আমি নিশো।ইন্টার পরীক্ষা দিচ্ছি।মাগার আমি আবার হু হা মার্কা
স্টুডেন্ট।মানে সারা বছর বই আমারে খোজে না তাই আমিও আর বইকে খুজিনা।কিন্তু
পরীক্ষার সময় আবার খুব সিরিয়াস।সারা রাত জেগে পরাশুনা করি।কাল পরীক্ষা শুরু
তাই আজকে সারা রাত জেগে পড়েছি।ঘুমানোর সময় পাইনি।......
পরদিন পরীক্ষা ভালোই হলো।ফেরার সময় অটোতে করে আসতে আসতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি খেয়াল নেই।ঘুমের মধ্যে শুধু শুনলাম কে যেন বলল "এডমিট কার্ড পড়ে গেছে"।
এটুকু শুনেই আমার ঘুম উধাও হয়ে গেল।সত্যিই তো এডমিট কার্ড পড়ে গেছে।কিন্তু ততক্ষণে কাউকেই দেখতে পেলাম না।
-মামা আমাকে এডমিট কার্ড পড়ে গেছে এটা কে বলল?(আমি)
-একটা মেয়ে।সাদা কালারের ড্রেস পরে ছিল এটুকু দেখেছি।মেয়েটা ওই যে দূরের সাদা রং এর গাড়িটা দেখছো ওটার ভিতর আছে।
-জোরে চালান।এটাকে ধরতে হবে।
-সম্ভব না।অনেক দূরে চলে গেছে।
-ইশ হারায়া গেল।
-কি হারাল?
-মেয়েটা আর সাথে আমার মন টা।
কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছি না।কানে শুধু একটা কথার প্রতিধ্বনি হচ্ছে "এডমিট কার্ড পড়ে গেছে"।অপরিচিতার এই কণ্ঠের মায়াজালে যে আমার আমিকে হারিয়ে ফেলেছি।এমন সময় রানার ফোন।
-কি রে মনু কতদূর পড়লি।(রানা)
-দোস্ত আমি শেষ। (আমি)
-তোর আবার কি হলো।
-শুধু এটুকু বলতে পারি আমার ভেতরে আমি আর নেই রে।
-মাম্মা মাইয়া টা ক্যাডা?
-তা জানিনা রে।শুধু তার কণ্ঠ শুনেছি।
-কস কি শামসু।ক্ণ্ঠ শুনেই প্রেমে পড়ে গেলি।পরে যদি দেখিস কানা বা বোবা বা ল্যাংড়া বা দুই বাচ্চার মা তখন কি করবি।
-তোর মত বন্ধু যেন কোন শত্রুর ও না হয়।কোথায় আমাকে ওকে খুজতে সাহায্য করবি।তা না উল্টে নিরাশ করছিস।
-যাই হোক কিন্তু পাবি কি করে ও কে?
-সাদা কালারের ড্রেস পরে ছিল আর ফিরছিল আমরা যখন ফিরছিলাম তখন।মানে আমাদের সাথেই পরীক্ষা দিচ্ছে।মানে আমাদের কলেজের কেউ।সো খুজে পাবোই।
-ওকে।দেখা যাবে।..........
পরদিন পরীক্ষা শেষে
-চল মেয়েটাকে খুজতে হবে।(আমি)
-কিন্তু কিভাবে।(রানা)
-মেয়েদের ওই পাশের গেটের সামনে দাড়াবো।কন্ঠ শুনলেই আমি চিনতে পারবো।
-বাব্বা কি প্রেম।
-তুই আর কি বুঝবি।ওর ক্ণ্ঠ শুনলে বুঝতি কেন আমি ওর প্রেমে পড়েছি।এখন ভাট বকা বন্ধ করে চল।
-ওকে চল........
-হাই হাই এত মেয়ের ভিতরে তুই ওর ক্ণ্ঠ শুনবি কিভাবে?
-থাম তুই আমাকে শুনতে দে মন দিয়ে।
-ওকে শোন।
এভাবে প্রতি পরীক্ষা শেষে গেটের সামনে অপেক্ষা করতাম। কিন্তু সেই অপরিচিতার কন্ঠ আর শুনতে পাইনি
.......
আর মাত্র একটা পরীক্ষা।আজকে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। তাহলে কি আর আমি অপরিচিতার দেখা পাব না।মাথায় কিচ্ছু ডুকছে না। বাইরে আসলাম।ভিজতে ভিজতে রাস্তায় হাটতেছি।রাস্তা একেবারে ফাকাই বলা যাই।আনমনে পথ হাটছি।হটাত কেউ যেন বলে উঠল "এডমিট কার্ড ভিজে যাবে তো।"
-গেলে যাবে।(আমি)
অতটা খেয়াল করিনি।কিন্তু হটাত মনে হল আরে এটাই তো আমার অপরিচিতার কন্ঠ।ওই তো সাদা গাড়ি।ইশ একটুর জন্য মিস হয়ে গেল।
-ওই মোমিন্না তুই এভাবে পাগলা কুত্তার মত দৌড়াচ্ছিস কেন?
-দোস্ত অপরিচিতা।
-মানে?
-মানে যাকে খুজছি এতদিন।
-কিন্তু কোথাই।
-হটাত আসলো। একটা কথা বললো।তারপর আবার হারিয়ে গেল।
-কিসে করে আসছিল।
-গাড়িতে।
-তুই দেখেছিস ওকে।
-নারে পাইনি।
-তাহলে গাড়ির নাম্বার দেখেছিস?
-সব দেখতে পাইনি।ঢাকা জ ২৩ এটুকু দেখেছি।
-কি কালারের ছিল?
-সাদা।
বাদ দে দোস্ত মনে হয় আর পাবো না ও কে।
-আরে পাবো ক্লু তো পেয়ে গেছি।সো এবার আর মিস হবে না।
-কিন্তু কিভাবে?
-আমাদের কলেজে খুব বেশি স্টুডেন্ট গাড়ি নিয়ে আসে না।আর তার মধ্যে সাদা কালারের গাড়ি আরও কম।আর প্রথম দুই টা নাম্বার তো জানি।
-ওহ দোস্ত সত্যিই তুই জিনিয়াস।।...........
আজকে পরীক্ষা একটু তাড়াতাড়ি শেষ করে বের হলাম সাথে রানাও।
-চল তাড়াতাড়ি খুজতে হবে সময় কম (আমি)
-ওকে তুই ওই দিকটা দেখ আমি এই দিকটা।
-ওকে গো ফাস্ট।........
-ইয়াহু।।। পেয়ে গেছি দোস্ত।এই যে এটা।।।(আমি)
-অবশেষে পেলাম তাহলে।নাম্বার লেখ তাড়াতাড়ি।চল লুকিয়ে পড়ি।মেয়েটা কে আজ দেখতে হবে।
-ওকে।চল......
-ওইতো আসছে দেখ (রানা)
-কিন্তু হাই কপাল মুখ ঢাকা তো।।চিনবো কি করে।
-আরে চিন্তা করিস না।গাড়ির নাম্বার আছে তো সো খোজ নিয়ে নেব গাড়ির মালিক কে।তুই চিন্তা করিস না।চল বাসায় এখন।.........
রাতে শুয়ে আছি এমন সময় রানার ফোন।
-দোস্ত সুখবর আছে
-কি?
-তোর অপরিচিতার খোজ পেয়ে গেছি
-তাড়াতাড়ি বল।
-নাম রাফা।রোল ৩৪৫।আর বাসার ঠিকানা.......
-দোস্ত তোরে যে কি বলবো
-কিছু বলা লাগবে না।শুধু একটা পার্টি দিলেই চলবে।
-ওকে দিব।.........
ঠিকানা যখন আছে তখন কাল থেকেই ওর বাড়ির সামনে পাহারা দিতে হবে।যে করেই হোক খুজে বের করতে হবে....
আজ প্রায় দু মাস ধরে পাহারা দিচ্ছি কিন্তু বাড়ি থেকে ওর মত তেমন কাউকে বের হতে দেখি না।কি ঘরকুনো মেয়ে রে বাবা।আজ এক সপ্তাহ ধরে রাতে ও আসি নাহ আজও মনে হয় বের হবে না।কাল আবার আসতে হবে।রাত তো ভালোই হলো এখন বাসাই যাই।।
-এই যে শুনছেন
আপনাকে বলছি।
-আমাকে?
-হ্যা।আপনাকেই।এখানে আসুন।
-(এতো রাফার গলা।তাহলে এটাই রাফা।)
জ্বী বলুন
-আমি আজ দু মাস ধরে দেখছি আপনি আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করছেন।কি মতলব আপনার।
-মতলব তো তুমি।
-মানে?
-মানে তোমার ওই কণ্ঠ শোনার পর থেকে আমি পাগল হয়ে গেছি।আমার সারা হৃদয় জুড়ে শুধু তোমার ওই দুটি কথা এখনও বাজে"এডমিট কার্ড পড়ে গেছে আর এডমিট কার্ড ভিজে যাবে তো"।তারপর প্রতি পরীক্ষা শেষে মেয়েদের গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকতাম।কিন্তু তার পরও তোমাকে খুজে পাইনি।তারপর ওই বৃষ্টির দিনে তুমি যে গাড়িতে আসা যাওয়া করো তার প্রথম দুইটা নম্বার ভাগ্যক্রমে দেখতে।তারপর তোমাদের গাড়িটা খুজে বের করলাম।ওটার নাম্বারের সাহায্যে তোমার পরিচয় আর বাসার ঠিকানা বের করলাম।তারপর থেকে তোমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করি।কিন্তু তারপর ও তোমার দেখা পাইনি।তারপর আজ পেলাম।আর এতদিনে তোমার প্রতি আমার ভালবাসাটাও আরো বহুগুন বেড়ে গেছে।আমি তোমাকে ভালবাসি।
-না দেখে না জেনেই শুধুমাত্র কন্ঠ শুনেই ভালবেসে ফেললে।
-দেখে শুনে জেনে ভালবাসতে হবে এমন তো কোন কথা নেই।
-ওকে বুঝলাম।তুমি জানো আমি এক চোখে দেখতে পাইনা।আর এক চোখ দিয়ে খুব বেশিদিন দেখতে ও পাবো না।এক সময় অন্ধ হয় যাবো।
(কিছুক্ষণ নিরাবতা)
-আমি তো তোমার কন্ঠ শুনে তোমাকে ভালবেসেছি।তো সেখানে চোখ আসবে কেন।
-এতকিছু শোনার পরও ভালবাসবে আমায়?
-হ্যা ভালবাসি আর ভালবাসবো।
তো এখন আমার উত্তরটা?
-ভাবছি যে আমাকে একটা ভালবাসে তার ভালবাসা ফিরিয়ে দেওয়াটা কি ঠিক হবে? ।আর তার সাথে তুমি পরীক্ষায় ও সফল হয়েছো।
-কিসের পরীক্ষা।
-আমার চোখে কোন সমস্যা নেই।শুধু তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য বলেছিলাম।
-তো এখন কি মুখ থেকে পর্দাটা সরাবে? অপরিচিতার মুখটা কি দেখার সোভাগ্য আমার হবে?
-ওকে। এই সরালাম।
-ওয়াও।।।বিউটিফুল।।।এ কি দেখছি আমি!!!!!
তুমি অনেক সুন্দর।না না তুমি ভয়ংকর সুন্দর।
না না তুমি অনেক বেশি সুন্দর।।।।
এই তুমি এত সুন্দর কেন?
পরদিন পরীক্ষা ভালোই হলো।ফেরার সময় অটোতে করে আসতে আসতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি খেয়াল নেই।ঘুমের মধ্যে শুধু শুনলাম কে যেন বলল "এডমিট কার্ড পড়ে গেছে"।
এটুকু শুনেই আমার ঘুম উধাও হয়ে গেল।সত্যিই তো এডমিট কার্ড পড়ে গেছে।কিন্তু ততক্ষণে কাউকেই দেখতে পেলাম না।
-মামা আমাকে এডমিট কার্ড পড়ে গেছে এটা কে বলল?(আমি)
-একটা মেয়ে।সাদা কালারের ড্রেস পরে ছিল এটুকু দেখেছি।মেয়েটা ওই যে দূরের সাদা রং এর গাড়িটা দেখছো ওটার ভিতর আছে।
-জোরে চালান।এটাকে ধরতে হবে।
-সম্ভব না।অনেক দূরে চলে গেছে।
-ইশ হারায়া গেল।
-কি হারাল?
-মেয়েটা আর সাথে আমার মন টা।
কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছি না।কানে শুধু একটা কথার প্রতিধ্বনি হচ্ছে "এডমিট কার্ড পড়ে গেছে"।অপরিচিতার এই কণ্ঠের মায়াজালে যে আমার আমিকে হারিয়ে ফেলেছি।এমন সময় রানার ফোন।
-কি রে মনু কতদূর পড়লি।(রানা)
-দোস্ত আমি শেষ। (আমি)
-তোর আবার কি হলো।
-শুধু এটুকু বলতে পারি আমার ভেতরে আমি আর নেই রে।
-মাম্মা মাইয়া টা ক্যাডা?
-তা জানিনা রে।শুধু তার কণ্ঠ শুনেছি।
-কস কি শামসু।ক্ণ্ঠ শুনেই প্রেমে পড়ে গেলি।পরে যদি দেখিস কানা বা বোবা বা ল্যাংড়া বা দুই বাচ্চার মা তখন কি করবি।
-তোর মত বন্ধু যেন কোন শত্রুর ও না হয়।কোথায় আমাকে ওকে খুজতে সাহায্য করবি।তা না উল্টে নিরাশ করছিস।
-যাই হোক কিন্তু পাবি কি করে ও কে?
-সাদা কালারের ড্রেস পরে ছিল আর ফিরছিল আমরা যখন ফিরছিলাম তখন।মানে আমাদের সাথেই পরীক্ষা দিচ্ছে।মানে আমাদের কলেজের কেউ।সো খুজে পাবোই।
-ওকে।দেখা যাবে।..........
পরদিন পরীক্ষা শেষে
-চল মেয়েটাকে খুজতে হবে।(আমি)
-কিন্তু কিভাবে।(রানা)
-মেয়েদের ওই পাশের গেটের সামনে দাড়াবো।কন্ঠ শুনলেই আমি চিনতে পারবো।
-বাব্বা কি প্রেম।
-তুই আর কি বুঝবি।ওর ক্ণ্ঠ শুনলে বুঝতি কেন আমি ওর প্রেমে পড়েছি।এখন ভাট বকা বন্ধ করে চল।
-ওকে চল........
-হাই হাই এত মেয়ের ভিতরে তুই ওর ক্ণ্ঠ শুনবি কিভাবে?
-থাম তুই আমাকে শুনতে দে মন দিয়ে।
-ওকে শোন।
এভাবে প্রতি পরীক্ষা শেষে গেটের সামনে অপেক্ষা করতাম। কিন্তু সেই অপরিচিতার কন্ঠ আর শুনতে পাইনি
.......
আর মাত্র একটা পরীক্ষা।আজকে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। তাহলে কি আর আমি অপরিচিতার দেখা পাব না।মাথায় কিচ্ছু ডুকছে না। বাইরে আসলাম।ভিজতে ভিজতে রাস্তায় হাটতেছি।রাস্তা একেবারে ফাকাই বলা যাই।আনমনে পথ হাটছি।হটাত কেউ যেন বলে উঠল "এডমিট কার্ড ভিজে যাবে তো।"
-গেলে যাবে।(আমি)
অতটা খেয়াল করিনি।কিন্তু হটাত মনে হল আরে এটাই তো আমার অপরিচিতার কন্ঠ।ওই তো সাদা গাড়ি।ইশ একটুর জন্য মিস হয়ে গেল।
-ওই মোমিন্না তুই এভাবে পাগলা কুত্তার মত দৌড়াচ্ছিস কেন?
-দোস্ত অপরিচিতা।
-মানে?
-মানে যাকে খুজছি এতদিন।
-কিন্তু কোথাই।
-হটাত আসলো। একটা কথা বললো।তারপর আবার হারিয়ে গেল।
-কিসে করে আসছিল।
-গাড়িতে।
-তুই দেখেছিস ওকে।
-নারে পাইনি।
-তাহলে গাড়ির নাম্বার দেখেছিস?
-সব দেখতে পাইনি।ঢাকা জ ২৩ এটুকু দেখেছি।
-কি কালারের ছিল?
-সাদা।
বাদ দে দোস্ত মনে হয় আর পাবো না ও কে।
-আরে পাবো ক্লু তো পেয়ে গেছি।সো এবার আর মিস হবে না।
-কিন্তু কিভাবে?
-আমাদের কলেজে খুব বেশি স্টুডেন্ট গাড়ি নিয়ে আসে না।আর তার মধ্যে সাদা কালারের গাড়ি আরও কম।আর প্রথম দুই টা নাম্বার তো জানি।
-ওহ দোস্ত সত্যিই তুই জিনিয়াস।।...........
আজকে পরীক্ষা একটু তাড়াতাড়ি শেষ করে বের হলাম সাথে রানাও।
-চল তাড়াতাড়ি খুজতে হবে সময় কম (আমি)
-ওকে তুই ওই দিকটা দেখ আমি এই দিকটা।
-ওকে গো ফাস্ট।........
-ইয়াহু।।। পেয়ে গেছি দোস্ত।এই যে এটা।।।(আমি)
-অবশেষে পেলাম তাহলে।নাম্বার লেখ তাড়াতাড়ি।চল লুকিয়ে পড়ি।মেয়েটা কে আজ দেখতে হবে।
-ওকে।চল......
-ওইতো আসছে দেখ (রানা)
-কিন্তু হাই কপাল মুখ ঢাকা তো।।চিনবো কি করে।
-আরে চিন্তা করিস না।গাড়ির নাম্বার আছে তো সো খোজ নিয়ে নেব গাড়ির মালিক কে।তুই চিন্তা করিস না।চল বাসায় এখন।.........
রাতে শুয়ে আছি এমন সময় রানার ফোন।
-দোস্ত সুখবর আছে
-কি?
-তোর অপরিচিতার খোজ পেয়ে গেছি
-তাড়াতাড়ি বল।
-নাম রাফা।রোল ৩৪৫।আর বাসার ঠিকানা.......
-দোস্ত তোরে যে কি বলবো
-কিছু বলা লাগবে না।শুধু একটা পার্টি দিলেই চলবে।
-ওকে দিব।.........
ঠিকানা যখন আছে তখন কাল থেকেই ওর বাড়ির সামনে পাহারা দিতে হবে।যে করেই হোক খুজে বের করতে হবে....
আজ প্রায় দু মাস ধরে পাহারা দিচ্ছি কিন্তু বাড়ি থেকে ওর মত তেমন কাউকে বের হতে দেখি না।কি ঘরকুনো মেয়ে রে বাবা।আজ এক সপ্তাহ ধরে রাতে ও আসি নাহ আজও মনে হয় বের হবে না।কাল আবার আসতে হবে।রাত তো ভালোই হলো এখন বাসাই যাই।।
-এই যে শুনছেন
আপনাকে বলছি।
-আমাকে?
-হ্যা।আপনাকেই।এখানে আসুন।
-(এতো রাফার গলা।তাহলে এটাই রাফা।)
জ্বী বলুন
-আমি আজ দু মাস ধরে দেখছি আপনি আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করছেন।কি মতলব আপনার।
-মতলব তো তুমি।
-মানে?
-মানে তোমার ওই কণ্ঠ শোনার পর থেকে আমি পাগল হয়ে গেছি।আমার সারা হৃদয় জুড়ে শুধু তোমার ওই দুটি কথা এখনও বাজে"এডমিট কার্ড পড়ে গেছে আর এডমিট কার্ড ভিজে যাবে তো"।তারপর প্রতি পরীক্ষা শেষে মেয়েদের গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকতাম।কিন্তু তার পরও তোমাকে খুজে পাইনি।তারপর ওই বৃষ্টির দিনে তুমি যে গাড়িতে আসা যাওয়া করো তার প্রথম দুইটা নম্বার ভাগ্যক্রমে দেখতে।তারপর তোমাদের গাড়িটা খুজে বের করলাম।ওটার নাম্বারের সাহায্যে তোমার পরিচয় আর বাসার ঠিকানা বের করলাম।তারপর থেকে তোমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করি।কিন্তু তারপর ও তোমার দেখা পাইনি।তারপর আজ পেলাম।আর এতদিনে তোমার প্রতি আমার ভালবাসাটাও আরো বহুগুন বেড়ে গেছে।আমি তোমাকে ভালবাসি।
-না দেখে না জেনেই শুধুমাত্র কন্ঠ শুনেই ভালবেসে ফেললে।
-দেখে শুনে জেনে ভালবাসতে হবে এমন তো কোন কথা নেই।
-ওকে বুঝলাম।তুমি জানো আমি এক চোখে দেখতে পাইনা।আর এক চোখ দিয়ে খুব বেশিদিন দেখতে ও পাবো না।এক সময় অন্ধ হয় যাবো।
(কিছুক্ষণ নিরাবতা)
-আমি তো তোমার কন্ঠ শুনে তোমাকে ভালবেসেছি।তো সেখানে চোখ আসবে কেন।
-এতকিছু শোনার পরও ভালবাসবে আমায়?
-হ্যা ভালবাসি আর ভালবাসবো।
তো এখন আমার উত্তরটা?
-ভাবছি যে আমাকে একটা ভালবাসে তার ভালবাসা ফিরিয়ে দেওয়াটা কি ঠিক হবে? ।আর তার সাথে তুমি পরীক্ষায় ও সফল হয়েছো।
-কিসের পরীক্ষা।
-আমার চোখে কোন সমস্যা নেই।শুধু তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য বলেছিলাম।
-তো এখন কি মুখ থেকে পর্দাটা সরাবে? অপরিচিতার মুখটা কি দেখার সোভাগ্য আমার হবে?
-ওকে। এই সরালাম।
-ওয়াও।।।বিউটিফুল।।।এ কি দেখছি আমি!!!!!
তুমি অনেক সুন্দর।না না তুমি ভয়ংকর সুন্দর।
না না তুমি অনেক বেশি সুন্দর।।।।
এই তুমি এত সুন্দর কেন?