শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫

বন্ধন

কয়েক দিনের জন্য অফিস
থেকে ছাড়া পেলাম।তাই দিন
গুলো কাটানোর জন্য একটা
রুটিন ও করে ফেল্লাম।লাভের
লাভ কিছুই হল না।প্রথম দিন
আম্মুর চিল্লানি
--কাব্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
উঠ।আমরা এক জায়গায় মেয়ে
দেখতে যাব।
...
যেই দিন চাকরি পাইছি সেই
দিন থেকে আমার মা শুরু
করেদিছে।বিয়ে নামক এক
পিড়িতে বসতে হবে।কত করে
বুঝালাম যে আম্মু বিয়ে করা
আর খাল কেটে কুমীর আনা
এক কথা।লাভের লাভ কিছুই
ঘটলনা।অতঃপর আমার
আম্মাজীর বিশেষ উক্তি প্রয়োগ
করলে উনি না কি খাল কেটে
কুমির আনতে চায় ;-(;-(।
--ওই তুই ঘুম থেকে উঠলি।
--হুম উঠতেছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই
বাড়িতে উৎসবের আমেজ
পেলাম।আমাদের বাড়িটা যদি
হয় একটা দেশ হয় তাতে আম্মু
হবে প্রধানমন্ত্রী আর আমি
হলাম সাধারণ একজন প্রজা।
আমার আম্মুর কথা আমার
আব্বা পর্যন্ত ফেলতে পারেনা
আর আমি সাধারণ প্রজা হয়ে
কিভাবে কথা ফেলতে পারি।
তাই বাধ্য ছেলের মতো পোষাক
পরে তৈরি হলাম।
..
2
...
মাথার উপর এক ঘেয়ে ফ্যানটা ঘুরতে
সাথে উচ্চ সরে শব্দ বেসে আসছে।
একটু পরে লাল
শাড়ি পরে এক হাতে শরবতে
ট্রে নিয়ে হাজির হল এক
বালিকা।
বালিকার সাথে এক বার
চোখাচোখি হতে
তো আমি পুরা টাস্কি।রংঙ্গিন
কাল দেশে সুন্দরী বালিকা।
অতঃপর আম্মু উক্ত বালিকার
দিক চাহিয়া প্রশ্ন ছুরিলেন
--নাম কি তোমার।
--জ্বি কবিতা চৌধুরী।
নামটা শুনে আরেক বার টাস্কি
খাইলাম।কারণ নামটা সাথে
আমার নাম অনেক মিল।আমি
কাব্য ও হল কবিতা।মানে
কাব্য-কবিতা।
--বাহ সুন্দর নামতো তোমার
তা কিসে লেখা পড়া করছ।
--জ্বি অনার্স শেষ বর্ষ।
বালিকা চলে যাবার পর শুরু
করল মেয়ে পছন্দ হল কিনা।
আমি তাদের দিক চাহিয়া এক
বিরট লুক ছাড়লাম সাথে
বিশেষ উক্তি:
--আপনারা যা ভাল
মনে করেন।
...
কাজীর সামনে তিন বার কবুল
বলে তাকে নিজ সম্পত্তি করে
নিলাম।বাহ কতইনা চমৎকার।
..
ফ্রেন্ড সার্কেলে বরাবর বাচাল
টাইপের ছিলাম।সবসময় মুখে
কথার ঝুড়ি থাকে।তবুও আজ
বন্ধুদের কাছ থেকে উর্বর
মষ্তিষ্কের প্রমাণিত কিছু টিপস
নিলাম যাতে বিড়ালকে ঠিক
ভাবে শিকার করতে পারি।ঘরে
ঢুকতে থুক্কু বাসর ঘরে ঢুকতেই
কবিতা দেখলাম বড় করে
গুমটা দিয়ে বসে আছে।লাল
শাড়ির আচল তোলতেই আমি
হাজার একটা টাস্কি খাইলাম।
হালা মেকাপ এ গাল দুটো
রক্তিম আভা সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধুদের বুদ্ধি কোনো কামে
আসছে না।আমি আসছি
বিড়ালকে শিকার করতে উলটা
আমি বিড়াল হয়ে গেলাম সে
হয়ে গেল শিকারী।আস্তে আস্তে
রাতের অন্ধকার দূর হতে
থাকে।
সকাল ঘনিয়ে আসছে তবুও
এই দুই মানবের কথার শেষ
হয়না।
...
সকাল হয়ে গেছে জানালার
ফাক দিয়ে সূর্যের আলোকরশ্মি
চোখে পরতে লাগল।না আর
ঘুমিয়ে থাকা যায় না।
কিন্তু এই কথা আমার ঘুম বেটা
কিছুতেই মানতে চায় না।
আসলে রাতে আমার উপর
দিয়া হেব্বি দখল গেছে।
আরে আপনারা কি ভাবছেন
তার নাকি বলে অনেক দিনের
সখ তার স্বামী ও সে বিয়ের
দিন ছাদে বসে এক সাথে
ফুলের মতো ফুটে উঠা
আকাশের তারা ও চাঁদ
দেখবে।কি আর
করার বাধ্য হয়ে যেতে হল।
কবিতা আকাশের দিক তাকিয়ে
কথা শুরু করে দিল।আমি তার
পাশে বসে মশার সাথে যুদ্ধ
শুরু করে দিলাম।
একটু পরে ছাদ থেকে নেমে
এসে সেইরাম একটা ঘুম
দিলাম:-D:-D:-D।
--এই তুমি এখনও ঘুম থেকে
উঠনাই।
--হুম।
--হুম!!! কি??? তাড়াতাড়ি উঠ
বলতেছি....এত দেরি করলে
বাড়ি লোক জন কি বলবে হুম।
--কি আর বলবে,,,বলবে
আমরা দু মিলে চুটিয়ে প্রেম
করছি:-):-)।
--হইছে আপনার পাকনামি:-P।
এইবার উঠ,,,তা না হলে কিন্তু
আমি পানি আনলাম:->:->।
বালিকা বলে কি বিয়ার প্রথম
দিন এই অবস্থা আল্লাহ জানে
বাকি দিন গুলো কেমনে পার করি:-P;-
(।
-উঠলা।
--হুম।
পানির ভয়ে আর শুয়ে থাকতে
পারলাম না।কবিতা হয়ত
অনেক আগে ঘুম থেকে উঠে
পরছে।এরি মধ্যে গোছলও করে
ফেলছে।
তাকে পিছন দিক দিয়ে জড়িয়ে
ধরলাম এমন সময় দরজায়
টুকা পরল।
দরজা খুলতেই দেখলাম
আমার ভাই স্ত্রী মিস সুমি ভাবি
ও তার গেং হাজির।
বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে।
এই বিয়েতে ভাবী একটা গেং
তৈরি করছে।সেই গেং এ শুধু
মাত্র মেয়েরা অন্তর্ভুক্ত হতে
পারে।আমাকে ধাক্কা দিয়ে
সরিয়ে বলল
--দেখি,,দেখি।
একটু পরে ভাবী চিল্লানি
শুরুছে
--এইত পাইছি পাইছি।
--কি পাইছেন।
একটা কাপড় আমার দিক
বাড়িয়ে বল্ল এইটা কি।
আমি তাকিয়ে দেখলাম
উনার দুই ঠুটের লাল আভ
আমার
করুন পরিণতিতে উপন্তি
হইয়াছি।
কবিতার তাকিয়ে দেখলাম
লজ্জায় গাল,,নাক লাল হয়ে গেছে।
--হুম টাকা বাইর কর।
--কিসের টাকা।
বেশি কথা না বারিয়ে
মহিলাদের গেং এর চিপা থেকে
মুক্তি নিলাম।একটু পরে খাবার
খাইতে বসছি এমন সময়
--অআহ।
--কি,,হল।
--জ্বিবা তে ব্যথা করতে।
রাতে ভুল বসত জোরে জ্বিবার
পরে গেছিল।কি সাংঘাতিক লজ্জার
বেপার:-P:-P।
--প্লিজ লক্ষিটি একটু কষ্ট করে
খেয়ে ফেল।
...
:-|;-)
শেষ হয়ে হইল না শেষ.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন