? তুমি কল দাওনা ভালো কথা কিন্তু আমি কল দিলে ওয়েটিংয়ে পাই কেন আর ফোন কেটে দাও কেন?
--- শ্রাবণীঃ ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার? আসলে হয়েছে কি বাবু, আমার না পড়ার খুব চাপ। সামনে এক্সাম তাই। সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে যেয়ে তোমাকে সময় দেয়া হয়না।
--- ওয়ালিউলঃ পরীক্ষা মানে! আমরাতো একই কলেজে পড়ি কই শুনলাম যে? কি লুকাচ্ছো তুমি?
--- শ্রাবণীঃ কত কথা বলেরে বাবা উফ ঘ্যানঘ্যান আর ভালো লাগেনা। এতো সন্দেহ হলে আর ফোন দিবানা।
--- ওয়ালিউলঃ বড়লোক বাবার মেয়ে তাইতো এমন করছো।
--- শ্রাবণীঃ ধ্যাত ভালো লাগেনা গাঁইয়া ভূত কথাকার। ডিস্টার্ব করবানা আর। করলে খবর আছে।
..
শ্রাবণী চলে আসার পর আর ফোন দেয়নি ওয়ালিউলকে। এদিকে প্রতিদিন দেখা, কথা হচ্ছে রাব্বির সাথে। রাব্বিও ওয়ালিউলের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি আর কিন্তু অনেক ট্রাই করেছে ওয়ালিউল যোগাযোগ করার। রাব্বি দেখতে স্মার্ট আর বড়লোক বাবার ছেলে তাই ওয়ালিউলকে রেখে রাব্বিকে বেছে নিয়েছিলো। রাব্বি বিয়ের কথা বলাতে শ্রাবণী বলে দেখা করো আর ওয়ালিউলকেও দেখা করতে বললো নিজে কল করে। সবাই একসাথে জড়ো হলো ,,,
..
--- ওয়ালিউলঃ কিরে রাব্বি কই ছিলি এতোদিন? কত খুঁজেছি জানিস?
--- রাব্বিঃ তুই খুঁজলে আমার কিরে?
--- ওয়ালিউলঃ তুই না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড!!!
--- শ্রাবণীঃ উফ ওয়ালিউল! সবসময় এতো ঘ্যানঘ্যান করো কেন? বাদ দাও এখন এইসব। এখন বল কে কি করতে পারবা আমার জন্যে?
--- ওয়ালিউলঃ আমি তোমার কোন চাহিদা পূরণ করতে পারবোনা কিন্তু তোমার জন্য মরতে পারবো।
--- শ্রাবণীঃ রাব্বি এবার তুমি বলো।
--- ওয়ালিউলঃ রাব্বি মানে? রাব্বি কেন বলবে? কি সম্পর্ক ওর সাথে তোমার?
--- শ্রাবণীঃ চু.... ওওওপ, একদম চুপ। কত ঘ্যানঘ্যান কররে বাবা তুমি!!! দেখতে থাকো।
--- রাব্বিঃ আমি তোমার সকল চাহিদা পূরণ করতে পারবো কিন্তু মরতে পারবোনা।
--- শ্রাবণীঃ কেন, কেন মরতে পারবানা?
--- রাব্বিঃ মরে গেলে তোমাকে ভালোবাসবে কে?
--- শ্রাবণীঃ সিনেমার হিরো হলা কবে? বাহ্ কি ডায়লগ!!! চুপ দুজনে। মন দিয়ে শুনো।
--- ওয়ালিউলঃ বলো...
--- রাব্বিঃ হুম বলো...
--- শ্রাবণীঃ ওয়ালিউল আমার জন্যে মরে যেতে চায় তাই সে আমাকে কখনো ভালোবাসেনি।
--- ওয়ালিউলঃ কি বলতাছো এসব!
--- শ্রাবণীঃ কথার মাঝখানে একদম কোন কথা নয়। রাব্বি হলো বেইমান বন্ধু। আমার রূপ দেখে প্রাণপ্রিয় বন্ধুর সাথে বেইমানি করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। যখন আমাদের বিয়ে হবে তখন আমার এই রূপ থাকবেনা। রাব্বির টাকা অনেক তাই বাহিরে বের হলে আরো অনেক সুন্দরি মেয়ে দেখে আমায় অবহেলা করবে। তখন আমার ভালোবাসার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। তাই ডিসিশন নিয়েছি, আমি ওয়ালিউলকে বিয়ে করবো। ও হাবা তাই বলেছে মরে যেতে চায়। হ্যাঁ ঠিকিতো, ওকেতো কম কষ্ট দেইনি। আমার সাথেও এমন করলে আমি মরে যেতাম। ওয়ালিউল আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও প্লীজ।
--- রাব্বিঃ বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছেনা?
--- শ্রাবণীঃ চুপ লুচ্চা, বেয়াদব। এখন আসতে পারো।
..
ওয়ালিউল কাঁদছে আর রাব্বি রেগে চলে যাওয়ার সময় বললো ,,,
..
--- রাব্বিঃ তরে আমি দেইখালমু মামা। বেইমানি করলি।
--- শ্রাবণীঃ এই হাঁদারাম এদিকে আসো।
--- ওয়ালিউলঃ স্বপ্ন দেখছিনাতো?
..
শ্রাবণী তার নরম ঠোটের স্পর্শে ওয়ালিউলকে রাঙ্গিয়ে দিলো।
..
--- শ্রাবণীঃ না হাঁদা। এতো বোকা কেনো তুমি?
--- ওয়ালিউলঃ আমি এমনি। একটু জড়িয়ে ধরবা?
--- শ্রাবণীঃ জ্বী জনাব smile emoticon
..
সুখে থাকুক ওরা আর এমন সম্পর্কগুলা যেনো না ভাঙ্গে দোয়া করুন সবাই। আর বেইমান বন্ধু আর বাজে মেয়ের থেকে দূরে থাকুন।
..
ওয়ালিউল আর রাব্বি দুই বন্ধু। একই কলেজে পড়াশুনা করে। ওয়ালিউল গরিব বাবার একমাত্র সন্তান, খুব মেধাবী ছাত্রও আর রাব্বি বড়লোক বাবার সন্তান। যা ইচ্ছে করে বেড়ায়। কিন্তু বন্ধুত্ব রক্ষার্থে দুজনে যেকোনো কিছু ত্যাগ করতে পারে। একজন আরেকজনের পাশে থাকে সব বিপদের মাঝে। একদিন কলেজে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় ওয়ালিউলের। মেয়েটির নাম শ্রাবণী। মেয়েটি অসম্ভব সুন্দরের অধিকারী। বড়লোক বাবার মেয়ে আর পোশাকের হাল দেখে ওয়ালিউল হাঁ করে তাকিয়ে ছিলো কিন্তু শ্রাবণী বলল ,,,
..
--- শ্রাবণীঃ এই যে মিঃ কি দেখছেন এভাবে?
--- ওয়ালিউলঃ না ইয়ে মানে কিছুনা।
--- শ্রাবণীঃ কিছুই যেনো না হয়। চোখ উপড়ে ফেলবো। মাইন্ড ইট...
--- ওয়ালিউলঃ জ্বী ম্যাডাম অবশ্যই অবশ্যই।
..
শ্রাবণী চলে গেলো খুব বকে দিয়ে ওয়ালিউলকে। ওয়ালিউল গ্রামের ছেলে তাই শহুরে মেয়ের খপ্পরে পড়তে চায়না। বাবার খুব স্বপ্ন ওয়ালিউল পড়াশুনা করে মস্ত বড় ডাক্তার হবে। খুব কষ্ট করে পড়াচ্ছেন ছেলেকে। তাই ওয়ালিউল বাবার কষ্টের কড়া মূল্য দিবে বলে কোন মেয়ের খপ্পরে জড়াতে চায়নি কখনো। কলেজের সেরা স্টুডেন্ট ছিলো এটা একদিন শ্রাবণী জানতে পারে আর ওয়ালিউলকে প্রপোজ করে। কিন্তু ওয়ালিউল তার ভালোবাসা এড়িয়ে গেছে। শ্রাবণী ভালোবেসেছিলো ও ফার্স্টবয় বলে কিন্তু ওয়ালিউল এড়িয়ে যাওয়াতে শ্রাবণী রেগে গেছে শিক্ষা দিবে বলে। এক পর্যায় শ্রাবণীর আকুতি দেখে ওয়ালিউল ভালোবাসতে বাধ্য হলো কিন্তু মন থেকে কতটা ভালোবাসতে পেরেছে জানেনা। রাব্বির সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করলো ,,,
..
--- ওয়ালিউলঃ দোস্ত আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসিরে।
--- রাব্বিঃ কি বলিস মামা! তর গার্ল ফ্রেন্ড আছে?
--- ওয়ালিউলঃ হ্যাঁ দোস্ত। মেয়েটা দেখতে অপূর্ব।
--- রাব্বিঃ আমরা এতো মাঞ্জা দিয়াও মাইয়্যা পটাতে পারিনা আর তর প্রেমে মেয়ে!! বিশ্বাস করিনা মামা।
--- ওয়ালিউলঃ আচ্ছা কাল পরিচয় করিয়ে দেবো যা।
..
এই বলে ওয়ালিউল চলে আসলো আর শ্রাবণীকে বললো কাল একটা বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে তাই লেকসিটিতে আসতে। রাব্বির বাসার কাছেই। রাব্বি আর ওয়ালিউল উপস্থিত লেকসিটিতে ,,,
..
--- রাব্বিঃ কিরে মামা আর কতো দাঁড়িয়ে থাকবো।
--- ওয়ালিউলঃ অস্থির হচ্ছিস কেন। দেখলে ফিদা হয়ে যাবি। ওইতো চলে এসেছে।
--- রাব্বিঃ উফ মামা জোশ। কি ফিগার মামা!
--- ওয়ালিউলঃ চুপ থাক। শ্রাবণী ও আমার বন্ধু রাব্বি। আর রাব্বি এই আমার জিএফ।
--- শ্রাবণীঃ হ্যালো।
--- রাব্বিঃ হাই।
..
মনে মনে বিড়বিড় করে বললো রাব্বি, "এমন হাবা মার্কা ছেলের ঘারে এত্ত সুন্দর পরী। একে হাতিয়ে নিতে হবেই।"
..
--- রাব্বিঃ আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি, যদি আপনার আপত্তি না থাকে!!!
--- শ্রাবণীঃ অবশ্যই।
--- রাব্বিঃ ফোন নাম্বার প্লীজ...
--- শ্রাবণীঃ ০1৮5৬....1৬
--- রাব্বিঃ থ্যাংক ইউ।
..
যে যার মতো চলে আসলো। রাতে রাব্বি ফোন দিলো শ্রাবণীকে। অনেক কথা হলো তাদের মধ্যে। ওয়ালিউল কল দেয়ায় শ্রাবণী ইগনোর করছে। ওয়ালিউল জানতে চাওয়ায় ,,,
..
--- ওয়ালিউলঃ তোমার কি হইছে বলবা?
--- শ্রাবণীঃ আমার আবার কি হবে আজিব! জলজ্যান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে দেখতে পারছোনা?
--- ওয়ালিউলঃ এভাবে রেগে কথা বলছো কেন? তুমি কল দাওনা ভালো কথা কিন্তু আমি কল দিলে ওয়েটিংয়ে পাই কেন আর ফোন কেটে দাও কেন?
--- শ্রাবণীঃ ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার? আসলে হয়েছে কি বাবু, আমার না পড়ার খুব চাপ। সামনে এক্সাম তাই। সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে যেয়ে তোমাকে সময় দেয়া হয়না।
--- ওয়ালিউলঃ পরীক্ষা মানে! আমরাতো একই কলেজে পড়ি কই শুনলাম যে? কি লুকাচ্ছো তুমি?
--- শ্রাবণীঃ কত কথা বলেরে বাবা উফ ঘ্যানঘ্যান আর ভালো লাগেনা। এতো সন্দেহ হলে আর ফোন দিবানা।
--- ওয়ালিউলঃ বড়লোক বাবার মেয়ে তাইতো এমন করছো।
--- শ্রাবণীঃ ধ্যাত ভালো লাগেনা গাঁইয়া ভূত কথাকার। ডিস্টার্ব করবানা আর। করলে খবর আছে।
..
শ্রাবণী চলে আসার পর আর ফোন দেয়নি ওয়ালিউলকে। এদিকে প্রতিদিন দেখা, কথা হচ্ছে রাব্বির সাথে। রাব্বিও ওয়ালিউলের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি আর কিন্তু অনেক ট্রাই করেছে ওয়ালিউল যোগাযোগ করার। রাব্বি দেখতে স্মার্ট আর বড়লোক বাবার ছেলে তাই ওয়ালিউলকে রেখে রাব্বিকে বেছে নিয়েছিলো। রাব্বি বিয়ের কথা বলাতে শ্রাবণী বলে দেখা করো আর ওয়ালিউলকেও দেখা করতে বললো নিজে কল করে। সবাই একসাথে জড়ো হলো ,,,
..
--- ওয়ালিউলঃ কিরে রাব্বি কই ছিলি এতোদিন? কত খুঁজেছি জানিস?
--- রাব্বিঃ তুই খুঁজলে আমার কিরে?
--- ওয়ালিউলঃ তুই না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড!!!
--- শ্রাবণীঃ উফ ওয়ালিউল! সবসময় এতো ঘ্যানঘ্যান করো কেন? বাদ দাও এখন এইসব। এখন বল কে কি করতে পারবা আমার জন্যে?
--- ওয়ালিউলঃ আমি তোমার কোন চাহিদা পূরণ করতে পারবোনা কিন্তু তোমার জন্য মরতে পারবো।
--- শ্রাবণীঃ রাব্বি এবার তুমি বলো।
--- ওয়ালিউলঃ রাব্বি মানে? রাব্বি কেন বলবে? কি সম্পর্ক ওর সাথে তোমার?
--- শ্রাবণীঃ চু.... ওওওপ, একদম চুপ। কত ঘ্যানঘ্যান কররে বাবা তুমি!!! দেখতে থাকো।
--- রাব্বিঃ আমি তোমার সকল চাহিদা পূরণ করতে পারবো কিন্তু মরতে পারবোনা।
--- শ্রাবণীঃ কেন, কেন মরতে পারবানা?
--- রাব্বিঃ মরে গেলে তোমাকে ভালোবাসবে কে?
--- শ্রাবণীঃ সিনেমার হিরো হলা কবে? বাহ্ কি ডায়লগ!!! চুপ দুজনে। মন দিয়ে শুনো।
--- ওয়ালিউলঃ বলো...
--- রাব্বিঃ হুম বলো...
--- শ্রাবণীঃ ওয়ালিউল আমার জন্যে মরে যেতে চায় তাই সে আমাকে কখনো ভালোবাসেনি।
--- ওয়ালিউলঃ কি বলতাছো এসব!
--- শ্রাবণীঃ কথার মাঝখানে একদম কোন কথা নয়। রাব্বি হলো বেইমান বন্ধু। আমার রূপ দেখে প্রাণপ্রিয় বন্ধুর সাথে বেইমানি করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। যখন আমাদের বিয়ে হবে তখন আমার এই রূপ থাকবেনা। রাব্বির টাকা অনেক তাই বাহিরে বের হলে আরো অনেক সুন্দরি মেয়ে দেখে আমায় অবহেলা করবে। তখন আমার ভালোবাসার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। তাই ডিসিশন নিয়েছি, আমি ওয়ালিউলকে বিয়ে করবো। ও হাবা তাই বলেছে মরে যেতে চায়। হ্যাঁ ঠিকিতো, ওকেতো কম কষ্ট দেইনি। আমার সাথেও এমন করলে আমি মরে যেতাম। ওয়ালিউল আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও প্লীজ।
--- রাব্বিঃ বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছেনা?
--- শ্রাবণীঃ চুপ লুচ্চা, বেয়াদব। এখন আসতে পারো।
..
ওয়ালিউল কাঁদছে আর রাব্বি রেগে চলে যাওয়ার সময় বললো ,,,
..
--- রাব্বিঃ তরে আমি দেইখালমু মামা। বেইমানি করলি।
--- শ্রাবণীঃ এই হাঁদারাম এদিকে আসো।
--- ওয়ালিউলঃ স্বপ্ন দেখছিনাতো?
..
শ্রাবণী তার নরম ঠোটের স্পর্শে ওয়ালিউলকে রাঙ্গিয়ে দিলো।
..
--- শ্রাবণীঃ না হাঁদা। এতো বোকা কেনো তুমি?
--- ওয়ালিউলঃ আমি এমনি। একটু জড়িয়ে ধরবা?
--- শ্রাবণীঃ জ্বী জনাব smile emoticon
..
সুখে থাকুক ওরা আর এমন সম্পর্কগুলা যেনো না ভাঙ্গে দোয়া করুন সবাই। আর বেইমান বন্ধু আর বাজে মেয়ের থেকে দূরে থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন