বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

"বসন্তে বাসন্তী, রাজকন্যাই রাজরানী"

-কিরে তুই কলেজে যাবিনা??
--নারে. আমারা ভাল লাগছেনা। তুই যা...
--মানে? তুই আমাকে রেডি হয়ে আসতে বললি, আর এখন বলিছিস যাবিনা, তাহলে আমাকে আসতে বললি ক্যান?
--এসেছিস তুই যা, আমার ভাল লাগছেনা তাই যাবো না।
.
খাতাটা পাশে নামিয়েই নওশিনের পাশে স্নিগ্ধা বসে পরলো। স্নিগ্ধা জিজ্ঞাস করলো---
--কি হয়েছে তোর? মুখটা শুকনো লাগছে কেন? ইমুর সাথে নিশ্চয় আবার ঝগড়া হয়েছে?
--নারে.. ঠিক তা না!
--তাহলে?
--ওর কথা খুব মনে পরছে,
--বুঝলাম, তা হঠাৎ করে এতোটা মনে পরার কারন কি শুনি?
.
নওশিন একটু চরা গলায় বলে উঠলো---
--হঠাৎ করে মানে!! ওর কথাতো আমার সব সময়ই মনে পরে। তুই হঠাৎ করে বললি ক্যান?
--ওহ্! তাইতো তাইতো, ভুল হয়ে গেছে রে..... ও তো তোর স্বপ্নচারী, কল্পনাচারী,ভাবিনু। আমাদের কথা না হয় হঠাৎ হঠাৎ ভাবিস, ওকে তো তোর সব ভাবনার মাঝেই রাখিস।
--আবারও ওকে নিয়ে পরলি????
--না, চল কলেজে যাবি।
--ধূর, আমার ভাল লাগছেনা তুই যা.....
--না তোকে যেতেই হবে, আমি সাগর-কে আসতে বলেছি। ও এসে হয়তো এতোক্ষন অপেক্ষা করছে।
--ওওওও, সেইটা বল! আজ কেন এতো তাড়া, তা তুই কলেজের নামে পার্কে গিয়ে আড্ডা মারবি। আর আমি তোদের দু'জনকে বসে বসে পাহারা দেবো, তাইনা?
--চলনা একটু, তোর জন্যেও একটা কিছু আছে।
--কি?
--সেটা না গেলে দেখতে পারবিনা, চল........
.
স্নিগ্ধা, নওশিনের বান্ধবি। সেই ছোট থেকে একইসাথে বেড়ে উঠেছে দু'জনে। রাতে ঘুমানোর সময় টুকু বাদে সারাবেলাই হাতে হাত রেখে তাদের ছুটে চলা। দুজনেই এখন কলেজে পড়ে। সময়টা বুঝি দুজনের মাঝে একসময় ঠিকি দূরত্ব এনে দিবে। মেয়েদের জীবনটা খেয়াল করলে দেখা যায় ছেলেদের চাইতে একটু বেশিই কঠিন হয়।
.
মেয়েটির বয়স যখনঃ পাঁচ (০৫)
.
মায়ের হাত ধরে হাটা শিখেছে।
বাবার কাধে চড়ে সারা মহল্লা ঘুরিয়ে বেড়িয়েছে।
বড় ভাইয়া টি চকলেট এনেছে ভেবে দৌড়ে গিয়ে কলে উঠেছে।
ভুল করে কোনদিন চকলেট নিয়ে না ফিরলে।
মায়ের কোলে গিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করেছে।
মা ভাত মাখিয়ে মুখে তুলে খায়িয়েছে।
আরও কত কি......
.
মেয়েটির বয়স যখনঃ দশ (১০)
.
মা সারাদিন বকার উপরে রেখেছে_______
--কিসের এতো খেলা? সারাদিন খাওয়া নেই, নাওয়া নেই, শুধু পুতুল আর পুতুল, সব পুতুল চুলায় দিবো কিন্তু.....
.
ভাইয়া_______
--কি রে.... তোর স্কুলের স্যাররা কি সারাদিন ঘুমায় নাকি? একই পড়া প্রতিদিন পড়তে দেখি,পড়া কি নেয় না?
.
বাবা মায়ের সাথে চেঁচিয়ে বলবে________
আমার মেয়েটা কোথায়? সারাদিন কি করে, কোথায় যায়? খেলো কি খেলো না, কারো কোন খেয়াল নেই। সবার মাথার উপরে কি বোঝা দিয়ে রাখা হয় নাকি?
.
বড় আপি_______
এই তোকে না বলছি, তুই আমার কানের দুল ধরবিনা। নিয়েছিস কেন? খুল, খুল বলছি! নিজেরটা হারিয়ে, এখন আবার আমারটা হারাতে বসেছে। আর কিন্তু এই দুল ধরবিনা।
.
মেয়েটির বয়স যখনঃ পনেরো (১৫)
.
বাবা প্রত্যেকদিন স্কুলে রিকশা/বাইকে করে অফিসে ফেরার পথে পৌছে দিয়ে যাবে। আর যখন মেয়েটি স্কুলের গেইটের সামনে নেমে হাটতে শুরু করবে, তখনই বাবা ডেকে বলবে---
--মামণি, এই নাও টাকা, টিফিনের সময় কিছু খেতে মন চাইলে খেয়ে নিও।
(সাথে টিফিন থাকা সত্ত্বেও)
.
ভাইয়া_______
আড্ডায় থেকেও বার বার ঘড়ির দিকে তাকাবে। কখন বোন'টাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে হবে এইভাবে।
.
মা_______
সারাদিন মনে মনে ভাববে। পাগলীটি না থাকলে বাড়িটা একদম ফাকা ফাকা লাগে।
.
আপিটা_______
ঝগড়াটা না করতে পেরে। বিষন্নতায় ভুগবে। আসার সাথে সাথে বলবে। সারাদিন স্কুলে কি করিস? চেহারা এভাবে মলিন করে নিয়ে ফিরিস, কিভাবে?
.
মেয়েটির বয়স যখনঃ বিশ (২০)
.
খুব ভোরেই উঠে নামাজ পড়ে, মাকে কাজের জন্য সাহায্য করতে যাবে।
(কিছু না বলা সত্ত্বেও)
আবার কখনো শত বলিয়েও কোন একটা কাজ না করাতে পেরে মা বলবে---
--বাবার বাড়িতে আয়েস করাই যায়, শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বুঝিস কেমন মজা!!!
.
বড় আপিটার যেদিন থেকে বিয়ে ঠিক হবে। সেদিন থেকেই ভেতরে শূন্যতা কাজ করবে। ক্ষনে ক্ষনে মনে হবে। "আপি না থাকলে কার সাথে মজা করবো? কার সাথে ঝগড়া করবো" বার বার বলতে মন চাইবে, 'তুই আমায় ছেড়ে যাস না রে.. আপি। আমি ভিষন একা হয়ে যাবো। আপিও হয়তো জড়িয়ে ধরে দু'নয়ন ভাসিয়ে ফেলবে। আর বলবে 'তোকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবোনা, পাগলী বোন আমার' বলতে বলতেই চোখের মাঝে থেকে জল মুছে দিতে থাকবে।
.
ভাইয়াটা_______
খুবই খেয়াল রাখবে রাস্তাঘাটে কোন ছেলে বিরক্ত করে কিনা! একটু এদিক সেদিক দেখলেই হাতে হকিস্টিক ধরতে একটু দ্বিধাবোধ করবেনা। মাঝে মাঝে এসে সরাসরি বলবে---
--রাস্তাঘাটে কোন ছেলে বিরক্ত করলে বলবি। আর প্রয়োজন ছাড়া কখনো কলেজের বাইরে বের হবিনা।
.
বাবা এখন_______
মেয়েটাকে তো হাত করেই নিয়েছে। এখন আর তাকে কিছু বলতে হয়না। উল্টো মেয়েটায় বাবার খাওয়া-দাওয়া, যত্নের দিকে খেয়াল রাখে।
.
ছোট মামাটা/চাচুটা এসে বলে_______
--মেয়েতো আমার ছোটটাই বিয়ে তো মনে হচ্ছে একসাথেই নিতে হয়।
বলেই একটু তাকিয়ে মুচকি হাঁসি হাঁসবে।
.
এইসব ভালবাসার মানুষ গুলোর সাথে পৃথিবীর আর কারো ভালবাসাই তুলনা করা যায় না। প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি মেয়েই রাজকন্যার মতো থাকে। আর ছোট মেয়ে হলেতো কোন কথাই নেই। এইসব শত আদরের রাজকন্যার ভার এক সময় আমার আপনার মতো ইমুর উপরেই পরে। মা-বাবা, ভাইয়া-ভাবি, আপি, ছোট চাচুর সমস্ত ভালবাসা ছেড়ে কোন এক নতুন পরিবেশে গিয়ে তাকে বাঁচতে শিখতে হয়। মেনে নিতে হয় পরিবেশের নিয়ম। বিবাহ বন্ধনটা তাদের আলাদা করে দেয়। কিন্তু কি আর করার, হাজার হলেও মেয়ে বলে কথা,স্বামীর বাড়িতে তো একদিন ঠিকি যেতেই হবে। যেই মেয়েটি ফেলে আসা ২০ টি বছর যে ধূলিকণার সাথে মিশে বড় হয়েছে। তাকে আজ এসবই বিষর্জন দিতে হচ্ছে। এ বিষর্জন সিতা বিষর্জনের চাইতে অনেক বড়। নিজের কাছের মানুষ গুলো ছেড়ে যে মেয়েটি আপনার সাথে সংসার যাত্রায় জাল বুনতে শুরু করেছে। তাকে যদি কোন ভাবে কষ্ট দেন খোদাও হইতো নারাজ হয়ে যাবে আপনার উপর।
.
নওশিন আজ সত্যিই রাজকন্যা। তবে ইমু নওশিন-কে তার রাজ্যের মধ্যে এনে পদ মর্যাদা রাজকন্যা থেকে রাজরানী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপন জনদের চাওয়া কে না পূরণ করতে চায়। হয়তো সব চাওয়াই পূরণ হয়না। তবে ভালবাসার মানুষটির চাওয়া পূরণ করার জন্য চেষ্টার ত্রুটি কোন ব্যক্তিই করেনা। এসব কথা লিখতে থাকলে হয়তো ছোট কোন উপন্যাস রচিত হয়ে যাবে। এক উপন্যাস আজ দুই বছর ধরে লিখছি সেটাই শেষ করতে পারলাম না। তাই আর নতুন কোন লিখায় হাত দিতে চাইনা।
ফিরে যাচ্ছি সেই রাজকন্যার গল্পে।

নওশিন রেডি হয়ে স্নিগ্ধার সাথে বের হলো। কলেজে একটা ক্লাস করেই সাগর-স্নিগ্ধা, নওশিন বেরিয়ে পরলো। কোন এক পার্কে তিনজন মিলে আইসক্রিম খেতে খেতে খুব আনন্দ করছে। কিন্তু নওশিনের আনন্দটা থমকে থমকে ইমুর কথা ভেবে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। মনে মনে ভাবাছে, 'ইমু এখানে থাকলে কতই না মজা হতো' ইমু বেশ কয়েক দিন যাবৎ তার ফুপির বাসায় বেড়াতে গেছে। আজ প্রায় ০৮ দিন হবে। নওশিন এর মাঝে তাকে একটি বারও দেখতে পায়নি। ফোনেও খুব কম কথা বলা হয়েছে। আসলে ইমু স্নিগ্ধা-কে ফোন করে আজ ঠিক এখানেই নওশিন-কে নিয়ে আসতে বলেছে। কারণ আজ ইমু ফুপির বাসায় থেকে এসে সরাসরি নওশিনের সাথে দেখা করবে। কিন্তু সেটা নওশিন-কে একদম জানানো হয়নি। সাগর-স্নিগ্ধা, নওশিন যখন গল্প জুরে বসেছিলো তখনই ইমুর ফোন---
--হ্যাললললো,
নওশিন রেগে বলল---
--গুষ্টি কিলাই তোর হ্যাললললোর, ফুপাতো বোন নিয়ে তো ভালই দিন কাটাচ্ছিস। সারা দিন বাদে বিকেল ৩ টায় তোর ফোন দিবার সময় হলো, তাইনা? তুই আর আমার সাথে কোন যোগাযোগ করবিনা বলে দিলাম।
.
রাগের পরিমানটা কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। ইমু বলল---
--কোথায় তুমি?
--আমি জমের বাড়ি আছি, আমি কোথায় থাকি, না থাকি, সেটা তোর না শুনলেও চলবে।
--বলনা?
--বললাম, জমের বাড়ি আছি।
--আচ্ছা জমের বাড়ির ঠিকানা দাও, আমিও আসছি।
--কোথাও আসতে হবেনা তোকে, তুই তোর ফুপির কোলে গিয়ে আরো কিছুদিন ঘুম পেয়ে আয়, যা......
.
স্নিগ্ধা নওশিনের কথা শুনে সব বুঝতে পারছে। ইমু দূরত্ব এখন নওশিনের চাইতে সর্বচ্চ ১০০ গজ দূরে হবে। পাশেই এক গাছের আড়ালে দাড়িয়ে কথা বলছে ইমু। নওশিন, সাগর-স্নিগ্ধা- কে বাসায় যাওয়ার জন্য তাড়া দিতে লাগলো। ইমু আস্তে করে পিছন দিক থেকে এসে দু'হাত দিয়ে নওশিনের চোখ ধরলো। শরীরের স্মেইল'টা খুব পরিচিত। স্পর্শ করাতেই চোখ থেকে ইমুর হাত সরিয়ে নিয়ে নওশিন ইমুর হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো। কোন কথা না বলেই সাগর-স্নিগ্ধা-কে রেখে ইমুর হাত ধরে দূরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নওশিন। ইমু বলছে---
--কি ব্যাপার? এভাবে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্চ?
--কোন কথা বলবিনা! চুপ!
.
ইমুর হাত ধরে নওশিন টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আর ইমু ব্যাগ কাধে নিয়ে নওশিনের পিছ পিছ হেটে যাচ্ছে। স্নিগ্ধা-সাগর দুজনেই দেখে খুব হাঁসছে। নওশিন ইমুকে নিয়ে দূরের একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলো। বসেই নওশিন ইমুর কলার চেপে ধরলো। নওশিন---
--তুই এখানে এসেছিস কেন, বল?
--কলারটা ছাড়ো, আশে পাশের মানুষ তাকিয়ে আছে তারা কি ভাববে!!
.
কলার ঝাকাতে ঝাকাতে নওশিন বলল---
--তাদের যা মন চায় তাই ভাবুক, তোকে কি আমার কাছে আসতে বলেছি? তুই এসেছিস ক্যান? এসেছিস ক্যান?
--পাখি শোন, শোন পাখি......
--তোর কোন কথাই শুনবো না আমি!!
.
ইমু এরমধ্যেই ব্যাগটার চেইন খুলে, লাল কৃষ্ণচুড়া ফুল গুলো নওশিনের চুলে পরিয়ে দিলো। নওশিনের প্রিয় ফুল, যা দেখলে নিজেই বসন্ত'তে পরিণত হয়। সব রাগ ভুলে গিয়ে ইমুর গলা চেপে জড়িয়ে ধরলো নওশিন। আর বলতে লাগলো---
--তোকে না দেখে থাকতে আমার কষ্ট হয়'না বুঝি?
ইমুও জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো---
--পাগলী আমার, আর কোত্থাও তোকে ছেড়ে গিয়ে থাকবোনা।
--সত্যিতো?
--সত্যি, সত্যি, সত্যি,
.
প্রায় বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে। বাসার ফিরার টেনশন'টাও কাজ করছে নওশিনের। আবার যেতেও মন চাচ্ছেনা। তবুও যে রবী ঠাকুরের লাইনটি মনে পরেই যায়....
"যেতে নাহি দেব হায়,
তবু যেতে দিতে হয়,
তবুও চলে যায়"
সব ভাবনা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো নওশিন। ইমু-কে নিয়ে স্নিগ্ধা-সাগরের কাছে গিয়ে বলল---
--বাড়ি ঘর কি সব ভুলে গিয়েছিস নাকি, বাসার কথা একবারও বলছিস না?
.
স্নিগ্ধা নওশিনের মাথায় কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখে কিছুটা বিচলিতই হলো। সাগর দেখে একবার স্নিগ্ধার দিকে তাকালো। সাগর বলল---
--ইমু এইটা কিন্তু ঠিক হলোনা,
--কোনটা?
--তোমরা বসন্তে বাসন্তী হয়ে ঘুরছো, আমাদের মাথা খালি। এইটা কি ঠিক বলো?
--কি করবো বলো, ইমু মানে তো একটু বেশীই ইমোশনাল। তাই আর কি!
হা হা হা....
.
বাইরে গিয়ে দুটি রিকশা ঠিক করা হলো। আগের রিকশায় স্নিগ্ধা-সাগর। পিছনের রিকশায় ইমু-নওশিন। সবুজ ছায়াঢাকা রাস্তার মাঝখান দিয়ে আস্তে আস্তে চলছে রিকশা দুটো। আশে পাশ থেকে বসন্তের কোকিলের ডাক ভাসে আসছে। নওশিন ইমুর বাহু আঁকড়ে ধরে আছে। হঠাৎ নওশিন বলল---
--আমায় একটা গান শুনাও.....
--এই সময় গান? কোকিলের ডাক বাদ দিয়ে এই কাকের গান শুনবা? বাহ্! অবাক করে দিলে!!!
--ঐ আমি শুনাতে বলছি তুই শুনাবি কি না?
.
ইমু কিছুক্ষন চুপ করে রইলো। খেয়াল করলো নওশিন অপলক দৃষ্টিতে চোখের চাওয়ায় সেতু বানাচ্ছে, ওমনি ইমু অর্থহীনের গানটা ধরলো---
" ভ্যান গগের ছবি
ভিভালদির সুর,
অলিভার স্টোনের মুভি
আর আমার পাকা চুল।
.
রান্নাঘরের নিভানো চুলা,
তোমার চুলে কৃষ্ণচূড়া।
.
লা লা লা লা
.
সাদা রং এর নতুন গাড়ি,
একটি পোড়া বাড়ি।
.
এশারের ছবি
মোৎসার্টের সুর।
ত্যারেন্তিনোর মুভি
আর আমার পাকা চুল।
.
আমার কাঁধে হালকা ঝোলা,
তোমার চুলে কৃষ্ণচূড়া ফুল
.
লা লা লা লা
.
কৈশোরের দিন গুলা এভাবেই পার হয়। মা-বাবা, ভাইয়া-আপি, মামা-চাচু সবার ভালবাসার মধ্যে কোন এক রাজপুত্রের ভালবাসা প্রয়োজন হয়। কোন এক রাজকন্যার ভালবাসা প্রয়োজন হয়। একটি ভালবাসার মানুষের প্রয়োজন হয়। যে মানুষটি ছাতার মতো মাথার উপরে থাকবে। দারুণ চৈত্রীর খড়ায় একটু ছায়া হয়ে দাঁড়াবে। আষাঢ়ের বর্ষণের মাঝে একটুও বৃষ্টিজল মাথার উপর ঝড়তে দেবেনা। প্রত্যাশায় থাকুন সেই মানুষটির, যে আপনাকে জীবন নামের এই সারাটি পথে আগলে রাখবে হৃদয় দিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন