শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫

ফিরে চাই সেই ছেলেটি.


এখন আর "আজিম" আগের মত নদীর কুলে বসে গভীর নিশিতে বাজায়না করুণ সুরের সেই বাঁশি। আগের মত ছেলেটি রহস্য আর হাসি মাতনের কথাগুলো বলেনা। "মনা'র" চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়না সেই বন্ধুদের সাথেও। কয়েকদিন থেকেই নীরব হয়ে গেছে "আজিম " বেছে নিয়েছে একাকীত্ব। তার দিকে দেখলে মনে হয় এই পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখি মানুষটা হয়তো সে।
-
মনে হয় তাঁর এই পৃথিবীতে কেউ নেই। আগে দেখতাম কত রঙ্গের কথা আর গানে মাতিয়ে রাখতো সবাইকে। যেই ছেলেটির বাশির করুণ সুরে মাঝ রাতে কান পেতে থাকতাম। মুগ্ধতায় নিশ্চুপ হয়ে শুনতে থাকতাম তার বেদনা মাখা সুর গুলো। আজ সেই ছেলেটি লোকারণ্যে থেকেও যেন লোকশুন্য কোন ভিন্ন জগতে।
আগে নামাজের সময় সে মাসজিদে নিয়ে যেতো মানুষকে ডেকে। কিন্তু তাঁর আজকে এমন কি হয়ে গেলো যে। সে রাস্তায় বসে সিগারেট টানে মাঝে মাঝে গাঞ্জাও টানে। পথে ঘাটে পড়ে থাকে। একলা নিরিবিলি সারাক্ষণ শুধু ভাবনায় থাকে আর সিগারেটে টান দিয়ে চেয়ে থাকে দুর দিগন্তে।
-
পাড়ার লোকেরা কিছুই বুঝতে পারেনা শুধু হতবাক চোখে দেখে যায় সেই সোনার ছেলেটাকে। বুঝবে কি করে তাঁর যে জীবনে হাজারো স্বপ্ন ছিলো একজন কে নিয়ে সেকি তা কাউকে বলেছে।তাইতো আজ সবার অজান্তেই আজিমের স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে চুর মার হয়ে গেছে। শত আসা আর স্বপ্ন নিয়ে যাকে জীবনে পাওয়ার জন্য এত অবিনয় করে যাচ্ছে আজিম। তা মানুষ কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনা।
-
আসলে আজিমের জীবনের শুধু ভালোবাসা নয় পুরো জীবনটাই ছিলো তাঁর জন্য। তাঁর নাম "রুমা" রুমা'র সাথে আজিমের পরিচয় বহুত পুরোনো। মাদ্রাসার বারান্দায়। আজিম - রুমা তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী। এক পথে যাওয়া আসার কারণে আজিম আর রুমা কথা বলতে বলতে বাড়িতে যেতো। কিন্তু তাদের মনে তখন কিছুই ছিলোনা।
-
পড়ার জন্য একে অন্যকে হেল্প করতো একজন মাদ্রাসায় গেলে সে এসে বলতো আজকে এই এই পড়া দিয়েছে। তখন পরদিন মাদ্রাসায় গেলে মার খাওয়ার আশঙ্কা কম থাকতো।
-
এভাবেই তারা ভালো বন্ধু হয়ে যায়। ক্লাস গুনে যতই উপরে উঠছিলো ততই একজন আরেকজনকে জানতে বুঝতে শিখে এখন আর তাদের আগের মত কথা বলা মানায় না। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেও আর কথা বলার সাহস হয়না। কারণ সমাজের মানুষ দেখলে আবার হুজুরদের কাছে বলে দিবে।তখন তারা প্রায় কথা বলতে পারতোনা। আজিম ছিলো একটু অন্য প্রকৃতির ছোট বেলা থেকেই সে ছিলো অগোছালো। তার সব কিছুই ছিলো এলোমেলো। আজিমের বাবা একজন সাধারন কৃষক। বছর জুড়ে পরিশ্রম করে যা পায় তা দিয়েই কোন মতে দিন কাটে তাদের। দশম শ্রেণীতে উঠার পর আজিমের বাবা লেখা পড়া বন্ধ করে দেয় আজিমের। আজিম এখন কি করবে মাত্র ষোল বছর বয়স। বাবা'র সাথে সেও যোগ দেয় কৃষি কাজে।
-
এদিকে আজিমের এমন অবস্থা দেখে অস্থির হয়ে উঠেছে রুমা। কি করতে পারে আজিমের জন্য। আজিমের ছোট বেলা থেকে ব্ন্ধু হওয়ার কারণে রুমা'র বাড়ির সবাই আজিম কে চিনে। রুমা তার বাবাকে বল্লো আজিম কে হেল্প করার জন্য।রুমার বাবা আজিমের বাবা'র সাথে কথা বলে আবার লেখা পড়া করাতে বলে। কিন্তু আজিমের বাবা বলে তারও ইচ্ছা আছে লেখা পড়া করাতে সংসারের এমন অবস্থা দখে তিনি বাদ দিয়ে দেন। রুমার বাবা বলে আপনি ওসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি আপনার ছেলেকে দেখবো। এমন একটা শান্ত শিষ্ট ছেলেকে কে না দেখবে!। আজিম আগের মত লেখা পড়া করতে থাকে। আজিম আর রুমা'র ভালোই বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
-
তারা মেট্রিক পরিক্ষা একই সাথে শেষ করে। আস্তে আস্তে আজিম একজন নম্র ভদ্র একজন সামাজিক ছেলে হয়ে উঠে।পরিক্ষার রেজাল্ট আসে আজিম কৃতিত্ব ভরা একটা নাম্বার পায় ( জি পি এ ৫) এই রেজাল্ট দেখে পাড়ার সবাই খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে রুমা'র বাবা। যার টাকা পয়সা দিয়ে আজকে আজিম এত বড় হয়েছে। আজিম ও তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো।এদিকে রুমা ও আজিম একে অপরের প্রতি ভালোবাসার নজরে তাকায় কিন্তু কেউ কিছু বলেনা।
-
তারা দুজনই আবার মাদ্রাসা অনুযায়ী "আলিম" এ ভর্তি হয়। একদিন আজিম চিন্তা করে তাকে কিভাবে বলা যায়। চিন্তা ভাবনা করে একদিন তাকে এক যায়গায় আসতে বলে।রুমা সময় মতো হাজির হয় সেখানে। আজিম অত্যান্ত লজ্জা নিয়ে বল্লো রুমা আমি তোমাকে ভালোবাসি। রুমা বল্লো আমিও এতদিন তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।
-
অতঃপর দুজনের শুরু হয় ভালোবাসার জীবন মাদ্রাসাতে যাওয়া আসা করতো একসাথে গভীর প্রেমে হাবুডুবো খাচ্ছিল দুজন একজন আরেকজন কে ছাড়া থাকতে পারতোনা। কিন্তু এসব ব্যাপার ছিলো এলাকার মানুষের অজানা।
একদিন রুমা বল্লো আমার "বাশির" সুর শুনতে খুবই ভালো লাগে কি যে এক মধুর সুর। সেদিনই আজিম বাজার থেকে একটা বাশি কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু বাজাতে জানেনা। রাস্তার মোড়ে বসে সুর হীন বাশিটা বাজাতে থাকে আজিম। আস্তে আস্তে কিছুদিন পর শিখে ফেলে বাশি বাজানো। পুরাপুরি এখন সুর তুলতে জানে সে। তাই গভীর রাতে নদীর পাড়ে বসে সুরের বাশিটা বাজাতে থাকে।খুব সুন্দর লাগতো যখন দুঃখের কোন সুর নিয়ে বাশি বাজাতো মুগ্ধ হয়ে কান পেতে থাকতো রুমা দক্ষিনের জানালায়।ওহ কি মধূর সে সূর।আর নিস্তব্ধ রজনীতে বাশির সুরগুলো শুন্যতায় মিলিয়ে যায়।
-
পরদিন রুমা'র সাথে আজিমের দেখা হয়। আজিম কে ধন্যবাদ দেয় রুমা।আজিম শুধু নিরবে বলে তোমার ভালোবাসার জন্য আমি যেকোন কিছুই করতে পারি। ইতি মধ্যে আজিম লেখা পড়া বন্ধ করে দেয়। কারণ রুমার বাবা দুরে সরতে শুরু করেছে। তার আর ভালো লাগেনা সংসারের এমন অভাব অনটান।কি করবে ঢাকায় গিয়ে কোন একটা কাজে যোগ দেয়।আজিম রুমাকে ফোনে খোজ খবর নিতো।রুমা আজিম কে দেখার জন্য পাগল পারা হয়ে থাকতো সব সময়।আজিমও রুমাকে দেখতে চাইতো কিন্তু কিছুই করার নেই। জীবিকার তাগিদে তাকে ছেড়ে থাকতেই হবে।কিছুদিন পর আজিম বাড়িতে আসে পাড়ার সবাই খুশি।আজ আবার আজিম আগের মত নিস্তব্ধ রজনীতে বসে বসে বাশি বাজাচ্ছে। মন মুগ্ধকরা সেই সুরে রুমা হারিয়ে যেতো স্বপ্নের জগতে।
-
ইতিমধ্যে রুমা'র আলিম ফাইনাল পরিক্ষা। আজিম বল্লো তুমি পরিক্ষা দাও আমি ঢাকা থেকে ঘুরে আসি।আজিম চলে যায়।এদিকে রুমা পরিক্ষা দিয়ে পরিক্ষা শেষ করে।আজিম চিন্তা করে তাঁর জন্য সারপ্রাইজ দরকার তাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজিম গিফ্ট কিনে রুমা'র জন্য। রুমা অনেক দিন আজিমকে দেখেনা তাই সে দেখার জন্য পাগল পারা প্রায়। আজিম বলছে আজকে কালকে এভাবে করে করে আসছেনা।ইতিমধ্যে আজিম তাঁর মোবাইলে মেসেজ পায়।
-- আজিম। আমাকে আজ দেখতে এসেছে ওদের আমাকে পছন্দ ও হয়েছে বাবা মা বলছে কথা বার্তা ঠিক হলে বিয়ে দিয়ে দিবে।তমি বাড়িতে আস তাড়াতাড়ি প্লিজ। মেসেজটা দেখে আজিমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। পায়ের নিছ থেকে মাটি গুলো সরে যাচ্ছে। তাকে যেন আমাবস্যার আঁধারে ঘিরে ফেলেছে।বিশ্বাস করতে পারছেনা সে এমন কথা। তবুও কোন রকম নিজেকে সামলে নিয়ে রিপ্লাই দিলো "আমি আসতেছি" পরদিন আজিম বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরে। কিন্তু কি করবে কিছুই করার নেই মনের মাঝে ভিষণ যন্ত্রনা। রুমাকে ফোন দিলো
-- হেলো রুমা কি খবর।
-- আর কি সবার সব কিছু রেডি।
-- তার মানে তার মানে?
-- আগামী সোম ও মঙ্গলবার আমার বিয়ে।
-- তোমার মাথা ঠিক আছে?
-- আমি কি করবো অনেক নিষেধ করেছি কেউ আমার কথা মানতে ছায়না তুমি একটা কিছু করনা প্লিজ।
-- কিভাবে আমাদের যে অবস্থা তাতে তোমাকে সত্যই অসম্ভব আমি কি করবো নিজেও জানিনা।
--সবাই কে সাহস করে বল!!
-- কি বলবো থাক বাবু মনের ব্যাথা নিয়ে দুজন কে দুদিকে যেতেই হবে।
-- আমার কিছুই করার নেই
-- আমারও নেইইইইই।
-
লাইন কাটতেই হু হু করে কেঁদে উঠলো আজিম। রুমার ও একই অবস্থা দুজন দু প্রান্তে কান্দে আর সেই কান্নার ধ্বনি লোকারণ্যের আড়াল হয়ে শুন্যে মিলিয়ে গেলো।মনের হাহাকার নিয়ে আজিমের জীবন বিগ্ন ঘটতে শুরু করে।নিরবতার দীর্ঘ শাঁসে কাঁদছে তাঁর জীবন আকাশের স্বপ্নগুলো। জোৎনা মাখা সেই চাঁদটাও যেন আজ তাদের দুঃখে দুঃখী হয়ে লুকিয়ে যায় মেঘের আড়ালে।
-
ঐ নীরব রজনীতে এখন ভেসে আসেনা মুগ্ধ করা সেই বাসীর সুর। এখন আর আগের মত নির্ঘুম চোখে কান পেতে থাকিনা সেই সুরের অপেক্ষায়। আজ এই সমাজের মানুষগুলোও তাকে নিয়ে হতাশ। যেই সমাজের মানুষদের ছেলেটা মাতিয়ে রাখতো সেই ছেলেটাই আজ পাল্টে গেছে।পড়ন্ত বিকেলে নদীর কুলে বসে আগে যে ছেলেটা গানের সুর তুলতো।সেই ছেলেটা নদীর কুলে বসে চোখের জ্বলে ভেসে যাচ্ছে।গাল বেয়ে পড়া কয়য়েক ফোঁটা জ্বল গড়িয়ে সবুজ ঘাঁসের আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
-
রাতের আকাশে জ্বলে উঠা হাজার নক্ষত্র মিটি মিটি হেসেও তার ব্যাথা ভুলানোর ব্যার্থ চেষ্টা করছে।কোন কিছুতেই যেন তাঁর শান্তি নেই। পৃথিবীটা তার জন্য মনে হচ্ছে একটা অশান্ত কারাগার। এদিকে রুমার বিয়ের দিনও এগিয়ে আসছে।আর ঐ দিকে সোনার ছেলেটা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। নিঃস্ব অসহায় আজিমের শরীরটা অনেক ভেঙ্গে পড়েছে। তার মা বাবাও কিছু বুঝতে পারেনা ছেলেটির কথা। কোন ভাবেই সে পরিত্রাণ পাচ্ছেনা নিঃশব্দ এই বেদনা থেকে।
-
সকল কিছু শেষ হয়ে আজ রুমা'র গায়ে হলুদের রাত। বন্ধুরা বল্লো অনেকদিন বাঁশিটা পড়ে আছে। চল্ আজকে একটু বাশি বাজা!। অনেক সাধের সেই বাঁশিটা হাতে তুলে নেয় আজিম রাতের অন্ধকারে চলে যায় নির্দিষ্ট স্থানে।কিন্তু বাজানোর জন্য গায়ে শক্তি নেই জীর্ণ শির্ণ হয়ে গেছে তাঁর শরীরটা।তবুও বহু কষ্টে বেদনা মাখা একটা সুর তুল্লো আজিম।তা এতটাই করুন ছিলো যে পাশের বন্ধুরাও কেঁদে দিয়েছে।এখনো হলুদের আসরে বসা রুমা বসে বসে বারবার চোখের জ্বলে ভেসে যাচ্ছে আত্মীয় স্বজনেরা ভেবেছে সব মেয়ে বিয়ের আগে কাঁদে রুমাও তার ব্যাতিক্রম নয়।
-
কিন্তু না এযে সে একজনকে হারনোর বোবা কান্না। হাতে মেহেদী লাগাচ্ছে রুমার আর অমনি শুনতে পেলো দিগন্ত থেকে ভেসে আসা সেই করুণ সুর। টপ টপ করে চোখ বেয়ে জ্বল নেমে আসলো রুমা'র। এই যে তাঁর চেনা বাশির সুর। সে যেন শুনছে তাঁর মনের কুটিরে বসে থাকা মানুষটি তাঁকে সুরে সুরে ডাকছে। সেই ভাষা বুঝবে কয়জন। রুমা হউ মাউ করে কেঁদে উঠে হাতের মেহেদী ধুয়ে ফেলে।চলে যায় হলুদের আসর ছেড়ে। ওদিকে করুণ সুরে এখনো ডেকে যাচ্ছে
-
আজিম।রাতের নীরবতার আড়ালে বাশির সুরটা দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছে। ক্লান্ত শ্লান্ত শরীর নিয়ে রাতে ঘুমিয়েছিল আজিম। হটাত কোন এক খটকা শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় ওহ বেলাতো অনেক হয়েছে।বন্ধুরা সবাই এসেছে।
-- কিরে তুই বিয়েতে যাবি না?
--নারে তোরা যা
-- আরে বেটা চল তারে শেষ বারের মত দেখে আয়?
-- নারে ও যদি আমারে দেখে হয়তো বিয়ের আসর ভেঙ্গে যাবে।আর আমি চাইনা ওর বিয়েটা ভেঙ্গে যাক।
-- কি বলচিস কিছু হবেনা চল!
-- কিন্তু কিভাবে না কলিজা মানবে নারে।ওওওওওহহ
-- তুই না গেলে পাড়ার সবাইকে বলে দিবো তুই যা করতেচিস সব রুমা'র জন্য।
-- তোদের পায়ে ধরি আচ্ছা আমি যাবো চল। কিন্তু গিফ্ট কোথায়
-- গিফ্ট আমরা কিনেছি সবাই মিলে এটা দিবো চল্
-- ওকে আমি ফ্রেশ হয়ে আসি
-
আজিম বন্ধুদের চেঁচামেছিতে পড়ে যেতে হলো তবে কিছুই খায়নি তাকেও দেখতে যায়নি। শুধু বিয়ের আসরটা এক নজর দেখে আসলো।খুব শিঘ্রই বেরিয়ে এসে বাড়ির অদুরেই রাস্তার পাশে বসে পড়লো। কিছুক্ষণ পরেই রুমাকে নিয়ে যাবে। গাড়িটা চলে এসেছে রুমাকে কেউ একজন কোলে করে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। আর রুমা'র আর্ত চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে।
-
আজিমের এতদিনে অশ্রু শুকিয়ে যাওয়া চোখেও পানি চলে আসলো গাড়িটির পানে চেয়ে দু চার ফোটা জ্বল গড়িয়ে হারিয়ে গেলো সবুজ ঘাঁসের ডগায়। আর থাকতে পারেনি সেখানে চলে এসেছে।এরপর থেকে আজিম এখনো অগছালো। পায়নি ফিরে আর হারানো দিন গুলো। সমাজের মানুষের অজান্তেই রয়ে গেলো আজিমের হাজারো স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার কথা।আজো সমাজ ফিরে পেতে চায় সেই আজিমকে যে ছিলো একজন সমাজের গর্বিত সন্তান। সমাজ ফিরে চায় তাকে যে ছিলো সমাজের একজন আদর্শ সন্তান ও সকল ছেলেদের জন্য আদর্শ।
**---**--**--*↓

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন