বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

বর্তমান সময়ের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ন

ছেলেটা আর মেয়েটা প্রেম করেই বিয়ে করেছে,তবুও আজ তাদের মধ্যে অজানা এক দূরত্ব কাজ করে।আজ মেয়েটার অনেক অনেক অভিযোগ ছেলেটাকে নিয়ে।দুজন দুই জায়গায় থাকে।এ দুই জায়গার থাকার কারন মেয়েটা একটা সরকারি নার্সিং ইন্সটুটিওয়েটে পড়ে এ জন্যে বাড়ি থেকে দূরে মেসে থাকতে হয়,বাসা থেকে ক্লাশ করা সম্ভব নয়। ,আর ছেলেটা তার নিজ শহরে জব করে,সারাদিন টিউশনি করায়,অনেক অনেক স্টুডেন্ট।মেয়েটা সপ্তাহে দুদিন শ্বশুর বাড়ি গিয়ে থাকে,সরকারি ছুটির দিন গুলোতে।ছেলেটাকে নিয়ে মেয়েটার অভিযোগের লিষ্টটা বিশাল বড়।ছেলেটা নাকি তাকে আর আগের মত ভালবাসেনা।তাকে আগের মত সময় দেয় না।সারাদিনে একবারও কল দেয় না।মেয়েটা বিয়ের আগের কথা গুলো ভেবে কষ্ট পায়।ছেলেটা তাকে নিয়ে কত পাগলামি করত এক সময়।একটু কথা বলার জন্যে কত কি করত,সারা রাত জেগে থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলত।সারা দিনে অসংখ্যবার কল দিত,একবার দেখা করার জন্যে কত ট্রাই করত,একদিন ঘুরতে যাওয়ার জন্যে কত প্ল্যান করত,কতজনকে ফাকি দিত,কিন্তু আজ বিয়ের পর নাকি ছেলেটা মেয়েটাকে কল দেবার মত সময়ই পায়না।তার জন্যে সে আর আগের মত পাগল নয়,আগের মত ভালবাসে না।আজ সে মেয়েটা অন্য কাউকে বলে,তোর BF এখন তোর জন্যে এত্ত পাগল,আগে বিয়ে হোক আর এ রকম পাগল থাকবেনা।

বর্তমার সময়ের প্রাইয় ৬০ পারসেন্ট প্রেম করে বিয়ে করা মেয়েরই তার হাজবেন্ড কে নিয়ে এই অভিযোগ যে তার হাজবেন্ড তাকে আর আগের মত ভালবাসে না,তাকে সময় দেয় না।আমি জানি সেই ৬০ পারসেন্ট এর মধ্যে কেউ না কেউ এই স্ট্যাটাসটি পড়ছেন।তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপু আপনি কি ভাইয়াকে আগের মতয় ভালবাসেন?আপনি কি আগের মতয় তার জন্যে এখনও পাগল?আমি জানি আপনি এক কথায় উত্তর দিবেন,হ্যা অবশ্যই,আমি এখনও তার জন্য আগের মতয় পাগল।
আমি বলব আপনি মিথ্যেবাদি,খুব বড় মাপের মিথ্যেবাদি,আপনি তার জন্যে আগের মত পাগল নয়,আপনি অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছেন,অনেক বেশি,যেইটা আপনি শিকার করতে চাইছেন না।

আচ্ছা আপু যা ভাইয়াটা বিয়ের আগে আপনার জন্যে এত্ত এত্ত পাগলামি করেছে,সারাদিন এত্ত এত্ত কল দিয়েছে আজ কেন আপনাকে সারা দিনে একবারও কল দেয় না??????????
আপনি হয়ত বলবেন ও সারাদিন ওর কাজ নিয়ে ব্যস্ত,আমার জন্যে সময়ই নেই।আচ্ছা আপু ভাইটা সারাদিন এত্ত এত্ত কষ্ট করে কাজ করছে তা কার জন্যে??শুধুই কি তার জন্যে?না আপনার জন্যে?আপনাদের ভবিষত্বের জন্যে?আচ্ছা আপু কাজ কি কেউ সখে করে?কেউ কি সখের বশে সারাদিন অফিসে পরে থাকতে চায়?হার ভাংগা পরিশ্রম করতে চায়?তার কি একটুও ইচ্ছে করে না সারাদিন নিজের মত রেষ্টে কাটাতে?সত্যিই কি তা একটুও ইচ্ছে করেনা আপু???তবুও সে তার সব কিছু বিসর্জন দিয়ে কেন এত্ত সব কিছু করছে?কেন?একটি বার কি এসব ভেবেছেন?

আচ্ছা ভাইয়াকে নিয়ে আপনার এত্ত এত্ত কমপ্লেইন,আপনাকে সারাদিনে কল দেয় না,খোজ খবর রাখেনা,আপনি সারা দিনে কতবার ভাইয়ার খোজ খবর নেন?ভাইয়াকে সারাদিনে কতবার কল দেন?কত দিন দুপুরে কল দিয়ে শুনেছেন সে খাইছে কিনা?কি খেয়েছে?কতদিন অসময়ে তাকে কল দিয়ে বলেছেন,তোমার সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে?কতদিন?কি একদিনও নয়,তাই তো?
আসলে আপু যে ভাইয়া আপনাকে এত্ত ভালবেসে তার জীবন সংগি বানিয়েছে,তার সুখ দুঃখের সংগি বানিয়েছে সে নি;সন্ধেহে আপনাকে আগের মতয় ভালবাসে।শুধু অভ্যাসের একটু পরিবর্তন হয়েছে।যখন প্রেম করতেন তখন কিন্তু ভাইয়া কিংবা আপনি এক দিনে একে অপরের প্রতি এত্ত আকৃষ্ট হননি।দিনে দিনে হয়েছেন।প্রথম হয়ত সারা দিনে একবার কথা বলতেন,তখন এত কষ্ট হয়নি তার সাথে কথা না বলার জন্যে,এর পর ধিরে ধিরে এমন একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল সারা রাতে কয়েক ঘন্টার যদি কম কথা হত তবে খুব কষ্ট হত,কান্না করে ফেলতেন দুজনই।একদিন কথা না হলে হলে খুব অস্থির হয়ে পরতেন।এটা আপনাদের দুজনার অভ্যাসে পরিনত হয়ে পরেছিল,এ জন্যে একদিন কথা না হলে ভাইয়া এত্ত পাগলামি করত।

ঠিক এমনি ভাবেই একটু একটু করে আপনাকে সারা দিনে একবারও কল না দেওয়া ভাইয়ার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।প্রথম প্রথম কাজে গিয়ে আপনাকে কিন্তু ঠিকই কল দিত,কিন্তু কোনদিন হয়ত কাজের চাপে কল দিতে পারেনি,সেদিন ভাইয়ার কিন্তু অনেক কষ্ট হয়েছিল,এর পরেরদিন আবার কাজের চাপে কল দিতে পারেনি,সেদিনও কষ্ট হয়েছে,এ ভাবে দিনে দিনে তার কষ্টটা সহে গেছে,আপনাকে কল না দেওয়া অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।এতে কিন্তু আপনার অনেক ব্যর্থতা আছে,তার এই অভ্যাসের পিছনে আপনার রেসপোনসিবলিটি ৭০-৮০ পারসেন্ট।আপনি কেন তাকে এই অভ্যাসে পরিনত হওয়ার সুযোগ দিলেন।আপনি কেন একটা মায়া সৃষ্টি করে রাখতে পারলেন না তার উপরে?ভাইয়া কল দিতে পারেনি,আপনি প্রত্যেকদিন কল দিতে পারতেন,হয়ত সে তখন কল রিসিভ করতে পারত না,কিন্তু খুব ট্রাই করত কাজ শেষ করে আপনাকে কল দিতে।কিন্তু আপনি তা তো পারেননি।কি ভাইয়া বকত কল দিলে?একটু বকলেই বা কি এমন হত?সে তো আপনারই,একান্ত আপনারই।নিজের জিনিসের উপর জোর খাঠাতে কোন লজ্জ্বা নেই,কোন পাপ নেই।কথা হল একটাই,যা আপনার তার উপর আপনার মায়া পুরোপুরি ফেলে রাখতে হবে,নিজের ফুল কর্তৃত রাখতে।এক মুহুর্তের জন্যেও ভূল করেও আপনাকে ভুলতে দেওয়া যাবে না।আর কেনয় বা তাকে সে সুযোগ দিবনে,যার সাথে আপনি সারা জীবন থাকবনে।যদি সে অভ্যাসটা তার তৈরি হয়,তবে আপনার বাড লাক,আর এর জন্যে আপনিই দায়ি।

একটা কাজ করেন আপু আপনি আগামি এক মাস প্রত্যেকদিন একই সময়ে ভাইয়াকে দিনে ৫ বার করে কল দিবেন,ভাইয়া বকাবকি করলেও,রিসিভ না করলেও.১ম দিন হয়ত রিসিভ করবেনা,কিন্তু ৭ দিন পর দেখবেন আপনাকে বকাবকি করার পরও যখন কল দিচ্ছেন ভাইয়া দিনের সেই সময় গুলোতে নিজেকে ফ্রি রাখার ট্রাই করছে।এ ভাবে ৩০দিন রেগুলার কল দিয়ে ৩১ তম দিনে সার দিনে আর একবারু কল দিবেন না,দেখবেন আপনার কল না পেয়ে ভাইয়াই আপনাকে কল দিয়েছে,যদি আরও বেশি কিছু দেখতে চান তবে আপনার সব বাসার,আপনার সব নাম্বার অফ করে রাখেন,দেখবেন সময়ের আগেই ভাইয়া পাগলের মত বাসায় চলে এসছে,আর আপনাকে নাম্বার অফ করে রাখার জন্যে অনেক অনেক বকা দিচ্ছে।জাষ্ট এক মাস ট্রাই করার পর আমায় এসে বলেবেন ভাইয়া আমি আমি ভূল ছিলাম,ও সত্যিই আমাকে এখনও আগের মতয় ভালবাসে।

আর ভাইয়া আমরা জব করি যাতে আপন মানুষ গুলোকে সুখি রাখার জন্যেই তো তাই না?যে মেয়েটাকে আপনি এত্ত ভালবেসে বিয়ে করলেন,যে আপনাকে এত্ত ভালবাসে বিয়ে করল কাজের ব্যস্ততার দোহায় দিয়ে কেন তাকে নিজের অজান্তেই কষ্ট দিচ্ছেন।সে তো জাষ্ট আপনার কাছে আপনার অনেক ব্যস্ত সময়ের মাঝে তার জন্যে একটু সময় চায়।এই একটু সময়েই সে সুখি,খুব সুখি।যে জব,যে কাজ,যে ব্যস্ততা আপন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারেনা,আপন মানুষ গুলোর সাথে নিজের এক অজানা দূরত্ব তৈরি করে সে কাজের মূল্য কতখানি?।জীবন মানেই ব্যস্ততা,সে ব্যস্ততার মাঝেই নিজের জন্যে,আপন মানুষ গুলোর জন্যে সময় করে নিতে হয়।আপনি চাইলেই সে সময় করে নিতে পারবেন,শুধু চাইতে হয়,আর সে অনুসারে কাজ করতে হয়।

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

"ভালোবাসা'র শেষ হাসি"


- হি হি হি
- ওই ছাগলীর মতো হাসিস ক্যান?
- আমি ছাগলী?
- হ্যা। তুই ছাগলী ।
- আমি ছাগলী হলে তুই ছাগল।
- হুমম। আমি ছাগলীর ছাগল।
- বয়েই গেছে আমার।
- আমাকে তোর বর বানাবি?
- ইহ! ছেলের শখ কতো! !! আমার বর হতে চায়। আমার
বর তোর মতো ছাগল নয়।
- তাই নাকি? তাহলে কি ভেড়া?
- আরে ধুর, আমি কি সেটা বলছি? ??
- তাহলে কি বলছিস?
- খুব স্মার্ট হবে।
- আমি স্মার্ট না?
- তুই তো ................. থাক আর না বলি।
- না বলিস নাই। একবার ভালোবাসি বল না রে।
- যাহ। ভাংতি নাই। পরে আসিস। বিবেচনা করে দেখবো।
- এতো দিন পর ওয়েটিং লিষ্টে রাখলি?
- হুমম। রাখি তাহলে।
- আচ্ছা গুড নাইট ।
- গুড নাইট।
কথা বলতে বলতে কখন যে রাত এতো গভীর হয়ে
গেছে দুজনের একজন ও টের পায় নি। রিফাত এতো
রাতে ছাদে যাওয়ার চিন্তা করলো।ঘরির কাটায় রাত তখন ২ টা
বাজে। রিফাত ধির পায়ে ছাদে গেলো। জোৎস্না ভরা
রাতটি তখন প্রায় নিভু নিভু ভাব নিয়েছে। আর চাদ টার
আলো ও কমতে শুরু করেছে। হালকা আলোয়
নিজের প্রতিচ্ছবি ও খুব হালকা দেখা যায়। রিফাত রুপার কথা
ভাবতে লাগলো।
.
রিফাত আর রুপা খুব ভালো বন্ধু। শুধু বন্ধু নয়। বন্ধুর
চাইতেও অনেক বেশি। যা চোখে দেখা যায় না। শুধুই
অনুভব করা যায়। রিফাত আর রুপাও ঠিক ঐ অবস্থানে আছে।
মানে, একে অপরের প্রতি দুর্বল। একে অপরকে
ভালোবাসে। কিন্তু রুপা কিছুতেই তার ভালোবাসার কথা
প্রকাশ করতে চায় না। রিফাত জানেও না যে রুপা কাকে
ভালোবাসে !
.
একদিন রুপা আর রিফাত কলেজে বসে কথা বলতে
বলতে রিফাত বলল
- আচ্ছা রুপা একটা সত্য কথা বলবি?
- হ্যা বল।
- আচ্ছা তুই কি কাউকে ভালোবাসিস?
- হ্যা , ভালোবাসি। ক্যান বলতো ?
- আমি ভালোবাসি তোকে, আর তুই অন্য
কাউকে....................
- আরে তুই আর আমি তো বন্ধু। নাকি?
- হ্যা। আমি যে তোকেই ভালোবাসি। শুধু তোকেই।
- দেখ , তুই আর আমি বন্ধু । আর কিছুই না।
- আচ্ছা তুই কাকে ভালোবাসিস?
- বলা যাবে না।
- ক্যান? আমি তোর বন্ধু না?
- বন্ধু তো অবশই।
- তাহলে বল।
- বাসায় যা। তোকে ফোনে বলব।
- আচ্ছা। থাক আমি গেলাম। তোর ফোনের জন্য
ওয়েট করবো।
.
রাতের বেলা । রুপা ছাদে হাটছে আর ভাবছে " কিভাবে
রিফাতকে বলা যায় ? " হঠাৎ রুপার স্মরন হলো, তার
রিফাতকে ফোন দেওয়ার কথা ছিলো। রিফাতের নাম্বার
সেভ করে নি। এতো নাম্বারটা ইউজ করে যে সেটা
মুখস্ত হয়ে গেছে। রিফাতকে ফোন দিলো
- হ্যালো রিফাত
- হ্যা বল
- কেমন আছিস?
- ভালোই। তুই?
- আমিও। তোকে একটা কথা বলার ছিলো ।
- হুমম বল।
- আমি তোকে ( বলেই থেমে গেলো। রুপা
ভাবলো আর কয়দিন জালাই। তারপর ওকে বলব)
- কি ? আমাকে ভালোবাসিস?
- তোর মতো ছাগলকে? আমি তোকে বন্ধু ভাবি।
- তো? তুই কাকে ভালোবাসিস? নামটা বল। প্লিজ
- রওনোক। খুব ভালোবাসে আমায়। আমিও খুব
ভালোবাসি ওকে। হি হি হি
- ও ,ভালো থাকিস । আমি সরি রে।
বলেই ফোন বন্ধ করে দেয় রিফাত। রিফাতের Heart
এর সমস্যা। ডাক্তার বলেছে রিফাত যেন টেনশন না
করে। না হলে যে কোনো সময় Heart Attack
করতে পারে। তাই রিফাতের বাবা মা রিফাতকে খুব কেয়ার
করে।
.
সেদিন রাতে রুপা অনেকবার রিফাতের ফোনে ফোন
দেয়। কিন্তু প্রত্যেকবার নাম্বার বন্ধ দেখায়। রুপা একটু
ভয় পেলো। আবার ভাবলো, হয়তো ফোনের
ব্যাটারি ড্যামেজ হয়ে গেছে। একটু পর রুপা ঘুম এলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার ফোনে একটি
ম্যাসেজ। ম্যাসেজটি রিফাতের। ম্যাসেজে লেখা
ছিলো " হি হি হি " । রুপা কিছু বুঝতে না পেরে রিফাতের
নাম্বারে ফোন দেয়।
- হ্যালো রিফাত
- কে? রিফাত কাল রাতে Heart Attack এ মৃত্যু বরণ করে।
( কাঁদোকাঁদো কন্ঠে এক মহিলা বলল)
- কিই? রিরিফাত মারাআ গেএছে? ( মুখ থেকে কথা বের
হচ্ছিলো না)
- হ্যা। তুমি কে?
- ( রুপা কোনো কথা বলছে না। চোখের পানি
অঝোরে ঝরছে। মনে মনে নিজেকে অপরাধী
করলো। তার জন্যই তো রিফাত আজ চিরনিদ্রায় শায়িত
হয়েছে। )
.
রিফাত যখন ফোন বন্ধ করলো তার কিছুক্ষণ পর তার
বুকের ব্যথা বাড়তে শুরু করলো। চোখ ফেটে পানি
বের হতে চাইছিলো। কিন্তু আর সুযোগ নেই। খুব
তাড়াতাড়ি ফোন অন করলো।এম সি এ তে দেখে, রুপার
অনেক কল এসেছিলো। খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো রুপাকে
ফোন করতে। কিন্তু নিজের অবস্তা খুবি খারাপ। তাই
ছোট্ট একটা হাসির ম্যাসেজ দিলো। কিছুক্ষণ পর
রিফাতের হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। রিফাত বিছানায় গা
এলিয়ে দেয়।চোখ যে আর খুলছে না। শ্বাস যে আর
বের হচ্ছে না। আস্তে আস্তে দেহ থেকে প্রাণটা
বেড়িয়ে যায়। কেউ টের পায়নি। সকালে রিফাতের মা
এসে তার লাশটা দেখতে পায়।
.
সেই থেকে রুপা হাসি জিনিসটার সাথে আর পরিচয় হয়নি।
জীবনে আর মিথ্যাও বলেনি। যে মিথ্যা প্রাণকে হারায়
সেই মিথ্যাকে আর প্রশ্রয় দেয়নি।

"বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা""


>> ঐ অর্নব এইদিকে আয়...
> কিছু বলবি?
>> ঐ গাধা বলার জন্য ই তো ডাকলাম
> হুম কি বলবি বল
>> আচ্ছা তুই ক্লাশে আমার দিকে ওভাবে হা করে তাকিয়ে থাকিস ক্যান? জানিস তর জন্য আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে
> তর দিকে তাকাই? কবে? কখন? আমিতো সব সময় চুপ করে বসেই থাকি তাহলে আবার তর দিকে তাকালাম কখন?
>> হইছে হইছে আর ন্যাকামো করতে হবে না, শোন কাল থেকে তো কলেজ বন্ধ ভাবছি মামার বাড়ি বেড়াতে যাবো নিশু ও যাবে ভাবছি তোকে ও নিয়ে যাবো বল যাবি?
অর্নব আগে থেকেই অবনীকে ভালোবাসে..
তাই কিছুদিনের জন্য দুরে থাকবে এটা সে চায়না..
এসব ভেবে বললো তুই নিতে পারলে আমি যেতে পারবো না ক্যান?
আমি ও যাবো তোদের সাথে...
এসব বলেই অর্নব আর অবনী ক্লাশে চলে গেলো অর্নব মনে মনে ভাবছে গাধী টা ও মনে হয় আমাকে ভালোবাসে হইতো কিছু বুঝতে দেয়না...
এসব ভাবতে ভাবতে ছুটির ঘন্টা বেজে উঠলো
সবাই যার যার মত বাসায় চলে আসলো..
ঐ অর্নব গাধা টা বাসায় এসে তো মহা খুসি কারন অবনী কে ও ভালোবাসে আর ওর সাথেই কাল বেড়াতে যাবে..
এসব ভাবতে ভাবতে ছাগল টা গোসল করলো তারপর খেয়ে দেয়ে দিনের বেলা ই ঘুমিয়ে পরলো...
রাত কাটার পর সেই সুন্দরতম সকাল টা চলে আসলো ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ১০:২৫ বাজে সেই মুহুর্তে অবনীর কল
>> কিরে রাতে কি ঘুমাস না তুই?
> হুম ঘুমাই তো
>> হুম বুঝছি...
আধঘন্টার মধ্যে চলে আয় নিশু তো চলে আসছে
> এই দেখ আমি আইসা পরছি।
এসব বলেই হুট করে রেডি হয়ে বাসা থেকে বিদায় নিলো অর্নব
গিয়ে দেখে ওরা দুজন এই মাত্র বের হলো
>> এত তারাতারি এলি যে?
> প্রিয় মানুষের কাছে তো তারাতারি ই আসতে হয়
>> মানে?
> বুঝবি না এবার চল তো...
অতঃপর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এর দিকে যেতে লাগলো
অনেক্ষন বাসে থাকার পর অবশেষে পৌছে গেলো চট্টগ্রামে...
গাড়ি থেকে নামার পর ই ফোন আসলো নিশুর বাবা অসুস্থ হয়ে গেছে মেডিকেলে নিবে..
তখন নিশু বাড়ির দিকে রউনা দিলো..
এখন ওরা দুজন অর্নব আর অবনী
অর্নব গাধা টা বেশ খুশি নিশু চলে যাওয়া তে কারন এখন রাতের পর রাত দিনের পর দিন অবনীর সাথে আলাপ করতে পারবে...
অবশেষে দুজনে মামার বাড়ি গিয়ে উঠলো
মামা মামি তো বেশ খুশি অবনী কে দেখে উনারা খুব আদর করে অবনী কে...
যাই হোক দুজনে ফ্রেস হয়ে সন্ধাবেলা চারজনে গল্পের আসরে বসলো
গল্প করতে করতে একসময় অবনীর মামি অর্নব কে জিজ্ঞেস করলো
"" আচ্ছা অর্নব তোমাদের দুজনের নাম তো বেশ মিল আছে তুমি কি ওকে ভালোবাসো?
> না মানে....
ইয়ে....
"" হুম বুঝে গেছি আর বলতে হবেনা।
তারপর তারা চলে অন্য কথায়..
এভাবে গল্প করতে করতে রাত অনেক হয়ে গেলো তারপর খেয়ে দেয়ে যে যার মত ঘুমাতে চলে গেলো
অর্নব গাধাটার তো আর ঘুম আসেনা একাকীত্ব হয়ে ছটফট করতে থাকে...
ওদিকে ঐ অবনীর ও এক অবস্থা
ওরা দুজন দুজন কে ভালোবাসে কিন্তু অবনী কখনো বুঝতে দেইনি আর অর্নব গাধা লজ্জায় তা বলতে পারেনি
একসময় অর্নব অবনী কে ফোন দেয়
>> কিরে এত রাতেও ঘুমাস নি?
> তোকে ছাড়া আমার যে ঘুম আসে না
>> মানে কি?
> মানে কি শুনবি?
>> হুম বল
> শুনতে হলে ছাদে আসতে হবে
>> হুম এত রাতেই
> হ্যা এত রাতেই
>> দেখি মামা মামি কে ফাকি দিয়ে আসতে পারি কিনা যদি যেতে পারি তাহলে তোকে ফোন দিবো তখন তুই চলে আসবি কেমন?
> আচ্ছা
পাঁচ মিনিট পর অবনীর ফোন
>> চুপ করে চলে আয় কেউ জানি টের না পায়
> আচ্ছা
একসময় ছাদে হাজির হলো এবং পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো কানের কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বলে দিলো
I Love You Gadha
এই সেই কথা যা বলার জন্য কত পাগল হয়ে ছিলাম অবনী কোনোমতে ওর কাছ থেকে ছোটে ঠাষ করে গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো
>> এই ফালতু কথার জন্য ছাদে ডেকে আনলি যত্যসব ফালতু
আরো কিছুক্ষন বক বক করলো অর্নব তা আশা করেনি
(হ্যা অবনী ও ওকে ভালোবাসে ওকে একটু পরিক্ষা করার জন্য এমন টা করছে...
এসব বলার জন্যই ওকে চট্টগ্রাম এনেছে)
অর্নব কিছু না বলে অভিমান করে রুমে চলে গেলো..
মিনিট পাঁচেক পর..
অবনী অর্নব এর রুমের কাছে গিয়ে দরজায় নক করলো তখন বিদ্যুৎ ছিলো না তাই লাইট সব বন্ধ তাই কিছু দেখা যাচ্ছিলো না
দরজা খুলে
> কে?
>> তর জান..গাধা কোথাকার...
ঠিক অর্নব এর মতই জড়িয়ে ধরে বলে দিলো
I Love You Too Gadha...
যেই গাধাটা যাকে নিয়ে এত সপ্ন দেখেছিলো সেই আজ মুখ ফুটে বলে দিলো তাকে সে ভালোবাসে..
সেদিন তাদের আর ঘুম হলোনা
সারারাত খোলা আকাশের নিচে বসে বসে গল্প করলো...
এই নিয়ে ওদের অর্নব অবনীর গল্প।

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

"তেলাপোকা ও ভালোবাসা"


¤
ইন্টারে একই কোচিং এ পড়তো ছেলে ও মেয়েটা।
.
ছেলেটি ছিল প্রচন্ড দুষ্টু আর মেয়েটি ছিল শান্ত স্বভাবের কিন্তু অহংকারী।
.
ছেলেটি প্রথম দেখায় মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলে।
লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়েটিকে দেখতে প্রতিদিন ছেলেটা।
মেয়েটি বিষয়টা খেয়াল করত কিন্তু কিছু বলতো না।
.
একদিন ছেলেটা মেয়েটাকে বলে-"আমি না তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছি সেদিন থেকেই তোমাকে ভালোবাসি।"
মেয়েটি-"তো আমি কি করবো??
যাও ভাগো এখান থেকে।যত্তসব ফালতু কথা বলতে আসে।বিয়াদব কোথাকার।"
এছাড়া আরো খারাপ কথা বলে ছেলেটিকে অপমান করে মেয়েটি।
ছেলেটি তার অপমান সহ্য করে এবং শেষে বলল-"অহংকার ভালো না।অপেক্ষা করো।আমাকেই তুমি ভালোবাসবে মেয়ে।"
এটা বলে ছেলেটি চলে গেল।
মেয়েটি তার বান্ধবীদের সামনে একটু ভাব নিয়ে বলল-"যত্তসব ফালতু ছেলে!আর ভাল লাগে না এদের জ্বালাই।ধ্যাত ছাই!"
.
.
এর মাঝে অনেক দিন কেটে গেল।
ছেলেটি হঠাত্‍ একদিন মেয়েটার সামনে এসে বলল-"সেদিন তো অপমান করলে।সহ্য করেছিলাম এবং বন্ধুদের কাছে অনেক কথা শুনেছি।আজ তুমি সবার সামনে আমাকে বলবে i love you too."
মেয়েটি একটু অতিরিক্ত পার্ট নিয়ে বলল-"তোমার লজ্জা করে না?
বিয়াদব ছেলে আবার এসেছো জ্বালাতে?দাঁড়াও তোমার খবর করতেছি।"
ছেলেটি তখন মেয়েটিকে বলল-"যথেষ্ট বলেছো।আর না।আজ আমি তোমার খবর করবো।যদি ভালোবাসি না বলো তো দেখবে আমি কি করি তোমার।"
মেয়েটি-"কি করবি তুই?বজ্জাত ছেলে কোথাকার!"
এমন সময় ছেলেটি তার ব্যাগ থেকে একটা বোতল বের করে বলল-"এর ভেতর তোলাপোকা দেখতে পাচ্ছ তো?সবগুলো তোমার গায়ে দিয়ে দিবো।যদি ভালোবাসো তাহলে দিবো না।"
মেয়েটি তেলাপোকা দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেল।
ছেলেটি বোতলের মুখ আস্তে আস্তে খুলতে লাগল।
মেয়েটি তা দেখে কান্না শুরু করে দিল এবং ছেলেটিকে বলল-"প্লীজ তুমি এটা করো না।আমার ভুল হয়ে গেছে তোমাকে অপমান করে।
আমাকে মাফ করে দাও।"
ছেলেটি বোতলের মুখ খুলে বলল-"তুমি এখন চিত্‍কার করে বলবে ভালোবাসি।যদি না বলো তো তেলাপোকা তোমার গায়ে ছেড়ে দিবো।"
এটা বলে ছেলেটি একটা তেলাপোকা মেয়েটির দিকে ছেড়ে দিল।
মেয়েটি তখন দৌড়ে এসে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে বলল-"আআআমি তোমাকে ভালোবাসি।
সত্যি বলছি তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি।আমিও প্রথম থেকেই তোমাকে পছন্দ করতাম।তোমাকে তাড়িয়ে দিয়েছি যদি তুমি ইয়ার্কি করো আমার সাথে ভালোবাসা নিয়ে।তুমি তো খুব দুষ্টু।তাই খুব ভয়ে ছিলাম।"
ছেলেটি তখন মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে বলল-"তেলাপোকা সব ফেলে দিচ্ছি।আর আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি।"
.
.
আড়াল থেকে বন্ধুরা সব দেখতে থাকলো আর মনে মনে বলতে থাকলো-
হাই রে তেলাপোকা!
মেয়েটিকে বানালি বোকা!
বন্ধু এখন হিরো,পূর্বে ছিল খোকা!
হাই রে তেলাপোকা!!
অকা অকা অকা অকা।।
ক্লাস টু-তে এক পিচ্চি মেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলছে, ‘টিচার টিচার, আমার আম্মু কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে?’
টিচার বললেন, ‘তোমার আম্মুর বয়স কত সোনা?’
পিচ্চি বললো, ‘চল্লিশ।’
টিচার বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার আম্মু প্রেগন্যান্ট হতে পারবেন।’
পিচ্চি এবার বললো, ‘আমার আপু কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে?’
টিচার বললেন, ‘তোমার আপুর বয়স কত সোনা?’ পিচ্চি বললো, ‘আঠারো।’
টিচার বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার আপু প্রেগন্যান্ট হতে পারবে।’
পিচ্চি এবার বললো, ‘আমি কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবো?’
টিচার হেসে বললেন, ‘তোমার বয়স কত সোনা?’
পিচ্চি বললো, ‘নয়।’
টিচার বললেন, ‘না সোনা, তুমি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে না।’ এ কথা শোনার পর পেছন থেকে ছোট্ট বাবু পিচ্চিকে খোঁচা দিয়ে বললো, ‘শুনলে তো? আমি তোতখনই বলেছি,
আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই…
এক নামকরা কাবাডি খেলোয়াড়ের বউ উকিলের কাছে এল ডির্ভোসের জন্য। উকিল বলল,”আপনি ডির্ভোস চাইছেন
কেন?” মহিলা বলল,”আমার স্বামী একজন কাবাডি প্লেয়ার।” উকিল বলল, “তাতে কি হয়েছে?” মহিলা বলল,”সেখানেই তো সমস্যা। আমার স্বামী আমার জায়গাটা ছুঁইয়ে চলে যায়।”
এক দম্পতি ২টি বাচ্চা হওয়ার পরে তারা ভাবল তাদের আর বাচ্চার দরকার নাই।
দুজনেই এতে একমত হল।
একদিন ডাক্তারের কাছে গেল।
ডাক্তার পরামর্শ দিলেন স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গ্রহণ করার।
ডাক্তার এর পরামর্শ মোতাবেক পুরুষের দুইটি অংশে হালকা অপারেশন করে নিলেন ডাক্তার-এর কাছ থেকে।
পরবর্তী সময়ে দু’জনে কোন পদ্ধতি ছাড়াই বেশ আনন্দেই ভালবাসার চরমসীমা উপভোগ করলেন। কিন্তু অপারেশনের ৬মাস পরে স্ত্রীর প্রেগন্যান্ট-এর কথা শুনে স্বামী বেচারা রেগে-মেগে সোজা অপারেশন
কারী ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলেন,
“ কি অপরেশন করছেন মিয়া!! আপনি একটা ভূয়া ডাক্তার!! অপারেশনের পরেও আমার স্ত্রীর
পেটে বাচ্চা আসলো কি করে!?! ” সবকিছু ভালভাবে শুনে ডাক্তার বললেন,
“ দেখুন আমি অপারেশন করেছি শুধু আপনার!! পুরো শহরের পুরুষ মানুষদেরতো আর অপারেশন করি নাই !!
রঙিন রঙিন স্বপ্ন দেখো
আশায় বাঁধো ঘর,
মিলেমিশে থাকলে সবে
কেউ হবে না পর।
পরিচ্ছন্ন জীবন গড়ার
স্বপ্ন দেখো রোজ,
পাপের কালো অন্ধকারে
হবে না নিখোঁজ!
ন্যায়ের পথে অটল থাকার
স্বপ্ন দেখা চাই,
স্বপ্নবিহীন মানব-জীবন
ভীষণ অসহায়!
মনকুটিরে সকাল-সাঁঝে
স্বপ্ন করো চাষ,
শান্তি-সুখের শ্বেত পাখিটি
ডাকবে বারো মাস!
মনের আকাশে চন্দ্র হয়ে
ঝড়াও তুমি জোসনা
চোখের অধোরে সপ্ন হয়ে
সাজাও আমার ভাবনা
ভালবাসা দিলাম তোমায়
শুন গো প্রাণ প্রিয়
হৃদয় ভরে নিয় তুমি
আমায় শুধু একটু দিও
মনের আকাশে চন্দ্র হয়ে
ঝড়াও তুমি জোসনা
চাওয়া পাওয়ার সবটা জুড়ে
তুমিতো শুধু আছ মিশে
সুখেরি দোলায় ভাসতে তোমায়
সারাটি জনম চাই যে কাছে
এসোনা দুজনে এই লগনে
আবেগি মেলি ডানা...
যখনি তোমার মুখটা দেখি
পৃথিবী আমি যাই যে ভুলে
যতন করে রাখি তোমায়
অনুভবেরি ছায়া তলে
তোমাকে ছাড়া নেইতো আমার
অন্য কোন ঠিকানা
শত্রুর সাথে শত্রুতা করলে
সে সুযোগ পেয়ে আঘাত করে একবার,
কিন্তু বন্ধু যখন শত্রু হয়,
তখন সে সুযোগ পেয়ে
আঘাত করতে চাই বারবার ।।

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

► মেয়েদের বুঝতে শিখুন ◄


লিখাঃ "MD Nasir Hossain"
অনেক মেয়েরাই বলে যে, ছেলেরা মেয়েদের
মন বুঝে না, এই লেখাটি তাদের জন্য। পড়ুন,
আর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলান।
আমরা ছেলেরা কাউকে ভালবাসলেই ঝট
করে বলে দেই, পুরো পৃথিবীকে জানিয়ে দিই।
কিন্তু একটি মেয়ের ভালবাসা সম্পূর্ণ
আলাদা,
তারা সহজে কাউকে ভালবাসতে চাইনা,
ভালবাসলেও নিজের
ভিতরে রাখে মুখে প্রকাশ করেনা, একবার
যদি কোন মেয়ে কোন
ছেলেকে ভালবাসে তাহলে সে তার আপ্রাণ
চেষ্টা করে সেই
ভালবাসাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য।
মেয়েদের মন খুব নরম, সেই মন কারও
প্রেমে পরলে আরও নরম হয়ে যায়, কিন্তু
আমরা অনেক ছেলেরায় টা দেখি না/বুঝি না,
আমরা শুধু মেয়েদের বাহিরের রাগ, অভিমান,
ঝগড়াটা দেখি, কিন্তু বন্ধুরা সেই রাগ,
অভিমান আর ঝগড়ার আড়ালেই
লুকিয়ে আছে গভীর ভালোবাসা।
একটি মেয়ের মন এটাই চাই যে কেউ
তাকে এতটা ভালবাসুক যতটা ভালবাসা কেউ
কাউকে বাসেনিআগে
আরে ভাই, আপনার ভালবাসার মানুষ আপনার
সাথে রাগ দেখাবে নাকি অন্য কারও
সাথে দেখাবে?? কিন্তু সব মেয়ে/
ছেলেরা একরকম নয়, এবং তাদের ভালবাসার
প্রকাশটাও একরকম নয়। এই পৃথিবীতে ভিন্ন
ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন তাদের ভালবাসা, ভিন্ন
সেই ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ, কেউ
ভালবাসে কাউকে কষ্ট দিয়ে, কেউ
ভালবাসে নিজে কেঁদে, আবার
কেউবা ভালবাসে ঝগড়া করে।
ভালবাসা ভিন্ন হতে পারে, ভালবাসার
মানুষগুলো ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সকল
ভালবাসার মানুষের লক্ষ্য একটাই
যাকে ভালবাসি মন প্রান উজাড়
করে ভালবাসি, ভালবাসবো, বেসে যাব জনম
জনম ধরে।
আবার অনেক মেয়েরাই দেখি বিভিন্ন
স্ট্যাটাস/পোষ্টে ছেলেদের বদনাম
করে বেড়ায়। অনেক মেয়েরাই বলে যে "সব
ছেলেরাই প্রতারক" আসলেই সব ছেলেরাই
কি প্রতারক?? কোন মেয়ে কি তার বুকে হাত
রেখে বলতে পারবে যে "সব মেয়েরা ভালো"
একটি খারাপ ছেলের জন্য আপনি কেন
বাকিদেরকে দোষ দিবেন?? ছেলেরাও দিল
ফাটিয়ে ভালবাসতে জানে, শুধু সেই
ভালোবাসা দেখার মত চোখ থাকতে হয়।
আপনার জন্য আর আপনার ভালবাসার মানুষটির
জন্য আমার পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক
শুভেচ্ছা।    Nasir

বাবুর বাপ একটা কথা বলবো।
- হুম। বলো কি কথা?
- আমি কালো বলে তুমি আমায় ঘুরতে নিয়ে
যাওনা।
- হুম।
- আমি কালো বলে আমার সাথে তুমি পিকচার
ওঠোনা।
- হুম। তারপর?
- আমি কালো বলে তুমি আমায় সাজতে পর্যন্ত
দাওনা।
- হুম। আর কি?
- আমি কালো বলে ভালো কোনো শাড়ি কিনে
দাওনা।
- হুম। আর কি?
- আমি অসুন্দর বলে আমায় তুমি
ভালোবাসোনা।
- হুম। আরো কিছু?
.
- আর কিছু কইতে চাইনা আমি স্বাধীন চাই।
.
- ওগো বউ?
- কি বলো।
- প্রথম কথা হইলো। তোমায় নিয়ে ঘুরতে
যাবো কেউ যদি
দেখে আমার সহ্য হয়না।
- তারপরে?
- তারপরে আর কি। পিকচার তুলিনা
স্টুডিওতে পিকচার থেকে
যাবে। যদি এডিট করে ছেরে দেয় আমার
সহ্য হবেনা।
- তারপরে?
- সাজতে চাইলে রাতে সাজো দিনে সাজলে
কে দেখবে
আমি যে বাসায় থাকিনা।
- তারপরে?
- তারপরে আমার পছন্দের শাড়ি তোমার
পছন্দ না হলে আমি
কি তোমায় মার্কেটে লোকজনকে দেখাতে
নিয়ে যাবো?
- সবকিছু মেনে নিলাম কিন্তু তুমি যে আমায়
ভালোই
বাসোনা।
.
- যদি তোমায় ভালোই না বাসতাম তাহলে
তোমায় কেউ
দেখলেও আমার হিংসাই হতোনা। যা কিছু
বলেছো সবকিছুই
স্বাধীন ভাবে করতে দিতাম।
.
মেয়েদের কাছে প্রশ্ন থাকলো আমার।
এরপরেও কি চাও এই ভালোবাসা উপেক্ষা
করে স্বাধীন
ভাবে চলতে?
২য় শ্রেনীর ছাত্র
ছেলেঃ i love u
মেয়েঃ যাও, আমার চকলেটের ভাগ
দেব না।
৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র...
ছেলেঃ i love u.
মেয়েঃ ছিঃ কি বলছো এসব।
লজ্জা শরম নাই?
যখন ৯ম শ্রেনীর ছাত্র
ছেলেঃ i love u.
মেয়েঃ আস্তে বলো কেউ শুনে
ফেলবে।
যখন কলেজের ছাত্রঃ
ছেলেঃ i love u.
মেয়েঃ চলো কফি হাউজে যাই।
যখন ভার্সিটির ছাত্র
ছেলেঃ I love u.
মেয়েঃ বিয়ে করবে কবে?
বিয়ের পরে....
স্বামীঃ i love u.
স্ত্রীঃ হয়েছে হয়েছে, এতো ঢং
দেখাতে হবে না।
স্বামী যখন এক সন্তানের বাবা
স্বামীঃ i love u.
স্ত্রীঃ কি বলছো এসব, বাবু শুনে
ফেলবে তো।
স্বামী যখন দাদু
স্বামীঃ i love u.
স্ত্রীঃ দিন দিন ছোট হচ্ছো নাকি?
ভালোবাসা, সত্যিই ভালোবাসা!
যার কোন তুলনা হয় না!