অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে তাসনিয়া। প্রায় ৫ ঘন্টা হতে চললো পার্কে বসে আছে। অথচ ফয়সালের কোনো দেখা নাই। ফয়সাল ওর প্রেমিক। এখন ৫ টা বাজে। ১২ টা থেকে অপেক্ষা করছে সে। তাদের দেখা করার কথা ছিলো ১২ টার সময়। অথচ এখনো এলো না। তার তো রীতিমতো কান্না পাচ্ছে। কিন্তু পাব্লিক প্লেসে কান্না করতে পারছে না।
.
সে ভাবছে এমন কেনো করলো ফয়সাল। আজ তাদের সম্পর্কের ১ বছর হলো। আজ তাদের দেখা করার কথা ছিলো। ফয়সাল কথা দিয়েছিলো ওকে অবস্যই আসবে। কিন্তু আসলোই তো না। ফোন টাও অফ। খুব রাগ উঠছে। কান্নাও পাচ্ছে। ফয়সাল কি তাহলে তাকে ভালোবাসে না। ফয়সাল এতো বড় বেঈমানি করতে পারলো তার সাথে। কতো ভালোবাসে ভালোবাসে করতো ছেলেটা অথচ আজকে তার ভালোবাসার নমুনা দেখালো। আসলেই ফেসবুকের প্রেম গুলো ফেক হয়। এবার আর চোখের জল বাঁধ মানলো না। কেঁদেই ফেললো এবার। সে ভাবতে লাগলো প্রথম পরিচয়ের সেই অতীত।
.
কি ভাবছেন ফেসবুক প্রেম। হ্যা সত্যিই ফেসবুক প্রেম। কি সেই অতীত জানতে হলে ২ বছর আগে ফ্ল্যাশব্যাক দেখুন।
.
সে ভাবছে এমন কেনো করলো ফয়সাল। আজ তাদের সম্পর্কের ১ বছর হলো। আজ তাদের দেখা করার কথা ছিলো। ফয়সাল কথা দিয়েছিলো ওকে অবস্যই আসবে। কিন্তু আসলোই তো না। ফোন টাও অফ। খুব রাগ উঠছে। কান্নাও পাচ্ছে। ফয়সাল কি তাহলে তাকে ভালোবাসে না। ফয়সাল এতো বড় বেঈমানি করতে পারলো তার সাথে। কতো ভালোবাসে ভালোবাসে করতো ছেলেটা অথচ আজকে তার ভালোবাসার নমুনা দেখালো। আসলেই ফেসবুকের প্রেম গুলো ফেক হয়। এবার আর চোখের জল বাঁধ মানলো না। কেঁদেই ফেললো এবার। সে ভাবতে লাগলো প্রথম পরিচয়ের সেই অতীত।
.
কি ভাবছেন ফেসবুক প্রেম। হ্যা সত্যিই ফেসবুক প্রেম। কি সেই অতীত জানতে হলে ২ বছর আগে ফ্ল্যাশব্যাক দেখুন।
ফ্ল্যাশব্যাক
.
ফয়সাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে। এছাড়াও সে ফেসবুকের লেখক। নিজের ইচ্ছা মিটাতেই এই লেখা। তার লেখা বিভিন্ন গ্রুপ পেজে যায়। মোট কথা তার জনপ্রিয়তা কিছু আছে বলাই চলে। সারা দিন পড়াশোনা আর রাতে স্টোরি পড়া ও লেখার কাজ করে। সে দিনে একদম লিখতে পারে না। খুব ভালো স্টুডেন্ট না হলেও ভালোমতো চলে যায় তার।
.
তাসনিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে। সে গল্পের খুব বড় পাঠক। গল্প পড়তে খুব ভালোবাসে। একদিন ফয়সাল আহমেদ নামের এক রাইটারের গল্প পড়ে তার খুব ভালো লাগে। অনেক কষ্টে আইডি জোগাড় করে রিকুয়েস্ট করে। আর ইনবক্সে ছোট্ট করে লিখে দেয় আপনি বাস্তবে ঘুম কুমারী নিয়েন না। সব কাজ ভালোবাসা শুধু আপনাকে একাই করতে হবে।
.
ফয়সাল পরেরদিন রাতে ম্যাসেজ দেখতে পায় ম্যাসেজ রিকুয়েস্ট এ। আইডিটা এক্সেপট করে নেয়। তারপর রিপ্লে দেয়,
.
-- সেটা আমার ব্যাপার। আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে না।
.
তাসনিয়া সে সময় সে উত্তর দিলো। দুজনের মধ্যে কথা হলো এই টাইপ।
.
-- রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার জন্য থ্যাংক্স। আর সেটা আপনার ব্যাপার। কিসে পড়েন?
-- অনার্স ১ম বর্ষ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি?
-- আমিও অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
-- অও তারমানে এই মাথা ওচমাথা। বেশ ইন্টারেস্টিং।
-- হুম। ওকে বায়। গুড নাইট।
-- হুম গুড নাইট।
.
এভাবেই তাদের চলতে থাকে সাধারণ কথা বার্তা। হাই হ্যালো। কেমন আছেন? কি করেণ? এগুলোই। দুই দিন পরে তাসনিয়া ফয়সালের ফ্রেন্ড হবার অফার করে। ফয়সাল রাজি হয়ে যায়। ভালোই কাটে তাদের। আসতে আসতে বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে যায় তারা। সব কিছু শেয়ারিং কেয়ারিং করে তারা একে অপরের। যদি কেউ এক বেলা না খেতো তো অপরজন ব্ল্যাকমেইল করতো। খাবো না কিংবা ব্লক দিবো এই বলে। তাদের মোবাইল নম্বর শেয়ার হয়। আসতে আসতে তাদের কথা বাড়তে থাকে। তাসনিয়া ফয়সালের ছবি দেখলেও নিজের ছবি দেয় নি।
.
হুমায়ুন আহমেদ স্যার বলে গেছেন,"ছেলে আর মেয়ে কখনো বন্ধু হয়ে থাকতে পারে না। তারা এক অপরের প্রেম পড়ে"। তাদের বেলায় ঠিক তাই হলো। তারা এক অপরের প্রেমে পড়লো। তাদের ফ্রেন্ডশীপের ১ বছর পুর্তিতে ফয়সাল তাকে প্রোপজ করে। সেটাই ছিলো তাসনিয়ার কাছে ফয়সালের থেকে পাওয়া সবচেয়ে ভালো উপহার। সে রাজি হয়ে যায়। তাদের প্রেম ভালো ভাবেই চলতে থাকে। তারা ঠিক করে রেখেছিলো তাদের সম্পর্কের ১ বছর পূর্তিতে দেখা করবে। তারা এখন ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
.
সেই ঘটনাই বর্তমান। কালকে রাতেও ভালো ভাবেই কথা বললো। তারপর থেকে আর ফোন ধরে নি। তার আগে বলেছিলো সে আসছে। আবার সকাল থেকে ফোন অফ। ভাবলো হয়তো গাড়িতে আছে। ফোনে চার্জ নেই। তাই নিজে রেডি হয়ে বাড়ির কাছের পার্কে এসে বসেছে। এখানেই দেখা করার কথা। অথচ ফয়সালের খোজ নাই।
.
সারা বিকেল বসে থাকলো তাসনিয়া। সন্ধ্যার আগে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো বাড়িতে। গিয়ে দরজা বন্ধ করে কাঁদতে লাগলো। সে মনে মনে ঠিক করলো সব যোগাযোগ নষ্ট করবে। ফেবু আইডি ডিএক্টিভেট করে দিলো। নম্বরটা আপাতত কিছুদিন চালু থাকবে। নতুন সীম কিনলে অফ করে দিবে। ঘুনিয়ে পড়লো সে। সকালে তার বাবা মায়ের খোজ নিতে গিয়ে দেখে তারা খবরের কাগজের খবর পড়ছেন। সেও পত্রিকা পড়তে বসলো। তবে হেডলাইনের খবরটা দেখে তার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।
.
এদিকে ফয়সাল রাত ১০ টায় ব্যাক গুছিয়ে নিলো। আগামীকাল তাসনিয়ার সাথে দেখা করতে যাবে। কতো আনন্দ লাগছে তার। অতঃপর দুই বছর পর নিজের ভালোবাসার মানুষকে দেখবে। কথা হলো ফোনে তাদের। ফয়সাল বলল,
-- আমি কালকে আসছি।
-- আচ্ছা। আমি রেডি হয়ে বাড়ির পাশের পার্কে পুকুরের কোনার ব্রেঞ্চে বসবো।
-- আচ্ছা।
-- ঠিক ১২ টায় যেন তোমাকে পাই।
-- আচ্ছা বাবা।
-- ওকে সাবধানে রওনা দিয়ো। বাস কয়টায়? বাসের নাম কি?
-- এইতো ১২.৩০ টায়। ন্যাশনাল ট্রাভেলস।
-- আচ্ছা বাসে উঠে ফোন দিয়ো। তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো।
-- আচ্ছা তানি। পরে কথা হবে।
.
ফয়সাল তাসনিয়াকে তানি বলেই ডাকে। মেয়েটা বড্ড ভালোবাসে তাকে। খুব রাগীও। ১২ টার সময় বাড়ি থেকে বের হলো। ওহ বলা হয়নি ফয়সাল বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করে। মা বাবা কে বলে দিয়েছে ২-৩ দিনের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছে। তারাও কিছু বলল না। টিকেট কাউন্টারে পৌছাতে পোইছাতে ১২.২৫ বেজে গেলো। তাসনিয়াকে ফোন করলো। কলল দেয়ার সাথে সাথে কল ধরলো। যেন তার কলেরই অপেক্ষায় ছিলো। তাসনিয়াই বলল,
.
ফয়সাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে। এছাড়াও সে ফেসবুকের লেখক। নিজের ইচ্ছা মিটাতেই এই লেখা। তার লেখা বিভিন্ন গ্রুপ পেজে যায়। মোট কথা তার জনপ্রিয়তা কিছু আছে বলাই চলে। সারা দিন পড়াশোনা আর রাতে স্টোরি পড়া ও লেখার কাজ করে। সে দিনে একদম লিখতে পারে না। খুব ভালো স্টুডেন্ট না হলেও ভালোমতো চলে যায় তার।
.
তাসনিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে। সে গল্পের খুব বড় পাঠক। গল্প পড়তে খুব ভালোবাসে। একদিন ফয়সাল আহমেদ নামের এক রাইটারের গল্প পড়ে তার খুব ভালো লাগে। অনেক কষ্টে আইডি জোগাড় করে রিকুয়েস্ট করে। আর ইনবক্সে ছোট্ট করে লিখে দেয় আপনি বাস্তবে ঘুম কুমারী নিয়েন না। সব কাজ ভালোবাসা শুধু আপনাকে একাই করতে হবে।
.
ফয়সাল পরেরদিন রাতে ম্যাসেজ দেখতে পায় ম্যাসেজ রিকুয়েস্ট এ। আইডিটা এক্সেপট করে নেয়। তারপর রিপ্লে দেয়,
.
-- সেটা আমার ব্যাপার। আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে না।
.
তাসনিয়া সে সময় সে উত্তর দিলো। দুজনের মধ্যে কথা হলো এই টাইপ।
.
-- রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার জন্য থ্যাংক্স। আর সেটা আপনার ব্যাপার। কিসে পড়েন?
-- অনার্স ১ম বর্ষ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি?
-- আমিও অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
-- অও তারমানে এই মাথা ওচমাথা। বেশ ইন্টারেস্টিং।
-- হুম। ওকে বায়। গুড নাইট।
-- হুম গুড নাইট।
.
এভাবেই তাদের চলতে থাকে সাধারণ কথা বার্তা। হাই হ্যালো। কেমন আছেন? কি করেণ? এগুলোই। দুই দিন পরে তাসনিয়া ফয়সালের ফ্রেন্ড হবার অফার করে। ফয়সাল রাজি হয়ে যায়। ভালোই কাটে তাদের। আসতে আসতে বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে যায় তারা। সব কিছু শেয়ারিং কেয়ারিং করে তারা একে অপরের। যদি কেউ এক বেলা না খেতো তো অপরজন ব্ল্যাকমেইল করতো। খাবো না কিংবা ব্লক দিবো এই বলে। তাদের মোবাইল নম্বর শেয়ার হয়। আসতে আসতে তাদের কথা বাড়তে থাকে। তাসনিয়া ফয়সালের ছবি দেখলেও নিজের ছবি দেয় নি।
.
হুমায়ুন আহমেদ স্যার বলে গেছেন,"ছেলে আর মেয়ে কখনো বন্ধু হয়ে থাকতে পারে না। তারা এক অপরের প্রেম পড়ে"। তাদের বেলায় ঠিক তাই হলো। তারা এক অপরের প্রেমে পড়লো। তাদের ফ্রেন্ডশীপের ১ বছর পুর্তিতে ফয়সাল তাকে প্রোপজ করে। সেটাই ছিলো তাসনিয়ার কাছে ফয়সালের থেকে পাওয়া সবচেয়ে ভালো উপহার। সে রাজি হয়ে যায়। তাদের প্রেম ভালো ভাবেই চলতে থাকে। তারা ঠিক করে রেখেছিলো তাদের সম্পর্কের ১ বছর পূর্তিতে দেখা করবে। তারা এখন ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
.
সেই ঘটনাই বর্তমান। কালকে রাতেও ভালো ভাবেই কথা বললো। তারপর থেকে আর ফোন ধরে নি। তার আগে বলেছিলো সে আসছে। আবার সকাল থেকে ফোন অফ। ভাবলো হয়তো গাড়িতে আছে। ফোনে চার্জ নেই। তাই নিজে রেডি হয়ে বাড়ির কাছের পার্কে এসে বসেছে। এখানেই দেখা করার কথা। অথচ ফয়সালের খোজ নাই।
.
সারা বিকেল বসে থাকলো তাসনিয়া। সন্ধ্যার আগে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো বাড়িতে। গিয়ে দরজা বন্ধ করে কাঁদতে লাগলো। সে মনে মনে ঠিক করলো সব যোগাযোগ নষ্ট করবে। ফেবু আইডি ডিএক্টিভেট করে দিলো। নম্বরটা আপাতত কিছুদিন চালু থাকবে। নতুন সীম কিনলে অফ করে দিবে। ঘুনিয়ে পড়লো সে। সকালে তার বাবা মায়ের খোজ নিতে গিয়ে দেখে তারা খবরের কাগজের খবর পড়ছেন। সেও পত্রিকা পড়তে বসলো। তবে হেডলাইনের খবরটা দেখে তার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।
.
এদিকে ফয়সাল রাত ১০ টায় ব্যাক গুছিয়ে নিলো। আগামীকাল তাসনিয়ার সাথে দেখা করতে যাবে। কতো আনন্দ লাগছে তার। অতঃপর দুই বছর পর নিজের ভালোবাসার মানুষকে দেখবে। কথা হলো ফোনে তাদের। ফয়সাল বলল,
-- আমি কালকে আসছি।
-- আচ্ছা। আমি রেডি হয়ে বাড়ির পাশের পার্কে পুকুরের কোনার ব্রেঞ্চে বসবো।
-- আচ্ছা।
-- ঠিক ১২ টায় যেন তোমাকে পাই।
-- আচ্ছা বাবা।
-- ওকে সাবধানে রওনা দিয়ো। বাস কয়টায়? বাসের নাম কি?
-- এইতো ১২.৩০ টায়। ন্যাশনাল ট্রাভেলস।
-- আচ্ছা বাসে উঠে ফোন দিয়ো। তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো।
-- আচ্ছা তানি। পরে কথা হবে।
.
ফয়সাল তাসনিয়াকে তানি বলেই ডাকে। মেয়েটা বড্ড ভালোবাসে তাকে। খুব রাগীও। ১২ টার সময় বাড়ি থেকে বের হলো। ওহ বলা হয়নি ফয়সাল বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করে। মা বাবা কে বলে দিয়েছে ২-৩ দিনের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছে। তারাও কিছু বলল না। টিকেট কাউন্টারে পৌছাতে পোইছাতে ১২.২৫ বেজে গেলো। তাসনিয়াকে ফোন করলো। কলল দেয়ার সাথে সাথে কল ধরলো। যেন তার কলেরই অপেক্ষায় ছিলো। তাসনিয়াই বলল,
-- হ্যা বলো বাসে উঠেছো।
-- হ্যা। উঠেছি। একটু পরে ছাড়বে।
-- ওকে সাবধানে আসিও। খোদা হাফেজ।
-- খোদা হাফেজ।
-- হ্যা। উঠেছি। একটু পরে ছাড়বে।
-- ওকে সাবধানে আসিও। খোদা হাফেজ।
-- খোদা হাফেজ।
ফয়সাল ফোন কেটে দিলো। মুচকি হাসি দিলো একটা। তার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি উদয় হয়েছে। সে জানে আজ তাসনিয়া ঘুমাবে না। কারণ ফয়সাল বাস জার্নিতে আবার ঘুমাতে পারে না। তাই একটু পর পর ফোন করবে। সে ঠিক করলো তাসনিয়ার কোনো কল ধরবে না। ফেসবুকে ঢুকবেই না। সে ফুলের ব্যাক চেক করলো ভিতরে ২০ টা গোলাপ ফুল আছে। নিচের ফুলের দোকানের মালিককে ডেকে কিনেছে। ব্যাগে পানি ছিটিয়ে দিলো। এটা দিয়ে কালকে তাসনিয়ার রাগ ভাংগাতে হবে।
.
ঠিক এক ঘন্টা পর ফোন আসলো। কিন্তু ফয়সাল ধরলো না। যদিও ধরতে ইচ্ছা হচ্ছিলো। ফয়সালের আসল উদ্দেশ্য ছিলো তাসনিয়ার রাগী লুক দেখার। কিন্তু ভাগ্য ছাড়া কেউ জানতো না যেতার ওই দিন রাগী মুখ দেখা হবে না। দেখা হবে না ওই তার তানির সাথে।
.
ভোর ৬ টার মধ্যে ১০০ কল + ৩০ টা ম্যাসেজ জমা হয়ে যায়। সেই সময় ফয়সালের আর তাসনিয়াকে রাগাতে। ফোন দেয়ার উদ্দেশ্য ফোন হাতে নিলো ফয়সাল। হঠাৎ কেনো যেন গাড়ি নিয়ন্ত্রন হাড়াতে শুরু করলো। হঠাৎ সারা গাড়ি দুলে উঠে ফয়সালের মাথা কিসে যেন বারি খায়। মাথায় তিক্ষ যন্ত্রণা আর ভাংগা চোরার আওয়াজ নিয়ে জ্ঞান হাড়ায় সে।
.
৬ টার সময় এক্সিডেন্ট হয়। ব্রেক ফেল করেছিলো বাস। সামনের দিক থেকে আসা এক ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসের। ফয়সালের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তাতেই জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে। মোবাইল টা ছিটকে জানালা দিয়ে বাহিরে চলে যায়।
.
ফয়সালকে সহ আহত সবাইকে দ্রুত প্রথমে কাছের হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে উন্নত চিকিৎসা নাই দেখে দুপুর ১২.০০ টায় জরুরী অবস্থায় চট্টগ্রাম হাসপাতাল এ নিয়ে আসা হয়। সেখানে উন্নত চিকিৎসার কারণে ফয়সাল এ যাত্রায় বেঁচে যায়। তবে জ্ঞান ফিরে নি। ডাক্তারের অনুমান ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরবে। মাথায় ভালোই চোট লেগেছিলো। পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না দেখে পরের দিন খবরের কাগজে ছবি সহ অনুসন্ধান কলাম দেয়া হয়।
.
হ্যা সেই মুমূর্ষু রোগীটিই ফয়সাল। মোবাইল না থাকায় পরিচয় জানা যায় নি। মানি ব্যাগে পরিচয়ের মতো কিছু পাওয়া যায় নি। তাই পত্রিকাতে জানিয়ে দেয়া হয়। সেই সংবাদই তাসনিয়ার চোখে পরেছিলো।
.
নিউজঃ- আজ ভোর ৬ টায় রাজশাহী টু চট্টগ্রাম-গামী ন্যাশনাল পরিবহন বাস আর বিপরীতমুখি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ। নিহত ১৫ আহত ২০। একজন মুমুর্ষ রোগী আছেন। পরিচয় জানা যায় নি। বয়স আনুমানিক ২২-২৫ হবে। সঙ্গে ছবি দেয়া।
.
এই ছবির ছেলেটাকে চিনে তাসনিয়া। এতো তারই ভালোবাসা ফয়সাল। আসলে সে তাকেই ভালোবাসে। অথচ তাকে নিয়ে কতো ভুল ধারণা করেছিলো। প্রচন্ড অপরাধ বোধ হচ্ছে তার। যে কিনা তার জন্য আসতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করলো আর তাকে নিয়ে কি না কি ভেবেছিলো। সে তখনি ছুটে টাকা নিয়ে বেড়িয়ে যায়। সরাসরি একটা টেক্সি ধরে চট্টগ্রাম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
.
গিয়ে ফয়সালের কেবিনের বাইরে থেকে দেখে চিনতে পারে। হ্যা এই ফয়সাল। বিভিন্ন আইনি ঝামেলা+বায়োডাটা পুর্ন করে সে। ফয়সালে মা বাবাকে ফোন দিয়ে সব খুলে বলল আর টেনশন করতে মানা করে দিলো।
.
তারা আগামীকাল নাগাদ পৌছে যাবে। ফয়সালের জ্ঞান ফিরলো ১ ঘন্টা পর। চোখ খুলে দেখে তার পাশে সুন্দরি ও মায়বী মেয়ে বসে আছে। এমই কল্পনা করেছিলো তার তানিকে। সে মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলল,
.
-- আপনি কে? আর আমি কোথায়। এখানে এলাম কিভাবে?
-- আমি তানি তোমার তানি। তুমি হাসপাতালে। বাস এক্সিডেন্ট করেছিলো। গুরুতর অবস্থায় তোমাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছিলো।
-- সত্যি তুমি তানি।
.
ফয়সাল অবাক নয়নে তাসনিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ ঠিক এই মুখটাই যে সে কল্পণা করেছিলো। এতোটা মিল কিভাবে হতে পারে। সে কষ্ট করে তাসনিয়াকে বলল,
.
-- ২০ টা গোলাপ দিয়ে তোমার রাগ ভাংগাতে পারলাম না।
-- বাকি জীবন তো পরেই আছে তখন না হয় রাগ ভাংগিও। এখন চুপ করে লক্ষি ছেলের মতো সুয়ে থাকো।
.
তাসনিয়া ডাক্তার ডাক দিলো। ডাক্তার চেক করে আশংকা মুক্ত ঘোষনা করে। আর ৪৮ ঘন্টা পর ছুটি নিতে পারবে। তার মাথায় ব্যান্ডিস। অথচ সারা শরীরে ক্ষত ছাড়া বেশি কিছু হয় নি।
.
পরেরদিন ফয়সালের বাবা মা পৌছে গেলো। তাসনিয়ার বাবা মা কেউ আনা হলো। তারা তাদের বাবা মাকে সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিলো। তারা সম্পর্কে রাজি হলেন। ঠিক হলো ২ বছর পর ফয়সাল চাকরী পেলে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। ফয়সালকে রিলিজ দিয়ে দিয়েছে। সুস্থ হয়ে আবার ভালো ভাবে পড়াশোনা শুরু করলো। চিন্তা একটায় চাকরী পেতে যাতে কষ্ট না হয়।
.
২ বছর পর,
আজ ফয়সালের বিয়ে। হ্যা তাদের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। ফয়সাল এক মাস আগে প্রাইভেট ফার্মে জব পেয়েছিলো। সে তানিকে বিয়ে করবে। তার ভবিষ্যৎ। অবশেষ বিয়ে করে যাবতীয় কাজ শেষে তানিকে নিয়ে বাড়ি আসলো সন্ধ্যার পরে।
.
অতঃপর তাদের বহুল প্রতিক্ষিত বাসর রাতের ব্যাবস্থা করা হলো। তাদের পুর্ব পরিকল্পিত ছিলো যে বাসর রাতে চাঁদ দেখতে দেখতে বিয়ের পরের পরিকল্পনা করবে। তাই তারা ছাদে গেলো। এক জায়গায় বসে তাসনিয়া ফয়সালের কাধে মাথা দিয়ে চাঁদ দেখছে। সেই সঙ্গে চলছে তাদের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা।
.
চলতে থাকুক তাদের সুখের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা আজীবন...........
...................................সমাপ্ত............................
.
ঠিক এক ঘন্টা পর ফোন আসলো। কিন্তু ফয়সাল ধরলো না। যদিও ধরতে ইচ্ছা হচ্ছিলো। ফয়সালের আসল উদ্দেশ্য ছিলো তাসনিয়ার রাগী লুক দেখার। কিন্তু ভাগ্য ছাড়া কেউ জানতো না যেতার ওই দিন রাগী মুখ দেখা হবে না। দেখা হবে না ওই তার তানির সাথে।
.
ভোর ৬ টার মধ্যে ১০০ কল + ৩০ টা ম্যাসেজ জমা হয়ে যায়। সেই সময় ফয়সালের আর তাসনিয়াকে রাগাতে। ফোন দেয়ার উদ্দেশ্য ফোন হাতে নিলো ফয়সাল। হঠাৎ কেনো যেন গাড়ি নিয়ন্ত্রন হাড়াতে শুরু করলো। হঠাৎ সারা গাড়ি দুলে উঠে ফয়সালের মাথা কিসে যেন বারি খায়। মাথায় তিক্ষ যন্ত্রণা আর ভাংগা চোরার আওয়াজ নিয়ে জ্ঞান হাড়ায় সে।
.
৬ টার সময় এক্সিডেন্ট হয়। ব্রেক ফেল করেছিলো বাস। সামনের দিক থেকে আসা এক ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসের। ফয়সালের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তাতেই জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে। মোবাইল টা ছিটকে জানালা দিয়ে বাহিরে চলে যায়।
.
ফয়সালকে সহ আহত সবাইকে দ্রুত প্রথমে কাছের হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে উন্নত চিকিৎসা নাই দেখে দুপুর ১২.০০ টায় জরুরী অবস্থায় চট্টগ্রাম হাসপাতাল এ নিয়ে আসা হয়। সেখানে উন্নত চিকিৎসার কারণে ফয়সাল এ যাত্রায় বেঁচে যায়। তবে জ্ঞান ফিরে নি। ডাক্তারের অনুমান ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরবে। মাথায় ভালোই চোট লেগেছিলো। পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না দেখে পরের দিন খবরের কাগজে ছবি সহ অনুসন্ধান কলাম দেয়া হয়।
.
হ্যা সেই মুমূর্ষু রোগীটিই ফয়সাল। মোবাইল না থাকায় পরিচয় জানা যায় নি। মানি ব্যাগে পরিচয়ের মতো কিছু পাওয়া যায় নি। তাই পত্রিকাতে জানিয়ে দেয়া হয়। সেই সংবাদই তাসনিয়ার চোখে পরেছিলো।
.
নিউজঃ- আজ ভোর ৬ টায় রাজশাহী টু চট্টগ্রাম-গামী ন্যাশনাল পরিবহন বাস আর বিপরীতমুখি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ। নিহত ১৫ আহত ২০। একজন মুমুর্ষ রোগী আছেন। পরিচয় জানা যায় নি। বয়স আনুমানিক ২২-২৫ হবে। সঙ্গে ছবি দেয়া।
.
এই ছবির ছেলেটাকে চিনে তাসনিয়া। এতো তারই ভালোবাসা ফয়সাল। আসলে সে তাকেই ভালোবাসে। অথচ তাকে নিয়ে কতো ভুল ধারণা করেছিলো। প্রচন্ড অপরাধ বোধ হচ্ছে তার। যে কিনা তার জন্য আসতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করলো আর তাকে নিয়ে কি না কি ভেবেছিলো। সে তখনি ছুটে টাকা নিয়ে বেড়িয়ে যায়। সরাসরি একটা টেক্সি ধরে চট্টগ্রাম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
.
গিয়ে ফয়সালের কেবিনের বাইরে থেকে দেখে চিনতে পারে। হ্যা এই ফয়সাল। বিভিন্ন আইনি ঝামেলা+বায়োডাটা পুর্ন করে সে। ফয়সালে মা বাবাকে ফোন দিয়ে সব খুলে বলল আর টেনশন করতে মানা করে দিলো।
.
তারা আগামীকাল নাগাদ পৌছে যাবে। ফয়সালের জ্ঞান ফিরলো ১ ঘন্টা পর। চোখ খুলে দেখে তার পাশে সুন্দরি ও মায়বী মেয়ে বসে আছে। এমই কল্পনা করেছিলো তার তানিকে। সে মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলল,
.
-- আপনি কে? আর আমি কোথায়। এখানে এলাম কিভাবে?
-- আমি তানি তোমার তানি। তুমি হাসপাতালে। বাস এক্সিডেন্ট করেছিলো। গুরুতর অবস্থায় তোমাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছিলো।
-- সত্যি তুমি তানি।
.
ফয়সাল অবাক নয়নে তাসনিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ ঠিক এই মুখটাই যে সে কল্পণা করেছিলো। এতোটা মিল কিভাবে হতে পারে। সে কষ্ট করে তাসনিয়াকে বলল,
.
-- ২০ টা গোলাপ দিয়ে তোমার রাগ ভাংগাতে পারলাম না।
-- বাকি জীবন তো পরেই আছে তখন না হয় রাগ ভাংগিও। এখন চুপ করে লক্ষি ছেলের মতো সুয়ে থাকো।
.
তাসনিয়া ডাক্তার ডাক দিলো। ডাক্তার চেক করে আশংকা মুক্ত ঘোষনা করে। আর ৪৮ ঘন্টা পর ছুটি নিতে পারবে। তার মাথায় ব্যান্ডিস। অথচ সারা শরীরে ক্ষত ছাড়া বেশি কিছু হয় নি।
.
পরেরদিন ফয়সালের বাবা মা পৌছে গেলো। তাসনিয়ার বাবা মা কেউ আনা হলো। তারা তাদের বাবা মাকে সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিলো। তারা সম্পর্কে রাজি হলেন। ঠিক হলো ২ বছর পর ফয়সাল চাকরী পেলে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। ফয়সালকে রিলিজ দিয়ে দিয়েছে। সুস্থ হয়ে আবার ভালো ভাবে পড়াশোনা শুরু করলো। চিন্তা একটায় চাকরী পেতে যাতে কষ্ট না হয়।
.
২ বছর পর,
আজ ফয়সালের বিয়ে। হ্যা তাদের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। ফয়সাল এক মাস আগে প্রাইভেট ফার্মে জব পেয়েছিলো। সে তানিকে বিয়ে করবে। তার ভবিষ্যৎ। অবশেষ বিয়ে করে যাবতীয় কাজ শেষে তানিকে নিয়ে বাড়ি আসলো সন্ধ্যার পরে।
.
অতঃপর তাদের বহুল প্রতিক্ষিত বাসর রাতের ব্যাবস্থা করা হলো। তাদের পুর্ব পরিকল্পিত ছিলো যে বাসর রাতে চাঁদ দেখতে দেখতে বিয়ের পরের পরিকল্পনা করবে। তাই তারা ছাদে গেলো। এক জায়গায় বসে তাসনিয়া ফয়সালের কাধে মাথা দিয়ে চাঁদ দেখছে। সেই সঙ্গে চলছে তাদের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা।
.
চলতে থাকুক তাদের সুখের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা আজীবন...........
...................................সমাপ্ত............................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন