এক বছর পর আজ তার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। মনের মাঝে লুকানো হাজারো রাগ অভিমান আর আকাশ সমান ভালোবাসাকে সঙ্গী করে। আমাদের সম্পর্ক আজ এক বছর চার দিন,সে কতক্ষন যাবৎ তার তার বলে যাচ্ছি এখনো তো তার পরিচয়টাই দেওয়া হলো না। সাঈফ, যাকে আমি অনেক ভালোবাসি ; সেও আমাকে ভালোবাসে তবে আমার চেয়েও একটু বেশিই। এক বছর আগে না দেখেই দুজন দুজনকে ভালোবেসে ছিলাম, তারপর হয়তো দুজনেরই দেখা হয়েছিলো তবে সেটা ছিলো সামান্য কিছু মুহূর্তের জন্য। আলাদা আলাদা শহরে থাকার কারনে দেখা করাটা এই এক বছরের মধ্যে আর হয়ে ওঠে নি। কখনো বা সে ব্যস্ত ছিলো আর কখনো বা আমি। ভাবতেই কেমন অবাক লাগে যে এক বছর হয়ে গেছে তাকে আমি না দেখে আছি। তবে আর না, আজ সব ব্যস্ততা, সব বাধা পেরিয়ে আমি যাচ্ছি আমার স্বপ্নরাজের দেখা করতে। তার কথা মতো আজ নীল শাড়ি পড়েছি, তার নাকি নীল শাড়ি অনেক পছন্দের। সাথে খোলা চুল, হাত ভর্তি চুড়ি আর চোখে গাড় করে কাজল। বার বার নিজের দিকে তাকাচ্ছিলাম, দেখছিলাম আর কি তার কথা মতো কেমন সাজতে পাড়লাম। কেমন পেড়েছি সেটাতো সেই ভালো বলতে পারবে, কেনো জানি মনের মাঝে একটা ভয় কাজ করছিলো। অনেকক্ষন ধরে নদীর পাড়ে দাড়িয়ে আছি তবে তার আসার কোনো নাম গন্ধ নেই। পড়ন্ত বিকেলের মনকাড়া সৌন্দর্যের সাথে নদীর কলরব আওয়াজ এক অসম্ভব সৌন্দর্য ধারন করেছে। হালকা বাতাসে আমার অবাধ্য খোলা চুল গুলো উড়ছিলো,,
,
--খুব বেশি লেইট করে ফেলেছি নাকি?(সাঈফ)
--____(অবাক হয়ে পেছনে তাকালাম,,, সাদা পাঞ্জাবিতে তাকে দারুণ লাগছিলো)
--কি হলো ম্যাডাম? খুব বেশি লেইট হয়ে গেছে
--কয়টায় আসার কথা ছিলো?
--আমিতো ইচ্ছা করে লেইট করি নি, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই
--রাস্তায় তো আজ জ্যাম থাকবেই, কারন আমি যে আজ দেখা করতে বলেছি(অভিমানী সুরে)
--আচ্ছা সরি, প্লিজ রাগ করো না
--___(অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে দাড়িয়ে আছি)
--আচ্ছা বলো কি করলে তোমার রাগ কমবে? কান ধরতে হবে
--হুম
--আচ্ছা এই নাও ধরলাম(এক কানে ধরে)
--দুই কানে ধরো
--এই দুই কানে ধরলাম এইবার তো একটু হাসো
--____(মুচকি হেসে)
--সারা জীবন যেনো তোমার ঠোটের কোনে এই হাসিটা লেগে থাকে
--তুমি যদি সারা জীবন আমার পাশে থাকো তাহলে আমি না চাইলেও এই হাসিটা আমার ঠোটের কোনে লেগে থাকবে
--____(এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
--ও ভাবে কি দেখছো
--
দেখছি ওই মায়াবী চোখ,
যা পূর্ণিমার চাঁদকেও হার মানায়...
দেখছি ওই বাঁকা ঠোটের মিষ্টি হাসি,
যা মন কাড়ে পড়ন্ত বিকেল সৌন্দর্যে....
দেখছি ওই এলো কেশে স্বপ্নপরীকে,
যে বিচরণ করে আমার মনের স্বপ্নরাজ্যে....
.
--তুমি কি কবি?
--তোমার প্রমে পড়ে আজ আমি হয়তো বা কবি হয়ে গেছি
--তোমার বাসায় জানে এই কথাটা
--কি?
--যে তুমি এই দুনিয়া ছেড়ে ভবের দুনিয়ায় বাস করো; জানে এটা বাসায়
--বাসায় জানে কি জানে না তা আমি জানি না; তবে এটা জানি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি
--তাহলে এক বছর কিভাবে না দেখে ছিলে
--তুমিও তো না দেখে ছিলে, কিভাবে বলে
--জানি না
--জানোটা কি তাহলো
--ভালোবাসি
--কাকে?
--জানি না
--তোমাকে জানতেও হবে না, তোমার বাম পা টা একটু দাও তো
--কেনো
--ভেঙ্গে ফেলবো তাই, দিতে বলছি দাও
-- না আমার ভয় করে। আচ্ছা তুমি কি সত্যিই ভেঙ্গে ফেলবা
--আচ্ছা তুমি কি বোকা?
--না গাধী, আর তুমি গাধা
--দিবে
--হুম,
------একটি পায়েল পড়িয়ে দিলো........
--পায়েল(আমি)
--পছন্দ হয়েছে?
--তুমি দিয়েছ আর আমার পছন্দ হবে না!! কি যে বলো না তুমি
.
আস্তে আস্তে সন্ধ্যে নামতে চলেছে, পাখিরাও নিজেদের ঘরে ফিরে যাচ্ছে। চারদিকটা কেমন জানি শান্ত হয়ে গেছে, নদীর পাড়ে স্তব্ধ পরিবেশে ঘাসের উপর শাড়ির আচলটি বিছিয়ে তার কাদে মাথা রেখে জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটা কাটাচ্ছি। সারা জীবন তার সাথে ঠিক এইভাবেই থাকতে চাই, বাকিটা বিধাতাই জানে। কারন কথায় আছে, সবার কপালে সব কিছু জোটে না_____
,
--খুব বেশি লেইট করে ফেলেছি নাকি?(সাঈফ)
--____(অবাক হয়ে পেছনে তাকালাম,,, সাদা পাঞ্জাবিতে তাকে দারুণ লাগছিলো)
--কি হলো ম্যাডাম? খুব বেশি লেইট হয়ে গেছে
--কয়টায় আসার কথা ছিলো?
--আমিতো ইচ্ছা করে লেইট করি নি, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই
--রাস্তায় তো আজ জ্যাম থাকবেই, কারন আমি যে আজ দেখা করতে বলেছি(অভিমানী সুরে)
--আচ্ছা সরি, প্লিজ রাগ করো না
--___(অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে দাড়িয়ে আছি)
--আচ্ছা বলো কি করলে তোমার রাগ কমবে? কান ধরতে হবে
--হুম
--আচ্ছা এই নাও ধরলাম(এক কানে ধরে)
--দুই কানে ধরো
--এই দুই কানে ধরলাম এইবার তো একটু হাসো
--____(মুচকি হেসে)
--সারা জীবন যেনো তোমার ঠোটের কোনে এই হাসিটা লেগে থাকে
--তুমি যদি সারা জীবন আমার পাশে থাকো তাহলে আমি না চাইলেও এই হাসিটা আমার ঠোটের কোনে লেগে থাকবে
--____(এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
--ও ভাবে কি দেখছো
--
দেখছি ওই মায়াবী চোখ,
যা পূর্ণিমার চাঁদকেও হার মানায়...
দেখছি ওই বাঁকা ঠোটের মিষ্টি হাসি,
যা মন কাড়ে পড়ন্ত বিকেল সৌন্দর্যে....
দেখছি ওই এলো কেশে স্বপ্নপরীকে,
যে বিচরণ করে আমার মনের স্বপ্নরাজ্যে....
.
--তুমি কি কবি?
--তোমার প্রমে পড়ে আজ আমি হয়তো বা কবি হয়ে গেছি
--তোমার বাসায় জানে এই কথাটা
--কি?
--যে তুমি এই দুনিয়া ছেড়ে ভবের দুনিয়ায় বাস করো; জানে এটা বাসায়
--বাসায় জানে কি জানে না তা আমি জানি না; তবে এটা জানি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি
--তাহলে এক বছর কিভাবে না দেখে ছিলে
--তুমিও তো না দেখে ছিলে, কিভাবে বলে
--জানি না
--জানোটা কি তাহলো
--ভালোবাসি
--কাকে?
--জানি না
--তোমাকে জানতেও হবে না, তোমার বাম পা টা একটু দাও তো
--কেনো
--ভেঙ্গে ফেলবো তাই, দিতে বলছি দাও
-- না আমার ভয় করে। আচ্ছা তুমি কি সত্যিই ভেঙ্গে ফেলবা
--আচ্ছা তুমি কি বোকা?
--না গাধী, আর তুমি গাধা
--দিবে
--হুম,
------একটি পায়েল পড়িয়ে দিলো........
--পায়েল(আমি)
--পছন্দ হয়েছে?
--তুমি দিয়েছ আর আমার পছন্দ হবে না!! কি যে বলো না তুমি
.
আস্তে আস্তে সন্ধ্যে নামতে চলেছে, পাখিরাও নিজেদের ঘরে ফিরে যাচ্ছে। চারদিকটা কেমন জানি শান্ত হয়ে গেছে, নদীর পাড়ে স্তব্ধ পরিবেশে ঘাসের উপর শাড়ির আচলটি বিছিয়ে তার কাদে মাথা রেখে জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটা কাটাচ্ছি। সারা জীবন তার সাথে ঠিক এইভাবেই থাকতে চাই, বাকিটা বিধাতাই জানে। কারন কথায় আছে, সবার কপালে সব কিছু জোটে না_____
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন